নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রজন্মের কবি

প্রজন্মের কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

উফ!নারী বড় যন্ত্রনাদায়ক

০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১২

মাঝে মাঝে আয়নায় নিজের চেহারা ভাল মত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখি।কারন আমার ধারনা আমার চেহারার কোথায় লেখা আছে-'চাহিবা মাত্র ইহার চাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে'

নইলে মানুষজন আমার কাছে এত আব্দার করে ক্যান?মাইনাস পয়েন্ট ফাইভের চশমা চোখে লাগিয়েও আজ ও এই লেখা পড়তে পারলাম না।আফসোস।



এই ধরেন অটোর মধ্যে আরাম করে বড় সিট গুলায় বসে পা নাচাচ্ছি।অমনি কোন না কোন ফুলন দেবী এসে বলবে-'এই সিট ছাড়া বসপো না।উল্টা দিকে বসলে মাথা ঘোরে'

আরে মাথা কি আপনার একার ই আছে নাকি?নাকি আপনার ধারনা আমার মাথা ঘোরে না?আমি রোবট মানব?

এই সব মনের কথা রে মমিন।আমার বুক ফাটে কিন্তু মুখ ফোটে না। মেয়েদের 'না' শুধু মাত্র সিদ্ধ পুরুষ রা বলতে পারেন।আমি নিকৃষ্ট পুরুষ।আমি 'হ্যা' 'না' কোনটাই বলতে পারি না।চুপচাপ সিট বিলিয়ে দিয়ে অটো ওয়ালা মামার পাশে গিয়ে বসি।পুরুষ হয়ে জন্ম নিছি কি আর করার!



তারপর বাসার মধ্যে আর এক কেচ্যাল।পাশের বাড়ির তিন যুবতি সন্ধ্যা না হতেই বাসায় আসবেন।আমি টিভি দেখলে বলবে-'ভাইয়া।স্টার জলশা দ্যান।টাপুড় টুপুড় দেখবো'

মনে মনে বলি-'সুন্দরী দের না বলতে নাই রিয়াদ।রিমোট সুবোধ বালকের মত দিয়ে দে।পাইলেও পাইতে পারিস অমুল্য রতন'

অমুল্য রতন কিছুদিন পর পাইলাম।সবে এসএসসি পরিক্ষায় সাফল্যের সহিত পাশ করিয়াছি।সাথে সাথে প্রস্তাব পাইলাম।ছি! ছি! যেটা ভাবছেন সেটা নয়।আমি মোটেও ওই রকম ছেলে নই।প্রস্তাব ছিল প্রাইভেট পড়ানোর।ওই তিন ললনার একজন ক্লাশ টেনে পড়তো।মাথা প্রবল বেগে ঝাকি দিয়া প্রস্তাবে রাজি হইলাম।আমার জীবনের প্রথম টিউশানির ঘটনা না হয় আর একদিন বলবো।



পুনশ্চ- তিন কন্যাকে আমি বড় বোনের চোখে দেখি।হোক না একজন বয়সে ছোট।তাতে কি?আমি অতি মাত্রায় ভদ্র ছেলে।ম্যাট্রিক পাশ।ইন্টার এই পাশের পথে।বিবাহযোগ্য মেয়েদের জন্য রসগোল্লা টাইপ পাত্র।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.