![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিতলী মাছ কাটা বটি হাতে নাবিলের সামনে দাড়িয়ে আছে।চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।সাপের মত ফোসফোস করছে।ভয়ানক অবস্থা।যেই না সেই বটি মানবী কোপ দিয়ে অমনি নাবিলের ঘুম ভেঙ্গে গেল
সে তাকিয়ে দেখে তার বিছানার পাশে বসে কে যেন কাদছে।কে এটা?তিতলী?
- কাদো কেন?
নাবিলের দিকে সে একটা কাগজ এগিয়ে দিয়ে বলল-এইটা কি?
- সাইনবোর্ড।
- কি লেখা এখানে?
- কেনো সোনা পড়তে পারো নাই?এই জন্য কাদতেছো?
-চুপ।তুমি আমার নাম লিখে পাশে কুত্তার ছবি আর্ট করেছো?তুমি কি মানুষ?
- দেখেছো তুমিও এখন কুকুরকে কুত্তা বলছো।আর আমি বললেই দোষ।আর কুত্তা তো খারাপ কোন প্রাণি না।খারাপ হল মানুষ যারা কুত্তার গায়ে গরম মাড় ঢেলে দিয়ে বেপক আনন্দ পায়।
-চুপ।একটা কথা বললে ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে দিব
- স্বপ্নে তো বটি দিয়ে কাটতেছিলা।বাস্তবে ছুরি?বাহ! রান্না ঘরে ছুরি পাবা।উন্নতমানের ছুরি
-তোমাকে খুন তো করবই।তার আগে তুমি বল কুকুরের ছবি কেনো কেনো আর্ট করেছো?এটা তোমাকে বলতেই হবে।
- চিন্তা করে দেখলাম কুত্তার সাথে তোমার খুব মিল।কুত্তাও মানুষকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে তুমিও অন্ধ ভাবে বিশ্বাস কর।কাজেই তুমি কুত্তার মতন
-আমি কুত্তার মতন?
-জ্বী।নেড়ী কুত্তার মতন।যার কাজ ই হল রাস্তা ঘাটে ঘুরে বেড়ানো।
তিতলী উঠে দাড়িয়ে হনহন করে বের হয়ে গেল।খুব সম্ভবত রান্নাঘরে যাবে।ধার দেয়া ছুরি নিয়ে আসবে।তারপর গলা কাটবে।প্রেমিকার হাতে মৃত্যু।খারাপ কি?
তিতলী আর নাবিল রিকশায় করে ঘুরছে।তিতলী মাথা অন্য দিকে ঘুরিয়ে কাদছে।নাবিলের হাতে একটি বিয়ের নিমন্ত্রন পত্র।তিতলীর বিয়ে।ছেলে ইজ্ঞিনিয়ার।নাবিল ইজ্ঞিনিয়ার নয়।কাজেই ছেলেটে সে নয় এটা নিশ্চিত।তিতল্লির মা তাকে পছন্দ করেন নি।যে ছেলে প্রেমিকার আত্মহত্যার জন্য বিরানব্বই টাকা খরচ করে দড়ি কিনে নিয়ে যায় সে ছেলেকে পছন্দ না করাটাই স্বাভাবিক হোক না সে তিতলীর পছন্দের ছেলে।
এখন শুধু তিতলী না।নাবিল ও কাদছে।এক রিকশায় বসে দুই জন মানুষ দুই দিকে তাকিয়ে ঠিক এক ই কারনে কাদছে।বাহ কি অপূর্ব দৃশ্য।
©somewhere in net ltd.