নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান বিনয়ের জন্য, অহমিকা কিংবা উদ্ধ্যত প্রকাশের সমর্থনে নয়।

রং বেরং

রং বেরং › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুতুল নাচের ইতিকথা ও আমার ধৈয্য পরীক্ষা

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬

গোলাম মাওলা রনির লিখা “পুতুলনাচ ও নাট্যমঞ্চের ভাবসম্প্রসারন” পড়ার মাঝে পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাসের আবির্ভাব। মানিক বন্ধপ্যাধায়ের সৃষ্টি কর্মের মধ্যে অন্যতম সৃষ্টি। ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তখনই ডাউনলোড করে বন্ধপ্যাধায়ের সৃষ্টি কর্মের অন্দরে উঁকি মারা শুরু করলাম। কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর ব্যাপক আগ্রহের সূচক শূন্য নেমে উল্টা ব্যাপক ধৈয্যর বিষয়ই হয়ে দাঁড়াল। রুমমেটদের বললাম, এই তরা কেউ আম্রে ধৈয্য ধার দে। উপন্যাসের প্লট শুরু হইছে নদীর ধারে বট বৃক্ষের তলা থেকে। ওকে ফাইন, নো সমস্যা কিন্তু দুই পৃষ্ঠা যাবত এই বট বৃক্ষের তলাতেই আছি। বট বৃক্ষের আকার, পাতার রং, আশপাশ কত জায়গা নিয়ে আছে, বট বৃক্ষে একটা কাঠবিড়াল থাকে, সে গাছ থেকে কিভাবে নামে ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন উপন্যাসিকের কাজ হল তার আশপাশে যা দেখবে সবকিছুর বিবরণ দিতে হবে। আর এই বিবরণ দিতে গিয়ে উপন্যাসের মোশন হয়ে যায় অনেক স্লোও। উপন্যাসের ঘটনার পটপরিবর্তন হয় ধিরগতিতে। তখন পাঠকের প্রয়োজন হয় ধৈয্যর। আর শব্দ চয়নের কথা নাই বা বললাম। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল একটু ধৈয্য নিয়ে যখন উপন্যাসের প্লটের ভিতর মন বসে যায় তখন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নেশার মতো কাজ। আমি সে ধৈয্য পরীক্ষা পাস করেছি, পরে এমন অবস্থা হইছে রাত দশটাই শুরু করে একটানা রাতের তিনটায় শেষ করলাম। অসাধারণ একটা উপন্যাস, মানিক বন্ধপ্যাধায়ের এ এক অন্যবদ্য সৃষ্টি। ( আপকামিন জননী উপন্যাস )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.