![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসের কাছাকাছি একটি দোকানে ফ্লেক্সিলোড করতে গিয়েছি। ওই দোকান ছাড়া আশে পাশে ফ্লেক্সিলোডের আর কোন দোকানও নেই। দোকানদার আমাকে বসিয়ে রেখে কার সাথে যেন কথা বলছে। কথা আর শেষ হচ্ছেনা, আমিও বসে আছি। বাধ্য হয়ে আমি তার কথা শুনছি। দীর্ঘ সময় পর ফোন রেখে নিজ থেকেই আমাকে বললো, “একটা মেয়েরে নাচাইতেছি”। আমি ভাবলাম এড়িয়ে যাব। তবে পরে মনে হলো ছেলেটির ভুল ভাঙিয়ে দেয়া দাওয়ার একটা অংশ। জিজ্ঞেস করে জানলাম সে মুসলিম। এবার আমি বললাম, “ভাই, তুমি কি জানো আল্লাহ এসব গোপন প্রেম হারাম করেছেন?” ছেলেটি আমাকে মোটামুটি চমকে দিয়ে বললো, “কোরআনে যে প্রেমের ঘটনা আছে আপনি কি জানেন?” আমি বললাম, “কুরআনের কোথায় আছে বলতে পারবে?” সে বললো, “ক্যান, ইউসুফ জুলেখার প্রেম কাহিনী কি নাই কুরআনে?” বললাম, “তুমি কি নিজে তা পড়েছো?” বললো, “নাহ, হুজুরগো কাছে শুনছি”। আমি বললাম, “কুরআনের সুরা ইউসুফে ইউসুফ আঃ এর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, আজ বাসায় যেয়ে তা তুমি নিজে পড়ো, তারপর ভেবে দেখো কোথায় এ প্রেম কাহিনী লেখা রয়েছে”।
ছেলেটি একটা ধাক্কা খেলো মনে হয়। কুরআনে প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো। অত্যন্ত আশ্চর্যজনক হলেও হয়তো সত্যি যে, নিরীহ এই ছেলেটার মতোই ধারণা নিয়ে অগণিত লোক কবরে চলে যাচ্ছে সত্যি কথাটা না জেনেই। কুরআন যে সত্য মিথ্যার প্রভেদকারী আর মানুষের বিশ্বস্ত গাইড হিসাবেই আল্লাহ পাঠিয়েছেন তা মুখের বুলির বাইরে আসতে পারছে না।
কুরআন যখন পৃথিবীতে আল্লাহ নাজিল করেছেন, তখন আরবে চলছে কবিতা আর সাহিত্যের স্বর্ণযুগ। কবিদের সম্মান ছিলো সমাজের সকল স্তরেই সবচেয়ে বেশী আর কবিতা কংবা সাহিত্যের আসর ছিলো বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। নিজ বংশ এবং রক্ত নিয়ে গর্ব করা থেকে শুরু করে সমাজ-জীবন-দর্শন কিছুই বাদ যেতোনা সাহিত্যের সে আলোচনা থেকে। বড় বড় কবি-সাহিত্যিকদের ভাড়া করে আনা হতো আসরের মর্যাদা বাড়ানোর জন্য। আরবী ভাষার বুনন আর গাঁথুনীর চমৎকারিত্বের প্রতিযোগিতা চলতো কবিদের মধ্যে। এহেন অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে আল্লাহর বাণী আসলো-"ইক্বরা বি ইসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক্ব"। মানুষ হতচকিত। এমন ভাষা আর কখনও শুনিনিতো। সৃষ্টি নিয়ে এমন অদ্ভুত বর্ণনাও নয়। যার কানেই এ কথাগুলো গেলো, সে যেন একটা হোঁচট খেলো এমন বাক্য বুনন আর এমন বিষয় শুনে। সেই হলো শুরু। একে একে কুরআনের আয়াত নাজিল হতে থাকলো আর মানুষ আরো বেশী চমকৃত হতে লাগলো। আরব ইতিহাসের কোন কবিই তো এমন ভাষার বুনন দেখাতে পারেনি, এমনকি মুহাম্মাদ তার বাকী সারা জীবনেও এমন কথার গাঁথুনি আর এমন অন্তর বিদির্ণকারী সব বিষয়ের অবতারণা করতে পারেনি। এবার তাঁর নাম দেয়া হলো কবি, যদিও এর আগে চল্লিশ বছরের জীবনে তিনি একটা কবিতাও রচনা করেননি। যখন দেখা গেলো কুরআনের এ কথাগুলোর ভাষা আর স্টাইল আরবের সকল সাহিত্যমানের বিচারের অনেক উপরে উঠে গেছে, তখন কুরআনের কথাগুলোকে কবিতা আর মুহাম্মাদকে কবি বলে তাকে আর বোঝানো গেলোনা। অবিশ্বাসীরা এবার তাকে 'যাদুকর' উপাধিই দিয়ে বসলো। এক সময় সবাইকে অবাক করে কুরআন ঘোষণা করলো, "যদি তোমাদের এতে সন্দেহ থাকে তাহলে তোমারা এর মতো আরেকটি সুরা রচনা করে নিয়ে এসো এবং আল্লাহ ছাড়া আর যারা তোমাদের সাহায্যকারী আছে তাদের সবাইকে তোমরা সাথে নাও"। এবার বিস্ময়ে হতবাক হলো সব বিখ্যাত কবির দল। একে একে সবাই পিছু হটলো। সামান্য দু একজন এগিয়ে এসে যা রচনা করলো, তা দেখে তারা নিজেরাই বাতিল করে দিলো। আর এভাবেই শুধুমাত্র ভাষাগত বুননের অনন্যতায় আর স্টাইলে কুরআন আরবের আর সকল সাহিত্যকর্মের অনেক উপরে উঠে গেলো।
শুধুমাত্র কুরআনের ভাষাগত দিকটা একটু বিবেচনা করা যাক। আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে কুরআন এসেছে এ পৃথিবীতে। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরানো যে নিদর্শন, তার বয়স এক হাজার বছরের মতো আর যা কুরআনের প্রায় চারশো বছর পর এসেছে। রাক্ষস-খোক্কস জাতীয় অবাস্তব গল্প কাহিনীতে ভরা এই বইয়ের সাথে কুরআনের বিষয় আর ভাষা তুলনা করলে অবাক না হয়ে পারবেনা কেউই। শুধু তাই নয়, কুরআনের সমসাময়িক সকল গ্রন্থের সাথে এর ভাষা আর বিষয়গত বাহ্যিক পার্থক্য পৃথিবীর তাবত মানুষকে অবাক করার জন্য যথেষ্ট। চৌদ্দশ বছর আগের নাজিল হওয়া গ্রন্থ, অথচ আজ যদি আমি তা পড়ি মনে হবে যেন এইমাত্র তা নাজিল হয়েছে আমার জন্য।
যুগে যুগে এই কুরআন মানুষকে পথ দেখিয়েছে। অগণিত অবিশ্বাসীর বুক কুরআনের আয়াত শুনে থর থর করে কেঁপেছে, আর মুসলিমরা কুরআনকে অবলম্বন করে পথ চলেছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব, মহাবিশ্ব, সময়, পরকাল এমন কোন সেক্টর বাকী নেই যার গাইডলাইন আল্লাহ কুরআনে দেননি। মুসলিম ইতিহাসের অনেক খলিফা এমন হয়েছে, কোন বিপদে পড়ার পর কুরআন নিয়ে বসেছেন আর যে কোন একটি পাতা খুলে পড়েছেন আল্লাহর সাহায্য পাবার আশায়। সকল ক্ষেত্রেই তারা কুরআনের সে পাতা থেকে নির্দেশনা নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করে সফল হয়েছেন।
ইসলাম আর কুরআনের সাথে শত্রুতার অংশ হিসাবে কুরআনকে সমূলে ধ্বংস করার চেষ্টা অবিশ্বাসী সমাজ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে, পারেনি। পারেনি কারণ মুসলিমদের শক্তি আর হাফেজে কুরআনদের কুরআন মুখস্ত করে রাখার জন্য নয়। আল্লাহ নিজে ঘোষণা করেছেন, "নিশ্চয়ই আমি নিজে এ কুরআন অবতীর্ণ করেছি, আর আমি নিজেই তা সংরক্ষণ করবো" এবং সেজন্যই হাজারো চেষ্টা সত্বেও তা একমাত্র অবিকৃত আসমানী কিতাব হিসাবে টিকে আছে এবং থাকবে। যখন কুরআনকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি তখন কুরআনকে বিকৃত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে নেমেছে ইসলামের শত্রুরা। রাফেজী কিংবা শিয়া থেকে শুরু করে হালের কাদিয়ানী পর্যন্ত বহু গোষ্ঠী কুরআনের কিছু অংশ বিকৃত করার অপচেষ্টা করেছে, কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে সম্মিলিত মুসলিম উম্মাহর বাইরে একটা বিভ্রান্ত জাতি হিসাবেই সকল ক্ষেত্রে চিহ্নিত করে দিয়েছেন। কুরআন থেকে মুসলিমদের হঠানোর প্ল্যানে সবচেয়ে সফল হয়েছিলো বৃটিশরা। উপমহাদেশে উপনিবেশ স্থাপনের পর মুসলিমদের দ্বারা সবচেয়ে বেশী বাধার শিকার হয় বৃটিশরা। সাইয়্যেদ আহমাদ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ , টিপু সুলতান, নিসার আলি তিতুমির , হাজী শরিয়তুল্লাহর মতো মুসলিম নেতারা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে মূলত ইসলাম বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে। রাজনৈতিকভাবে মুসলিমদের পঙ্গু করার জন্য বৃটিশরা যে কয়টি মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করে তার অন্যতম হলো মুসলিম শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কুরআনের প্রকৃত শিক্ষা থেকে মুসলিম জাতিকে দূরে সরিয়ে ফেলা, মুসলিমদের ভেতর নানা দল উপদল সৃষ্টি করে তাদের বিভেদে জড়িয়ে ফেলা এবং নিজেদের প্রেস্ক্রিপশন মতো একদল পেইড আলিম তৈরী করে ইসলামের গতিপথ নিয়ন্ত্রণে রাখা। বলা বাহুল্য যে, প্রতিটি প্ল্যানে তারা সফল হয়েছিলো এবং সবচেয়ে সফল হয়েছিলো ইসলামী শিক্ষা নিয়ন্ত্রণে।
নিজেদের প্ল্যান বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসাবে তারা কলকাতা ও ঢাকায় আলিয়া মাদ্রাসা স্থাপন করে নিজেরা কারিকুলাম ঠিক করে দেয় এমনকি সরাসরি তত্ত্বাবধানের জন্য নিজেরা প্রিন্সিপালের পদও দখল করে নেয়। অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এই যে, আল্লাহ যেখানে মুসলিম জাতিকে সতর্ক করেছেন ইয়াহুদি এবং খৃষ্টানদের সাথে আদর্শিক বন্ধুত্বের সম্পর্কে, সেখানে সকল মুসলিমদের চোখের সামনে দিয়ে বৃটিশ কাফির গোষ্ঠী ইসলামী শিক্ষার মতো যায়গায় নিজেদের কালো থাবা বিস্তার করে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে এমন একদল আলিম তৈরী হয়েছে যারা বিকলাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা নিয়ে সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনের ইসলাম বিদ্বেষী অভিজ্ঞতায় বৃটিশ খৃষ্টানরা নিশ্চিত ছিলো যে আর যাই হোক, কুরআনকে নির্মূল করা যাবেনা এবং মুসলিমদের কুরআন অধ্যয়ন থেকে দূরে সরিয়ে রাখাও যাবেনা। আর তাই এবার তারা এমন ছক কষলো যাতে মানুষ কুরআন পড়বে ঠিকই, কিন্তু এর আইন বিধান বাস্তবায়ন করা কিংবা এর প্রকৃত অনুসরণ থেকে দূরে থাকবে। যার ফলে তাদের ছত্রছায়ায় থাকা আলিম সমাজ কুরআন পড়ায় অর্থ না বুঝে নেকীর দিকটা বেশী প্রাধান্য দিয়ে কুরআনের মূল উদ্দেশ্য থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে ফেললো।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এই যে, একমাত্র আরবী ছাড়া পৃথিবীতে এমন কোন ভাষা নেই, যা মানুষ পড়তে ও লিখতে পারে কিন্তু অর্থ জানেনা। মাতৃভাষা ছাড়া অন্য যে কোন ভাষা মানুষ চর্চার ফলে শুনলে বুঝতে পারে যেমন- আমরা হিন্দী উর্দু শুনলে বুঝি, টুকটাক বলতেও পারি কিন্তু লিখতে ও পড়তে পারিনা। আবার যে লোক ফ্রান্স, জার্মানী, স্পেন এমন সব দেশে যায় তারা জার্মান, ফ্রেঞ্চ কিংবা স্প্যানিশ ভাষা ধীরে ধীরে বলতে ও বুঝতে পারে কিন্তু পড়তে ও লিখতে পারেনা। বিদেশ থেকে কোন লোক যদি আমাদের দেশে আসে তাহলে তারা শুনে বা শিখে "কেমন আছেন", "ভালো আছি" জাতীয় কথা তাড়াতাড়ি শিখে ফেলে এবং এর অর্থও জেনে ফেলে কিন্তু বাংলা পড়তে কিংবা লিখতে পারেনা। মাতৃভাষা ছাড়া পৃথিবীর সকল ভাষার লোকর ক্ষেত্রেই এ অবস্থায়ই স্বাভাবিক। সম্ভবত সমস্ত পৃথিবীতে এই আরবীই ব্যতিক্রম, যেটা আমরা পড়তে পারি কিন্তু অর্থ জানিনা। আর এভাবেই কুরআন চোখের সামনে রেখেই তা থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে ফেলার মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।
কুরআন পড়লে নেকী আসবে নিঃসন্দেহে, কিন্তু শুধু এ উদ্দেশ্যেই আল্লাহ কুরআন নাজিল করেননি। কুরআনের বিপরীতে যদি আমাদের জীবন পরিচালিত হয় তাহলে এ সমস্ত নেকী আমাদের কোন কাজেই আসবে না। আজ 'নেকীর' মোহে আবিষ্ট হয়ে আমরা দূরে সরে গেছি কুরআন থেকে। আমরা এমন এক মুসলিম জাতি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছি, যারা সমস্ত জীবন পার করছি কুরআনের বিপরীতে কিন্তু ঘরে ঢুকেই কুরআনকে চুমু খেয়ে চরম ভক্তি দেখাচ্ছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরম ভক্তিতে কুরআন পড়ে বেরিয়েছি সুদী ব্যাংকের উদ্দেশ্যে। এদেশের লক্ষ লক্ষ হাফেজ দুই তিন ঘন্টার মধ্যে কুরআনের এ মাথা থেকে ও মাথা পড়ে শেষ করে ফেলতে পারবে, কিন্তু দশটা আয়তের সঠিক অর্থও হয়তো বলতে পারবেনা। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন "এমন সম্য তোমাদের আসবে যখন মানুষ কুরআন পড়বে। কুরআন তাদের মুখে থাকবে কিন্তু তা কন্ঠ্যনালী অতিক্রম করে অন্তরে ঢুকবে না" (মুসলিম)। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, "তবে কি তারা কুরআন নিয়ে চিন্তা গবেষণা করেনা, নাকি তাদের অন্তরকে তালাবদ্ধ করে দিয়েছি"।
শুধু নেকীর পিছনে ছুটে কুরআনের অর্থ ভুলে থাকাই নয়, ইসলামী শিক্ষায় অজ্ঞ এ মুসলিম জাতি নানাভাবে কুরআনের অপব্যবহারে নেমেছে। কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবিজ বানানো, কুরআনের আয়াতের নকশা তৈরী করে তাবিজ করা বা তা ধুয়ে পানি খাওয়া, সংসদ অধিবেশন থেকে শুরু করে অশ্লীল ছবির প্রিমিয়ার পর্যন্ত সকল অনুষ্ঠান কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে শুরু করে তারপর অন্যায়-অশ্লীলতার ফুলঝুড়ি ছোটানো, সিডির দোকানে সকালে ঝাপ খুলে কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে শুরু করে সারাদিন "ঝান্ডু বাম........." ধরণের গান বাজিয়ে চলা, কারো জন্ম বা মৃত্যু দিনে কুরআনের তিলাওয়াত মাইকে ছেড়ে দিয়ে চা-সিগারেট কিংবা খোশগল্পে মত্ত থাকার মত চরম অন্যায় কাজগুলো আজ আমাদের হাত দিয়েই হচ্ছে। আজ যে নবীর উম্মত বলে আমরা নিশ্চিন্ত মনে তাঁর শাফায়াতের আশা নিয়ে ঘুরছি, একদিন সে নবীই আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বলবেন কুরআনকে না জেনে আর না মেনে এর অপব্যবহারের জন্য, যেভাবে আল্লাহ বলেছেন সুরা ফুরকানে, "সেদিন রাসুল বলবে, হে আমার প্রতিপালক, অবশ্যই আমার জাতি কুরআনকে একটি মাজুর (পরিত্যাজ্য) বিষয় সাব্যস্ত করেছিলো" (২৫ঃ৩০)।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৩
বেপারিবাজ বলেছেন: অসাধারন লেখা।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
আহলান বলেছেন: তয় পোলায় স্মার্ট ....
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
জুয়েল আহ্মেদ বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো। আমি সবসময় এ ব্যাপারে সোচ্চার আছি, কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারিনা যে, শুধু নেকীর উদ্দেশ্যে পড়ে কোন লাভ হবে না।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আল্লাহ আপনার সাহায্যকারী হোন।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩
কষ্টসখা বলেছেন: ভাই এই ব্লগে আমাদের পবিত্র ধর্ম নিয়ে অনেকেই লিখেন,কিন্তু আপনার লেখার মত বস্তুনিষ্ঠ বাস্তবধর্মী লেখা খুব একটা পাওয়া যায় না।এধরনের লেখা সত্যাশ্রয়ী সকল মুসলিম পাঠককে অনুপ্রানিত করবে।
আর একটা কথা ব্যক্তি বা পারিবারিক জীবনে আমরা অনেকেই ইসলামী অনুশাসন মানতে পারি,কিন্তু সমস্যা হয় সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় জীবনে মেনে চলতে।যেমন মনে করেন কোন সংস্থায় বা রাষ্ট্রের কোন বিভাগে কাজ করেন এখন আপনাকে তো চাকরির কারনে কোন কোন সময় বিভিন্ন কাজ যা ইসলাম পরিপন্থী তা করা লাগতে পারে যেমন সুদী বাংকের সাথে লেনদেন,আপনার কোম্পানির প্রডাক্ট চালানোর জন্য কিছুটা প্রতারনার আশ্রয় নেওয়া ইত্যাদি,অথচ আপনি মনে প্রানে এগুলো করতে চান না কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কারনে করা লাগে,এক্ষেতে করনীয় কি দয়া করে একটু জানাবেন । আমি মানসিক ভাবে খুব দুশ্চিন্তায় আছি কারন বিবিএ /এমবিএ করার পরে হয়তো আল্লাহর রহমাতে চাকরি পেতে কষ্ট হবে না কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি এমন কোন চাকরি দেখতেছিনা যেখানে শতভাগ ভালো থেকে কাজ করা সম্ভব।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী অনুশাসন না মানা বর্তমান ইসলামী বিশ্বাসীদের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি।
আমি আলিম নই, তাই আপনার প্রশ্নের জবাব দেবার উপযুক্ত লোকও আমি নই। তবে আপনার অবস্থার প্রেক্ষিতে আমার পরামর্শ, যেহেতু আপনি এখনও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেননি, তাই আপনার সামনে অনেক অপশন আছে। প্রথমতঃ সুদ নিয়ে কাজ করে এমন কোন প্রতিষ্ঠানে কখনও জয়েন করবেন না। দ্বিতীয়ত এমন কোন কাজ যা আল্লাহর বিধানের বিপরীতে যায় সেটাও এড়িয়ে চলবেন।
আমরা কতটুকু ভালো থাকতে পারবো তা বর্তমান সময়ে খুব সন্দেহমুক্ত নয়, তবে আল্লাহর প্রতি অনুগত থেকে কাজ করার জন্য আমার অন্তর কি চাইছে সেটা আমি আর আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানবে না। আর এর উপরই আল্লাহ আমাদের গতিপথ ঠিক করবেন।
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
ভিন্ন দৃষ্টি বলেছেন:
বিশদ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাভাষায় কোরআন পড়ে এর তাৎপর্য নিজের বিবেক দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলেই সত্যিকারের ধর্মপালন হবে। কিন্তু আমরা সকলেই অন্যের কাছে শুনে শর্টকাট পদ্ধতিতে ধর্মপালন করতে চাই বলেই আজ ইসলামের এই করুন দশা।
আল্লাহ্ নিশ্চই আমাদের হেদায়েত করবেন এবং সত্যিকারের অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে ধর্মপালন করতে দিক দেখাবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৭
আবু উযাইর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। শর্টকাট পদ্ধতি আজ আমাদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। আল্লাহ আমাদের সত্যের পথ দেখান।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫১
আশিকুর রহমান টিংকু বলেছেন: পড়ার পর থেকে কেমন জানি শান্তি শান্তি অনুভূতি হচ্ছে
২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৮
আবু উযাইর বলেছেন: আল্লাহ আপনার বর্তমান ও পরকালকে শান্তিময় করুন।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০২
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ভাই, অদ্ভুত সুন্দর লেখা !! কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
এরকম আরো বস্তুনিষ্ঠ লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
ভাল থাকবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩৯
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনিও ভালো থেকেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫৭
মদন বলেছেন: +