নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“অর্থনৈতিক শুদ্ধতার পথে”

আবু আমাতুল্লাহ

“অর্থনৈতিক শুদ্ধতার পথে”—এই পথচলায় আমি খুঁজি এমন এক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে ন্যায়, ভারসাম্য ও মানবিক মূল্যবোধ অটুট থাকে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে এক স্বচ্ছ, নীতিনিষ্ঠ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে দাঁড় করানোর চিন্তাই আমার লেখার মূল প্রেরণা। এই ব্লগে আপনি পাবেন সমসাময়িক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর একটি শুদ্ধ ও দায়বদ্ধ বিশ্লেষণ—যার মূল উৎস শাশ্বত জ্ঞান ও নৈতিকতা।”

আবু আমাতুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড। মুহাম্মাদ ইউনুস ও তাঁর ধর্ম বিশ্বাস

১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১৪

মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর ধর্ম বিশ্বাস

মুহাম্মদ ইউনূসের বাবা-মা ধার্মিক ছিলেন। তাঁর পিতা দুলা মিয়া নিয়মিত নামায পড়তেন। হজ্বও আদায় করেছেন। মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই লিখেছেন-
আমার আব্বা ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনবার তিনি হজ্ব করতে মক্কায় গিয়েছিলেন। তাঁর সময় কেটে যেতো দোকান, নামায ও সাংসারিক কর্তব্য সাধনে। (গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন, পৃ.২৭)
অন্যত্র লিখেছেন-আমার আব্বা, আম্মা অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ। ( প্রাগুক্ত, পৃ.১২০)

সুতরাং বলা যায়-মুাহম্মদ ইউনূস ধর্মপ্রাণ পিতা-মাতার সন্তান। তবে তার নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও বোধে ধর্ম সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, যতোটা তার পিতা-মাতার মাঝে ছিল। তিনি তরুণ বয়সে তথাকথিত সেকুলার বাম ভাবধারায় প্রভাবিত ছিলেন। মার্কসীয় অর্থনীতিতে আকৃষ্ট ছিলেন। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি (Vanderbilt University)-এর রুমানিয়ান অধ্যাপক নিকোলাস জর্জেস্কু-রোগেন (মৃ.১৯৯৪ইং) (Nicholas Georgescu-Roegen) ছিলেন মুহাম্মদ ইউনূসের অর্থনীতির শিক্ষক ও গুরু। তিনি ছিলেন তার পথপ্রদর্শক। মার্কসবাদের পাঠ মুহাম্মদ ইউনূস তার থেকেই গ্রহণ করেন। (গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন, পৃ.৪১-৪২)

ধর্ম নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের বিশ্বাস কেমন-তা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা তিনি নিজেই করেছেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন’-এ তিনি লিখেছেন-
‘আমার তরুণ বয়সে আমি বাম ভাবধারায় অনুপ্রাণিত প্রগতিশীল ছিলাম। কারণ যা চিরকাল হয়ে আসছে তাকে অপছন্দ করতাম, পুরনো রক্ষণশীল ধ্যানধারণার প্রতিও আমার শ্রদ্ধা ছিল না। আমার প্রজন্মের বহু বাঙালির মতো আমিও মার্কসীয় অর্থনীতির প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম। ...আমি গোঁড়া মুসলিমও ছিলাম না। তবে আমার নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতির সঙ্গে কখনও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিনি। আমি কখনও এত প্রবল মুক্তমনা হতে চাইনি যা আমার মনে নিজ ধর্মের প্রতি অনীহা এনে দেবে। (গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন পৃ.২০১)

তাঁর নিজের বর্ণনা থেকেই বোঝা যায়, তিনি একটি মধ্যমপন্থী অবস্থান নিতে চেয়েছেন—যেখানে ধর্মকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান না করে, মুক্তচিন্তারও কিছু জায়গা রেখেছেন। তবে এতে স্পষ্ট কোনো আদর্শিক অবস্থান গড়ে ওঠে না, বরং একটি দোদুল্যমান মনোভাব প্রতিভাত হয়। তাই বলা যায়—তিনি না সুস্পষ্টভাবে ধার্মিক মুসলিম, না পুরোপুরি বামপন্থী বা মুক্তমনা চিন্তাবিদ। তিনি একদিকে নিজ ধর্মচর্চার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি, আবার অন্যদিকে প্রথাগত রক্ষণশীলতাকেও গ্রহণ করেননি। ফলে, তাঁর অবস্থান একরকম আদর্শহীন নিরপেক্ষতার মাঝে থেকে গিয়েছে।

নি:সন্দেহে এটি একজন মুসলিমের পরিচয় হতে পারে না। ইসলামে কোনও মুসলিম বা মুমিন আধা বা অর্ধেক মুসলিম হওয়ার ধারণা নেই। ইসলামকে পুরোপুরি ধারণ করাই ইসলাম। কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا ادۡخُلُوۡا فِی السِّلۡمِ كَآفَّۃً ۪ وَ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَكُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ


হে মুমিনগণ! তোমরা পুর্ণাঙ্গভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্ৰ। (সূরা বাকারা: ২০৮)

কেউ যদি মনে করে সে কেবল Cultural Muslim –হবে। যে কেবল ঐতিহ্যগত ও সামাজিক পরিচয়ে মুসলিম হবে, তবে ইসলামি বিশ্বাস ও আচরণে পূর্ণরূপে নিয়োজিত থাকবে না। সে আদতে মুসলিম নয়। অথবা চিন্তা করল, সে কেবল Religious Pluralist or Liberal Muslim –হবে। ইসলামকে কেবল একটি নৈতিক আদর্শ হিসেবে দেখবে, কিন্তু শরিয়াহ-ভিত্তিক জীবনব্যবস্থাকে মান্য করবে না। এটিও মুসলিমের পরিচয় নয়।

অনেকাংশেই এধরনের ব্যক্তিদের মাঝে ইসলামের মৌলিক আকীদা বিশুদ্ধ থাকে না। ফলে বাহ্যত তারা মুসলিম নামধারী হয়ে থাকলেও ভিতরে নাস্তিক হয়ে থাকেন। তাই ইসলাম আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হতে বলে। আকীদা, বিশ্বাস ও আমলে। এরপরও আমলে ত্রুটি-বিচ্যূতি থাকতে পারে। তবে মৌলিক আকীদা-বিশ্বাসে কোনও প্রকার ত্রুটি থাকা যাবে না। আকীদা হল ইসলামের মৌল ভিত্তি। মৌলিক আকীদায় সামান্যতম অবহেলা কিংবা মুক্তমনা ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দিতে পারে।

‘পুরনো রক্ষণশীল ধ্যানধারণার প্রতি শ্রদ্ধা না থাকা’, ‘গোঁড়া মুসলিম না হওয়া’-কথাগুলো বেশ ভয়ঙ্কর। এর আড়ালে যদি বুনিয়াদি আকিদায় দুর্বলতা থেকে যায়, বুনিয়াদি আমলে ত্রুটি থেকে যায়, তবে সেটি মুসলিম পরিচয়কে সংকটে ফেলে দিবে। বিশেষত ‘বাম ভাবধারায় অনুপ্রাণিত’ থাকা-এটি সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী কথা। বাম ধারায় অনুপ্রাণিত থাকা আর মুসলিম থাকা সম্পূর্ণ বিপরীত ধারণা। কেউ একই সাথে সেকুলার হবে, আবার মুসলিম হবে-এ হবার নয়।

আমরা দোআ করি-আল্লাহ তা’আলা ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে আকীদা-বিশ্বাস ও আমলে পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হওয়ার তৌফিক দিন। আমীন।
টিকা: ০১
ড. ইউনুস আমেরিকায় অবস্থানকালে ১৯৭০ সালে ভিরা ফোরোস্টেনকো নামে একজন খ্রিষ্টান রুশ তরণীকে বিয়ে করেন এবং তাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। (গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন, পৃ.৪৪)। পরবর্তীতে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে যায়। জানা যায়, ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল ভিরা মারা যান। উক্ত বিয়ে ইসলাম ধর্ম অনুসারে সঠিক হয়েছিল কি না তা সন্দেহপূর্ণ। কারণ, বর্তমান খ্রিষ্টানগণ সাধারণত নাস্তিক হয়ে থাকেন। ‘আহলুল কিতাব’ হওয়ার ন্যূনতম যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো সাধারণত অনুপস্থিত থাকে। সংবাদ পত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ইউনুস এই তরুণীকে রাশিয়ান ডোনেশন লাভের জন্য বিয়ে করেছিলেন। এরপর যখন ভিরা বুঝতে পারলেন ইউনুস সেই অর্থ দিয়ে সুদী ব্যবসা শুরু করেছেন। তখন থেকেই তাদের মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধ বিচ্ছেদে রূপ নেয়। (ভোরের পাাত, ১৫ মার্চ, ২০২৩, শিরোনাম: “খ্রিস্টান তরুণীকে বিয়ে করে আবার ডিভোর্সও দেন ড. ইউনূস”) তবে এসব তথ্যের পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
টিকা: ০২
নিকোলাস ছিলেন Degrowth (প্রবৃদ্ধিবিরোধী) মতের প্রবক্তা। এটি হলো এমন একটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ধারণা, যা বলে—
অবিরাম নিয়ন্ত্রনহীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (endless economic growth) মানুষের জন্য উপকারী নয়, বরং তা পরিবেশ, সমাজ ও মানবিক জীবনের জন্য ক্ষতিকর। বরং আমাদের উচিত অপ্রয়োজনীয়, অপচয় উৎপাদন ও ভোগ কমানো, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশবান্ধব জীবনধারা গ্রহণ করা এবং সামাজিক সমতার উপর গুরুত্ব দেওয়া। Traditional Growth Model সব সময় জিডিপি গ্রোথ এর উপর গুরুত্বারোপ করে। যেমন, গাড়ি উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হলেও গ্রোথ করতেই হবে। অপরদিকে Degrowth বেশি গাড়ির বদলে সাইকেল ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে উৎসাহ দিবে। ভোগ কমাতে বলবে। পরিবেশ রক্ষা করতে উৎসাহিত করবে। মোটকথা, ইসলামী অর্থনীতির মূলনীতির সাথে অনেক দিক থেকে এর মিল রয়েছে। সাথে আখিরাত ও তাওহিদভিত্তিক মূলনীতি যুক্ত করে নিলে এটি পুরোপুরি ইসলামি অর্থনীতির জন্য একটি উপযোগী “conversation partner” হয়ে উঠতে পারে।




মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড.ইউনূসের ধর্মবিশ্বাস যাই হউক জুলাই অভ্যুত্থানের পর উনাকে ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে আর কাউকে কল্পনাও করা যায় না। বিএনপি নেতা বরকতুল্লাহ বুলু সস্তা জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া দিয়েছেন।

জামাতী মোল্লারা প্রফেসর সাহেব কে নিয়ে অতিরঞ্জিত কথা বলছেন যা গ্রহণযোগ্য নয়।

২| ১১ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ড.ইনুসকে প্রয়োজন ছিল বলেই তিনি এখন এই আসনে। যদি তার বিকল্প থাকতো তবে তখনি তা হতো। আমাদের রাস্ট্র প্রধানরা কবে আবার পুরোপুরি ধার্মিক হয়েছিলেন। সবাইকে ভোটের আগের ধার্মিক মনে হতো।

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:০০

আবু আমাতুল্লাহ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে আলোচনার মূল উদ্দেশ্য কারও ব্যক্তিগত ভক্তি-অনুভূতির সমালোচনা নয়, বরং জাতিগতভাবে আমাদের সচেতনতা ও ভারসাম্য গড়ে তোলা। কোনো নেতার প্রশংসা করতে গিয়ে যদি আমরা তাকে অলৌকিকতা বা পীর-মর্যাদায় তুলে ফেলি—স্বপ্নে দেখা, নবী-রাসুলের মত বলাবলি—তাহলে সেটি ব্যক্তি পূজার এক বিপজ্জনক রূপ নেয়, যা ইসলামি মনোবৃত্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ডক্টর সাহেবের ব্যাপারে আমাদের কেউ কেউ এমন আচরণ করেছে, তাই এই লেখা।

রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা জরুরি, আর মুসলিম রাষ্ট্রে নেতৃত্ব ideally একজন ধার্মিক ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির হাতেই থাকা উচিত—কিন্তু বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার জন্য মুসলিম হওয়া শর্ত নয়, এটিও বাস্তবতা।

৩| ১১ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


তিনি এক জন সুদখোর।
মানুষ এখন সুদ খাওয়া হালাল মনে করতে শুরু করেছে।
এটা ভালো দিক।

৪| ১১ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

ফেনিক্স বলেছেন:




ড: ইউনুস বিশ্বের সেরা শঠ; সে গরীব বাংগালীদের জন্য কেঁদে, পশ্চিম থেকে সুদহীন ডলার এনে, উঁচু সুদে গরীবদের দিয়ে নিজে বিলিওনিয়ার হয়েছে ও নোবেল পেয়েছে।

৫| ১১ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

ফেনিক্স বলেছেন:




আপনি কুরান থেকে আরবীতে ১টি লাইন দিয়েছেন; লাইনটি যে, আল্লাহ পাঠিয়েছেন, সেটা আপনি কিভাবে সিওর হলেন?

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

আবু আমাতুল্লাহ বলেছেন: আপনার সন্দেহই প্রমাণ যে এটা আল্লাহরই বাণী — কারণ যদি মানুষের লেখা হতো, আপনি তা নিয়ে এত অস্থির হতেন না; আপনি হয়তো পাল্টা একটা আয়াত লিখেই প্রমাণ করে ফেলতেন।

৬| ১১ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: এতোই যখন সমস্যা তখন তাকে প্রধান বানাবার আগে তার ধর্ম বিশ্বাস কে ঝালাই করে নেয়া উচিৎ ছিলো!

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৫৬

আবু আমাতুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে এ আলোচনার উদ্দেশ্য-সচেতনতা। কেউ কেউ দেখলাম, তাঁর প্রশংসা করতে গিয়ে তাকে যামানার পীর বানিয়ে দিচ্ছে। স্বপ্নে দেখার কথা বলছে। নবী-রাসুলের মতো ..ইত্যাদি পাগলামি টাইপের কথা বার্তা। বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রধান হওয়ার জন্য মুসলিম হওয়া জরুরী নয়। সেটি ভিন্ন কথা। ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাস একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।তবে তার কোমলমতিদের হত্যার পরিকল্পনা নিখুঁত ছিলো।

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯

আবু আমাতুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। ‘কোমলমতি হত্যা’ বুঝতে পারিনি। ব্যাখ্যা করলে ভালো হতো।

৮| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস নাসিক হলেই কি আর না হলে কি? ধর্ম যার যার ব্যাক্তিগত বিষয়।
ধর্ম দিয়ে তো আর মানুষের পরিচয় হয় না। মানুষের পরিচয় কর্মে।

১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৪:১০

আবু আমাতুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। মানুষের পরিচয় কেবল কর্ম দিয়ে নয়, বরং ঈমান ও কর্ম – উভয়ের সমন্বয়ে।
কর্মের মাপকাঠিও ইসলাম ধর্ম দিয়ে নির্ধারিত হয়।
কারণ, একরকম কর্ম (যেমন: দান, ন্যায় বিচার) — ঈমানহীন হলে ব্যর্থ; ঈমানসহ হলে তা আখিরাতের মুক্তির কারণ হয়।

ইসলাম ধর্ম শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রজুড়ে আলোর পথনির্দেশিকা।
তাই "ধর্ম যার যার, পরিচয় কর্মে" — এই বাক্যটি আধাসত্য, যা প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে। ইসলাম আমাদেরকে বিশ্বাস ও কর্মে সৎ ও নৈতিক হতে শিক্ষা দেয়। শুধু কর্মে নয়। আমাদের পরিচয় বিশ্বাস ও কর্ম সমন্বিত পরিচয়। তবে মানুষ হিসাবে আমরা সবাইকে শ্রদ্ধা করি। ভালো কাজকে ভালো বলি। সাথে শুদ্ধ বিশ্বাস ধারী হয়ে ‍উঠাও কামনা করি। কারণ-কর্মের চূড়ান্ত বেনিফিট পেতে হরে চিন্তা ও মননে শুদ্ধ ও তাওহীদের বিশ্বাসী হতে হবে। নতুবা দিন শেষে আমেরিকার মতো হবে-যারা মুখে মানবতার কথা বলে, পেছনে মানবাধিকার হত্যা করে।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.