নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন দেশের জন্য কিছু করি

আমি আবুলের বাপ

আমি আবুলের বাপ।কিন্তু আমার কোনো সন্তান নাই।

আমি আবুলের বাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাম করে কে, আর মাইর খায় কে!!!!!!!!!!!!!:):):):)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১


sb]
পাবনায় বান্ধবীর সাথে রাত কাটাতে গিয়ে অস্ত্র খোয়ালেন এসআই জাহিদ।


পাবনা সদর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম কথিত বান্ধবীর সাথে রাত কাটাতে গিয়ে তার নামে ইস্যুকৃত সরকারি একটি পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ম্যাগাজিন হারিয়ে ফেলেছেন। ঘটনার সাত দিনেও অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে কথিত বান্ধবীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার দুই দিন পর একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং ৪৯)। এসআই জাহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাবনা শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার বাদি পাবনা সদর থানার এসআই নাজমুল হকের দায়েরকৃত এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবর সোমবার ডিউটি শেষে এসআই জাহিদুল ইসলাম রাত ৯টার দিকে বান্ধবী ফরিদা ইয়াসমিনের সাথে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া টিবি হাসপাতালের পেছনের একটি বাসায় রাত যাপন করেন। কথিত বান্ধবী ফরিদা ইয়াসমিন সিরাজগঞ্জ শহরের জানপুর ব্যাংকপাড়ার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। রাতের কোনো এক সময় আট রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল হারিয়ে যায়। ঘটনার দুই দিন পর ২৯ অক্টোবর বুধবার থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িওয়ালার ছেলে কাজী সালাউদ্দিন সুজন ও কথিত বান্ধবীকে আটক করে থানায় দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত কাজী সালাউদ্দিন সুজনের মা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত সাজেদা খাতুন রিনা বলেন, একই বিভাগে চাকরি করার সুবাদে সিরাজগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত ফরিদা ইয়াসমিনের সাথে পাঁচ বছর আগে আমার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মাঝে মধ্যে আমার সাথে তার ফোনালাপ হতো। এরই একপর্যায়ে ২৭ অক্টোবর সোমবার সকালে ফরিদা জানায়, ব্যাংকে কর্মরত তার স্বামী শহিদুর রহমান পাবনায় বদলি হয়েছেন। বাসা খুঁজতে আমার বাসায় এক রাত অবস্থান করার অনুমতি চায়। এতে আমি রাজি হলে ফরিদা সন্ধ্যা ৭টায় একাকী আমার বাসায় আসে। স্বামীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই সে বলে, প্রথম আসছেতো তাই কিছু ফলমূল নিয়ে আসছে সে। এরপর রাত ৯টার দিকে এক ভদ্রলোক আমার বাসায় আসে এবং ফরিদা আমাকে তার স্বামী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। এর আগে কখনো তার স্বামীর সাথে আমার পরিচয় হয়নি। রাতে আমি যথাসাধ্য অতিথি আপ্যায়নের পর বাসার একটি রুমে তাদের থাকার ব্যবস্থা করি। সকালে ওই ঘরে চেঁচামেচির শব্দ শুনে দরজায় নক করলে দরজা খুলে দিয়ে ফরিদার স্বামী জানায়, তার পিস্তল হারিয়ে গেছে। পিস্তলের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে তার আসল পরিচয় দিয়ে বলে ফরিদা তার স্ত্রী নয়, বান্ধবী। পরে থানা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে যায় এবং অস্ত্রটি উদ্ধার করে দেয়ার কথা বলে তাকে শারীরিক ভাবে চরম নির্যাতন করা হয়। আমার ছেলেকে বিনা অপরাধে দুই দিন পুলিশি হেফাজতে রেখে নির্যাতন শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি সংবাদকর্মীদের অবহিত করা হলে আমার ছেলেকে গুম করার হুমকি দেয় থানা পুলিশ।
পাবনা সদর থানার এসআই জাহিদ অন্য মহিলার সাথে রাত কাটানোর সময় অস্ত্র হারানোর বিষয়টি জানাজানি হলে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই জাহিদুল ইসলাম তার ব্যবহৃত সরকারি পিস্তল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে কথিত বান্ধবীকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অন্যের বাড়িতে রাত কাটানোর বিষয়ে কথা বলতেই তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ব্যাপারে পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী হানিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হারিয়ে যাওয়া অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ও মামলা হয়েছে। এসআই জাহিদের বান্ধবীসহ এক যুবককে সন্দেহমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি বাইরে আছি পরে কথা বলছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এসআই জাহিদকে দায়িত্বহীনতার অপরাধে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/02/136183.htm#.VFb0RGeT-1s

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

জামান শেখ বলেছেন: !:#P

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.