নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিরাত্তার কতকথা

আবুনাছের আখন্দ

Judge me when you are perfect.

আবুনাছের আখন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃদয়ের নজরুল।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

লিখাটি অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু প্রকাশনার সাথে ছবিগুলো আসে নাই। তাই আমার প্রিয়কে নিয়ে ব্লগের এই বিশাল রাজ্যে রিপোষ্ট।

সাহিত্যের প্রতি আমার একটা আলাদা রকম দূর্বলতা আছে। এই বিষয়ে আমার তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। মূলতঃ এটা আমার প্রবল বই পড়ার আকর্ষন থেকেই এই ক্ষেত্রটির প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি। সাহিত্যের প্রতি দূর্বার আকর্ষনকারীদের সংখ্যা বোধকরি কম নয়।যে দেশের মানুষ ভাষার জন্য যুদ্ধ করে সেই ভাষার প্রতি আমাদের ঐ পরিমান জ্ঞান যে নেই তা বললে আশাকরি কেউ আমাকে অপরাধি ভাববেন না।কাউকে ছোট করার অভিপ্রায় নিয়ে এই উক্তিটি করার মতো স্পর্ধা বা জ্ঞান ক্ষমতা আমার নেই।

যাই হউক আলোচনায় ফিরে আসি। সাহিত্য ভালবাসায় দুটি পক্ষ আছে। প্রথম পক্ষঃ যিনি লিখেন অবশ্যই তিনি অনেক পড়েন, দ্বিতীয় পক্ষঃ সৃষ্ট সাহিত্যগুলি পড়তে ভালবাসেন। আর যাদের এই ক্ষেত্রটির প্রতি অনাগ্রহ সেই দিকে আমি যাচ্ছি না।

আমি দ্বিতীয় পক্ষের অনুসারী কারন আমি চেষ্টা করেও এক কলম লিখার মতো জ্ঞান দেখাতে পারি নাই। অনেক চেষ্টার পর বুঝতে পারলাম লিখন একটা শিল্প। আর এই শিল্পের সৃষ্টি আমার পক্ষে অসম্ভব। তা অগত্যা পড়ার ভালবাসায় নিজেকে স্থায়ী করলাম।

লিখার শিল্পের মধ্যে সাহিত্যের সৃষ্টি। সাহিত্যের প্রাথমিক তিনটি ক্ষেত্রের মধ্যে কেউ গদ্য, কেউ পদ্য কেউবা নাটক-এর প্রতি দূর্বলতা পোষন করেন। গদ্যের মধ্যে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প আবার পদ্যের মধ্যে ছড়া, কবিতা এ সবই সাহিত্যের গন্ডিকে বিশালতর করেছে।

এই সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে যারা নক্ষত্র দান করে গেছেন তাদের অনেকেরই ছিলনা উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আজ তেমনি একজনকে নিয়ে আমার ভালবাসা। তিনি আমার নজরুল, আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম। দরিদ্র পরিবারে জন্মে যার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। কে ভেবেছেন এই তিনিই একদিন সাহিত্য জগতকে কাঁপিয়ে দিয়ে যাবেন!



(১৮৯৯-১৯১৭)

জন্ম ও পারিবারিক পরিচয় (সংক্ষেপ)-

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার জামুরিয়া (বর্তমান) শহরের আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪’মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ)তারিখে পৃথিবীতে আসেন এই মহান ব্যাক্তি ‘দুখু মিয়া’।পিতা কাজী ফকির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ঘরে জন্ম কাজী নজরুল ইসলামের। পেশায় তাঁর পিতা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের একজন ঈমাম। তার সহোদর তিন ভাই ও দুই বোনের পর তার অবস্থান। চরম দারিদ্রতার মধ্যে বড় হতে থাকেন পরিবারের ষষ্ঠ সন্তান “দুখু মিয়া”।

শিক্ষা-কর্ম জীবন ও সাহিত্য চর্চা (প্রারম্ভিক স্তম্ভ)-

শিক্ষার প্রথম পর্যায়টা শুরু হয় স্থানীয় একটি মক্তবে। এখানেই কুরআন, ইসলাম ধর্ম, দর্শন এবং ইসলামী ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন শুরু করেন ছোট দুখু মিয়া। কিন্তু মাত্র নয় বছর বয়সে ১৯০৮ সালে তাঁর পিতা মারা গেলে নেমে আসে অসীম অন্ধকার। একদিকে পারিবারিক অভাব-অনটন অন্যদিকে পড়াশুনা এই দুই দিক সামলাতে গিয়ে মাত্র দশ বছর বয়সেই তাঁকে নামতে হয় জীবিকা অর্জনে। অনেক বাঁধার মধ্যেও এখান থেকেই নিম্ন মাধ্যমিক পাশ করে এখানেই শুরু করেন শিক্ষকতা। একইসাথে হাজী পালোয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাজটি করতে থাকেন। কিন্তু ধর্মীয় পড়াশুনায় এবং কর্মে নিজেকে গড়ে তুললেও অবচেতন মনেই তার মধ্যে কাজ করতো সাহিত্য চর্চার। আর এটিকে আরও প্রসারিত করেছে তাঁর এই ধর্মীয় কর্মকান্ড। এই কাজের সুবাদে খুব অল্প বয়সেই কাজী নজরুল ইসলাম ধর্মীয় মৌলিক আচার অনুষ্ঠান-এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তিতে এভাবেই তিনি বাংলা সাহিত্যে ইসলামী চেতনার চর্চা শুরু করেন।

কিন্তু তাঁর ভেতরে লুকিয়ে থাকা চঞ্চলতা বেশী দিন তাঁকে ধর্মীয় কর্মকান্ডে আটকে রাখতে পারনি।

তাই কিশোর বয়সেই লোকশিল্পের প্রতি দূর্বার আকর্ষনের কারণে জড়িয়ে যান ’লেটো’(কবিতা, গান ও নৃত্যের মিশ্রণে ভ্রাম্যমান নাট্যদল। তখন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম ভাগে বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত একটি বিস্তৃত সমভূমি বা ‘রাঢ়’ অঞ্চলে এই ধরনের নাট্যদল-এর ছিল জনপ্রিয়)। তাঁর চাচা ‘কাজী বজলে করিম’ এই ধরনের নাট্য দলের জন্য মিশ্র গান রচনায় উস্তাদ ছিলেন।তিনিও ছিলেন চুরুলিয়া অঞ্চলের। তিনি একাধারে আরবি, ফারসি, উর্দূ এই তিনটি ভাষাতেই সমান দক্ষ ছিলেন। ধারণা করা হয় তাঁর চাচার কারণেই হয়তো তিনি এই জগতে আসেন। এখানেই তাঁর সাথে পরিচয় হয় লেটো কবি ‘শেখ চকোর (গোদা কবি)’ এবং ’কবিয়া বাসুদেব’-এর। তিনি নিয়মিত তাঁদের আসরে থাকতেন। মূলতঃ এই লেটো দলেই তাঁর সাহিত্য চর্চার শুরু। এই দলে থেকেই তিনি শিখেছেন অভিনয়, লিখেছেন নাটকের জন্য গান ও কবিতা। অল্প সময়েই তাঁর প্রতিভায় দলের অন্যরা বিষ্মিত হয়। এসময় তিনি দলের জন্য রচনা করেন ”চাষার সঙ, শকুনীবধ, রাজা যুধিষ্ঠিরের সঙ, দাতা কর্ণ, আকবর বাদশাহ, কবি কালিদাস, বিদ্যাভূতুম, রাজপুত্রের গান, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, মেঘনাদ বধ” ইত্যাদি সৃষ্টি।





এখানেই থেমে থাকে নি তাঁর জ্ঞান আহরনের পর্ব। তিনি বাংলা, সংস্কৃত সাহিত্যে (বেদ সূচনায় শুরু হয়ে পরবর্তিতে লৌহযুগীয় ভারতে রচিত সংস্কৃত মহাকাব্য ও ধ্রুপদী সংস্কৃত সাহিত্যের সুবর্ণযুগ থেকে আদি মধ্যযুগ (মোটামুটি খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত চরম উৎকর্ষ লাভ করে)) অধ্যয়ন শুরু করেন। এখানে উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মের সব ধর্মগ্রন্থই সংস্কৃত ভাষায় রচিত (ভারতের আধুনিক ভাষাগুলিও সংস্কৃত দ্বারা প্রভাবিত, তাই ভারতীয় সাহিত্যে সংস্কৃত ভাষার প্রভার অনেক গভীর)। পাশাপাশি তিনি হিন্দু ধর্মের পুরান বা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ (হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ আখ্যানমূলক ধর্মগ্রন্থ-সমুচ্চয়) গুলোর উপর জ্ঞান লাভ করতে থাকেন।

মূলতঃ একদিকে মাজার, মক্তব, মসজিদ আবার অন্যদিকে নাট্য দলের বিচিত্র অভিজ্ঞতা কাজী নজরুল ইসলামকে সাহিত্য রচনায় অনেক রসদ তৈরী করে দিয়েছে।

কিন্তু প্রবল জ্ঞান আরোহনের টানে ১৯১০ সালে তিনি নাট্যদল ছেড়ে পুনরায় শিক্ষা জীবনে ফিরে আসেন। ভর্তি হন রাণীগঞ্জের ’সিয়ারসোল রাজস্কুল’-এ এবং এটাই ছিল তাঁর শিক্ষা জীবনের প্রথম স্কুল। এরপর ভর্তি হন ‘মাথরুন উচ্চ ইংরেজী স্কুল (বর্তমান নবীনচন্দ্র ইন্সস্টিটিউশন)’-এ।

কিশোর কাল থেকে তার প্রতিটি কর্মকান্ড ছিল শ্রান্ত কিন্তু তার সাথে ছিল মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা চঞ্চলতা। এই দুইয়ের মিশ্রনে তিনি হয়ে যান স্বভাব-সুলভ লাজুক। এই প্রসঙ্গে তখনকার দিনের বিখ্যাত কবি এবং মাথরুন স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক কুমুদরঞ্জন মল্লিক বলেন-

ছোট সুন্দর ছনমনে ছেলেটি, আমি ক্লাশ পরিদর্শন করিতে গেলে সে আগেই প্রণাম করিত। আমি হাসিয়া তাহাকে আদর করিতাম। সে বড় লাজুক ছিল।

এরপর আবার তাঁর শিক্ষাজীবন থমকে যায় দারিদ্রতার কারণে। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে ফিরে যেতে হয় কর্মজীবনে আর তখন সবে মাত্র তিনি ষষ্ঠ শ্রেণী অতিক্রম করেছলেন!

প্রথমে যোগ দেন ‘বাসুদেবের’ কবিদলে, এরপর রেলওয়ে গার্ডের খানসামা এবং সবশেষে আসানশোলে চা-রুটির দোকানে রুটি বানানোর কাজ নেন। কষ্টকর অভাবী দিনগুলোর মধ্যদিয়ে কাটতে থাকে দুখু মিয়ার বাল্য জীবন।কিন্তু থামাতে পারে নাই তাঁর লিখনীকে। দিনের অবসরে দোকানে যখন একা থাকতেন কিংবা রাতে চলতো তাঁর কবিতা-ছড়া রচনা। তাঁর এই প্রতিভার নজর কারে এই রুটির দোকানেই পরিচিত হওয়া রফিজউল্লাহর। এই ভদ্রলোকের বদৌলতে নজরুল আবার ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহ (বর্তমানে ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এই অঞ্চল মৈমনসিংহ গীতিকা, মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ানা মদীনা, চন্দ্রাবতী, কবিকঙ্ক, দীনেশ চন্দ্র সেনের জন্য বিখ্যাত) জেলার ত্রিশাল উপজেলায় অবস্থিত ‘দরিরামপুর স্কুলে’ সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এর পরের বছর ১৯১৫ সালে আবার তিনি রাণীগঞ্জে ফিরে গিয়ে সিয়ারসোল রাজ স্কুল-এ অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি হনে এবং ১৯১৭ সাল পর্যন্ত এখানেই পড়াশুনা করেন।



(১৯১৭-১৯২১)

সেই মহুর্তে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ(১৯১৪-১৯১৮)চলছিল।১৯১৭ সালে নজরুল ইসলাম সিয়ারসোল রাজ স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কিন্তু তিনি তাঁর মাধ্যমিক স্তর শেষ না করে স্কুল ত্যাগ করেন এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯১৭ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত করাচি সেনানীবাসে ছিলেন। প্রায় তিন বছরের কর্ম জীবনে তিনি সাধারণ সৈনিক থেকে কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার পদ পর্যন্ত উন্নীত হয়েছিলেন।কিন্তু এই কর্ম জীবনেও তার সাহিত্য চর্চা থেমে থাকে নি। বরং বলা হয় যে, নজরুলের সাহিত্য চর্চার হাতি খড়ি এই করাচি সেনাবাহিনীতে।



এই চাকুরি জীবনে তিনি দেশে-বিদেশে সংগীতের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের উপর দক্ষতা অর্জন করেন। এখানে থেকেই তিনি সৃষ্টি করেন প্রথম গদ্য রচনা ‘বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী’, প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘মুক্তি’, এছাড়াও হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে, কবিতা সমাধি ইত্যাদি গল্প রচনা করেন। এই সৈনিক জীবনে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে(প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, যাদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেনে, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও আমেরিকা, যাদের বলা হতো মিত্রশক্তি) অংশগ্রহন করেন এবং ১৯২০ সালে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে তিনি সেনাবহিনীর চাকুরি ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। তবে এই চাকরি ছাড়ার মূল কারনটি ছিল, যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর তাঁর ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভেঙে দেয়া হলে তিনি একেবারেই চলে আসেন। আরও একটি বিষয় না উল্লেখ করলে তার সাহিত্য ভালবাসা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তা হলো এই সেনাবাহিনী জীবনে তিনি করাচী সেনানিবাসে থাকলেও তিনিই একমাত্র কলকাতার বিভিন্ন বাংলা সাহিত্য পত্রিকার গ্রাহক ছিলেন।





চাকুরি ছেড়ে দেবার পর কলকাতায় ফিরে সম্পূর্ণ ভাবে নিজেকে সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন।এরই মধ্যে তাঁর নিজের কিছু লিখা মোসলেম ভারত, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর এই লিখাগুলি বিভিন্ন মহলে বিশেষ প্রশংসা পায়। এর মধ্যে উপন্যাস ‘বাঁধন হারা’ কবিতা ‘শাত-ইল-আরব’, ‘খেয়া পারের-তরণী’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। মূলতঃ এইখান থেকেই নজরুলের পরিচিতির গন্ডি দ্রুত বাড়তে থাকে।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নজরুলের সাথে কাজী মোতাহার হোসেন, মোজাম্মেল হক, কাজী আবদুল ওদুদ, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, আফজালুল হক প্রমুখের পরিচয় হয়। শুধু এখানেই নয়, তখনকার সময় কলকাতার জনপ্রিয় সাহিত্যিক আসর গজেনদার আড্ডা এবং ভারতীয় আড্ডায় অংশগ্রহন এর পরিধিকে আরও বহু ধাপ বাড়িয়ে দিয়ে সহচর্যে আসেন অতুলপ্রসাদ সেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, শিশির ভাদুড়ী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নির্মেলন্দু লাহিড়ী, ধুর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রকুমার রায়, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ওস্তাদ করমতুল্লা খাঁ- মতো বিখ্যাত ব্যাক্তিরা।



এই বছরেই নজরুল ইসলাম শেরে-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক-এর সম্পাদনায় প্রকাশিত নবযুগ পত্রিকায় "মুহাজিরীন হত্যার জন্য দায়ী কে?"-নামক শিরোনামে লিখাটির কারনে তৎকালীন সরকার পত্রিকাটির জামানত বাতিল করে এবং তাঁর উপর প্রশাসনের নজরদারী বাড়তে শুরু করে। মূলতঃ তখন থেকেই তার রাজনীতিতে বিচরন।

বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যেও চলছিল তাঁর কবিতা ও সঙ্গীত চর্চা। নজরুলের লিখা গানে তাঁর সুর দেওয়া "বাজাও প্রভু বাজাও ঘন"-শিরোনামের প্রথম গানটি স্বরলিপি সহকারে প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায় ১৩২৭ বঙ্গাব্দে।





কলকাতার মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে আসা-যাওয়ার এক সময় ১৯২১ সালে গ্রন্থপ্রকাশক আলী আকবর খানের-সাথে পরিচয় হয় নজরুল ইসলামের। কলকাতায় পাশাপাশি থাকার কারনে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।এই আলী আকবর খানের সাথেই প্রথম কুমিল্লায় আলোচিত বিরাজসুন্দরী দেবীর বাড়ীতে আসেন তিনি। এখানে প্রমীলা দেবীর সাথে তাঁর প্রথম পরিচয় এবং প্রণয়। তবে এখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল নজরুলের সাথে আলী আকবর খানের ভাগ্নি নার্গিস আসার খানম (সৈয়দা খাতুন)-কে বিয়ে দেওয়া। নার্গিস আসার খানম- বর্তমান কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার দৌলতপুর গ্রামের খাঁ বাড়ির আসমাতুন্নেসার মেয়ে এবং পিতার মুন্শী আবদুল খালেক। এতে নজরুল ইসলাম নার্গিসকে পছন্দের সম্মতি দিলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিয়ের আকদ্ সম্পন্ন-এর পর কাবিনে ঘর জামাই থাকার শর্ত থাকায় তাঁর সাথে নার্গিস পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয় (যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ঐতিহাসিকবীদদের মতবিরোধ রয়েছে)। কাজী নজরুল ইসলাম এই প্রস্তাব অস্বীকার করেন এবং বাসর সম্পন্ন না করেই নার্গিস কে ঐ দিনই দৌলতপুর রেখে কুমিল্লা শহর ফিরে আসেন। দৌলতপুর থেকে বের হয়ে কুমিল্লা শহরে আসতেই হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি বিরাজসুন্দরী দেবীর বাড়ীতে আসেন।এই অসুস্থ সময় প্রমীলা দেবী নজরুলকে সেবা পরিচর্যা দিয়ে সুস্থ করে তুলেন। অতপরঃ তারা দু’জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এখানে উল্লেখ্য যে, তিনি ঐ দিন নার্গিস আসার খানমকে ছেড়ে আসার ১৫ বছর পর নার্গিসের সাথে নজরুলের দেখা হয় এবং তখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।



রাজনীতি এবং বিদ্রোহী নজরুল-

এত সব ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়েও থমকে যায়নি তাঁর সাহিত্য প্রসার। দেশ জুড়ে আন্দোলন। চলছে অসহযোগ। এইসব প্রেক্ষাপট তাঁকে রাজনীতিতে আরও উদ্দীপ্ত করে। বিভিন্ন শোভাযাত্রা আর রাজনৈতিক সভায় অংশগ্রহন করে গান গাইতেন। এভাবেই তিনি সক্রিয় ভাবে রাজনীতির ভূবনে প্রবেশ করেন। দেশের অন্যায় অনাচার দেখে অগ্নি স্ফুলিঙ্গের মতো ফুঁসে উঠে তার বিদ্রোহী মনোভাব। এই ক্ষ্যাপা মনোভাব উঠে আসে তাঁর গান, কবিতা, প্রবন্ধে। এই সময় অর্থাৎ ১৯২২ সালে তাঁর রচিত বিদ্রোহী কবিতাটি সারা ভারতে জনপ্রিয়তা লাভ করে। যেখানে তিনি নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন-

আমি চির বিদ্রোহী বীর –

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির !


এই বছরেই তাঁর বিখ্যাত কবিতা-সংকলন অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থ বাংলা কবিতায় একটি নতুনত্ব সৃষ্টিতে সমর্থ হয়, এর মাধ্যমেই বাংলা কাব্যের জগতে পালাবদল ঘটে। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে গিয়েছিল। একই সময় ব্যাথার দান নামে একটি গল্প সংকলন প্রকাশিত হয় ।

এরই মধ্যে নজরুলের নিজের প্রকাশিত পত্রিকা ধুমকেতু-তে তাঁরই লিখা ’আনন্দময়ীর আগমনে’ নামক রাজনৈতিক কতিাটি প্রকাশিত হওয়ার কারনে উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। ঐ বছরেই তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং কুমিল্লা থেকে সেই দিনই নজরুলকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। অতপরঃ ১৯২৩ সালে ৭ই জানুয়ারী নজরুল বিচারাধীন বন্দি হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে একটি জবানবন্দী দেন। তাঁর এই জবানবন্দী বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে। এই জবানবন্দীতে কবি বলেছেন:

”আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত।... আমি কবি, আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সেবাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে...।”

এই প্রহসন বিচারে নজরুলের এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়। এই জেলে বসেই তিনি “আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে” কবিতাটি রচনা করেন।

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি পুনরায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। এর পাশাপাশি বেতারে কাজ করেন। এইভাবে চলতে তার দিনলিপী আর বাড়তে থাকে তার সৃষ্টি সমৃদ্ধি।



১৯৪২-১৯৭৬

(কবির থমকে যাওয়া অধ্যায়)

১৯৪২ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এর কিছুদিন পর তিনি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন। তিনি যে রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সেটি ছিল পিক্স ডিজিজ। এসময় কবি পত্নী প্রমীলা দেবীও অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক চিকিৎসার পরও তাদের দুজনের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। এরপর ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভারতে কবি পরিবার নিভৃতে কাটান। একই বছর নজরুল চিকিৎসা কমিটি নামক নজরুলের আরোগ্যের জন্য গঠিত সংঘঠনটির সহযোগীতায় নজরুল ও প্রমীলা দেবীকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় লন্ডনে। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞ বহু ধরনের তৎকালীন সময়ের আধুনিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর সিদ্ধান্ত হয় তিনি আর সুস্থ হবেন না। অচিরেই তিনি ভারত ফিরে আসেন। এরপর পার হয় আরও ১৯টি বছর। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান-এর উদ্দ্যোগে এবং ভারতের অনুমতি ক্রমে কবিকে স্বপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। এরপরও কবিকে বহু চিকিৎসা দেওয়া হয় কিন্তু কবির স্বাস্থ্য অপরিবর্তিত থাকে। অতপরঃ ১৯৭৬ সালে পিজি হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই পরাক্রমশীল সাহিত্য জগতের একটি নক্ষত্র চিরদিনের জন্য নিভে যায়। কেউ বোলে আমা এই কবিতায় তার অন্তিম ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। তার এই ইচ্ছার বিষয়টি বিবেচনা করে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী তাঁর সমাধি রচিত হয়।



সঙ্গীতের নজরুল

নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়, যা দশটি ভাগে বিভক্ত- ভক্তিমূলক গান, প্রণয়গীতি, প্রকৃতি বন্দনা, দেশাত্মবোধক গান, রাগপ্রধান গান, হাসির গান, ব্যাঙ্গাত্মক গান, সমবেত সঙ্গীত, রণ সঙ্গীত এবং, বিদেশীসুরাশ্রিত গান। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোন একক গীতিকার-সুরকার নেই যিনি এতো গান একাই রচনা করেছেন শুধুমাত্র নজরুল ছাড়া। তবে ধারণা করা হয় তাঁর তৈরী বহু গান সংগ্রহের অভাবে হারিয়ে গেছে। কারন তিনি বেশীরভাগই তাৎক্ষণিক গান লিখতেন এবং সুরারোপ করতেন।

নজরুল-বিশেষজ্ঞ আবদুল আজীজ আল্-আমান লিখেছেন, "...গানগুলি এক গোত্রের নয়, বিভিন্ন শ্রেণীর। তিনি একাধারে রচনা করেছেন গজল গান, কাব্য সংগীত বা প্রেমগীতি, ঋতু-সংগীত, খেয়াল, রাগপ্রধান, হাসির গান, কোরাস গান, দেশাত্মবোধক গান, গণসংগীত–শ্রমিক-কৃষকের গান, ধীবরের গান, ছাদপেটার গান, তরুণ বা ছাত্রদলের গান, মার্চ-সংগীত বা কুচকাওয়াজের গান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গান, নারী জাগরণের গান, মুসলিম জাতির জাগরণের গান, শ্যামাসংগীত, কীর্তন, বৈষ্ণবপদাবলী, অন্যান্য ভক্তিগীতি, ইসলামী সংগীত, শিশু সংগীত, নৃত্য-সংগীত, লোকগীতি – ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, সাম্পানের গান, ঝুমুর, সাঁওতালী, লাউনী, কাজরী, বাউল, মুর্শেদী এবং আরও নানা বর্ণের গান। বিভিন্ন বিদেশী সুরের আদলে রচিত গানের সংখ্যাও কম নয়। এ ছাড়া লুপ্ত বা লুপ্তপ্রায় রাগ-রাগিণীকে অবলম্বন করে 'হারামণি' পর্যায়ের গান এবং নতুন সৃষ্ট রাগ-রাগিণীর উপর ভিত্তি করে লেখা 'নবরাগ' পর্যায়ের গানগুলি নজরুলের সাংগীতিক প্রতিভার অসামান্য কৃতিত্বের পরিচয় বহন করে।"

নজরুলর জীবদ্দশায় তাঁর গান নিয়ে যেমন গ্রন্থ সংকলিত হয়েছে তেমনি পড়েও আরও হয়েছে। তাঁর গীতি সংকলনগুলির মধ্যে ৯৫ টি সংগীত সমৃদ্ধ গ্রন্থ গানের মালা(১৯৩৪), ১০১টি গান নিয়ে গীতি শতদল(১৯৩৪), ৪৯টি ও ১০১টি গান নিয়ে রচিত যথাক্রমে বুলবুল(১৯২৮) এবং বুলবুল(২য় খন্ড)(১৯৫৯), ২৭টি গানে নিয়ে সুরমুকুর(১৯৩৪), ৯৯টি গান নিয়ে সুরসাকী(১৯৩২), ১৫টি গান নিয়ে মহুয়ার গান(১৯৩০), ৮৮টি গান নিয়ে গুল বাগিচা(১৯৩৩) এমনই আরও বেশ কিছু।

তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ প্রলয়োল্লাস, আগমনী, বিদ্রোহী, কামাল পাশা বাংলা কবিতার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

নজরুলের আবির্ভাব ও কর্মকাল রবীন্দ্রযুগের অন্তর্ভূত। তবু নজরুল রবীন্দ্রনাথের প্রভাব বলয়ের সম্পূর্ণ বাইরে থকে গীত রচনা করেছেন ও সুরারোপ করেছেন। তিনি বাংলা গানে বিচিত্র সুরের উৎস। রবীন্দ্রনাথের মতো তিনিও একই সঙ্গে গীতিকার, সুরকার ও সুগায়ক। গানের সংখ্যায় তিনি রবীন্দ্রনাথকেও ছাড়িয়ে গেছেন।



সবিনয়ে শেষ কথা

এই মহান মানবকে নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না। যারা তাঁর সম্পর্কে অনেক বেশী জানেন তারা বুঝতে পারবেন যে, এইখানে তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু অনুপস্থিত। এটা আমিও জানি। কারণ এতো অল্প পরিসরে এই মহান ব্যক্তিকে নিয়ে সব কিছু লিখা একেবারে অসম্ভব। এই মহান কবিকে নিয়ে রচিত হয়েছে চলচিত্র, নাটক, লিখা হয়েছে অনেক আত্নকাহিনী মূলক বই। প্রকাশ পেয়েছে তাঁর সৃষ্টির প্রশংসা। সেই দিক বিবেচনা করলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এবং নজরুল সম্পর্কে আমার অল্প জ্ঞান-এর পরিসরে আমার এই প্রচেষ্টা। যারা নজরুলকে ভালোবাসেন, তাঁকে যারা জানতে চান তাঁদের জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। যদি এই সংক্রান্ত কোন ভূল-ত্রুটি আপনাদের দৃষ্টিগোচর হয় তাহলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনাদের পরামর্শ আশাতীতভাবে কামনা করছি।







তথ্যসূত্রঃ-

• Farooq, Dr. Mohammad Omar (2007-03-10). Nazrul's Illness and Treatment.

• নজরুল জীবনে নারী ও প্রেম; ড. আবুল আজাদ

• Muzaffar Ahmad, Kazi Nazrul Islam Smritikatha [Memoirs of Kazi Nazrul Islam - Kolkata, India: National Book Agency, 10th print, 1998]

• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর- রফিকুল ইসলাম; পৃষ্ঠা: ২৭১

• Chaudhuri, Dilip (2006-09-22). Nazrul Islam: The unparalleled lyricist and composer of Bengal (HTML). প্রকাশক: Press Information Bureau, Government of India। সংগৃহীত হয়েছে: 2006-09-22.

• কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) - রফিকুল ইসলাম; কলকাতার সাহিত্যম্ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত নজরুল শ্রেষ্ঠ সংকলনে এই প্রবন্ধটি সংযুক্ত আছে।

• Sushilkumar Gupta, Nazrul Chorit-manosh [Kolkata, India: De's Publishing, 1990]

• Rafiqul Islam, Nazrul Jiboni [Life of Nazrul - Department of Bangla, Dhaka University, May 1972];

• "নজরুল সংগীত: পটভূমি ও পরিচয়", নজরুল-গীতি অখণ্ড, আবদুল আজীজ আল্-আমান সম্পাদিত, হরফ প্রকাশনী, কলকাতা, ১৯৮১, পৃ. ২৬

পোষ্টকৃত ছবির সূত্র

1. Click This Link (Submitted by nishats on Mon, 12/03/2012 - 10:07pm)

2. Click This Link of Kazi Nazrul Islam&locale=en_BD

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

SIMANTO বলেছেন: আমার অতি প্রিয় ব্যাক্তিত্ব....ধন্যবাদ অসাধারণ একটি পোষ্টের জন্য।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

বনশ্রী বলেছেন: গঠনমূলক উপস্থাপনা, ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

রংধনু ১০ রং বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

টেরাথোমিটার বলেছেন: সাধুবাদ আপনাকে, বরেণ্য একজন কে সাবলীল ভাবে তুলে ধরার জন্য।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

Pluto বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: Pluto....আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

আরমান কায়েস বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

Ariful448 বলেছেন: আরও কিছু সংযোজন করা যেত☺☺☺

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: সবাইকে নিরন্তর শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.