![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিশর একটা মুসলিম দেশ, যা সর্বদাই যুগ শ্রেষ্ঠ ক্বারীদের জন্মদাতা। এর মধ্যেও মিশরীয় ক্বারী 'আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ' ছিলেন অনন্য গুণ ও বিশিষ্টতার আধার। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের অন্তর জয়কারী। এখনো তার কুরান পাঠ কোটি কোটি শ্রোতার অন্তর জুড়িয়ে যাচ্ছে।
গান-বাজনার এ যুগে বিনোদনের কত কনসার্ট ও আসরই না হয়। কিন্তু ক্বারীদের সুমধুর সুরের তরঙ্গায়িত কোরানের ধ্বনী শোনার কোন আসর কি হয়? এ ধরনের মজমা ও আসরে শ্রোতাদের কোরানের আওয়াজ শুনিয়ে ঈমানের আগুন বাড়িয়ে দিতেন মিশরের যে ক্বারীগণ, তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে নাম আসে ক্বারী 'আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ' এর।
উনি ১৯২৭ সালে মিশরের এক গ্রামে জন্ম নেন। অল্প বয়েসেই পুরা কোরানের 'সাত ক্বীরাতে'র হাফেয হন। ১৪ বছর বয়েসে নিজ মহল্লার মসজিদে তারাবীহ নামাজ পড়ানোর সুযোগ পান। উনি সে সময়ের শ্রেষ্ঠ ক্বারী মোহাম্মাদ রিফাতের ভক্ত ছিলেন ও এনার তেলাওয়াত রেডিও-তে শোনার জন্য বহু দূরের পথ হেটে যেতেন।
্দ্রুতই তিনি কোরানের তাজবীদ, ক্বেরাতের নিয়ম নীতী আয়ত্ত্ব করেন এবং সুর, ছন্দ ও তাজবীদের উপরে অসাধারন পান্ডিত্য অর্জন করেন। ক্বেরাতের ব্যাপারে তার তেলাওয়াত-কে ও তার যোগ্যতাকে আল্লাহর অসাধারন দান ও বিশেষ অনুগ্রহ বলা যায়। ১৯৭০ এর দশকে তিনি বিশ্ব রেকর্ড 'তিন বার' দুনিয়ার 'শ্রেষ্ঠ ক্বারীর' খেতাব লাভ করেন।
তার কোরান তেলাওয়াত নিয়ে অনেক অলোউকিক ঘটনা ঘটে গেছে। তার তেলাওয়াত শুনে অনেক অমুসলিম ইসলামে দীক্ষিত হয়েছে। এসব অনেক ঘটনা ক্বারী সাহেব নিজেই শুনাতেন। একবার মিশরের প্রেসিডেন্ট জামাল-আব্দেল-নাসের এর সাথে রাশিয়া সফর করেন। সেখানে রাশিয়ান অ-মুসলিম, বাম্পন্থি ডেলিগেটদের সামনে 'সুরা তোয়াহা' তেলাওয়াত করেন, এ তেলাওয়াত শুনে রাশিয়ান অনেক ডেলিগেটের চোখে অশ্রু প্রবাহিত হয়েছিল (যদিও তারা এ কোরানের অর্থ বুঝতে অক্ষম ছিল)।
মিশরের কায়রোর বহু মসজিদে হতে লাগল ক্বারী সাহেবের তেলাওয়াত। মানুষ পীপিলিকার মত দলে দলে ভক্ত হয়ে তার তেলাওয়াত শুনতে আসত। প্রায়ই মজলিসে তার তেলাওয়াত শুনে আবেগ ও উদ্দীপনায় অনেক মানুষ বেহুশ হয়ে যেত, অনেকে মারা-ও যেত।
একবার, বিভিন্ন ধর্মের ও চিন্তাধারার মানুষদের এক জন সভায় বিভিন্ন ধর্মের বক্তারা তাদের ধর্মের পক্ষে বক্তব্য পেশ করেন ও মত বিনিময় করেন। সেখানে ক্বারী আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন। মুসলমানদের বক্তব্য পেশ করার সময় এলে, মুসলিম জনতা ক্বারী সাহেব-কে কোরান তেলাওয়াত করতে বলেন। ক্কারী সাহেব কোরান তেলাওয়াত শুরু করেন এবং নির্ধারিত সময়ের বেশি তেলাওয়াত করেন। বিভিন্ন ধর্মের লোকজন তন্ময় হয়ে শনুতে থাকে, এবং সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন, এ ক্বারী সাহেব যা তেলাওয়াত করেছেন, সেটাই সঠিক ধর্ম।
এক কেরাত মজলিসে, বিভিন্ন ক্বারীদের ক্বেরাত অনুষ্ঠান ছিল। ক্বারী আব্দুল বাসিত রঃ এর সময় বরাদ্দ ছিল ১০ মিনিট। তিনি সুরা আহযাব তেলাওয়াত শুরু করেন। শ্রোতা, বিচারক ও ওন্যান্য ক্বারীগণ সকলেই মোহিত হয়ে যান। সকলের অনুরোধে উনি আরো বেশি সময় তেলাওয়াত করেন ও লাগাতার দেড় ঘন্টা তেলাওয়াত করেন।
এভাবেই, সারাটা জীবন কোরানের আলো ছড়িয়ে ১৯৮৮ সালে ইহধাম ত্যাগ করেন এ মহান ক্বারী। আল্লাহ ওনার কবর-কে জান্নাতের টুকরা বানিয়ে দিক।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২
আবু সায়েদ বলেছেন: আমিন
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
কাউয়ার জাত বলেছেন: উনি সম্ভবত বাংলাদেশে এসেছিলেন একবার।
আমাদের গোটা পরিবার ওনার তিলাওয়াতের অনুরক্ত।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২
আবু সায়েদ বলেছেন: ওনার তেলাওয়াত শুনলে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনি মন হয় উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলছেন হয় বিদেশী কোন পত্রিকার অনুবাদ করতে গিয়ে অথবা আবেগের বশবর্তী হয়ে।
কারণ, ক্বারি মিনশাওয়ি'র তেলাওয়াতও বেশ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১১
আবু সায়েদ বলেছেন: বিশ্বে অনেক ভাল ক্বারী আছেন। তবে ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ রা বেশিভাগই এনাকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন- এনার বিশেষ কিছু গুনের কারনে; তা হলো- সুর ও ছন্দকে ভাব ও অর্থের সাথে মিল বন্ধন রেখে পাঠ, তাজবীদ ও দমের (শ্বাসের) উপরে অসাধারন নিয়ন্ত্রন। অনেক ক্বারী সাহেব-কে অনেকেই অনুকরন করতে পেরেছেন, তবে এনাকে অদ্যবধি কেউ তেমন অনুকরন করতে সমর্থ হয় নাই।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি জানিনা শতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ট ক্বারী তাঁকে বলা হয় কিনা কিন্তু আমি সব সময় ক্বারী আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদের ক্বিরাত শুনি | আমার ফোনে আমি যখন গাড়ি ড্রাইভ করি তখন প্রায় প্রতিদিনই শুনি উনার ক্বিরাত | আমার সবচেয়ে পছন্দের ক্বারীদের মধ্যে উনি একজন | আরেকজনের ক্বিরাত আমি খুবই পছন্দ করি উনি হলেন সাদ আল ঘামিদি | আমার মাঝে মাঝে মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সুর হলো সাদ আল ঘামিদির করা আয়াতুল কুর্সির তেলাওয়াত | আমি মনে হয় গত পাঁচবছর ধরে শুনছি সাদ আল ঘামিদির আয়াতুল কুর্সির তেলাওয়াত প্রতিবারই মনে হয় তার তেলওয়াতের চেয়ে সুন্দর সুরে মনে হয় মানুষ কখনো কোনো কথা আর মুখে উচ্চারণ পারবে না | আল্লাহ তাদের সবাইকে জানাতে দান করুন |
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩
আবু সায়েদ বলেছেন: আমিন
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
পবন সরকার বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১২
আবু সায়েদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২২
হাফিজ রাহমান বলেছেন: স্মৃতিকাতর হলাম। ধন্যবাদ লেখককে সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩
আবু সায়েদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৯
দি রিফর্মার বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪
আবু সায়েদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিশ্বের আনাচে কানাচে এমন অসংখ্য ভালো ক্বারী আছেন। উনাকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন। আমিন...
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪
আবু সায়েদ বলেছেন: আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
খল ঠাকুর বলেছেন: আমিন