নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ জামাতের সংকটঃ কাকরাইলের বিভক্তি তুঙ্গেঃ জরুরী সতর্কতা

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

দ্বীনী কাজের মধ্যে একটা উত্তম পন্থা হইল তাবলীগের কাজ। এর বর্তমান (স্ব-ঘোষিত) আমীর মাওলানা সাআদ দিল্লীর নেযামুদ্দিনে অবস্থান করেন। এনার বিভিন্ন কথা ও একক আমীর হবার দাবি নিয়ে বিশ্ব তাবলীগে মারাত্মক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। ওনার বিরুদ্ধে ভারতের দেওবন্ড সহ দুনিয়ার প্রায় সকল ক্বওমী মাদ্রাসা ও হক্বানী ওলামায়ে কেরাম অবস্থান নিয়েছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে আমি বিস্তারিত লিখেছি। এদেশের মানুষ তার আচ পেয়েছে গেল টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা কালীন।

ওলামা মাশায়েখ ও দ্বীনী জনতার বিরোধিতা সত্ত্বেও মাওলানা সাআদ প্রায় জোড় বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং কাকরাইল মসজিদে অবস্থান করে টঙ্গী এজতেমায় শরীক না হয়েই ফেরত যান। উনি ফিরে গেলেও বাংলাদেশ তাবলীগের মধ্যে একটা দীর্ঘ স্থায়ী ফাটলের রুপরেখা দিয়ে যান। যার রেশ ভালভাবেই পড়ছে এদেশের তাবলীগী কেন্দ্রগুলিতে।

মার্কায কাকরাইলের বিভক্তিঃ

কাকরাইলের শুরা (মূল কমিটি) সদস্যের মধ্যে যারা সাআদ সাহেবের একক নেতৃত্ত্ব প্রত্যাখ্যান করেছেন, তারা অধিকাংশ আলেম। তারা হলেন-
১)মাওলানা যোবায়ের, ২) মাওলানা রবিউল হক্ব, ৩) মাওলানা ওমর ফারুক, ৪)মাওলানা ফারুক, ৫) মাওলানা মোযাম্মেল হক্ব, ৬) মাওলানা মোহাম্মাদ হোসেন, ৭) মাওলানা মোশাররফ হোসেন।
এনারা মাশোয়ারা/পরামর্শ ভিত্তিক আলমী শুরার পক্ষপাতী। এনাদের পক্ষে দেশের প্রায় সকল শীর্ষ আলেম-ওলামা আছেন। এরাই সহীহ নেহাজ ও তারতীবের সাথে কাজে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, সাআদ সাহেবের পক্ষে যারা আছেন, তারা শুরা সদস্য তবে আলেম নন। তারা হলেন-
১) ওয়াসিফুল ইসলাম, ২) খান শাহাবুদ্দিন নাসিম, ৩) ইউনুস শিকদার, ৪) ইঞ্জি শেখ নূর।
এনাদের পক্ষে সাধারন তাবলীগী সাথিরা বেশি অবস্থান নিচ্ছেন। তবে তাবলীগী বেশ কিছু মধ্যম শ্রেনীর আলেম এনারা সাথে করে নিয়েছেন, তাদের মধ্যে- ১) মাওলানা আশরাফ আলী, ২) মাওলানা জিয়া বিন কাসেম (সাভার), ৩) মাওলানা আতাউর রাহমান (কোকাকোলা), ৪) মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ, ৫) মাওলানা আব্দুল হামিদ, ৬) মাওলানা মুজিবুর রহমান (মিরপুর)। এনাদের বয়ান ও কথার মধ্যে বহু ভূল-ভ্রান্তি ও সাআদ সাহেবের ভ্রান্ত মতবাদের আলামত পাওয়া যায়।

উভয় পক্ষের আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম ও জোড় হচ্ছে কাকরাইলে। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় চিঠি চালাচালি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে মারধরের ঘটনা-ও ঘটছে।

মহল্লায় মহল্লায় বিভক্তিঃ
সবচেয়ে আশঙ্কার ব্যাপার হোল, উক্ত বিভক্তির প্রভাব দেশের সকল জেলায় ও মহল্লায় মহল্লায় পড়েছে। তাবলীগী সাথিরা আদর্শগত ভাবে দুই ভাগ হয়ে গেছে। মহল্লায় গুলিতেও মাঝে মধ্যে আলাদা প্রোগ্রাম হচ্ছে দুই গ্রুপের। মিল-মহব্বাত বিনাশ হচ্ছে।

সব মুসলমান, দ্বীনী ভাই ও বুঝমান সাথিদের এ অবস্থায় বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, সাদ ও ওয়াসিফ সাহেবের বিতর্কিত মতাদর্শ ও সংশ্লিষ্ট লোকদের এড়িয়ে তাবলীগের কাজ করার আহবান জানানো হচ্ছে ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ফেরকায়ে এতায়াতঃ
সাদ ও ওয়াসিফ পন্থীরা 'এতায়াতে নেযামুদ্দিন' নামে কার্যত এক ভিন্ন ফেরকা/দল তৈরি করেছে। এই ফেরকা বা গ্রুপের ধর্মীয় চিন্তা, আদর্শগত ভাবনা চিরাচরিত 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত' থেকে ভিন্ন। এরা বাড়াবাড়ি করতে পছন্দ করে। তাই এ চিন্তা-ভাবনার তাবলীগী সাথিদের থাকে সাবধান থাকাই উচিত বলে মনে করছেন সচেতন দ্বীনী জনতা ও ওলামায়ে কেরাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, দলাদলি খুবই খারাপ বিষয়:(:(

ফিতনা, ফাসাদ জঘন্য জিনিষ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

আবু সায়েদ বলেছেন: জি, তবে সত্যর খাতিরে অনেকসময় করতে হয়।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৪১

হাসান রাজু বলেছেন: আচ্ছা, ইসলামে এইসব তাবলীগ, সুন্নি, ওহাবী, আহলে হাদিস এইসব দল করতে কে বলছে ?

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

আবু সায়েদ বলেছেন: অনেক দল ভাল, অনেকগুলি আবার দুরভিসন্ধিমূলক।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১১

নীল আকাশ বলেছেন: এদের কথাই নবী করীম (সা:) বলে গেছেন যে শেষ জামানায় মুসলিম রা ৭৩ মতবাদে বিভক্ত হবে। সিরাতুল মুস্তাকিনের রাস্তা ছারা বাকি ৭২ মতবাদ পরিত্যায।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

আবু সায়েদ বলেছেন: জি

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

হাসান রাজু বলেছেন: নীলআকা৩৯ ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে কি মনে হচ্ছে দল ভালো ?!?!?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

আবু সায়েদ বলেছেন: দল ভালো না খারাপ, তা নির্ভর করে এর উদ্দেশ্য ও কর্ম-পদ্ধতির উপরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.