নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিকে দিকে চলছে মুসলিম বিতাড়নের উন্মাদনা

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

নির্যতন, অবিচার আর অন্যায়ের শিকার শুধু মুসলমানেরা কেন? এই প্রশ্নের যেন উত্তোর নেই।

আরাকান ও রোহিঙ্গাঃ একটা জাতি তার দেশে শত বছর ধরে বাস করে আসছে, তারপরেও তার অধিকার ও নাগরিকতা স্বীকৃত হবে না কেন? বিভিন্ন দেশে যারা বাস করে, অতীতে একটা পর্যায়ে সবাই কোথাও না কোথাও থেকে এসেছে। জীবনের তাগিদে যাযাবর মানুষ ঘুরতে ঘুরতে একটা জায়গায় বসতি করেছে। তারপরে যুগ যুগ ধরে চলেছে আসা-যাওয়া। এর মধ্যেই গড়ে উঠেছে সু-শৃংখল ব্যবস্থা। রোহিঙ্গা মুসলমানেরা আরাকানে বহু বছর ধরে বাস করলেও তারা নাগরিক নয় কেন? এই অবিচারের উত্তোর নেই। বাঙ্গলাদেশে কি বাইর থেকে আগত হিন্দু-বৌদ্ধ নেই? তারা কী নাগরিক নয়।

প্রশ্ন হল- আরাকানের এই রোহিঙ্গারা যদি মুসলিম না হয়ে, খ্রিস্টান বা ইয়াহুদি হত, তাইলে কি এভাবে বিতারন সম্ভব ছিল? ইয়াহুদি লবিস্ট আর খ্রিস্টান পাওয়ার কী বসে থাকত?

আসামঃ আসামের বহু মুসলিম বহু দিন থেকে বাস করছে। হঠাত তাদের অনেকের নাগরিকত্ত্ব স্বীকৃত হচ্ছে না। তাদের কী বের করে দেওয়া হবে?

চীনঃ চীনের উইঘুর মুসলিমদের উপরে চলছে দমন-পীড়ন। বঞ্চনা আর গঞ্চনা। কবে না জানি এদের-ও বের করে দেবার বাতাস শুরু হয়। প্রশ্ন একটাই, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও ইয়াহুদিদের প্রতি কী এই কাজ করতে পারত কমিউনিস্ট চীনা সরকার?

শ্রীলঙ্কাঃ আরাকানের জঙ্গীবাদে উদবুদ্ধ হয়ে উগ্রবাদী বৌদ্ধরা শ্রিলঙ্কান মুসলিমদের উপরে দাঙ্গা শুরু করেছিল, যা সরকারের হস্তক্ষেপে একটু থেমে আছে।

সিরিয়াঃ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকার প্রতিপক্ষ দল-গুলিকে সিরিয়ায় বেচে থাকতে দেবে বলে মনে হয় না।

ফিলিস্তিনঃ ইয়াহুদি জবরদখল আর নির্বিচার গনহত্যা চলছে, কোথাও প্রতিবাদ নেই। যেন ফিলিস্তিনি হয়ে জন্মানোটাই অপরাধ হয়েছে। চলমান সহিংসতায় ১১৯ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইয়াহুদি সন্ত্রাসীরা।


আজ মুসলিমদের হৃদয় অনুভূতি শূন্য। যে অনুভূতি আছে খ্রিস্টান আর ইয়াহুদি, হিন্দু আর বৌদ্ধদের মধ্যে, তা নেই মুসলিমদের। রহস্যজনকভাবে দুনিয়ার কোথাও প্রতিবাদ নেই। অসহায় মজলুম মুস্লিমদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের কেউ নেই। বিবেক কী জাগ্রত হবে না?

ইরানের ইয়াহুদি বসতিঃ যারা মুসলিমদের প্রতি এতই কঠর, তারা কি একই আচরন করতে পারবে অন্য ধর্মালম্বিদের প্রতি? ইরানের ইস্পাহানে ৭০,০০০ এর বেশি এলিট ইয়াহুদি বাস করে, তাদের তো বিতারনের কোন সংবাদ পাওয়া যায় না। তারা আছে নিরাপদে, সসম্মানে।

মিশরে লাখ খানেক খ্রিস্টান বাস করে, তাদের তো বিতারনের কোন সংবাদ পাওয়া যায় না। এদের প্রতি নেই কোন জুলুম-নির্যাতন।

তাইলে, কেন আজ, দিকে দিকে চলছে শুধুই মুসলিম বিতাড়নের উন্মাদনা?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

ক্স বলেছেন: কেবল মুসলিমই নয়, ৪৭ সালের দেশভাগের সময় অনেক হিন্দুকেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রারম্ভে জার্মানি ও ইটালিতে লাখ লাখ ইহুদীকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রারম্ভে কোটির কাছাকাছি খ্রিস্টান আর্মেনীয়কে হত্যা করেছিল কুখ্যাত অটোমান সাম্রাজ্যের সৈন্যেরা, দেশত্যাগ করতে গিয়েই তাদের বেশির ভাগ মারা পড়ে। মুসলিম দের সোনালী সময়ে প্রায় সমস্ত জাতিই মুসলিম বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়েছিল। সেই বেদনা এখন তারা ভুলতে চেষ্টা করছে অসহায় মুসলমানদেরকে অত্যাচার করে ও অন্যেরা তা নীরবে উপভোগ করে।

মুসলিম জাতির প্রতি ভারতিয়েরা কি পরিমাণ ঘৃণা পোষণ করে, তা দুটি সিনেমা দেখেই বুঝতে পারবেন। একটি হল বাজিরাও মাসতানি, আরেকটি হল পদ্মাভত। দুটোই বানসালীর এপিক

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

আবু সায়েদ বলেছেন: ইসলামের সোনালী যুগে, ইসলামের চরম বিজয়ের যুগেও, অসহায় ও নিরীহ লোকেরা , যে ধর্মেরই হোক, তারা নিরাপদে থাকত। মোগল যুগেও হিন্দুদের উপরে কোন অত্যাচারই হয় নি। ইসলামের মহান শাসক গণ সর্বদাই ইসলামের বানী সমুন্নত রাখার চেষ্টা করত। এটা ভারতের ভদ্র ও নিরপেক্ষ হিন্দু ঐতিহাসিকেরাও স্বীকার করে। (তবে ২/১ টা ব্যতক্রম ছিল, যেমন দেশভাগের সময় দাঙ্গা হয়েছিল উভয় পক্ষ থেকে, এটাকে কিছুতেই হিন্দুদের উপরে নির্যাতন বলা যায় না)।

বর্তমানে, ইতিহাসের অপ-ব্যবহার চলছে, আর শুধু শুধুই মুসলিমদের বিরুধে বারুদ জ্বলছে।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: এসব ভাল খবর নয়।
কবে যে মানুষ পথে আসবে।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম না এদের মানুষ বলা যায় না?
এরা তো আগে মুসলিম না। এরা আগে মানুষ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

আবু সায়েদ বলেছেন: মানুষ তো অবশ্যই। তবে এক বিশেষ ধর্মের মানুষেরা চিহ্নিতভাবে জুলুমের শিকার হচ্ছে। তাই ওদের পরিচয় ধরে উল্লেখ করেছি।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আসাদ কি দোষ করল?
সে তো তার নিজের দেশেই ছিল, আছে। সৌদি মার্কিন আইএস দ্বারা আক্রান্ত। এখন আইএস প্রায় পরাস্ত।

আপনি কি সৌদি মার্কিন আইএস সসমর্থক?

০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০২

আবু সায়েদ বলেছেন: আসাদের বিরোধী দলের মধ্যে আইএএস নেই কেবল, আছে এমন অনেক মানুষ যারা আসাদের দুশাসন চায় না। এরা সবাই আই এস না। আই এস তো শেষ অনেক আগেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.