নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগের অব্যাহত সংকট

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

তাবলীগ একটা মহান দ্বীনী কাজ। তাবলীগ জামাতের কাজ চলবে আলেম-ওলামাদের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক। শুরু থেকেই এভাবেই হয়ে আসছিল। দেওবন্দী সিলসিলা হতেই তাবলীগ জামাতের কার্যক্রমের উতপত্তি।

কিন্তু, বর্তমান অব্যাহত সংকট আরো ব্যাপক আকার ধারন করেছে তাবলীগের স্ব-ঘোষিত আমীর মাওলানা সাদের বিভিন্ন অব্যাহত বিতর্কিত দর্শন, ব্যাখ্যা এবং ওনার অনুসারী তথাকথিত এতায়াতি বাহিনীর অন্ধ অনুসরন। এমতাবস্থায়, দুনিয়ার সকল হক্ক্বানী ওলামায়ে কেরাম সাদ সাবের বিতর্কিত দর্শনের বিরুদ্ধে প্রবল আপত্তি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য, মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীরা ভ্রুক্ষেপ পর্যন্ত করছেন না।


ওয়াজাহাতি জোড়ঃ উল্লিখিত সংকটময় অবস্থায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম সাদ সাবের বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখে খুলেছেন ও দ্দ্বীনী ব্যাপার হেতু আম-জনতাকে খুলে খুলে বলে সতর্ক করছেন। যেহেতু, ইতিমধ্যে সাদ-পন্থীরা একটা ফেতনার রুপ পরিগ্রহ করেছে। বাংলাদেশে এরুপ অনেক জোড়/এজতেমা সারা দেশ ব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে মুসলিম জনতা ‘সাদিয়ানী ফেতনা’ সম্পর্কে জানতা পারছে।
মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, টংগি, খিল্গাও সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ও সারা দেশের জেলা ও থানা পর্যায়ে ওলামায়ে কেরাম ও তাবলীগী ভাইদের আমন্ত্রনে ওয়াজাহাতি জোড় হয়েচে ও হচ্ছে।

সাদ-পন্থী এতায়াতী বাহিনীর কার্যক্রমঃ এরা বিভিন্ন জায়গায় ও জাতীয় পর্যায়ে ওলামায়ে কেরাম ও কাকরাইলের শুরাদের প্রোগ্রামের পাল্টা-পাল্টি প্রোগ্রাম দিয়ে চলেছে। ফলে বিভিন্ন তাবলীগী কার্যক্রমে গন্ড গোল, হাতাহাতি ও রক্তক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মার্কাযে সাদ-পন্থী এতায়াতীদের আক্রমনে রক্তাক্ত হচ্ছেন আলেম-ওলামারা। ফলে সংকট ধীরে ধীরে বাড়ছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন মার্কাজে এতায়াতী হামলা ও মার্কাজ বন্ধের নীল নকশা করছে তারা। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নারায়নগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাম্মনবাড়িয়া মার্কাজ আক্রান্ত হয়েছে।

ফিরে আসতে পারছে না কেন এতায়াতীরাঃ অন্ধভক্তি, কুশিক্ষা আর আর প্রোপাগান্দার শিকার এতায়াতীরা। এদের সুচতুরভাবে ব্যবহার করছে কিছু জ্ঞানপাপী’ যেমন-ওয়াসিফ, নাসিম, জিয়া বিন কাসেম, আতাউর, মোশাররফ, আশরাফ আলী প্রমুখ।
সাধারন তাবলীগী সাথিদের শিক্ষাগত ও জ্ঞানগত গভীরতা কম। তাদের অন্তর বিশ্বাস-প্রবন। তথাকথিত তাদের মুরুব্বিরা যা বলে সেটাই অন্ধভাবে মেনে চলে। ফলে এই ফেতনায় তারা সঠিক দিশা পাচ্ছে না বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।

কাকরাইল ও এজতেমা মাঠ নিয়ে সংকটঃ এতায়াতীরা বারবার কাকরাইল ও টঙ্গী এজতেমা মাঠ দখল করতে চায়, চেষ্টাও করছে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে দেন-দরবারো করছে। ফলে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে।

বিশ্বময় সাদের অবস্থানঃ ভারত-পাকিস্তানের প্রায় সকল ওলামা ও তাবলীগের পুরানা কর্মী সাদ-কে প্রতাখ্যান করেছেন। অনুরুপভাবে, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আরবের প্রায় সকল ওলামা ও তাবলীগের পুরানা কর্মী সাদ-কে প্রতাখ্যান করেছেন।
রাইবেন্ডের ইজতেমার মোকাবেলায় সাদ সাহেব (একই তারিখে) মালয়শিয়ায় ইজতেমা ডেকেছিল। কারন মালয়শিয়াতে তার কিছু অন্ধভক্ত আছে। সমস্ত ইন্তেজাম হয়েও গিয়েছিল, সফর শুরু করে ফেলেছিল প্রায়। কিন্তু বাধ সাধলো মাল্যশিয়ার ওলামারা। তারা সরকারের কাছে অনুরোধ করে সাদ সাহেবের ভিসা বাতিল করিয়ে দিয়েছে। অনেকটাই একা হয়ে যাচ্ছেন তিনি।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

শফিউল রনি বলেছেন: ভাই, ওনারা তো দেখছি নিরবে দাওয়াতের কাজ করে চলেছেন। গলা শুকিয়ে ফেলছেন আপনাদের মত লোকেরা। সেই দিন দেখলাম এলাকায় আপনাদের পক্ষের ওয়াজ হচ্ছে, কিছু সময় দাড়িয়ে শুনলাম, মাইক দেওয়া ছিল, পুরাটাই মনে হল গীবত। তাছাড়া আলেম ওলামা যারা ওনাদের পক্ষের তারা এই অল্পদিনেই সব গোমরাহ আর মূর্খ হয়ে গেল? যত কথা ওনাদের নিয়ে বলা হচ্ছে তার একশ ভাগের এক ভাগ ও তো রাজারবাগী, দেওয়ানবাগীদের নিয়ে তথাকথিত সংগ্রামী ওলামারা বলেন না, অথচ এদের মত পীর নামধারীরা মানুষের ঈমানই নষ্ট করে দিচ্ছে। লাভ কার হচ্ছে চিন্তা করে দেখেছেন কখনো।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১০

আবু সায়েদ বলেছেন: নিরব বা সরব মূল বিষয় না। আপনি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে আছেন মনে হয়। গীবত কি , কাকে বলে, গীবত আর দায়িত্ত্ব কি? এসব বিষয় বুঝে বলুন। দেশের শীর্ষ আলেম-রা না বুঝে কিছু করছেন না, এতে নিশ্চিত থাকুন। এখানে বিস্তারিত বলতে পারছি না।

"তাছাড়া আলেম ওলামা যারা ওনাদের পক্ষের তারা এই অল্পদিনেই সব গোমরাহ আর মূর্খ হয়ে গেল? "- না, এটা অল্প দিনের ব্যাপার-ও না। আগে জানতেন না, তাই অল্প দিনের মনে হচ্ছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সাদ সাবের সমস্যা চলছে।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

মাকার মাহিতা বলেছেন: .
.
.
.
.
.
.
============================================================================
তাবলীগ জামাত এবং ইসলামের আসল রুপঃ-
============================================================================
ইসলামের মূল স্তম্ভ ৫ টি, এটা আমরা সবাই জানি। কালেমা, নামাজ, রোযা, হ্বজ্জ, যাকাত। এগুলো হলো খুটি, যেমন একটা ঘরের খুটি বা খাম্বা দ্বারা কোন ঘর-ই সোজা হয়ে দাড়াতে পারে না, ঠিক তেমনী এই ৫ টি স্তম্ভ দ্বারা ইসলাম দাড়িয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু, আপনি যদি চিন্তা করেন একটি ঘরের শুধু মাত্র খুটি দিয়েই ঘরের আসল উদ্দেশ্য হাসিল সম্ভব তবে আপনি অন্ধকারে ডুবে আছেন। তাবলীগ জামাতের লোকজন ঠিক সেই অন্ধকারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে! কেননা, যদি শুধুমাত্র খুটি দিয়েই একটি ঘরের কার্য সম্পাদন না হয় তাবে ঐ ঘরের আরো যে আনুসাঙ্গিক সকল বিষয় রয়েছে যেমন, ছাঁদ, ওয়াল, দরজা, জানলা, গ্রিল, সাটার ইত্যাদি সহ আরও ব্যাপক বিষয়াদি বিদ্যমান তার সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা না করে তবে সেই ঘরের মূল কার্যকারিতাই নষ্ট হয়ে গেল! ঠিক তেমনি; কালেমা, নামাজ, রোযা, হ্বজ্জ, যাকাত এর সাথে আরও যে সকল ব্যাপক বিষয়াদি রয়েছে যেমন, পারস্পারিক মুয়ামেলাত, প্রতিবেশির হক, গীবত না করা, সামাজিক কার্যাবলী, ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, সাংসারিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সহ সার্বিক বিষয়ের মাঝে যদি নবীকরীম (সঃ) এর প্রদর্শিত আদর্শ অনুযায়ী সকল বিষয় উপস্থিত না থাকে তা হলে আপনি যে ইসলাম পালন করেন না কেন তা পূর্ণাঙ্গ ইসলাম হতে পারে না।

তবে, তাবলীগ জামাত একতরফা ভাবে বেশ খারাপ লোককে নামাজী বানিয়েছে অনেক, তাদের মেহনতে অনেক লোক নামাজী হয়েছে, কিন্তু তাদের ভেতরকার পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পানে নাই। তারা বেশ হীনম্নতায় ভুগে। একজন বেগানা নারীর দিকে প্রথমবার চোখ পড়লে দ্বিতীয়বার চোখ পড়াযে শয়তানের চোখ তারা এ ভেবে বিভিন্ন উপায়ান্ত করে, কিন্তু তারা বেগানা নারীর দিকে চোখ পড়লেও যে দ্বিতীয়বার চোখ পড়া গোনাহ এবং সেই গোনাহ যে দম্ভভরে প্রত্যাখান করবে এবং স্বগৌরবে সামনে চলবে, খারাপ হতে বিরত থাকতে যে ধৈর্য্য ধরবে, প্রবনতাকে বেরিকেড দিবে এর সিস্টেম তারা জানে না। না জেনে গোমরাহীর মধ্যে থাকে। ফলসরুপ, তারা বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না, টিকে থাকলেও বেশ হীনমন্যতার সহিত জীবন যাপন করে। এই ঠুনকো জ্ঞান নিয়ে সামনের দিকে তারা এগুবে কিভাবে। তাই তারা এই বিভক্তির মধ্যে বিদ্যমান।

আমি চাই, তারা আরও বিচার বিশ্লেষন করে সামানের দিকে এগুবে এবং সকল বিবাদ মিটাবে। এটাই কাম্য।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন!


৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ওকে

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে ভাবছি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

আবু সায়েদ বলেছেন: আশে পাশের মসজিদ্গুলিতে খোজ খবর রাখিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.