![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু আলো কিছু বাতাস আর কিছু ছবির সমন্বয়ে এই পৃথিবীর জীবন কেটে যায় । জীবন কখনোই থমকে দাড়ায় না একমাত্র মৃত্যু ছাড়া বরং আশার বাণী শুনিয়ে যায় ।
প্রতিদিন ডাইরি লেখা নাকি প্রত্যেকেরই উচিত । বিশেষ করে রাতের বেলা । রাতের বেলায় ডাইরি লিখলে নাকি এটা বোঝা যায় যে কোন কাজটা আজকে ঠিক মতো করা হয়েছে আর কোনটি হয়নি । যেটা হয়নি সেটা কিভাবে ঠিক ভাবে করা যায় সেই বিষয় নিয়ে নাকি গভীর ভাবে চিন্তা করা যায় । পত্রিকায় কথা গুলো পরেছিলাম বলে মনে হয় । ডাইরি লেখা কোন কাজে আসুক বা না আসুক সেটা নিয়ে ভাবা আমার কাজ নয় । আমি লিখতে পছন্দ করি তাই লিখি । সেটা ডাইরিতেই হোক বা কম্পিউটারে ভার্চুয়াল ব্লগে হোক না কেন – সেটাতো লেখাই । আমিও ডাইরি লিখার চেষ্টা করি । সেখান থেকেই কিছু চুম্বক অংশ আজ এখানে দেয়ার চেষ্টা করছি ।
মানুষ স্বপ্ন দেখে কেন ? বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন সারাদিনের অর্জিত স্রিতি যখন মানুষ বাস্তবে নিজের জীবনে প্রতিফলন হিসেবে দেখতে চায় তখন কল্পনা মানুষকে স্বপ্নের মাধ্যমে তা দেখায় । কিছু স্বপ্ন চিরকাল মনে রাখার মতো আর কিছু মনে না রাখতে পারলে মানুষ আরাম অনুভব করে । অন্যের অবস্থানে নিজেকে দেখতে চাওয়া মানুষের স্বভাবজাত ইচ্ছা । সবারই স্বপ্ন থাকে । কারও স্বপ্ন পূরণ হয় আবার কাউকে হাতছানি দিয়ে যায় । মানুষ ঘুমের সময় যে স্বপ্ন দেখে থাকে তার সাথে বাস্তবে কোন মিল না থাকলেও নিজেকে ঐ অবস্থানে দেখলে সবার মাঝেই কিছু না কিছু অনুভূতির জন্ম হয় । কারও অনুভূতি হয় সুখের আবার কারও দুঃখের অথবা ভীতিকর । বাস্তবে স্বপ্নের সাথে মিল না থাকলেও অভিজ্ঞতা আর কঠোর পরিশ্রম করেই মানুষ পরিপক্ক হয়ে উঠে । প্রায় সবাই তার অভিজ্ঞতা অন্যর সাথে বিনিময় করে । কিন্তু এমন কিছু অভিজ্ঞতা থাকে যা সবার সাথে বিনিময় করা যায় না । সেটা মনের মধ্যেই থাকে । অথবা তা ডাইরিতেই লেখা হয় ।
এই লেখার নিচে কোন তারিখ দেইনি । কেন দেইনি সেটা মনে নেই ।
প্রচণ্ড চাপ অনুভব করছি । লেখা আসতে চাচ্ছে না হাত দিয়ে । কিন্তু মনকে থামাতে পারছি না । একটার পর একটা লাইন আসছে । কিন্তু লিখতে গিয়ে সেসব লাইন হারিয়ে ফেলছি । কেন এমন হচ্ছে জানি না । রাতে ঠিক মতো ঘুম হচ্ছে না । মাথার ভিতর লাইন গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে । এগুলো বড় বিরক্ত করছে । মাথা থেকে লাইন গুলো বের না করতে পারলে মনে হচ্ছে শান্তি পাব না । তাই আবোল তাবোল যা মনে হচ্ছে তাই লিখছি । আমার একটা বড় সমস্যা সেটা হল – কোন লেখার শুরুটা বেশ ভালো হয় , মাঝে আটকে থাকি , শেষ আর হয় না । প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে । কিন্তু মস্তিষ্ক তো আর থেমে থাকে না । সেখানে প্রতিনিয়ত লাইন তৈরি হচ্ছে । কিন্তু লেখা হচ্ছে না । স্টিফেন হকিংস মাইন্ড রিডার জাতীয় কিছু মনে হয় ব্যবহার করে । সেটা ব্যবহার করতে পারলে বোধহয় ভালো হতো । এটা বলছি এই অর্থে যে এতে করে ভালো ভালো লাইন গুলো হারিয়ে যেত না । যেটা আমার লিখতে গিয়ে হচ্ছে । লেখার মান প্রচণ্ড খারাপ হচ্ছে বুঝতে পারছি । চোখে এখন ঘুম ভর করেছে । চোখ বন্ধ হয়ে আসছে ঘুমে । তাও জোর করে লাইন গুলো মাথা থেকে উগলিয়ে দিয়ে মাথাটাকে শান্ত রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছি । এখন এমন অবস্থা যে চোখ দিয়ে পানি পরবে । অবশ্য সেটা শুরু হয়ে গেছে । চোখে ঝাপসা দেখছি । লেখা গুলো অস্পষ্ট হচ্ছে । কেন হচ্ছে তা বোঝার বাকি নেই । ঘুম পাচ্ছে । তবে চাপটা কম মনে হচ্ছে । আমি আবোল তাবোল সস্তা লেখা লিখছি । সেটাতে অসুবিধা নেই । মন শান্ত হচ্ছে । মস্তিস্কের উপর চাপ কমছে । আরাম অনুভূত হচ্ছে । মজা লাগছে । আহ কি শান্তি ! বেশ ভালো লাগছে ।
এই লেখাটা ০১/০৮/১২ তে লেখা ।
আজকের লেখা শুরু করছি একটি প্রশ্ন দিয়ে । প্রশ্নটা হল – মানুষ ডাইরি লেখে কেন ? অনেকেই হয়ত বলবেন এটা লেখার জন্যই বানানো হয়েছে তাই এতে লেখা হয় । আসলেই কি তাই ? মনে হয় না । মানুষ ডাইরি লেখে ভিন্ন ভিন্ন কারণে । কেউ আনন্দের কথা লিখে । আবার কেউ দুঃখ ও আনন্দ দুটোই একসাথে লেখে । ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ এবং ভিন্ন ভিন্ন লেখা । এটা থাকবেই । একে পরিবর্তন করা যাবে না । সাইকোলজিস্টরা বলেন , প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা একটা ডাইরিতে লিখে রাখা উচিত । এতে করে ঘটনা কেন ঘটলো , কিভাবে ঘটলো , এর প্রয়োজন ছিল কি না তা লেখার পর বোঝা যায় । বা এটা থেকে কি শিক্ষা পেলাম অথবা কি ভুল করলাম তা বিবেচনা করার একটা সুযোগ থাকে । তবে সবকিছুতেই কি শিখলাম জিনিসটা খোঁজা উচিত নয় । এমন জিনিস মানুষের জীবনে হয় বা ঘটে যেটা মনে রাখা কষ্টকর হয়ে যায় । তাকে ভুলে যাওয়াই উত্তম । এতে করে নতুন ভাবে পথ চলা সহজ হয় । তাই এটা বলতেই হয় পুরনো ঘটনা আঁকড়ে ধরে থাকলে পরবর্তীতে সমস্যা হয় চলতে । আমাদের পরিবারে লেখালেখির চল আছে অনেকদিন থেকেই । বড় বড় কোন লেখা নয় । ছোট ছোট আনন্দময় ঘটনার কথা লেখা আছে । নানুর মধ্যে যেমন বই পড়ার একটা বাতিক ছিল তেমনি তিনি লিখতেনও । তার কাছ থেকে বই পড়ার বাতিক এবং লেখার কৌশল দুটোই বোধহয় জেনেটিক ভাবে রপ্ত করেছি । তার লেখা কি আমি পড়েছি ? মনে পরছে না । মনে হয় পড়িনি । তবে শুনেছি । আম্মুও লেখালেখি করত । তার লেখা ছাপাও হয়েছে অনেক আগে । জেনেটিক দিক থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি আমার আছে বলে মনে হয় ভালোভাবেই । সত্য কিনা এখনো বুঝতে পারছি না । তবে লেখার চেষ্টা করি । মনে হয় কিছুটা পারি ।
ডাইরি লিখে যেমন আনন্দ পাওয়া যায় তেমনি একটি ঘটনা মনে রাখাও সহজ হয় । আবার পুরনো লেখা যখন পড়া হয় তখন সেটা মনের মাঝে পস্ট হয়ে উঠে । ছবির মতো পস্ট । শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত । তবে ডাইরি লিখে নিজের উপর বিপদ ডেকে আনার ঘটনাও ঘটে থাকে । ঘটেছেও । লুকিয়ে লুকিয়ে ডাইরি পড়ে ব্যক্তিগত বিষয় জেনে তাকে আক্রমন করার ঘটনাও ঘটে । প্রত্যেক পরিবারে এমন দুই একটা ঘটনা ঘটেই থাকতে পারে । তবে হ্যাঁ , আমার লেখা আমি লিখি । লিখে যাব । কেউ যদি এটা পড়ে আমাকে তিরস্কারও করে তবে কিছু মনে করার নেই । কারণ ডাইরি আমি লিখছি ইচ্ছা করেই । জানানোর জন্যই লিখছি । অনেকটা ইচ্ছা করেই । যেটা সত্য সেটা জানাবো । ভালো করেই জানাবো । পরিবারে এমন অনেকেই থাকতে পারে যারা এসব ডাইরি পড়ে , যে ডাইরি লিখেছে পরবর্তীতে তাকে খোঁচা মেরে কথা বলেন । খোঁচা মারলে খোঁচা খেতে হয় অনেকটা ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার মতো । যে কথা গুলো লিখছি সেটা বিস্ফোরক এর সাথে তুলনা করা চলে । এবং পরবর্তীতে এটা যিনি পড়বেন তিনি যে আমাকে খোঁচা মেরে কথা বলবেন সেই বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত । সেটা জেনেই আমি লিখছি । জানতে চেষ্টা করছি বা বোঝার চেষ্টা করছি কি পরিমাণে কথা শোনানো হয় এটা লেখার জন্য । অপেক্ষা করছি । দেখি কি হয় । সবাইকে এটা পরার জন্য ধন্যবাদ । যিনি আমার সাথে পোক পোক খেলা খেলবেন তাকেও । হা হা হা হা । মজা পাচ্ছি লিখে । কিছু বুঝতে পারলে বুঝবেন আর না পারলে বোঝার চেষ্টা করবেন । গুডবাই সবাইকে ।
এটা লিখেছিলাম ০১/০৯/১২ তারিখে ।
( চলবে )
©somewhere in net ltd.