নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: সাদ্দাম আদিল

মো: সাদ্দাম আদিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পড়া নজরুলের কিছু প্রিয় কবিতা।

২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯



কুলি মজুর



দেখিনু সেদিন রেলে,

কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!

চোখ ফেটে এল জল,

এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?

যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে,

বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।

বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!

কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্‌?

রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে,

রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে,

বল ত এসব কাহাদের দান! তোমার অট্টালিকা

কার খুনে রাঙা?-ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি হঁটে আছে লিখা।

তুমি জান না ক’, কিন- পথের প্রতি ধূলিকণা জানে,

ঐ পথ, ঐ জাহাজ, শকট, অট্টালিকার মানে!

আসিতেছে শুভদিন,

দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ!

হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,

পাহাড়-কাটা সে পথের দু’পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,

তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,

তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;

তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,

তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!

তুমি শুয়ে র’বে তেতালার পরে আমরা রহিব নীচে,

অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা আজ মিছে!

সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা-রসে

এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে!

তারি পদরজ অঞ্জলি করি’ মাথায় লইব তুলি’,

সকলের সাথে পথে চলি’ যার পায়ে লাগিয়াছে ধূলি!

আজ নিখিলের বেদনা -আর্ত পীড়িতের মাখি’ খুন,

লালে লাল হ’য়ে উদিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ!

আজ হৃদয়ের জমা-ধরা যত কবাট ভাঙিয়া দাও,

রং-করা ঐ চামড়ার যত আবরণ খুলে নাও!

আকাশের আজ যত বায়ু আছে হইয়া জমাট নীল,

মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্‌ এ বুকে, খুলে দাও যত খিল!

সকল আকাশ ভাঙিয়া পড়-ক আমাদের এই ঘরে,

মোদের মাথায় চন্দ্র সূর্য তারারা পড়-ক ঝ’রে।

সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি’

এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শোনো এক মিলনের বাঁশী।

একজনে দিলে ব্যথা-

সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা।

একের অসম্মান

নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান!

মহা-মানবের মহা-বেদনার আজি মহা-উত্থান,

উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে কাঁপিতেছে শয়তান



স্বর্ণ-রৌপ্যভার,

নারীর অঙ্গ-পরশ লভিয়া হ’য়েছে অলঙ্কার।

নারীর বিরহে, নারীর মিলনে, নর পেল কবি-প্রাণ,

যত কথা তার হইল কবিতা, শব্দ হইল গান।

নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে’

জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে!

জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান,

মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান্‌।

কোন্‌ রণে কত খুন দিল নর লেখা আছে ইতিহাসে,

কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।

কত মাতা দিল হৃদয় উপড়ি’ কত বোন দিল সেবা,

বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?

কোনো কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারী,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী।

রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন, রাজারে শাসিছে রাণী,

রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি।







বিদ্রোহী

বল বীর -

বল উন্নত মম শির!

শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

বল বীর -

বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’

চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’

ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া

খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,

উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!

মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর -

আমি চির উন্নত শির!

আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,

মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!

আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,

আমি দুর্বার,

আমি ভেঙে করি সব চুরমার!

আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,

আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!

আমি মানি না কো কোন আইন,

আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!

আমি ধূর্জটি, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর

আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

বল বীর -

চির-উন্নত মম শির!

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি,

আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,

আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,

আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’

পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’

ফিং দিয়া দিই তিন দোল;

আমি চপলা-চপল হিন্দোল।

আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা,

আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা!

আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর;

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর!

বল বীর -

আমি চির উন্নত শির!

আমি চির-দুরন্ত দুর্মদ,

আমি দুর্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ।

আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,

আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।

আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,

আমি অবসান, নিশাবসান।

আমি ইন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য

মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর রণ-তূর্য;

আমি কৃষ্ন-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা-বারিধীর।

আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

বল বীর -

চির - উন্নত মম শির!

আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক,

আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।

আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,

আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!

আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,

আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার,

আমি পিণাক-পাণির ডমরু ত্রিশূল, ধর্মরাজের দন্ড,

আমি চক্র ও মহা শঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!

আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য,

আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব।

আমি প্রাণ খোলা হাসি উল্লাস, – আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস,

আমি মহা প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু গ্রাস!

আমি কভূ প্রশান্ত কভূ অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,

আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!

আমি প্রভোন্জনের উচ্ছ্বাস, আমি বারিধির মহা কল্লোল,

আমি উদ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্জ্বল,

আমি উচ্ছ্বল জল-ছল-ছল, চল-ঊর্মির হিন্দোল-দোল!

আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণু, তন্বী-নয়নে বহ্ণি

আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!

আমি উন্মন মন উদাসীর,

আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা হুতাশ আমি হুতাশীর।

আমি বন্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,

আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ – জ্বালা, প্রিয় লান্চিত বুকে গতি ফের

আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়

চিত চুম্বন-চোর কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর!

আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল-ক’রে দেখা অনুখন,

আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা’র কাঁকন-চুড়ির কন-কন!

আমি চির-শিশু, চির-কিশোর,

আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচড় কাঁচলি নিচোর!

আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া,

আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া।

আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি

আমি মরু-নির্ঝর ঝর ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি!

আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ!

আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!

আমি উথ্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,

আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন।

ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া

স্বর্গ মর্ত্য-করতলে,

তাজী বোররাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার

হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে!

আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নিয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্ণি, কালানল,

আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!

আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,

আমি ত্রাস সন্চারি ভুবনে সহসা সন্চারি’ ভূমিকম্প।

ধরি বাসুকির ফণা জাপটি’ -

ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি’।

আমি দেব শিশু, আমি চঞ্চল,

আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব মায়ের অন্চল!

আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,

মহা- সিন্ধু উতলা ঘুমঘুম

ঘুম চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝঝুম

মম বাঁশরীর তানে পাশরি’

আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।

আমি রুষে উঠি’ যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,

ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!

আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!

আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,

কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস-ধন্যা-

আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!

আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,

আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!

আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!

আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,

আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়।

আমি মানব দানব দেবতার ভয়,

বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,

জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,

আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য!

আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!

আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!

আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার

নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!

আমি হল বলরাম-স্কন্ধে

আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।

মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত,

যবে উত্‍পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না -

অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,

আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!

আমি খেয়ালী-বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

আমি চির-বিদ্রোহী বীর -

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!



নারী



সাম্যের গান গাই-

আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!

বিশ্বে যা-কিছু মহান্‌ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি,

অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।

নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান?

তারে বলো, আদি পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান।

অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে,

ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।

এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,

নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।

তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখিয়াছে যত ফল,

অন্তরে তার মোমতাজ নারী, বাহিরেতে শা-জাহান।

জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষ্মী, শস্য লক্ষ্মী নারী,

সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি’।

পুরুষ এনেছে যামিনী-শানি-, সমীরণ, বারিবাহ!

দিবসে দিয়াছে শক্তি সাহস, নিশীতে হ’য়েছে বধূ,

পুরুষ এসেছে মরুতৃষা ল’য়ে, নারী যোগায়েছে মধু।

শস্যক্ষেত্র উর্বর হ’ল, পুরুষ চালাল হল,

নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল।

নর বাহে হল, নারী বহে জল, সেই জল-মাটি মিশে’

ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালী ধানের শীষে।



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মোসাহেব কবিতাটি পোস্ট করুন।

সাহেব কহেন, চমৎকার----

২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:১২

মো: সাদ্দাম আদিল বলেছেন: এই কবিতাটা পড়ি নাই। যাই হউক অন্তি ভাই পোস্ট করে দিল। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ।

২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:০০

মো: সাদ্দাম আদিল বলেছেন: ধন্যবাদ। মন্তব্য করার জন্য।

৩| ২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪

অন্তি বলেছেন: মোসাহেব
কাজী নজরুল ইসলাম
সাহেব কহেন,
চমতকার,
সে চমতকার।
মোসাহেব বলে,
চমতকার সে হতেই
হবে যে, হুজুরের
মতে অমত কার?
সাহেব কহেন,
কি চমতকার, বলেতেই
দাও, আহা হা
মোসাহেব বলে, হুজুরের
কথা শুনেই বুঝেছি,
বাহা হা বাহা হা বাহা হা!
সাহেব কহেন,
কথাটি কি জান,
সেদিন...
মোসাহেব বলে,
জানি না আবার, ঐযে,
কি বলে যেদিন...
সাহেব কহেন, সেদিন
বিকেলে বৃষ্টিটা ছিল
স্বল্প,
মোসাহেব বলে, আহা-
হা, শুনেছ কিবা অপরুপ
গল্প!
সাহেব কহেন,
আরে ম’লো,
আগে বলতেই দাও
গোড়া টা
মোসাহেব বলে,
আহাহা গোড়াটা,
হুজুরের গোড়া, এই চুপ
চুপ ছোড়াটা।
সাহেব কহেন,
কি বলছিলাম,
গোলমালে গেল গুলায়ে
মোসাহেব বলে, হুজুরের
মাথা, গুলাতেই হবে,
দিব হস্ত বুলায়ে?
সাহেব কহেন, শোন
না সেদিন সূর্য
উঠেছে সকালে,
মোসাহেব বলে,
সকালে সূর্য?
আমরা কিন্তু
দেখিনা কাদিলে কোঁকালে।
সাহেব কহেন,
ভাবিলাম যাই,
আসি খানিক
টা বেড়ায়ে
মোসাহেব বলে, অমন
সকাল,
যাবে কোথা বাবা,
হুজুরের চোখ এড়ায়ে?
সাহেব কহেন,
হলোনা বেড়ানো, ঘরেই
রহিনু বসিয়া
মোসাহেব বলে, আগেই
বলেছি, হুজুর কি চাষা,
বেড়াবেন হাল চষিয়া?
সাহেব কহেন,
বসিয়া বসিয়া পড়েছি কখন
ঝিমায়ে
মোসাহেব বলে, এই চুপ
কর, হুজুর ঝিমায়,
পাখা কর, ডাক নিমাই-
য়ে।
সাহেব কহেন,
ঝিমাইনি, কই
এইতো জেগেই রয়েছি
মোসাহেব বলে, হুজুর
জেগেই রয়েছেন,
তা আগেই
সবারে কয়েছি।
সাহেব কহেন,
জাগিয়া দেখিনু
জুটিয়াছে যত হনুমান
আর অপদেব
হুজুরের চোখ,
যাবে কোথা বাবা,
প্রণমিয়া কয়
মোসাহেব।

২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:০৭

মো: সাদ্দাম আদিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অন্তি ভাই। এই কবিতাটা পরে ভাল লাগলো।

৪| ২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:১৫

রেজওয়ান তানিম বলেছেন:

৫| ২৫ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:০৩

মো: সাদ্দাম আদিল বলেছেন: তানিম ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এইটা কি আসলেই কবি? নাকি তার ছেলে?

৬| ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৩১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এটা কবির ভাষণ। কিন্তু আবৃত্তি করেছেন কাজী সব্যসাচী @আদিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.