নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ বাড়ীতে সু-স্বাগতম।

যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়।

আদিত শরীফুল

নেশা বই পড়া (তবে পাঠ্যবই না) । নিরিবিলি পছন্দ করি। অনুকরণপ্রিয়। গুরুবাদী ঝোঁক আছে। আমার সবচেয়ে বড় দক্ষতা যে, আমি জানি আমি কী জানি না। ঘুরতে পছন্দ করি। বিশ্বজয়ের নেশা থাকলেও টাকা এবং সামর্থ্যের অভাবে মনে করি তা সম্ভব হবে না! নেশাগত কারণে গণমাধ্যমে কাজ করছি।

আদিত শরীফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ঘন্টার জন্য হলেও সে যাতে আমাকে বিয়ে করে!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

জয়নাব বেগম। মা-বাবা হারা এক এতিম মেয়ে। পাঁচ বছর আগেও জয়নাব ছিলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের আমিরখীল গ্রামের এক উদ্যোম কিশোরী। শঙ্খ নদী তীরবর্তী এই গ্রামটিতে হেসে খেলে বেড়ে উঠা মেয়েটির স্বপ্ন ছিল আর দশ জন মেয়ের মত সুন্দর জীবন-যাপন করবে, স্বামীর ঘর-সংসার করবে।

কিন্তু জয়নবের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এক যুবকের মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে তাঁর জীবনটাই এখন ভয়ঙ্করভাবে অনিশ্চিত।

শনিবার বিকেলে জয়নবের বাড়ীতে গেলে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। সে জানায়, ১৯৯১সালে তার মা রাবেয়া বেগম মারা যায়। এরপর মরিয়ম বেগম নামের এক মহিলাকে জয়নাবের বাবা রাজা মিয়া বিয়ে করেন। ঘরে আসে সৎ মা। এরপর সৎ মায়ের অনাদরে বড় হওয়া জয়নাবের বাবা ২০০৬সালের দিকে মারা গেলে সৎ মায়ের অত্যাচার ও অবহেলা আরো বেড়ে যায়। এভাবেই চলছিল জয়নবের দিনকাল।

“তখন ২০০৮ সালর শেষের দিকে, শীতকাল ছিল। আমার বাবার দুসম্পর্কের এক আতœীয় রমজান আলী। আমাদের পাশের গ্রামের তৈয়ার পাড়ায় তার বাড়ী। বাবা মারা যাওয়ার পর সে ঘন ঘন আমাদের বাড়ীতে আসত। আমার সাথে মিশতে চাইত। আমি না মিশলে সে আমার সৎ মাকে বিচার দিত। এরপর আমার সৎ মা (দুই মাস আগে মারা গেছে) আমাকে মারধর করত। বাধ্য হয়ে তাঁর সাথে কথাবার্তা বলি। এরপর সে কুরআন ছুয়ে শপথ করে বলে আমাকে সে ভালবাসে এবং বিয়ে করবে। এরপর আমার সৎ মায়ের ইন্ধনে বিভিন্ন প্রলোভনে সে আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবে দিন যাচ্ছিল।” একটু থামে জয়নাব বেগম।

২০০৯এর মাঝামাঝিতে প্রেমিক রমজান আলীর ফাঁদে পড়ে গর্ভবতী হয় জয়নাব। প্রেমিক রমজান আলী তাকে ভ্রুণ হত্যা করে ফেলতে বলে। জয়নাব হত্যা করতে পারেননি। ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে রমজান আলী জয়নাবের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০০৯সালের ৪অক্টোবর জয়নাবের সন্তানের জম্ন হল। জয়নাব মেয়েটির নাম রাখে উর্মি আক্তার।

এই সন্তানকে কোলে নিয়ে আবারো বলা শুরু করেন জয়নাব, ২০০৯সালের মাঝামাঝিতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের (মহিলা) মাধ্যমে বিনা খরচে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। এরপর মামলাটি করা হলে পুলিশ রমজান আলীকে ধরে জেলে দেয়। এখন সে জামিন নিয়ে এসেছে। জেলে যাবার আগে সে চন্দনাইশের চাগাচর গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছে।

জয়নাব বলেন, আমি তাঁকে (রমজান আলী) বলেছি, আমার এই সন্তান তোমার। সন্তানের ভবিষ্যৎ ও আমাদের মান সম্মান রক্ষার্থে তুমি আমাকে বিয়ের ব্যবস্থা কর। তোমার বাড়ীতে আমাকে নিতে হবে না, আমি আয়ার কাজ করে খাব। আমার ও আমার মেয়ের পরিচয়টুকু করে দেয়ার জন্য তাঁকে অনেক অনুনয় বিনয় করলেও সে আমার সাথে টালবাহানা ও বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।

জয়নাবের বয়স এখন ২৩। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খাগরিয়ার আমিরখীল গ্রামের বাবার বাড়ীতে থাকে। স্থানীয় বিভিন্ন বাড়িতে আয়ার কাজ করে কোন রকমে চলছেন। নাঈমুদ্দীন নামের তার এক ভাই হাইচে হেলপার হিসেবে কাজ করে।

শেষ চাওয়া কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চাই আমার মেয়ে তার পিতার পরিচয় পাক। মেয়েটাতো কোন অন্যায় করেনি। সে যেন আমাকে এক ঘন্টার জন্য হলেও যাতে বিয়ে করে। আমার মেয়ে ও আমি যাতে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি। না হয়তো মেয়েসহ আতœহত্যা ছাড়া আমার আর কোন উপায় থাকবে না। এটা ছাড়া আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে জয়নাবের প্রেমিক রমজান আলীর বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তার প্রতিবেশী মাস্টার সিরাজসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েও রমজান আলীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

খাগরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মেয়েটি ইউনিয়ন পরিষদে এসে আমাকে একবার ঘটনাটি জানিয়েছিল। এরপর মেয়েটি মামলা করায় আমি আর খোঁজখবর নিইনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার এস আই আব্দুস সালাম মুন্সি বলেন, মামলার আসামী ভন্ড প্রেমিক রমজান আলী এখন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে। মানবিক কারণে যদি তাঁদের মধ্যে বিবাহটা হয় তাহলে সবার জন্য ভাল হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: afsos laglo khub

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

হেডস্যার বলেছেন:
শোয়ার সময় খেয়াল আছিলো না !! যত্তসব ফালতু ক্যাচাল।
প্রলোভন...কোরআন ছুইয়া শপথ... আজাইরা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

আদিত শরীফুল বলেছেন: বিয়ের খরচ থেকে বাচার জন্য তার দ্বিতীয় মা তাকে বাধ্য করেছিল ছেলেটির সাথে সম্পর্ক করতে। লেখাটি ভালভাবে পড়লে বুঝতে পারবেন যে, মেয়েটি পরিস্থিতির শিকার। ধন্যবাদ

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

কান্টি টুটুল বলেছেন:

হেডস্যার @

একটি অন্যায় সমাজের দশজন ব্যাক্তির কাছে দশরকম ভাবে ধরা দেয়,বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা ঐ ব্যক্তির আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

সবচাইতে বড় কথা আপনার বা আমার জন্ম কোন যোগ্যতাবলে ঐ জয়নাবের কোলে না হয়ে আমাদের মার কোলে হয়েছে সেটি তলিয়ে দেখলে মানুষের প্রতি আপনার ঘৃণার যে প্রকাশ সেটি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

আদিত শরীফুল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ...

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ইয়াংিক বলেছেন: কান্ট্রি টুটুল ভাইয়ের সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.