নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক ধরনের মানুষ। যা কথায় নয় কাজে বিশ্বাস করি।

পথিক আদনান

আমার পরিচয় হচ্ছে আমি একজন সৃষ্টকারীর সৃষ্ট মানব। আমি চাই নিজ স্বজ্ঞানে যাতে অন্যের ক্ষতি না হয়। মানব সেবাই সৃষ্টিকর্তার সেবা। এই কথাই হোক মোর মন প্রাণে।

পথিক আদনান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইশরশি জমিদার বাড়ি ,সদরপুর,ফরিদপুর

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

বৃহত্তর ফরিদপুরের বিখ্যাত স্থানসমূহের মধ্যে বাইশরশি জমিদার বাড়ির নাম ইতিহাস ঐতিহ্যে ভরপুর। ফরিদপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে বর্তমান আটরশির বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফের কাছাকাছি সদরপুর উপজেলার মধ্যে অবস্থিত বাইশরশি জমিদার বাড়িটি। এককালে প্রতাবশালী বাইশরশি জমিদাররা ফরিদপুর-বরিশালসহ ২২টি পরগনার বা জোত মহলের অধিপতি ছিলেন। জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি তখনকার দিনে বাইশরশির বাড়িটির প্রায় ৫০ একর জমি নিয়ে বাগানবাড়ি, পুকুর, পূজামন্ডপ ও দ্বিতলা বিশিষ্ট ছোট-বড় ১৪টি দালান কোঠা দিয়ে ঢেলে সাজিয়ে ছিলেন।

যা আজ ভগ্নদশায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে । স্থানটিতে সরকার একটু নজর দিলে হতে পারে দেশের মধ্যে অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র । জানা গেছে, ১৭শ শতাব্দির গোড়াপত্তনে এককালের লবণ ব্যবসায়ী সাহা পরিবার বিপুল অর্থসম্পত্তির মালিক হয়ে কয়েকটি জমিদারি পরগনা কিনে জমিদারি প্রথার গোড়াপত্তন শুরু করে। ১৮শ শতক থেকে ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের আগে পর্যন্ত জমিদার পরিবারটি অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক হন ও ২২টি জমিদারি পরগনা ক্রয় করে বিশাল জমিদার হিসেবে ভারতবর্ষে খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান হিন্দুস্থান হওয়ার পর ১৯৪৭ থেকে ১৯৬২ সাল জমিদারি প্রথা থাকার আগ পর্যন্ত জমিদাররা কলিকাতা বসে জমিদারি দেখাশুনা করত। জমিদারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর জমিদার সুকুমার রায় বাহাদুর ছাড়া সবাই কলিকাতা চলে যায়। ৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীনের পর সুকুমার বাবু আত্মহত্যা করেন । এরপর বাড়িটির আর কোন অভিভাবক না থাকায় পরিত্যক্ত বাড়ি হিসেবে গণ্য হয়ে যায়।

বর্তমানে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর জমিদার বাড়িটির অবস্থান হলেও চারপাশের অনেক জমি ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে ৫টি শান বাঁধানো পুকুর, বিশাল বাগানবাড়ি ও ছোটবড় চৌদ্দটি কারুকার্য খচিত দালান-কোঠা জমিদারদের কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিনিয়ত চুরি হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান দরজা-জানালা, লোহার কারুকার্য খচিত প্রত্নতত্ত্ব । বাড়িটিতে বর্তমানে উপজেলা ভূমি অফিস রয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৫

পুলহ বলেছেন: উপজেলা ভূমি অফিস থাকা সত্বেও চুরি হইতেছে??! কি অবস্থা !!
লেখা ভালো লাগছে, অজানা জায়গাটা সম্পর্কে জানতে পারলাম। কয়েকটা ছবি থাকলে আরো ভালো লাগতো :)
শুভকামনা আপনার জন্য :)

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বর্ণনা সুন্দর হয়েছে -- ছবি থাকলে আরো ভাল হতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.