![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইতো রঙ্গিন স্বপ্নগুলো নিয়ে ধূসর আমি বেশ আছি
আমাদের সমাজের একটা গৎবাধাঁ নীতির প্রধান হলো এই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।শিক্ষিত মানুষ বলতেই সে চেহারা আমাদের মনে ভেসে উঠে "গাড়ী-বাড়ি থাকবে,ভালো জব করবে,কেতাদুরস্ত পোষাক পড়বে ইত্যাদি।এক কথায় শিক্ষিত মানুষটার টাকা থাকতে হবে।ছোট বেলাতে আমরা পড়েছিলাম"লেখাপড়া করে যে, গাড়ী ঘোড়া চড়ে সে।" মূলত শিশু কাল থেকেই আমাদের মাথায় শিক্ষার ভূল সংজ্ঞা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।শিশু মন সে অনুযায়ী বিল্ডআপ হয়।কিছুদিন পর বুঝতে পারে লেখাপড়া(পরীক্ষায় পাশ) না করলে পরবর্তীকালে কপালে দুঃখ থাকে।আমি হলপ করে বলতে পারি "কোনো মেডিকেলের ছাত্র বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না সে মানব সেবার জন্য লেখাপড়া করছে।মুখে দেখবেন মানব সেবার বুলি মারে।কিন্তু চেম্বারে গেলে ৮০০ টাকার কম এক পয়সাও নিবে না।এভাবে আমরা ও আমাদের সমাজ শিক্ষার সংজ্ঞার্থই বদলে দিয়েছি।এর জন্য বাস্তবতা অনেকাংশে দায়ী।আজকে একটা ছেলে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় কেনো? শিক্ষিত হওয়ার জন্য?না ভাই, চাকরীর বাজারে যাতে ভালো দাম পায় সেজন্য।নিজের বউ-বাচ্চাকে ভালো রাখবে,ভালো খাওয়াবে,ভালো পোষাক পরাবে।একজন মানুষ নিজের শিক্ষাকে তখনই সার্থক মনে করে যখন দেখে তার মানীব্যাগের স্বাস্থ্য নিজের স্বাস্থ্য থেকে ভালো।আপনি শিক্ষিত কিন্তু আপনার টাকা নেই, তখন সমাজও আপনাকে দাম দিতে চাইবে না।লোকে বলবে"কিসের লেহাপরা করছে এহন এর কপালে ভাতও জুটে না"।লেখাপড়ার অবশ্যই দরকার আছে।যেমন, হুমায়ন আহমেদের কথাই ধরুন, তিনি যদি রসায়নে পি.এইচ.ডি না করতেন তাহলে তিনি এই জনপ্রিয়তা পেতেন না। পরিসংখ্যান বলে ডিগ্রি গ্রহনের পরই উনি লেখক হিসাবে পরিচিতি পান।যাইহোক মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন"শিক্ষা হলো একজন মানুষকে গভীর ভাবে চিন্তা করতে শেখানো।বুদ্ধিমত্তা+চরিত্র ;প্রকৃত শিক্ষার এটাই লক্ষ্য।"উনিশ শতকের ঔপন্যাসিক উইলিয়াম এস বিউরস বলেছিলেন"শিক্ষার উদ্দেশ্য জ্ঞানন।তথ্য নয় বরং মূল্যবোধ।"কেউই বলেননি যে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো ভাত খাওয়া।ঝামেলা এইখানে যে আমরা শিক্ষা আর নিজেদের জীবিকা দুইটা একসাথে মিলিয়ে জগাখিচুড়ী বানিয়ে ফেলেছি।সেজন্যই আমাদের রাস্তায় রাস্তায় গন্ডাগন্ডা শিক্ষিত দেখা যায় কিন্তু মানুষ দেখা যায় না।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
বখাটে সাধক বলেছেন: হুমায়ন স্যার পি.এইচ.ডি করার পরই ওনার বইগুলো বাজার পেতে থাকে।যদিও আমেরিকা থাকাকালীন উনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।কিন্তু ওনাকে পরিচিতি এনে দেয় ঢাবির একজন পি.এইচ.ডি নেওয়া অধ্যাপক হিসাবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কে বলেছে, হুমায়ুন আহমেদ রসায়নে পিএইচডি না করলে জনপ্রিয় হতেন না?