![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রংধণুর সাত রং দরকার নেই। একটা রং হলেই চলবে। সাদা। সেখানে আমি সাত রং বানিয়ে নিব।
টুই ক্লাসে ঘুমাচ্ছে। মাথা বেঞ্চে ঠেকিয়ে ঘুমাচ্ছে। সে এই ক্লাসের নাম দিয়েছে -ঘুমক্লাস।
এই ক্লাসের ওজিউল্লাহ্ স্যারের নিয়ম হলো ক্লাসের শেষে ক্লাসের কোন স্টুডেন্টকে দিয়ে রোল কল করা আর নিজে বসে বসে পান চিবানো। তখন স্যারকে পুরো রেলস্টেশনে রোজ ঘাস চিবানো রাম ছাগলের মতো লাগে।
টুই তার পাশের ভ্যাবলা টাইপের একটা মেয়েকে বলে রেখেছে রোল কলের সময়ই যেন ডেকে দেয় হয়। সেই হিসাব মতে মেয়েটা তার ডান বাহুতে একটা খোঁচা দিয়ে জাগিয়ে দিলো। টুই ঢুলতে ঢুলতে কোন মতো চোখের পাতা খুলে স্যারের পাশে দাড়িয়ে থাকা রোল কল করা মেয়েটাকে তার রোল বলল,
-১৮
-তোমার রোল নেয়া হবে না।
-কেন?
-তুমি ক্লাস করো নাই। পুরো ক্লাস ঘুমিয়েছো।
-আমি যদি বলি তুমিও ঘুমিয়েছো!
-আমি আবার কখন ঘুমালাম!
-অবশ্যই ঘুমিয়েছো। ঘুমক্লাসে সবাই ঘুমায়। তুমিও ঘুমিয়েছো। তুমি চোখ খুলে ঝিম মেরে তাকিয়ে তাকিয়ে ঘুমিয়েছো আর আমি হেড ডাউন করে ঘুমিয়েছি। তাহলে তোমার রোল দেয়া হলে আমার রোল থাকবে না কেন?
-আমি বলছি থাকবেনা তাই থাকবেনা, ব্যস।
টুই ক্ষিপ্র বেগে মেয়েটার হাত হতে খাতা টেনে দূরে ছুঁড়ে মারলো। আর মেয়েটা তার থেকেও তিনগুণ বেগে টুইয়ের কান চেপে ধরল।
টুই কান হতে মেয়েটার হাত ছাড়ানোর জন্য কোন প্রকার নম্র আচরনের ধার দিয়ে না গিয়ে হাত চেপে ধরে চিত্কার করে বলতে লাগল,
তোর এত্তো বড় সাহস তুই আমার কান ধরছিস!
টুইয়ের কান ধরে দাড় করিয়ে ওজিউল্লাহ স্যার পানের সাথে কথা চিবাতে চিবাতে বলল,
তুই ক্লাস না কইরা সপন দেখোছ! বেঞ্চের উপরে কান ধইরা এক পা তুইলা দাঁড়াই থাক।
অন্যদের উদ্দেশ্য করে বলল, আর তোরা ওরে দেখতে থাক।
স্যারের কথা মতো সবাই তার দিকে কাতল মাছের মতো বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল।
টুয়ের খুব লজ্জা লাগছে। খুব লজ্জা।
সে মনে মনে চাইছে এটাও স্বপ্ন হোক।
আচ্ছা স্বপ্নের ভেতর কি আরেকটা স্বপ্ন দেখা যায়??
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: হ্যাঁ স্বপ্নের ভেতরও স্বপ্ন দেখা যায়!!!!