নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য দুঃখিত .

হাবি জাবি মাথায় যা আসে তাই লিখি, কখনও মাথা লিখি কখনও ছাতা লিখি। লেখার উপায় যখন একটা পাইছি।

রংধণু

রংধণুর সাত রং দরকার নেই। একটা রং হলেই চলবে। সাদা। সেখানে আমি সাত রং বানিয়ে নিব।

রংধণু › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুই ও নিঃসঙ্গ দ্বীপ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

-এই টুই, টুই?



-কি আপু?



-ঘুম পাচ্ছে?



-উহু



-চল তাহলে নীল গিরি ঘুরে আসি।



টুই এক লাফে খাটের উপর

শোয়া থেকে উঠে বসে।

-ভালো হবে। কখন যাব? এখনি?



-হুম। এখনই সুযোগ। মাথায় বিপ বিপ

সিগনালটা পাচ্ছি।

গ্রে ম্যাটারটা উত্তেজিত

অবস্থায় আছে।



-চল তাহলে।

টুই ওর আপুর পাশে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ে। আপু একটা হাতের তালু দিয়ে টুইয়ের আঙুলগুলো চেপে ধরল। টুইয়ের আপুর অদ্ভুত একটা ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে ইদানিং যখন যেখানে ইচ্ছে মন আর মস্তিষ্কের শক্তিকে একটা লেভেলে নিয়ে এসে যেখানে ইচ্ছে চলে যাওয়া যায়।



এক্ষেত্রে প্রথমে মাথা থেকে সংকেত পাওয়া যায়। তারপর মনের ইচ্ছেকে কাজে লাগিয়ে সেই সংকেতের সমান সংকেত তৈরি করতে হয়। ইচ্ছে করলে দুজন সহযাত্রী নেয়া যেতে পারে। টুইয়ের আপু টুইকে নিয়ে যায় ঐ জগতে।অনেকটা স্বপ্নে চড়া যানের মতো। টুই এর আগে কক্সবাজার ঘুরে এসেছিল নিরাপদেই ওর আপুর হাত ধরে ঘুমের মাধ্যমে।



এই ক্ষেত্রে আগেই একটা টাইম লিমিট দিয়ে দেয়া থাকে যাতে সঠিক সময়ে তারা আবার শোবার বিছানায়

ফিরে আসতে পারে। এর মাঝে সময়ের ব্যাঘাত ঘটলেই যেকোন বিপদ ঘটতে পারে। আপু এ পর্যন্ত নিরাপদেই কয়েকটা জায়গায় ঘুরে এসেছে তাই বিপদ কম।





এটা টুইয়ের দ্বিতীয় ট্যুর।

তাই ভয় একটু কম লাগছে। টুইয়ের

মনে হচ্ছে তুলো রাজ্যে সে এসেছে।

পাশে আপু দাঁড়িয়ে আছে। তুলোর

জন্য আপুর মাথা দেখা যাচ্ছে না।

নিচটা কেমন একটা ভেজা কার্পেটের

মতো ঘাস দিয়ে মোড়ানো। টুইয়ের

পা খালি।



সে তুলোর

রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া মন্ডুবিহীন

আপুকে নিয়ে দৌড়াচ্ছেতো দৌড়াচ্ছে; টুপটাপ পানির র্স্পশ

পাচ্ছে গালে। বাতাসে তার ফ্রগ উড়ে উড়ে দোল খাচ্ছে।



হঠাৎ তার নরম গালে টুই টুকু্র করে ব্যাথা অনুভব করল। টুই আপুর হাত ছেড়ে চটাশ করে গালে থাপ্পর বসিয়ে দিল।



এহেএ.. পেটে ফেটে মশাটার রক্ত তার হাতে লেগে গেছে। ঢাউশ আকৃতির

একটা মশা হাতের তালুতে চ্যাপ্টা হয়ে পড়ে আছে।



-আপু, ও আপু,দেখো নীল

গিরিতে বাসার মতো কত বড় মশা!



আপু?



আপু কৈ?



আপু!





টুই চারপাশে তাকায়। এটা কোথায়!



এটাতো নীল গিরি না! এটাতো তার

বাসার বিছানাও না!!! তাহলে কি সে টাইম লিমিট ব্রেক

করে অন্য জায়গায় আটকা পড়েছে!



টুই হাঁটু ভাঁজ করে বসে পড়ে। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চ্যাপ্টা হাতের তালু দিয়ে মুখ ঢাকে।



আপু! তুমি কৈ?



আমি... আমি আর...আর মশা মারব না,



প্লিজ তুমি চলে এসো।



টুইয়ের কথা শুধু

প্রতিধ্বনি হয়ে ওর কাছেই

ধরা দেয়, দ্বীপের বাইরে কোন

বাসিন্দার কাছে আর পৌছায় না.........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.