নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা দেখতে চাইনি, তাই দেখেছে। যা শুনতে চাইনি, তাই শুনেছি। যা অনুভব করতে চাইনি, তাই করেছি। তাই এখন আমার দৃষ্টি, শ্রবণ আর অনুভূতির শক্তি প্রবল!

আফরুজা

নিজেকে পরিবর্তন করুন, অন্যকে না।

আফরুজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারো না বলা কথা.............

২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

হম! এমনটাই হয় ........... ষোল বছরে যখন বিয়ে হয়েছিল তখন জীবনের সীমানাটা ছিলো অনেক ছোট। সেখানে স্বপ্নের কোন অভাব ছিলো কি না তা এখন আর ভাবতে চায়না নাহার। এখন আমার বয়স ষাট ছুই ছুই। কি পেয়েছি জীবেন তা খুব জানেত ইচ্ছে কের। মানুষতো জীবনে একটা না একটা কিছু পায় আর শেই সুখেই জীবনের অনেক দুঃখ ভুলে থাকা যায়। তেমন কোন প্রাপ্তি আমার জীবনে নেই। যা আছে তা হল চাপা কষ্ট।



খুব একটা বয়স যখন হয়নি তখন আমি আমার সু-দর্শন বরের সাথে হাত ধরে চলে আসি শশুর বাড়ী। হাত কি সত্যিই ধরেছিলাম কিনা ঠিক মনে নেই! মানুষটা সুন্দর িছল এক কথায়।

কিন্তু এই সুন্দর দিয়ে সংসার নােমর কঠিন পরীক্ষায় পাস করা যায়না। একােন জয় করেত হয় সবার মন। তার পর দেখা যায় সবার মন জয় করেত করেত নিেজর মনটাই যেন কোথায় হারিয়ে যায়।

আমার বর ছিল বংসের বড় ছেলে সেই সুবাদে আমি হয়েছিলাম বড় বউ। অথচ আমার বাবা মার ঘরে আমি ছিলাম সংসারের ছোট মেয়ে। শাশুরি মারা গেছে উনি যখন ১০ বছরের বালক। শশুরের দ্বিতীয় বিয়ে আর সব মিলিয়ে আমি যে ভালো ছিলাম না সে খুব ভালো করে যানি। কত কষ্ট করেছি জীবনের তা আমিই জানি। আমার স্বামী ছিল সংসারের জন্য আত্মপ্রান। খালাতো ফুফাতো, জেঠাতো কারো আব্দারি ফেলতেন না তিনি। তাই আমার আব্দার গুলো আর মনেই থাকতো না।

আমার দেবরের বিয়ে হয়েছিল তার ভাইয়ের আগেই। শ্যামল, আমার দেবরের ছেলে , ওর জন্ম সোহাগের আগে। ভাবছেন সোহাগ কে? আমার বড় ছেলে। শ্যমলের আকীকায় ওর বড় চাচা মানে আমার স্বামী একটা স্বনের চেইন দিয়েছিল। এমন অনেককেই অনেক কিছু দিয়েছিল। কিন্তু আমার ছেলের ভাগ্যে একটা রুপার আংটিও কখনো যোটেনি। হায় ভাগ্য! আমার ছয় ছয়টা ছেলে মের ভাগ্য চলেছে নদীর স্রোতের মতই। ওরা কখনোই খুব একটা আদর পায়নি কারো থেকে।

এটাই হয়তো নিওতি। তাই হয়তো অন্যেদের মত এতটা নরম মনের মানুষ হয়িন ওরা। মনে আছে দুই পাশে দুই মেকে বোতল দুই দিয়ে ছোট ছেলেটাকে দুধ খাওয়াতার। বড় মা নেরা এই ছেলেটা। তবে বড় ছেলেটা ঠিক তার আলাদা। সেই ছোট থেকেই দায়িত্ব নিতে শিখেছে ও। আর না নিয়েই বা কি করবে!

যাই হউক, অন্য কথায় আসি আমার শশুর বাড়ীতে কেউই লেখা পরা তেমন জানতোনা আর এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথাও দেখিনি। আমি বরাবরই ভালো ছাএী ছিলাম। তবে পড়াশুনার দোড় সেই নবম শ্রেনী পর্যন্ত। আমার স্বামী শশুর বাড়ীর একমাএ বি.এ পাশ করা ছেলে। তাই খুব ভালো। ইচ্ছে ছিল কিছু পাই আর না পাই ছেলে-মেয়ে গুলোকে অনেক পড়াবো।



বড় ছেলের যখন ছয় মাস বয়স তখন স্বামীর পাঁচ'শ টাকা বেতনের উপর নির্ভর করে চলে আসি ময়মনসিংয়-ই। শুরু হয় আমার একার সংসার। এটাই ছিল ওনার প্রথম চাকরী, মাইনের একটা বড় অংশ চলে যেত গ্রামের বাড়ি। তবে মনে পরে না শশুর বাড়ী থেকে একটু ধান, গম চিরা পেয়েছি কি না। ভাবছের শশুর বাড়ীর এতও গুনগান করছি আমিই বা কেমন। কি করবো বলেন।

তবে আমার শশুর বেশ স্নেহ করতেন আমাকে। মনে পরে শেষ বয়সে উনি প্রায়ই আমার বাসায় এসে থাকতেন । ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন তাই খেতে বসে বা যেখানে সেখানে পস্রাব- পায়খানা করে দিতেন। আর তা আমিই পরিস্কার করতাম। ভাবছেন এটা বলার কি আছে? তাই তো নিজের বাবা হলেও তো তাই করতাম! এ জন্য বলছি যে এই কাজ গুলোর জন্য কখনো কারও স্বীকৃতি পাইনি।

এই যে বললাম স্বীকৃতি এটা শুধু আমি না সবাই চায়। কখনো বাবা- মা , কখনো স্বামী আবার কখনো বা সন্তানের কাছে।

যা হোক এবার একটু অন্য কথায় আসি, মাঝে মাঝে আমার মনে হয় এই যে সংসার তিল তিল করে গড়া, এতো শ্রম, এতো যন্ত্রনা এই সব কেন করছি আমরা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯

পাগলমন২০১১ বলেছেন: চলুক।দেখা যাবে তখন...

২| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আফরুজা বলেছেন: চলার সময় নেই

৩| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

পাগলমন২০১১ বলেছেন: কেন?????????????????????????????????????????????

৪| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আফরুজা বলেছেন: লিখছি যে.............

৫| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

পাগলমন২০১১ বলেছেন: ওহ হো সরি মনে ছিলনা

৬| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: লিখতে থাকুন-

৭| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিপ্লব কান্তি বলেছেন: হুম

৮| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০১

য়িমতিআজ বলেছেন: দান লাভের চেয়ে অর্জন করা সম্মানজনক...
কিছু মানুষ আরো খারাপ অবস্থায় আছেন...
অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আপনি কী কী করেছেন?
অনেকেই বলেন, দৃষ্টিভঙ্গী বদলান জীবন বদলে যাবে...

৯| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৫৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: সংসার জীবনে কোন মেয়েটা যে সুখী.......!!
হায় বাংগালী নারী(!) চাপা কান্না-দীর্ঘ শ্বাস ই যার সম্বল....

১০| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫১

বড় বিলাই বলেছেন: যে এই কষ্টকে দেখেও না দেখার ভান করে থাকতে পারে, সেই সুখী। এছাড়া বাঙালী মেয়েদের সুখী হবার আর কোন পথ দেখি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.