নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে এসেছিল আমার জীবনে প্রথমহয়তোবা সে-ই আমার শেষবিকেলের হলুদাভ আভায়আমি খুঁজি তারই লুন্ঠিত অবশেষ।
ভন্ডামী যারা পছন্দ করে তাদের কথা ভিন্ন। যারা পছন্দ করেন না এবং নিজেদের মুসলিম দাবী করছেন তাদের জন্য বলছি : দেশকে মা বললে কি সেটা আক্বীদার পরিপন্থী হয় ? মানে তাতে কি ঈমান নষ্ট হয়ে যায় ?
আমাদের দেশে ভাষা ব্যবহারে দুই ধরনের মৌলবাদী দেখতে পাওয়া যায়:
এক. এরা কোন মুসলমানী শব্দ ব্যবহার করেননা -প্রয়োজন হলেও।
দুই. প্রয়োজন না থাকলেও মুসলমানী (আরবী-ফার্সী) শব্দ ব্যবহার করে। এবং সবসময় তারা প্রতিষ্ঠিত কোন হিন্দুয়ানী (যে শব্দগুলো হিন্দু পুরাণের সাথে সম্পর্কযুক্ত) শব্দের বিকল্প শব্দ নির্মাণে সচেষ্ট-তাতে ভাষার লাভ হোক বা ক্ষতি হোক তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা। যেমন- কৃষ্ণচূড়া শব্দের পরিবর্তে তারা ব্যবহার করে রক্তচূড়া।
এই বিরোধ সহসা মিটে যাবে এমনটা আমি ভাবছিনা। তবে একটা বিরোধ না মিটালে জাতির মধ্যকার বিভাজন কখনো দূর হবেনা।
কাল একজনকে বলতে শুনলাম-দেশকে মা বলা আমাদের আক্বীদা পরিপন্থী। মানে দেশকে মা বললে মুসলমানদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। তার এই কথায় আরো অনেককে সাপোর্ট দিতে শুনলাম। তখন নিজেকে একেবারে মুর্খ মনে হল। এত বছর বয়সেও একজন মুসলিম হয়ে জানলামনা যে আমার ঈমান অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ সেই ছোটবেলা থেকেই তো আমি জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আসছি। আর জাতীয় সঙ্গীতে তো দেশকে মা বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
তো যারা মনে করে জাতীয় সঙ্গীত গাইলে মুসলমান আর মুসলমান থাকেনা তারা নিশ্চয়ই সবসময় সুযোগ খুঁজবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের। আর অন্যরা নিশ্চয়ই কখনো তা হতে দিবেনা। তাহলে এ বিরোধের মিমাংসা কিভাবে সম্ভব ?
এ ব্যাপারে চুপিসারে নিজেদের মত নিয়ে ঘুরে না বেড়িয়ে আমি সেই সব মুসলিমদের আহ্বান জানাব আপনারা যারা মনে করেন এই গান গাইলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে তারা নিজেদের যুক্তিসহ বিষয়টা জনসম্মুখে তুলে ধরুন। আর স্বাধীনতার ৪০ বছরেও যদি নিজেদের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে আপনাদের আপত্তি থাকে সেটা তো অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক!
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, দেশকে মা বললে তাতে ঈমান যায়না। যারা মনে করেন ঈমান যায় তাদেরকে অনুরোধ করছি সে ব্যাপারে কোরান হাদীসের কোন রেফারেন্স থাকলে দিবেন দয়া করে। আর যারা মনে করেন যে দেশকে মা বললে ঈমান চলে যায় স্বাধীনতার ৪০ বছর পর কি তাদের ঈমান আদৌ আছে ?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৮
আগামি বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। অযথা বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে তাদের উদ্দেশ্যর সততা নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
মুন্তাছির রহমান বলেছেন: সবচে ভালো হয় যদি আপনি নিজেই কোরআন হাদিছ পড়ে নিজের বিশ্বাস কে ১০০% শুধধ করতে পারেন ।মনের আবেগের নাম ইসলাম না , ইসলাম হল আল্লাহর আদেশ পালন ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪
আগামি বলেছেন: আমার তো কোন সমস্যা মনে হয়নি। যাদের সমস্যা মনে হচ্ছে তাদের যুক্তিগুলো জানতে চাচ্ছি।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
মাস্টার বলেছেন: ***'এবং মুহাম্মদ (সাঃ) যে আল্লাহ'র রাসুল এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ প্রকাশ করছেন না' হবে।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০
জোবায়ের বলেছেন: আকাশে যত তারা, মামলার তত ধারা।
যারা বলেন মা বললে ঈমান নষ্ট হয় বলেন তাদের হাজারটা যুক্তি পাবেন, যারা বলেন ঈমান নষ্ট হয় না তাদের পক্ষেও হাজারটা যুক্তি পাবেন (উভয় পক্ষে রেফারেন্স সহ)। আপনি আপনার নিজের বিচার বুদ্ধি ব্যবহার করুন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫
আগামি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০
আলাদীন বলেছেন: মাস্টারের সাথে একমত।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রাফিম্যান বলেছেন: দেশকে মায়ের সাথে তুলনায় কোন সমস্যা আছে কিনা তা বলব না, তবে দুই একটি বিষয়ে না বলে পারছি না। আমাদের জাতীয় সংগীতে বলা হয়েছে চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাসাত আমার প্রানে বাজায় বাশি...এখানে যদি আকাশ ও বাতাসের মালিক আল্লাহ বাদ দিয়ে যদি দেশরূপী মা (কিংম্বা হিন্দু দেবী) হয় তবে বেশ সমস্যা আছে বৈকি!আর এর দলিল হল -"আসমান ও জমীন এবং এতদোভয়ের মধ্য যা কিছু আছে সবই আল্লাহ....(আল কুরআন) তাই এরূপ একটি জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন আমরা চাইতেই পারি। এখানে সমস্যা এটা নয় যে গানটি একজন হিন্দু ভদ্রলোকের লেখা যিনি একদা এই বাংলাদেশে শিক্ষাবিস্তারের বিরোধিতা করেছেন বরং মূল সমস্যা হল ভাষাগত এবং বিশ্বাসগত। আমার মনে হয় দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় কর্তৃক রচিত ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই ....গানটি আপনার ভাষায় যারা মৌল বাদী তাদের কোন আপত্তি থাকবে না জাতীয় সংগীত হিসাবে প্রবর্তন করলে। আর জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবী কোন রাষ্ট্রোদোহী বিষয় নয়। রাশিয়াতে সম্প্রতিককালে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা হয়েছে জানেন নিশ্চয়। ধন্যবাদ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৫
আগামি বলেছেন: দ্বিজেন্দ্রনাথ নয় দ্বিজেন্দ্রলাল।
হয়তো একদিন বাংলাদেশটাকেও পরিবর্তনের দাবী তুলবে তারা- যারা আজ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবী তুলছে।
সব কিছুই তো আল্লাহর। তারপরও কি আমরা বলছিনা এটা আমাদের বাড়ি ওটা অমুকের। আপনি কি আপনার পরিধেয়গুলোকে বলছেন না আপনার পোষাক ? আল্লার দেয়া সবকিছুই ভোগের অধীকারের ভিত্তিতে যদি আমরা বলতে পারি ওটা অমুকের। তাহলে ভৌগলিক অধীকারের ভিত্তিতে কেন বলতে পারবনা এই আকাশ মাটি এই এদেশের ? এখানে কেন বলতে হবে এসব আল্লাহর?
সত্যিই কিছু কিছু যুক্তি শুনে জ্ঞানপাপী মানুষদের নতুন নতুন চেহারা আবিষ্কার করি।
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
আবদুল্লাহ্ আল্ মামুন বলেছেন: মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরতের সময় নবীজি --- মক্কার দিকে ফিরে বলছিলেন :
"হে আমার মাতৃভুমি আমাকে বাধ্য করা না হলে, আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যেতাম না ।"
নবীজি যদি মাতৃভুমিকে মা'য়ের সাথে তুলনা করতে পারেন, তবে ভন্ডআমিনী আমিনী কোন ছাড় ।
ভাষা, মাতৃভুমি কোন পন্ডিতের দান না, আমরা তা অর্জন করেছি - রক্তের দামে ।
কোন শালা'র যদি এই ভাষা, এই মাতৃভুমি ভাল না লাগে । তাহলে তারা যেন তাদের পছন্দের জাহান্নামে চলে যায় ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৯
আগামি বলেছেন: এই দেশ পছন্দ না হলে পছন্দের জাহান্নামে চলে যাক-একমত।
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১২
সোজা আঙ্গুল বলেছেন: শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বললে যদি ইমান আক্বিদা না যায় তাহলে নিজের দেশকে মা বললে ইমান আক্বিদা যায় কীভাবে ? যেখানে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জাতির পিতা একমাত্র হযরত ইবরাহীম (আঃ)। আমাদের ইমান আক্বিদা কি এতই লুজ, যে দেশকে মা বললেই তা চলে যাবে ?
এটা স্পষ্টতঃই বুঝা যায় আমাদের জাতীয় সংগীতের পরতে পরতে মা এর বন্দনা থাকলেও মূলতঃ তা আমাদের দেশ মা না। বর্ণনা বন্দনা গুলি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় রবীন্দ্রনাথের কালী মা এর।
এবার একটু সংশয়ে পড়ে গেলাম এমন জাতীয় সংগীত হৃদয়ে ধারণ করলে আমার ইমান আক্বীদা যেতে তা লুজ হওয়া লাগবে কি-না।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৪
আগামি বলেছেন: আলমুতলাকু ইজা উতলিকা ইউরাদু বিহিল ফারদুল কামিল- এই সুত্রের দিকে যাচ্ছেন কেন ? গানের শুরুতেই বলা হয়েছে " আমার সোনার বাংলা"। তারপরও বলবেন কালি বন্দনা ? আপনারা যে কত ধরনের অনুমান করতে পারেন আল্লাহ মালুম।
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৩
নভোচারী বলেছেন: আগে দেখতে হবে মা বলতে কী বোঝানো হয়েছে? হিন্দুদের দেখা যায় তাদের দেবীদেরকে তারা মা বলে ডাকেন। তাদের বিশ্বাস মতে দেবী তাদের সাহায্য করতে পারেন। এইভাবে যদি কেউ দেশকে তুলনা করে তবে তা শিরক হবে বলে আমার মত।
তবে আমি দেশকে দেশ বলতেই পছন্দ করি। মা বলতে কেমন যেন বেখাপ্পা লাগে। এই কথায় যদি কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগে তবে দুঃখ প্রকাশ করছি। দেশ আমার পিতৃভূমি, মাতৃভূমি। কারণ এটি আমার পিতামাতার দেশ। তাই এদুটি ডাকতে আমার সমস্যা নেই।
এখন আবার এটা ভাববেন না যে "এও বোধহয় 'মা বললে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে' এই দলের লোক"।
আমার ডাকতে ভাল লাগে না তাই ডাকি না। এটাই আসল কথা।
এসব আমার নিজের মত। ফতোয়া না। আমি মুফতি না। আর মুফতি ছাড়া অন্য কেউ ফতোয়া দিতে পারে না।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১১
আগামি বলেছেন: আপনি যদি হিন্দু হন তাহলে তো আপনার দেশকে মা বলতে সমস্যা হবার কথা নয়। আর যদি মুসলমান হন তাহলে হিন্দু বিশ্বাসে আপনার কি যায় আসে ? আপনি যা বলছেন তাতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন সেটাই তো আসল কথা।
আপনি তো আপনার মা-কেও মা বলেন তাইনা ? আপনি কি তাহলে হিন্দু বিশ্বাস মতে মা-কে দেবী বলছেন ? নাকি বলবেন আপনি মা-কেও মা বলেন না বলেন আম্মু ? তাহলে তো আপনি হয়তো এই ফতোয়াও জারি করবেন যে, মা-কে মা বললে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে !
আপনাদের এইসব ঠুনকো যুক্তি শুনে শুনে সত্যিই ক্লান্ত !!
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। সময় থাকলে আলোচনায় অংশ নিতাম। আপাতত বিষয়টা সামনের আনার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৬
আগামি বলেছেন: ধন্যবাদ । হয়তো সময় ও সুযোগ হবে একদিন। সেদিন আলাপ হবে আশা করি।
১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৩
নভোচারী বলেছেন: আপনি আমার কথা বুঝতে পারেননি। আমি বলছি হিন্দুরা যেমন দেবীর বিষয়ে ভাবেন "মা সাহায্য করবেন" এই মনোভাব পোষণ করলে শিরক হবে। দেশকে যদি কেউ সেভাবে দেখে তবে আপত্তি করা স্বাভাবিক। তবে আমার মনে হয় না কেউ "দেশ আমাকে সাহায্য করবে" এই মনোভাব পোষণ করে। বরং সবাই ভাবে "আমার নিজের দেশকে সাহায্য করা উচিত"।
আর আমি কোনো ফতোয়া জারি করিনি। এইসব কথা অনেকে ফতোয়া মনে করে বসে থাকে বলেই কমেন্টের শেষের কথাগুলো বলেছিলাম। এগুলো একান্তই আমার নিজস্ব মত।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৯
আগামি বলেছেন: আমিও আপনাকে সম্বোধন করে বললেও মূলত তাদেরকে বুঝিয়েছি যারা ওই যুক্তিগুলো বিশ্বাস করে। আপনার অবস্থান জেনে ভাল লাগল।
ভাল থাকুন।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৫
প্যারাডক্সিকেল সাজিদ বলেছেন: হাদীসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জন্ম ভূমিকে মাতৃভূমি হিসেবে তুলনা করেছেন, আর মাতৃভূমি মানে “মায়ের ভূমি”; এখানে তিনি তার স্বদেশ কে মা বলেননি তিনি বলেছেন, মাতৃভূমি। এবং যারা বলেন, যে এ বিষয়ে কোরআন হাদীস থেকে দলীল দিতে তাদেরকে বলবো যে কোরআন এবং হাদীসের কোথাও আমরা পাই নি যে দেশকে মা বলে সম্বোধন করা যাবে। এখন আপনি যদি কোরআন এবং হাদীসের কোনো রেফারেন্স দিতে পারেন যে দেশকে মা বলে সম্বোধন করা যাবে তাহলে দলীল পেশ করুন... কোরআন এবং হাদীস আবেগ দিয়ে কিংবা ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়, এর জন্য হেকমত থাকা জরুরী। আর হেকমত এবং হেদায়াত কখনো নিজে থেকে অর্জন করা যায় না; আল্লাহ যাকে দেন সেই তা প্রাপ্ত হয়। তাই না জেনে না বুঝে কোরআন এবং হাদীসের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেয়ে চুপ থাক উত্তম।
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
মন সীমানা বলেছেন: যেকোনো কিছু নিষেধাজ্ঞার জন্য শরঈ প্রমাণ লাগে! মায়ের মর্যাদায় আসীন অস্তিত্বকে মা বলাটা এটা স্বভাবজাত বিষয়। এটার জন্য দলিল লাগেনা। তারপরও দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করার দলিল রয়েছে। নবীজী স্বদেশের ভূমিকে মাতৃভূমি অর্থাৎ মায়ের ভূমি বলে মায়ের সাথে তুলনা করাটাই তার বড় প্রমাণ। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি স্বদেশের ভূমিকে মাতৃভূমি না বলে পিতৃভূমিও বলতে পারতেন! এটাই হলো দেশের সাথে মাকে সম্পৃক্ত করাটা ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নবীজী মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরতের সময় নবীজি --- মক্কার দিকে ফিরে বলছিলেন : "হে আমার মাতৃভুমি আমাকে বাধ্য করা না হলে, আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যেতাম না ।" পারলে কেউ স্বদেশকে মা বলা যাবেনা এরূপ নিষেধাজ্ঞার কোরআন-হাদীস থেকে দলিল দিয়ে প্রমাণ করুন।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মন সীমানা বলেছেন: যেকোনো কিছু নিষেধাজ্ঞার জন্য শরঈ প্রমাণ লাগে! মায়ের মর্যাদায় আসীন অস্তিত্বকে মা বলাটা এটা স্বভাবজাত বিষয়। এটার জন্য দলিল লাগেনা। তারপরও দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করার দলিল রয়েছে। নবীজী স্বদেশের ভূমিকে মাতৃভূমি অর্থাৎ মায়ের ভূমি বলে মায়ের সাথে তুলনা করাটাই তার বড় প্রমাণ। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি স্বদেশের ভূমিকে মাতৃভূমি না বলে পিতৃভূমিও বলতে পারতেন! এটাই হলো দেশের সাথে মাকে সম্পৃক্ত করাটা ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নবীজী মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরতের সময় নবীজি --- মক্কার দিকে ফিরে বলছিলেন : "হে আমার মাতৃভুমি আমাকে বাধ্য করা না হলে, আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যেতাম না ।" পারলে কেউ স্বদেশকে মা বলা যাবেনা এরূপ নিষেধাজ্ঞার কোরআন-হাদীস থেকে দলিল দিয়ে প্রমাণ করুন।
বাকী রইলো শিরকের গন্ধ! যারা নাকে শিরকের গন্ধ নিয়ে বেড়ায় তারাই সবকিছুতে শিরক খুজে পায় সহজে। আকাশ-বাতাস, নদী-সমুদ্র সব কিছুই আল্লাহর সৃষ্টি আল্লাহই হলো প্রকৃত মালিক, আর দেশ হলো অপ্রকৃত মালিক। দেখুন বাংলাদেশের যে সীমানা দিয়ে আকাশ-বাতাস, নদী-সমুদ্র বয়ে গেছে তা বাংলাদেশেরই আকাশ-বাতাস, নদী-সমুদ্র বলা হয়। তদ্রুপ বাংলার আকাশ-বাতাস, নদী-সমুদ্র বলাতেও শিরকে দ্বোষের দুষ্ট করার সুযোগ নেই। জমি-জমা, মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী সহ পৃথিবীর সবকিছুরই স্রষ্টা আল্লাহ হওয়া স্বত্বেও এটা আমার, এটা তোমার বলাতে শিরকের কিছু নেই। সমস্যা হলো বুঝের অভাব!
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
মন সীমানা বলেছেন: মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি শায়বা ইবনু রাবিআ, উতবা ইবনু রাবিআ এবং উমাইয়া ইবনু খালফের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন; যেমনিভাবে তারা আমাদের মাতৃভূমি থেকে বের করে মহামারির দেশে ঠেলে দিয়েছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৮৯)।
স্বদেশ এর ভূখন্ডকে কে পিতৃভূমি না বলে মাতৃভূমি বলে মায়ের সাথে তুলনা করাটাই নবীজীর স্বদেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২১
মাস্টার বলেছেন: দেশকে মা বলে আপনি যেহেতু আল্লাহ'র সাথে কাউকে তুলোনা করছেন না, আর আপনি আল্লাহ'ত কে অস্বিকার করছেন না, এবং মুহাম্মদ (সাঃ) যে আল্লাহ'র রাসুল এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ প্রকাশ করছেন - দেশ কে মা বললে আপনার ঈমান যাচ্ছেনা।
ধর্ম কে ঠিক মত না বুঝে অনেকেই এমন কথা বলে থাকেন। তাদের কথায় কান দিবেন না। আমি নিজেও তেমন কিছুই জানিনা, কিন্তু ইসলাম ধর্মে কোন বাড়াবড়ি নাই এটুকু জানি।