নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জেনেছি দৈন্য ঘুঁচাও এবার দীনতা

আগামি

সে এসেছিল আমার জীবনে প্রথমহয়তোবা সে-ই আমার শেষবিকেলের হলুদাভ আভায়আমি খুঁজি তারই লুন্ঠিত অবশেষ।

আগামি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁদালাপ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

-শোনো মেয়ে! আমাকে এত বিশ্বাস করো না। আমি কিন্তু খুবই খারাপ। পুরুষরা সাধারণত খারাপ কিসেমের হয়।



বোকা মেয়ে ভাবছে-

ছি: আমি এই লোকটাকে বিশ্বাস করেছিলাম! যে নিজেকেই খারাপ বলে তার চেয়ে খারাপ লোক কি আর আছে ? আজকাল আসলে কাউকেই বিশ্বাস করা ঠিক না।



কিঞ্চিত চতুর মেয়ে ভাবছে -

মিঞা কী মনে কর নিজেকে ? একমাত্র তুমিই সব বোঝো আর সবাই গাধা ? তুমি যতই আমারে দূরে সরানোর চেষ্টা করো না কেন কাজ হবে না। আমি জানি তুমি আসলেই ভাল লোক। একমাত্র ভাল লোকরাই পারে এভাবে নিজের সম্পর্কে অন্যদের সতর্ক করতে।



ততোধিক চতুর মেয়ে-

আরে বলদ কি আর গাছে ধরে! তুমি ভাবছো তুমি নিজের সম্পর্কে খারাপ কথা বললেই আমি তোমারে ভাল বইলা সার্টিফিকেট দিয়া দিমু ? অত বোকা আমি না।



(লক্ষ্যণীয়- বোকা আর চরম চতুরের ভাবনার ধরণের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও সিদ্ধান্তের ধরণে মিল আছে)



ততধিক চতুর মেয়ের জন্য ততোধিক চতুর ছেলের পরের বাক্যটি এমন- শোনো ! তুমি হয়তো ভাবতে পার এই লোকটা নিজের সম্পর্কে যেহেতু খারাপ বলছে, আসলে সে ভাল। কিন্তু মূল কথা হলো আমি আসলেই খারাপ। কারণ, সাধারণত মানুষ নিজের সম্পর্কে ভাল ধারণা দেয়ার জন্যই নিজ সম্পর্কে খারাপ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করে। বলতে পার, আমি যদি খারাপই হব তাহলে আমার সম্পর্কে তোমাকে খারাপ ধারণা কেন দিচ্ছি। কারণ একটাই সেটা হল তুমি আমাকে যাতে ভাল মানুষ মনে কর।



এবার মেয়েটির সিদ্ধান্তে চিড় ধরবে। ভাববে, এভাবে বলার একটাই মানে হতে পারে আর তা হলো- সে নিজেকে আসলেই খারাপ হিসেবে তুলে ধরতে চায়। যা সাধারণত একজন খারাপ মানুষ চায় না। অতএব সে কিঞ্চিত চতুর মেয়ের মতই সিদ্ধান্ত নিবে। এবং ভুল করবে। কারণ ছেলেটা জানে, নিজেকে অসৎ প্রমাণের মাধ্যমেই প্রকৃত অর্থে সৎ প্রমানিত করা সম্ভব হয়।



বিশেষজ্ঞ পরামর্শ : কাউকে আগে থেকেই ভাল বা খারাপ ভাবার কিছু নেই। মানুষের কথার মারপ্যাচেও তাকে ভাল বা খারাপ ভাবার কিছু নেই। মানুষের কাজ দেখুন। প্রতিটি কাজের মাধ্যমেই মানুষের ভাল বা খারাপ মানসিকতার প্রকাশ ঘটে। আস্থা রাখুন কিন্তু বিশ্বাস করবেন না। বিশ্বাসের অপর পিঠেই লেখা থাকে প্রতারণা। একজন মানুষ সারা জীবন ভাল কাজ করলেও যে কোন মুহূর্তে খারাপ কাজে জড়াতে পারে। সুতরাং একজন অপরিচিত মানুষের ক্ষেত্রে যে সাবধানতাগুলো অবলম্বন করেন, পরিচিত মানুষের ক্ষেত্রেও সে সাবধানতা অবলম্বনে এতটুকু ভুল করবেন না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

স্বপনচারিণী বলেছেন: ঠিক। যেমন-মানুষ প্রতিজ্ঞাই করে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের জন্য। তাই বিশ্বাস, অবিশ্বাসের দোলায় না দুলে তার কার্যক্রম অবলোকন করা উচিৎ। আর ভাল, মন্দ মিলিয়েই তো মানুষ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

আগামি বলেছেন: হুম ভাল মন্দ মিলিয়েই মানুষ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

মূর্তিমান বলেছেন: সে এসেছিল আমার জীবনে প্রথম
হয়তোবা সে-ই আমার শেষ
বিকেলের হলুদাভ আভায়
আমি খুঁজি তারই লুন্ঠিত অবশেষ



খুব ভাল লাগছে এই কথা গুলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

আগামি বলেছেন: উহা একটি কবিতার অংশ। যদিও কবিতাটা লেখার অনেক আগেই উহা লিখেছিলাম। আমার ডায়েরির শ্লোগান হিসেবে....

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



কর্মই একজন মানুষকেই চিনিয়ে দেয়। আপনার পোষ্টের সাথে সহমত ।।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

আগামি বলেছেন: ধইন্যাপাতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.