নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জেনেছি দৈন্য ঘুঁচাও এবার দীনতা

আগামি

সে এসেছিল আমার জীবনে প্রথমহয়তোবা সে-ই আমার শেষবিকেলের হলুদাভ আভায়আমি খুঁজি তারই লুন্ঠিত অবশেষ।

আগামি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কি তবে ব্যক্তিগত/সামাজিক সেনাবাহিনী দরকার ?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

সামাজিক বা যৌথ সেনাবাহিনীর ধারণাটা এই যুগে এই দেশে কি একটু বেশি বেমানান ? সেভেন সামুরাই'র গ্রামবাসীর মত আমরা তো আর কোন বাহিনী ভাড়া করতে পারব না, তাই নিজেরা মিলেই সেনাবাহিনী গড়ে তুললে কেমন হয় ?



বিষয়টা একটু খোলসা করি। আমরা সরকারকে ট্যাক্স দেই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ নিরাপদে থাকার জন্য। কিন্তু কতটুকু নিরাপদ আমরা ? প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় চোখ বুলালেই বোঝা যায় কী পরিমান নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে এদেশের মানুষ। খুন-ধর্ষণ-ছিনতাই-চাঁদাবাজী এখন নৈমত্তিক ব্যাপার।



কারণ কি ? কারণ হল অপরাধীদের হাতে হাতে ঘুরছে আগ্নেয়াস্ত্র। কিন্তু ভাল মানুষরা নিরস্ত্র। যাদের হাতে আইনত অস্ত্র থাকে তারা বিপদের সময় থাকে অনুপস্থিত। কখনো কখনো তারা নিজেরাই জড়িয়ে পড়ে এ ধরণের অপরাধে। আর যদি তারা কোন অপরাধীকে ধরে আইনের হাতে তুলে দেয়ও আইন ব্যবসায়ীদের বদৌলতে তারা ছাড়া পেয়ে যায়। ফলে দেশের সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েছে চুড়ান্ত অরক্ষিত।



এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় হতে পারে সামাজিক সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রের অনুমতি সাপেক্ষে কোন এলাকার লোকেরা মিলে গড়ে তুলবে নিজস্ব সেনাবাহিনী। এদেরকে ট্রেইন্ড আপ করবে নিয়মিত সেনাবাহিনী। এদের হাতে অস্ত্র থাকবে। নিজস্ব কমিউনিকেশন ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে গোয়েন্দা বাহিনী। সদস্য পরিবারগুলো নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে একের বিপদে অন্যে এগিয়ে আসবে। নিজের নিরাপত্তার ব্যাপার জড়িত থাকবে বলে তারা অপরাধীদের সাথে হাত মিলাবে না। ফলে অপরাধীদের অপরাধের পরিমান কমে আসবে। স্থানীয় পুলিশ এবং জনতা মিলে যদি এই যৌথ বাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব হয় তাহলে সেটা আরো কার্যকর হতে পারে।



আমার এই প্রস্তাবনার কারণে কেউ আবার বইলেন না দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ। সত্যি বলতে কি বর্তমানে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পরিস্থিতির চেয়ে ভাল আছে। আমি তো বলবো হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভাল অবস্থা এখন। এই যেমন ধরেন ক'দিন আগে আমাকে একজন ফোন দিয়ে টাকা চাইলো। না দিলে খবর আছে বলল। আমার পকেটে তখন মোটে দেড় হাজার টাকা। এত কম টাকা অমন সম্মানিত একজন সন্ত্রাসীকে কিভাবে দেয়? আমি তাই দিতে পারব না বলে দিলাম। কিন্তু তারা এখনো আমার কোন ক্ষতি করেনি। অন্য যে কোন সময় হলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে আমার দফা রফা করে ফেলত!



যারা অপরাধ করে পুলিশ কি চাইলে এই শ্রেণীটাকে নির্মূল করতে পারে না ? অবশ্যই পারে। কিন্তু একটা কথা আছে না " চোরকে ডাকিয়া কহে চৌকিদার। তুমি না থাকিলে বন্ধু হইতাম বেকার।" আমরা নিজেরাই যদি পুলিশ/সেনা হইয়া যাই। তাইলে তো অপরাধী শ্রেণীটাকে বাঁচাইয়া রাখার কোন প্রয়োজনই থাকবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: দক্ষিন কোরিয়াতে বলে পুলিশ আউট সোর্সিং হচ্ছে । বাংলাদেশেও এরকম আউট সোর্সিং করা যেতে পারে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

আগামি বলেছেন: দক্ষিণ কোরিয়ার সিস্টেমটা একটু ক্লিয়ার করেন তো ভাই।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: এইটা এক অদ্ভুত দেশ ভাই!@

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আপনার আইডিয়াই । তাদের টা সেনাবাহিনী না বলে পুলিস বলে । এই যা । এলাকার আপনার আমার মত লোক । পুলিসের সাথে পুলিসিং করে । সরকার বেতন দেয় । আবার পার্ট টাইম বলে, অন্য সময় সাধারন জব করে । ফলে পেনসন বা এই ধরনের সুবিধার প্রেসার তৈরি হয় না সরকারের উপর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.