নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাঙ্গামাটি ছবি ব্লগ (পর্ব- পাঁচ)

১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

কাপ্তাই উপজেলাটা দেশেরে মানুষের কাছে যতটা না পরিচিত তার থেকে বেশী পরিচিত এর একটা ইউনিয়ন। ইউনিয়নটির নাম চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন। এই চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নেই অবস্থিত কর্নফুলী পেপার মিলস লিমিটেড। দুঃখের বিষয়টা হল সময়াভাবে আমি এই কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারি নাই। তাই বাইরে থেকেই ছবি তুলতে হল।



কর্নফুলী পেপার মিলস লিমিটেড

কাপ্তাই উপজেলা থেকে রাঙ্গামাটি শহরের দূরত্ব প্রায় ৫০/৬০ কিলোমিটারের মত। যানবাহন বলতে এখানে চলে সি এন জি আর বাস। পাহাড়ি আকাবাকা রাস্তায় বাসগুলো যে বেপরোয়া ভাবে চলে তাতে আমি অনেক বেশি ভয় পেয়েছিলাম এবং বাহন হিসেবে সি এন জি টাকেই বেছে নেই। সি এন জি কে স্থানীয়রা বলেন ট্যাক্সি। এখানকার সি এন জি তে উঠতে গেলে অনেক সাবধান। এদের হিসাবটা একটু অন্য রকম। মনে করেন ৪০ কিলোমিটারের ভাড়া ৫০০ টাকা। এখন যদি ১৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর সি এন জি ওয়ালা যদি তার কোন সমস্যার কারনে আর না যেতে পারে তবু আপনার কাছ থেকে পুরো ভাড়া আদায় করে ছাড়বে। আরেকটা বিষয় দেখার মত ছিল। একটা সি এন জি তে মোট সিট ৫ টা। প্রতি সিটের ভাড়া যেই দূরত্বে ৪০ টাকা হলে মোট ভাড়া হয় ২০০ টাকা কিন্তু সেই দূরত্বে যদি আপনি রিজার্ভ যেতে চান তাহলে ভাড়া চাইবে ৫০০ টাকা।

কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ আসলে কাপ্তাইয়ে নয়। এটা অবস্থিত বড়ইছড়ি নামক স্থানে। দুপুরে খাবারের জন্য এখানে খুব বেশি হোটেল নাই কিন্তু রুপসী কাপ্তাই নামে একটা হোটেল রয়েছে যেটাতে অনেক চমতকার সব মারমা খাবার পাওয়া যায়। বেম্বু চিকেন, রুই মাছ, কাঁকড়া, মুরগী ইত্যাদি। যদিও আমরা যখন যাই তখন বেম্বু চিকেন কিংবা কাঁকড়া ছিল না। তাদের রান্নাটাও অদ্ভূত। রান্নায় তারা কি একটা পাহাড়ি পাতা ব্যবহার করে আর তরকারীর স্বাদটাই চেঞ্জ হয়ে যায়। শুরুর দিকে যদিও আমার খেতে একটু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু পরে অনেক মজা লাগা শুরু হয়।

হোটেল রুপসী কাপ্তাইয়ের ভেতরেঃ











খাবারের ক্ষেত্রে আমার সব থেকে বেশি সমস্যা ছিল আতপ চালের ভাত। সিদ্ধ চালের ভাতের জন্য আমার মন কেদে উঠত কিন্তু সিদ্ধ চাল ছিল এই খুবই অপ্রত্যাশিত একটা বস্তু।

রাঙ্গামাটি থেকে বড়ইছড়ি যাবার পথে মাঝখানে ঘাগড়া নামক একটা বাজার পরে। স্থানীয়রা বলেন ঘায়ারা। একদিন বড়ইছড়ি যাবার পথে দেখি সেখানে হাট বসেছে। নেমে গেলাম পাহাড়ি হাট দেখতে।



পাহাড়ি আনারস



পাহাড়ি আম



স্তুপ করে রাখা কাঠাল



আনারস আর কলা



বেচাকেনা চলছে

এখানকার আদীবাসীরা হাটে কিভাবে যায় আমার দেখা হয় নাই কিন্তু আমি তাদেরকে দল বেধে ফিরতে দেখেছি। একটা চান্দের গাড়িতে করে তারা দল বেধে হাট থেকে ফেরে। কি যে অদ্ভূত সুন্দর সে দৃশ্য আমি তা বলে বোঝাতে পারব না। হাট বার ছাড়া আর কোন সময় আমি এই চান্দের গাড়ির দেখা পাই নাই।

চান্দের গাড়িতে হাট থেকে ফেরা



চান্দের গাড়িতে হাট থেকে ফেরা





এই জিনিসটা স্থানীয় ভাষায় কি বলে আমি জানিনা। কিন্তু আদীবাসীদের জীবনে এটার গুরুত্ব অপরিসীম। এটা নিয়ে তারা কাজে যায়, হাটে যায়, মাঠে ঘাটে সব জায়গায় যায়।



এবার পাহাড়ের উপরে কিছু মেঘ দেখিঃ











খুব ইচ্ছা ছিল, এই পাহাড়টা আমার থাকবে আর যেটা আমি কেউ একজনকে গিফট করব। দাম ও জিজ্ঞেস করেছিলাম পাহাড়ের। ৭/৮ লক্ষ টাকার মত হবে। কিন্তু অত টাকা তো আমি আর দিতে পারব না তাই মনে মনেই সেটার মালিকানা গ্রহন করে মনে মনেই কাউকে গিফট করেছিলাম।





রাঙ্গামাটি শহরে আমার সব থেকে প্রিয় নামহীন রাস্তাটা। একটা নাম ও দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু স্টাবলিশ করাতে গিয়ে ঝামেলায় পড়লাম। লোকজন পাগল- ছাগল ভাবা শুরু করল। তাই পাগলামী টা বাদ দিয়ে নামটা নিজের মধ্যেই রেখেই আত্মতৃপ্তি লাভ করার চেষ্টা করি আরকি...............

(চলবে)

রাঙ্গামাটি ছবি ব্লগ (পর্ব- চার)

রাঙ্গামাটি ছবি ব্লগ (পর্ব-তিন)

রাঙ্গামাটি ছবি ব্লগ (পর্ব- দুই)

রাঙ্গামাটি ছবি ব্লগ (পর্ব-এক)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চমৎকার একটি ছবি পোষ্ট।

১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: অনেক বছর যাওয়া হয়নি। প্রায় ১৭ বছর আগে সর্বশেষ গিয়েছিলাম।

১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আবার গিয়ে ঘুরে আসুন। ভাল লাগবে।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন! আপনার সাথে সাথে মনে হলো আমিও ঘুরছি।

১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা। ঘুরেন। ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

ভালো লাগলো ছবি ও ভ্রমণ কাহিনী।

১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই।

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৫৯

শ্রাবন৮৩৪৪ বলেছেন: কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর।

১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলে ওখানে যাওয়া হয়নি আমার। এরপর দেখি নেক্সট টাইম।

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: হুম । গিয়েছিলাম সেখানে ;)

১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: চমতকার একটা জায়গা না?

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
এখানে তো মং থাকে ;)

১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: কোথায়? আমি যেসব গ্রামে কাজ করেছি সেখানে থাকে মারমা আর তংচঙ্গারা। মারমাদের অনেকে মনে করেন তাদের সম্প্রদায় পূর্বে মগ নামে পরিচিত ছিল। মং জাতি গোষ্ঠী আমি এখানে পাই নাই।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
মং হল বাংলাদেশ আইডলের নাম ;) ;) ;) মং উচিং মারমা ;)

ও, ও বান্দরবান থাকে :( :-&

১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: জানতাম না। ধন্যবাদ। আমি ভেবেছিলাম আপনি মং জাতির কথা বলেছেন। হা হা হা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.