নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইস্যু- গাঁজায় ইসরায়েলী বর্বরতা; দেশীয় ধর্মভিত্তিক জনদল সমূহ ও সরকার

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দলের উপরের সারির নেতাদের খুব সাধারন একটা বৈশিষ্ঠ্য ছিল, কিছু হলেই মধ্য প্রাচ্যের পবিত্র কিছু ভূমিতে গিয়ে খোরমা-খেজুর খেয়ে আসা, আর ফেরার সময় সেই খোরমা খেজুরের বিচি পকেটে পুরে নিয়ে দেশে এসে নিজের মত বপন করা। এখন তারা নিয়মিত খোরমা-খেজুর খেতে পবিত্র ঐ ভূমিতে যান কিনা ঠাহর করে উঠতে পারছি না তবে বিচি যে তাদের মাথার মধ্যে রয়েছে এটা আমি নিশ্চিত। বিচি বস্তুটা মাথায় থাকে না, বড়জোর কান্ধে উঠতে পারে। আর যেসব প্রানী এই বস্তুটা মাথায় ধারন করতে পারে তারা নিঃসন্দেহে ‘শ্রেষ্ঠত্বের’ দাবীদার।

বৈশ্বিক রাজনীতির মোড় অন্য দিকে ঘুরে যাচ্ছে। খোরমা খেজুরের থেকে শূকর কিংবা পাঠার মাংস ভক্ষন অধিক পুষ্টিকর এবং উপাদেয় বলে মনে হচ্ছে। যাই হোক, যে কথা বলছিলাম খোরমা-খেজুর ভক্ষন করা এসব নেতা ইসলামের ঝান্ডা এমন ভাবে তাদের স্বীয় স্কন্ধে ধারন করেছিলেন যা হয়ত বা অনেক বড় বড় সাহাবীরাও করতে পারেন নাই। ‘দ্বীন ইসলামের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’- বাস্তবিক দ্বীন ইসলামের সামান্য কিছু হলেই নারায়ে তাকবির…… বলে এরা ঝাপায়া পরেন, মালো পাড়ায় আগুন দেন, মন্দির-গীর্জা-উপাসনালয় ভাঙ্গেন, ‘নাস্তিক’ ‘ব্লগার’-‘কাফির’-‘মুসরিক’-‘ইহুদি’-‘নাসারা’ ‘হত্যা’ করেন, বিধর্মী নারীর ইজ্জ্বত হরন করেন। ধর্ম আমি জানি না, অত্ত বুঝি না, পালন ও করি না। শুধু বুঝি মানবতা। ব্লগে কিছু ধার্মিক ব্লগার আছে যারা আমার নাম শুনলে ‘ফি নারে জাহান্নামি….খালিদিন পাঠ করে। লাল সালাম এইসব মুমিনের ঈমানী দন্ডকে, যা অল্পতেই খাঁড়া হয়ে যায়।

খুব খিয়াল দিয়া রাখছিলাম। গাঁজা ইস্যু নিয়া দেশে এবং বৈ-দেশে কি হয় এবং কি হচ্ছে আর কি হওয়ার কথা ছিল। খুলনা শহরে, ডাক বাংলা মোড় থেকে ফেরার পথে শুধু মাত্র একদিন দেখলাম ‘ইসলামী শাসন-তন্ত্র আন্দোলন’ নামে একটা দল রাস্তা আটকিয়ে জন-দূর্ভোগ তৈরি করে ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে আর নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করছে। আমার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া-‘আই কিইচ্চি’ টাইপ। গাঁজায় বোম মারল ইহুদী-নাসারারা, রাস্তা বন্ধ আমার। কেন? আমি কি করলাম? ‘ইসলামী-শাসন তন্ত্র আন্দোলন’ ছাড়া ইসলামের ঝান্ডাবাহী অন্য কোন দলের গাঁজা ইস্যুতে কোন সক্রিয় কর্মকান্ড আমি দেখি নাই। অথচ তারাই না গত ৫ মে কি নারকীয় তান্ডবটাই চালিয়েছিলেন। আজ যখন মুসলিম উম্মাহ এর বিরাট একটা অংশ ইহুদী- নাসারাদের হাতে পুরছে-মরছে, তখন-তারা সেই সময় খোরমা খেজুড়ের আঁটি মুখে দিয়ে চুষছে। এরা শুধু ‘এসলাম’ বুঝে ‘মানবতা’ বুঝে না। আর ইসলামটাও ঠিক করে বুঝতে পারলে হত- বোঝে ‘এসলাম’।

আমার গ্রামে একটা কথার প্রচলন আছে, ভাসুরের নাম নাকি মুখে নেয়া যায় না। গ্রামের নারীরা নেয় ও না। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় ২৫ দিন পর সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ গাজায় ইসরাইলের নাম উচ্চারণ না করেই ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ ও নৃশংস হামলা সম্পর্কে ‘বিশ্ব সমাজের নীরবতার’নিন্দা করেছেন। ঠিকই তো আছে, আব্দুল্লাহর ভাসুরের নাম নেতানিয়াহু। কিচ্ছু করার নাই- স্বামী বিদেশ। কিন্তু সব থেকে চরম খবর ফাঁস করেছে ইয়র্ক টাইমস। তারা বলছে, গাজায় ইসরাইলি হামলা বা যুদ্ধের খরচ বহন করছে সৌদি, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর সরকার। মাথার মধ্যে যে বিষয় গুলা কুট কুট করে কামড়াচ্ছিল তার একটা ‘দেশীয় এসলামের চ্যাতনা ধারীরা কোন বিচি মুখে দিয়ে চুপ করে বসে আছে’- এটা পরিস্কার। কিন্তু আর একটা ক্লিয়ার হচ্ছে না। জাতীয় সংসদে শুধু একদিন গাঁজা ইস্যুতে সরকার সামান্য আলোচনা করেই চুপ হয়ে গেল। যেখানে বলিভিয়ার মত রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষনা করে বসে। এ দেশের সরকারের হয়তোবা সেই সাহস নেই। কারন একটাই ‘তখতের’ লোভ। স্যালুট বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসকে। অন্য একটা প্রসঙ্গ-গত বুধবার গ্রিসের আদালত, গ্রিসে বাংলাদেশি ২৮ শ্রমিককে গুলি করার দায়ে অভিযুক্ত খামার মালিককে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করে। আমি যদি ভূল না হই,তবে আজকে পর্যন্ত এদেশীয় সরকার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত পাঠাতে পারে নাই। এই যদি হয় নিজেদের অবস্থার তবে গাঁজার তথা বৈশ্বিক মানবতার জন্য বাস্তবিক আমাদের কিছুই করার নাই।

‘জয় হোক মানবতার’

অগ্নি সারথি

৪ আগস্ট, ২০১৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

কাঠ পাতা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম আপনি কিছু কিছু জা্য়গায় ইসলামকে তাচ্ছিল্য করেছেন যেইটা ঠিক না । বাংলাদেশ সরকার গাজা ইস্যুতে নিন্দা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এর থেকে আপাতত বাংলাদেশের আর কিছুই করার না্ই। এবং অবশ্যই ইসলামের খোলস পরে অন্য ধর্মের লোকদের উপর যারা অকারনে হামলা , লুটপাট করে তাদের সম্পর্কে ইসলাম যথেশ্ঠ কঠোর। কোরআনে আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণা, কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না; সীমা লঙঘনকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। একমা্এ কেউ লড়াই করতে চাইলে অথবা অনিষ্ট করতে চাইলেই তখন কেবল মাএ ইসলাম অনুমতি দেই সেই বিশেষ গোষ্ঠী অথবা দল এর সাথে লড়াই করার তবে কখনোই কোনো শিশু, বয়স্ক অক্ষম ব্যাক্তি অথবা নারী এদের উপর জুলুম করতে নিষধ, ইসলামে বলা আছে । ফিলিস্তিনীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিনপি এবং আওয়ামিলীগ দু দলই আর্থিক ভাবে ৫ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েল এর ব্যাপারে যথেষ্ঠে কঠোর। ইসরায়েল বাংলাদেশ কে সীকৃতি এবং বাংলাদেশ এর সাথে বানিজ্য প্রস্তাব এনেছিলো কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাদের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলো এবং ইসরায়েল কেউ সীকৃতি দেই নাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ইসলামকে তাচ্ছিল্য নয় তাচ্ছিল্য করা হয়েছে ইসলামের বর্তমান ঠিকাদারদের। বাংলাদেশ সরকার নিন্দা আর উদ্দ্যেগ প্রকাশ করেছে এই পোস্টের বেশ পরে। সরকার ফিলিস্তিনে কয় ট্যাকা দিছে জানিনা কিন্তু খালেদা জিয়া ৫ টাকা দিয়া যে ৫০০০০ টাকার গীত গাইছে এইটা জাতি পরমান শুদ্দা পায়া গেছে। আর বিম্পির গাযা নিয়ে যে মিছিল সেটার রাজনীতি যদি না ধরতে পারেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নাই। যে দল নিজের স্বার্থ আর অস্তিত্ত্ব রক্ষার আন্দোলন করতে পারে না তারা আইছে গাযা বাচাইতে। খিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.