নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনসিদ্ধ যৌনতাঃ প্রয়োজন নিবিড় সতর্কতা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭



মোবাইলে ইমারজেন্সী শুনে রীতিমত দৌড় দিলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে নানান বাজে চিন্তা মাথায় এসে ভর করছিল। খারাপ কিছু ঘটে গেল না তো মেয়েটার সাথে!! এভাবে অচেনা অজানা একটা গ্রামে ভর সন্ধ্যা বেলা একা একটা বাড়িতে বৃষ্টিকে রেখে ইট ভাটা দর্শন করতে আসাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হয় নাই। অবশ্য আমি যে থাকতে চাই নাই বিষয়টা তেমন না। বৃষ্টিই জোর করে আমাকে বাইরে পাঠিয়ে দিল এই বলে যে মেয়েটির সামনে যদি আপনি অর্থ্যাত একজন পুরুষ থাকেন তবে সে অনেক কথাই বলবে না, গোপন করে যাবে। সহমত পোষন করে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমিও কয়েকশ গজ দূরে অবস্থিত ইটভাটার লোকেদের সাথে ভাটায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের অংশ গ্রহন, পারিশ্রমিক এবং অন্যান্য আলাপচারিতায় মেতে উঠেছিলাম।
উসাইন বোল্টকেও হার মানিয়ে দেয়া দৌর শেষ করে বৃষ্টিকে রেখে যাওয়া বাড়িটিতে পৌছা মাত্র বৃষ্টি, সেই বাড়িতে ৬/৭ বছর বয়সী প্রতিবেশীর ছোট্ট একটা বাচ্চার দিকে দেখিয়ে আমাকে বলে উঠল- ভাইয়া ওর নাম ‘টংকা’। বৃষ্টিকে আর কিছুই বলতে হল না। টংকা নামটা শোনার পরপর-ই আমার ইউরেকা ইউরেকা বলে চিৎকার দিয়ে উঠতে ইচ্ছা করছিল। খুব কষ্টে তা হজম করে বৃষ্টিকে তার কাজ করতে বলে আমি শুরু করলাম আমার ‘টংকা’ মিশন। শুরু হল ‘টংকা’র সাথে গল্প। আমার গল্প, তার গল্প। ভাল মানুষের গল্প, খারাপ মানুষের গল্প। আর ভাল মানুষদের ফাঁদে ফেলার গল্প।

পাঠক, এতক্ষনে হয়তোবা আপনারা বুঝে উঠেছেন যে, বাংলার সাম্প্রতিক নারী সমাজ চিত্রায়নে আমি এবং সহগবেষক বৃষ্টি পাবনার কোন একটি দূর্লভ যোগাযোগ ব্যাবস্থা সম্পন্ন, ধর্মীয় গোঁড়ামি সর্বস্ব এবং তথাকথিত আধুনিকতা হতে বেশ দূরের একটি গ্রামে গিয়ে হাজির হয়েছি। যেখানে এখন আমাদের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম ‘টংকা’ যে কিনা ৬/৭ বছরের একটি বালক।
নারী সংক্রান্ত গবেষনায় ‘টংকা’ চরিত্রের কেন্দ্রে চলে আসার বিষয়টি অনুধাবন করতে হলে আমাদের কিছুটা ফ্ল্যাশব্যাকে যেতে হবে। গবেষনা কর্মটির জন্য যখন আমরা গ্রামের মেয়ে শিশুদের ‘যৌন হয়রানী’ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করছিলাম তখন বারবার ঘুরেফিরে ‘টংকা’ নামটিই সামনে আসছিল। অন্য পাড়ার ছেলেরা ‘টংকা’দের পাড়ার নাম দিয়েছিল ‘জরিমানা’ পাড়া, যদিও সেই পাড়ার অন্য একটা নাম রয়েছে। কারন হিসেবে তারা জানায় ঐ পাড়ার ছেলেরা খালি জরিমানা দেয়। কেন জরিমানা দেয় জিজ্ঞেস করলে, একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে অনেক কষ্টে ‘টংকা’র ঘটনাটি সামনে নিয়ে আসে। তারা জানায়, কিছুদিন পূর্বে ঐ পাড়ার টংকা আর সাথের কয়জন (একই পাড়ার, সমবয়সী বন্ধু) মিলির সাথে (বয়সঃ ৫ বছর) খারাপ ব্যবহার (যৌন- নির্যাতন) করেছিল। পরে মিলির আব্বু চুপ করে শালিস ডাকে, রাতের বেলা। ঐ শালিসে ‘টংকা’র আব্বু সহ আর সবার বাপদের (টংকার বন্ধুদের বাবাদের) ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হইছে। এরপর থেকে ঐ পাড়ার নাম হইছে জরিমানা পাড়া।

শিশুদের মুখ থেকে জরিমানা পাড়ার ‘টংকা’ এবং তার বন্ধুদের ঘটনার বয়ান শোনার পর থেকে আমি এবং বৃষ্টি আমাদের গবেষনার কেন্দ্র থেকে কিছুটা বের হয়ে আসলে খুজতে থাকি কোন সেই ঘটনাগুলো ‘টংকা’ তথা তার সমবয়সী ৫/৬ বছরের শিশুদের এমন যৌনতার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে যেটা তাদের একটা ধর্ষন কান্ড সংঘটনে নিবৃত্ত করে তোলে।
সেদিন সন্ধ্যায় নানা রকম মোটিভেশনের পর ‘টংকা’ নিজে থেকেই সেই গল্পটা বলতে শুরু করে দেয়। তার ভাষায়- আমার তো কোন দোষ ছিল না ভাইয়া! আমরা বিলে গিয়েছিলাম …….. ফল (ফলটির নাম মনে করতে পারছি না) খেতে। ওখানে মিলি আর ওর ছোট ভাই আসে। ওরা (বন্ধুরা) প্রথমে মিলিকে চেপে ধরে, তারপর মাটিতে ফেলে দেয়। আমাকে তারা ‘মিলি’র পা চেপে ধরতে বলে। মিলি’র ভাই দৌড় দিয়ে গিয়ে তাদের বাসায় সব বলে দেয়। আমি কিছু করি নাই। এরপর ও আমাকে মারছে (শালিসে) ওরা, আব্বুকে অনেক গুলো টাকা দিতে হয়েছে। বাসায় এসে আব্বু, আম্মু দুজনেই মারছে।
নাহ! এই সমস্যার সমাধান কোন ভাবেই মারধর কিংবা সন্তানকে শাসন করা নয়। যদিও সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে, ৩ থেকে ৬ বছর বয়সে শিশুরা যৌনাঙ্গ সম্পর্কে বুঝতে শিখে। একই সাথে সামাজিক ও জৈবিক ভাবে কে ছেলে কে মেয়ে তা তারা অবহিত হয়। অপজিট সেক্স বা ভিন্ন লিঙ্গের অভিভাবকের প্রতি আগ্রহ বা জিজ্ঞাসা বাড়ে । তবে আমি আসলে সেই ‘সামাজিক’ এবং ‘অ-সামাজিক’ উপাদান গুলো খুজছিলাম যেগুলো ‘টংকা’ এবং তার বন্ধুদের এই ভয়াবহ কাজটিতে অনুপ্রানিত করেছে।
এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমি সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তি, সন্তানের পিতা-মাতা, অভিভাবক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, স্বাস্থকর্মী, নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে গ্রামের বাজারের যে মোবাইলের দোকানটি মানুষের মোবাইলে পর্ন ভিডিও সাপ্লাই দেয় তার সঙ্গে পর্যন্ত আলোচনা করেছি। শিশুদের এমন প্রবনতার ক্ষেত্রে ঘুরেফিরে তারা সকলেই মোটামুটি দৃষ্টিপাত করেছেনঃ
১। পিতামাতার শাসনের অভাব
২। অতিরিক্ত আদর
৩। পিতামাতার অশিক্ষা
৪। এলাকার খারাপ পরিবেশ
৫। শিশুর বাড়িতে খারাপ পরিবেশ
৫। অল্প বয়সেই মোবাইলের কল্যানে বড় শিশুদের সহচর্য্যে এসে পর্ন ভিডিও-র সাথে শিশুদের পরিচিতি।
৬। শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা হতে বিরত রাখা
৭। ধর্ম-কর্ম হতে বিরত রাখা

আমি আসলে কোনভাবেই উপরের কারন গুলোতে সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। আমার বিশ্বাস ছিল যে ‘টংকা’দের ক্ষেত্রে যৌনতার চেয়ে এটা বেশি ছিল কৌতুহল। এরপর আমি ‘টংকা’র সাথে বেশি বেশি সময় কাটাতে শুরু করলাম। তৈরি করে নিলাম এক ভাবে বন্ধুর সম্পর্ক। তারপর একদিন সে তার থলের বিড়াল বের করে বসল। সে বলে বসল, তারা বন্ধুরা যখন একত্র হয়ে গল্প করে তখন তারা একে একে বয়ান করে তাদের দেখা (হয়তো-বা শোনা) আগের রাতের গল্প। রাতের আঁধারে বাবা-মায়েদের যৌনতার গল্প।

স্নেহ বাৎসল্য হোক আর অভাব বোধ থেকেই হোক, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পিতা-মাতারা সাধারনত নির্দিষ্ট একটা বয়স পর্যন্ত আদরের সন্তানকে তাদের নিজেদের সাথে নিয়েই ঘুমান। এটা যেমন জরুরী একই সাথে জরুরী ও হল পিতা-মাতা উভয়েরই যৌনতা নিবৃত্তির বিষয়টিও। আর এই 'যৌনাচারে' তারা ভূলে যান তাদের ঠিক পাশেই তাদের ঘুমন্ত শিশুটিকে। ‘টংকা’দের ঘটনায়, ‘টংকা’দের পিতা-মাতার অসতর্ক যৌনাচার-ই তাদের একদিন চরম কৌতূহলী করে তোলে, আর সেই কৌতুহল তাদের ধর্ষন নামক একটা ঘটনার দিকে ধাবিত করে। যদিও তারা জানতও না যে এটি গর্হিত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার গ্লানি নিয়ে তারা পার করছে তাদের শৈশব। হয়তোবা কৈশোর, যৌবন সবগুলোই।

ডিসক্লেইমারঃ ঘটনা বয়ানে স্থান, কাল, পাত্র কাল্পনিকতার অন্তরালে ছদ্ম নামের আশ্রয়ে বর্ননায়িত যার বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। আর মিলে গেলে তা হবে কাকতালীয় মাত্র। লেখক কোন বিষয়ের জন্য কোন ভাবেই দায়বদ্ধ নন।
ছবিঃ নেট হতে সংগৃহিত।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারনা করেছেন। আশা করি বাবা-মায়েরা সচেতন হবেন।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে আমার ৫ এবং ৭ বছরের ছেলেদের আলাদা রুমে রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: মনযোগী পাঠে ধন্যবাদ ভাই।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একটি অতি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ের সুন্দর উপস্থাপন ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

বিমল বিডি বলেছেন: ঠিক বলেছেন

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শিক্ষিত-অশিক্ষিত অনেক বাবা-মাই আমার মনে হয় এই বিষয়ে সচেতন নয়। শিশু সে যে বয়সের হোক না কেন এই বিষয়ে প্রত্যেক বাবা-মারই সচেতন থাকা জরুরী।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত। শিশুর মানসিক বিকাশে, সচেতনতা খুব জরুরী।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ++++++

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০

অগ্নি সারথি বলেছেন: এক আটি ধইন্যাপাতা লন।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: অসাধারণ এক পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই মনযোগের সাথে লেখাটি পড়বার জন্য।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার বর্নিত বয়সের শিশুদের যৌনতার চেয়েও বেশী কাজ করে কৌতুহল।। যার জন্ম নিজ ঘরেই।।
আবার ক্ষেত্রবিশেষে বেশীরভাগ পিতামাতাই অপারগ সন্তানের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যাবস্থা করতে।। আবার অনেক ক্ষেত্রে সচেতন
থাকার পরও দূর্ঘটনা ঘটে যায়।।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: হুম। খুব সচেতনতা দরকার। সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: এই জন্যই চার বছর থেকেই সন্তানকে আলাদা বিছানায় রাখার অভ্যাস করতে হয়। অপরদিকে পিতা মাতাকে খুব সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০০

অগ্নি সারথি বলেছেন: আলাদা বিছানা কতটুকু কার্যকর জানিনা তবে পিতা মাতাকে খুব সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে এটা নিশ্চিত।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মা বাবার সচেতনতাই পারে শিশুদের অপরাধ থেকে দূরে রাখতে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০০

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত।

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০০

রমিত বলেছেন: সারথী ভাই, খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারনা করেছেন। আসলে কথা তো অনেক, অল্পতে বলা যাবেনা। আমাদের সমাজের পশ্চাদপদতার জন্য তো সেই উপনিবেশিক শাসনামলই দায়ী। দেশের বেশিরভাগ পরিবারই অশিক্ষিত, তারা ছেলেমেয়েদের কি শিখাবে? এর জন্যই আমাদের মত দেশে স্কুল এডুকেশনের গুরুত্ব অনেক বেশি। এখানেও আবার আরেক সমস্যা, স্কুল শিক্ষকরা এই সমাজে যেভাবে নিগৃহীত তাতে মেধাবীরা ঐ পেশায় যায়না। সুতরাং অমেধাবীরা আর কি শিখাবে! বিটিভিকে একসময় গণশিক্ষার একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিলো, তারপর এখন তো দেখেনই ভারতীয় চ্যানেলগুলো কিভাবে জেঁকে বসেছে, যেই চ্যানেলগুলিতে যৌন উত্তেজক নাচ আর ভায়োলেন্স ছাড়া তেমন কিছু নাই। এভাবে জাতি গঠন হবে কিভাবে?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২০

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত রমিত ভাই। শিক্ষার বিকল্প আসলে কিছুই নাই। এবং সেটা স্কুল শিক্ষা হোউক আর গনমাধ্যমের মাধ্যমে। জাতি আজ পুরোপুরি ভারতীয় চ্যানেল নির্ভর হয়ে পড়েছে যেখানে যৌন উত্তেজক নাচ আর ভায়োলেন্স ছাড়া বিনোদন বলতে তেমন কিছুই নাই। আমার তো মনে হয় পিতা-মাতাদের আগে যৌন শিক্ষা প্রদান করা উচিত।
আপনার সুচিন্তিত এবং গুরুত্বপূর্ন মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
একটি অতি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ের সুন্দর উপস্থাপনা ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

প্রামানিক বলেছেন: অতি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ের উপর সুন্দর উপস্থাপনা । খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক।

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

মুর্দা ফকির বলেছেন: শিশুর যৌন কৌতূহল নিবারণ করার সবচাইতে ভাল উপায় হল সন্তানদের সাথে ফ্রি হওয়া। পিতামাতারা যে পরিমান পড়ার চাপ দিতে থাকে তাতে পিতা মাতার সাথে এমনিতেই বৈরী পরিবেশ গড়ে উঠে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: বিষয়টা কি জানেন জানাজানি আর কৌতুহল নিবারন দুটো বেশ ভিন্ন বিষয়। সন্তানের সাথে ফ্রি হলেও ঠিক কতটা হওয়া যায়? পড়ার চাপ তৈরি বিষয়টা নিঃসন্দেহে বেশ দুঃখজনক।
ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খারাপ অবস্থা। পাঁচ ছয় বছরের বাচ্চাদের এইরকম পরিস্থিতির শিকার হওয়া খুবই বাজে ঘটনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাস্তবিক খুব খারাপ অবস্থা আর এজন্য কোনভাবেই 'টংকা'রা দায়ী নয়। দায়ী আমাদের পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র।

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: খুব জরুরী একটা বিষয় তুলে এনেছেন। আমিতো এই ধরনের কিছু থাকতে পারে কল্পনাও করতে পারিনি, ওই পএন্ট করা বিষয়গুলোতেই চিন্তা ঘুরপাক খা। শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন দরকার। আর কত ফার্মের উরগী বের হবে, ভালো মানুষ বানাবার ফ্যাক্টরী হোক স্কুলগুলা, জ্ঞান আগ্রহের কারনে এমনিতেই চলে আসবে। আর বাবা মা রা আরো সচেতন হোক। সব বাবা মার এটাই চাওয়া উচিত যে সন্তান একজন ভালোমানুষ হয়ে বড় হবে, ধনী বানাবে এমন লক্ষ থাকা উচিত নয়, তখন এই অন্ধকার দিকগুলোও প্রস্ফুটিত হয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন দরকার। আর কত ফার্মের মুরগী বের হবে, ভালো মানুষ বানাবার ফ্যাক্টরী হোক স্কুলগুলা, জ্ঞান আগ্রহের কারনে এমনিতেই চলে আসবে। আর বাবা মা রা আরো সচেতন হোক। সব বাবা মার এটাই চাওয়া উচিত যে সন্তান একজন ভালোমানুষ হয়ে বড় হবে, ধনী বানাবে এমন লক্ষ থাকা উচিত নয়, তখন এই অন্ধকার দিকগুলোও প্রস্ফুটিত হয়। - চরম ভাবে সহমত।

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমাদের সবারই সচেতন হওয়া উচিত।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।

১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক৷ আপনি অজপাড়াগাঁয়ের কথা বলেছেন৷ বাস্তবে আমি শহুরে পরিবেশে দেখেছি৷ কিছু কিছু পরিবার সামনা-সামনি এমন কিছু না করলেও স্থান সংকুলানের অভাবে দিনের বেলায় বাচ্চাদের রুমের বাইরে রেখে নিজেরা দরজা আটকিয়ে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়৷ বাচ্চারা রুমের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে৷ যেটা আমার সচক্ষে দেখা৷ এক্ষেত্রেও কিন্তু বাচ্চাদের মনে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হতে পারে৷

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন বিষয় যোগ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী ভাবুক। আর বাচ্চাদের মনের এই বিরূপ ধারণাই তাদের চরম কৌতুহলী করে তোলে যেটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উচিত শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য সুস্থ এবং সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা।

১৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

অনিন্দ নিন্দা বলেছেন: অগ্নি সারথি আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনার জন্য ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: অসাধারন অগ্নি। আমরা শুধু পরবর্তী ধর্ষন পরবর্তী আচরন নিয়ে কথা বলি কিন্তু কেন তারা ধর্ষক হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করি না। আপনার লিখাটি সে চিন্তাটাকে সামনে এনেছে.... । অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারন লিখার জন্য। আমরা শিশুযৈান নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে চাই না, আড়ালে বলি, গোপন করি। তাই এটি দিন দিন প্রকোট আকার ধারন করছে..... এটি নিয়ে কথা বলাটা যে খুবই জরুরী, খুবই জরুরী...................++++++++

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: লেখাটি এখন পর্যন্ত ৭৮৬ বার পঠিত। যৌনতার গন্ধ পেয়ে অনেকেই কৌতুহলী হয়ে এসেছেন এই ব্লগে, রগরগে কোন উপস্থাপনা না পেয়ে হয়তোবা হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। আবার কেউ কেউ যৌনতা লেখা দেখে প্রবেশ তো করেছেন কিন্তু কোন কথা বলতে চান নি, হয়তোবা লোক-লজ্জ্বার ভয়ে। তাদের জন্য আমি ব্যাথিত তবে তাদের এই কৌতুহল এবং নির্লিপ্ততাও কিন্তু বেশ সমস্যাজনক! কথা বলতে হবে আমাদের। জানাতে হবে, আপনারা যা করছেন সেটা সঠিক কোন পন্থা নাও হতে পারে। যার ভূক্তভোগী হতে পারে আপনার আদরের সন্তানটি।

আপনি পুরো বিষয়টিকে বুঝতে পেরেছেন, ঠিক যেভাবে আমি বোঝাতে চেয়েছি। এমনকি লুকানো অর্থ গুলোও ঠিক ধরে ফেলেছেন। আপনার অনুপ্রেরনায় আমি ধন্য। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

এই বিষয়টা নিয়ে আমরা কয়েকজন অভিভাবক একটা সময় খুব আলোচনা করেছি।
অসচেতনতার কারণে নিরাপদ এই বৈধ যৌন সম্পর্কই বাচ্চাদেরকে বিপথে নেয় ।
খুব সুন্দর করে লিখেছেন ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে বাস্তবিক শুধু গুটি কয়েক অভিভাবক ই উদ্বিগ্ন আর বাকীরা জানেন না আর অনেকে তো জানতেও পারেন না যে কি ক্ষতিটা তারা তাদের জন্য ডেকে নিয়ে আসছেন। ধন্যবাদ। শুভ কামনা জানবেন।

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: খুব বাস্তব এবং সত্য কথা তুলে এনেছেন। এভাবে আমরা অনেকেই হয়ত ভাবিনা। কিন্তু, এটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটছে বলে মনে করি। আমার আশেপাশের কিছু ঐ বয়েসী শিশুদের মধ্যেও কিছু অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেছিলাম। যার কারণ খুজঁতে গিয়ে কুল কিনারা পাই নাই। শেষমেষ ঐ ধরণের একটা কিছু আমার মনে হচ্ছিল। এখন বিষয়টি মিলে গেছে।
এক্ষেত্রে আসলেই অনেক সচেতনতা দরকার। কিন্তু করবে কে? হবে কিভাবে?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

অগ্নি সারথি বলেছেন: পিতা-মাতা দের সচেতনতাটা খুব বেশি জরুরী। সুচিন্তিত মতামত যুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

উস্তাদ শেখ নূরু-জ্বী বলেছেন: ধর্মীয় শিক্ষার না তুললেন কেনো? আধুনিক ব্লগার বেজ্ঞানী, সমাজ তো ধর্মের নাম শুনলেই চুলকায়!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: কথাটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন কেন আমি ধর্মীয় শিক্ষার নাম তুললাম? যদি তাই হয় তবে বলব ধর্মীয় শিক্ষার নাম তো আমি তুলি নাই। গবেষিত জনগন তুলেছেন আর আমি সেটা তুলে ধরেছি তবে এটি কিন্তু মূল কারন নয়। মূল কারন হিসেবে আমি দেখিয়েছি পিতামাতার অসতর্ক যৌনাচার। আর যদি বলেন, আধুনিক ব্লগার বেজ্ঞানী তবে আমি সেই কাতারে নই এবং নিজেকে কখনোই ব্লগার দাবী করিনা। যা দেখি, শুনি, অনুভব করি, আমি স্বপ্নি তাই আমি গল্পে রুপ দিতে চাই। ভাল থাকবেন শুভ কামনা।

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি অবাক হচ্ছিলাম হেডলাইনের সাথে লেখার মিল নেই দেখে। কিন্তু টংকা'র থলের বিড়াল বের হবার পরে বুঝলাম আসল ঘটনা কি। আপনি যে বিষয়টা আমাদের চোখের সামনে তুলে এনেছেন সেটা সম্পর্কে জানতামই না। :|| :||

আন্তরিক ধন্যবাদ এইরকম জনগুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট দেয়ার জন্য অগ্নিভাই। এর প্রতিকার উপরে আলাপ করা হয়ে গেছে যা বলা না হলে আমি বলতাম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০

অগ্নি সারথি বলেছেন: লেখার শিরোনাম দেবার ক্ষেত্রে আমি বরাবরই অনভিজ্ঞ। এখন তো তবু কিছু দিতে পারি কিন্তু কদিন আগেও পরিবেশ বিষয়ক একটা পত্রিকায় যখন লিখতাম তখন লেখাগুলোর শিরোনাম নির্জন (পত্রিকার সম্পাদক গোত্রের কেউ একজন) দিয়ে দিত।
অনুপ্রেরনার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবনা তবে কৃতজ্ঞতা তো অবশ্যই। ভাল থাকবেন। শুভ রাত্রী।

২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: না না শিরোনামের সাথে ১০০% মিল আছে। মিলটা বুঝতে হলে থলের বিড়ালটাকে বুঝতে হবেই। শুভরাত্রি!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন প্রিয় সহব্লগার।

২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয় উঠে এসেছে । এবং খুবই ভাইটাল ফ্যাক্টর ।

বাবা মায়েদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত শিশুদের এসব অনাকাংখিত আচরণ থেকে রক্ষা করতে ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। বাবা মায়েদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত শিশুদের এসব অনাকাংখিত আচরণ থেকে রক্ষা করতে - সহমত।

২৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

তুষার কাব্য বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখলেন বলে প্রথমেই ধন্যবাদ । অনেক সচেতনতা দরকার ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তুষার কাব্য।

২৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

আরণ্যক মিঠুন বলেছেন: বড় ভালো লেগেছে কারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক মিঠুন।

২৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: ফেসবুকে শেয়ার করেছেন দেখেই আসলাম।

ভাল পোষ্ট নিঃসন্দেহে।
আমাদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নাই।
সাথে সতর্ক হওয়াও জরুরি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ হাবিবউল্যাহ ভাই।

২৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মোবাইল থেকে পড়লাম কিন্তু এই বিষয়ে বেশ কিছু বলার বলা ছিল যা মোবাইলে লিখতে ঝামেলা হচ্ছে।কাল অফিসে গিয়ে আপনার এই পোস্টে আবার আসবো।
ভাল থাকুন

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ওকে। প্রতীক্ষা করব।

৩০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সহমত, লেখাটা খুব ভালো হয়েছে :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

৩১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার সাথে আরেকটা বাস্তব ঘটনা শৈয়ারের লোভ সামলাতে পারছি না।

এরকমই হবে বয়স। ৭-৮। মেয়েঠি প্রগলভতা চোভের চাহনি আমাকে বারবার বলছে সে এ বিসয়ে যথেষ্ট পরিপক্ক। তারপর ঘটনা জনতেই খুব ফ্রেন্ডলি হয়ে গিয়ে তাকে কাছে টানি। চকলেট কম্পিউটার খেলতে দিয়ে দিয়ে ফ্রি করে তার কাছে জানতে চাই- কিভাবে সে এইসব জানল শিখল।
তার সরল অকপট স্বীকারোক্তি এক ডাক্তার নানা ভাই প্রথম আদর করত। পকোলে বসিয়ে রাখত । অনেক চকলেট দিত আর টাকা দিত। তারপর একসময় সে বুঝে যায়- সকল পুরুষই আদর করতে দিলে টাকা দেয়!

বাবা- বিদেশে। মা চাকুরী জীবি।

ক্লাশ ৪এ পড়া এই মেয়ের সাথৈ এসে আরো ৩-৪ বান্ধবী কৌতুহলেই এই পথে। আর কারা কারা তোমার মতো- জানতে চাইলে গড়গড় করে তাদের নাম বলে যায়!
অবস্থা আসলেই ভয়াবহ! এমনিতে জীবনেও স্বীকার আসবে না। মারলে কাটলেও না।

এসবের পিছে আপনার কারণ গুলোর সাথে আরো সাথে আছে সহজলভ্য মোবাইল পর্ণ্ হিন্দি আইটেম মুভির মিনি পর্ন! সবার উপরে ধার্মিকের ভুুলে ধর্মকে কোনঠাসা করতে করতে দূরে ঠেলে রাখা।

সমাধানের পথ তো কুয়াশা ঘেরা!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: কি সাংঘাতিক অবস্থা! অবস্থা আসলেই ভয়াবহ! সমাধানের পথ কুয়াশা ঘেরা!!!

৩২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ১৭ আর ৩১ নাম্বার কমেন্টের ঘটনা পড়ে তব্দা খেয়েছি এমন লাগছে।

এবার আমি একটা ঘটনা শেয়ার করি। আমার খুব কাছের এক ফ্রেন্ড এর মুখে শোনা ঘটনা। বাবা-মা তাদের ৪-৫ বছর বয়সী মেয়েকে সাথে নিয়ে রাতে ঘুমাতো। বাবা মা যখন ভাবতেন বাচ্চা ঘুমিয়েছে তখন তারা অন্তরঙ্গ অবস্থায় থাকতো। হঠাৎ একদিন তারা বুঝলেন আসলে বাচ্চা সে সময় ঘুমায় না কিন্তু ঘুমের ভান ধরে থাকে তখন বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিলেন বাচ্চার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করবেন। তখন তো বাচ্চার আহামরি কান্না,সে অন্য রুমে একা ঘুমাবে না। এরপর বাচ্চার রাত জাগার অভ্যাস হয়ে গেলো। ভাবতে পারেন ঐ বয়সী একটা বাচ্চা রাত জেগে আছে দিনের পর দিন!

আমরা আসলে প্রায়ই বাচ্চাদের সামনে অভিভাবক বা বড়রা এমন বিষয় নিয়ে কথা বলি বা গল্প গুজবে বসে যাই আর নিজেদের এই ভেবে সান্তনা দেই বাচ্চা কিছু বুঝতেছে না। হয়তো দেখা যায় বাচ্চা বা তার সমবয়সীরা বসে বসে খেলছে মা -বাবা বা মায়ের বান্ধবীরা বসে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আলাপ করছে। বাচ্চা কিন্তু খেলার ফাঁকে ঠিকই কান খাড়া করে বড়দের গল্প গিলছে। আমি আমার নিজেকে দিয়েই বুঝি আমাদের কাজের বুয়ার ছেলে আমার বা আশেপাশের ফ্রেন্ডদের সমবয়সী হওয়ায় ওর সাথে আমরা খেলতাম। ওর প্রতি ছিল সীমাহীন কৌতূহল কারণ আমরা ওর কাছ থেকে নিষিদ্ধ গল্প শুনতে পেতাম। ওরা বস্তিতে থাকতো বলে একই ঘরে মা-বাবা-ভাই-ভাইয়ের বউ থাকতো। রাতের আঁধারে যা দেখত সব আমাদের এসে পরদিন বলত। তখন আমাদের বয়স ৯-১০ বছর। সে সময় যৌনতার আদিম গল্পগুলো বুয়ার ছেলে সুবাদে জানা হয়েছিলো 'র' ভাষায়। এক সময় আমাদের গার্ডিয়ানরা ব্যাপারটা টের পেয়ে গেলে সেই বুয়াকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন।

পিতামাতার অতিরিক্ত আদর, শাসনের অভাব,৬। শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা হতে বিরত রাখা , ৭। ধর্ম-কর্ম হতে বিরত রাখা---- মানুষজন কারণ হিসেবে যে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করলো সেগুলো খোঁড়া যুক্তি মনে হলো। ঐ বয়সী একটা শিশু নিজের ঘর বা আশেপাশের কালচার দেখেই শেখে বা বড় হয় কিন্তু ধর্মীয় ব্যাপার সে বয়সী শিশুদের উপর এতটা প্রভাব বিস্তার করার কারণ দেখি না। তবে অনেক বাবা-মা'ই আছেন, আলট্রা মর্ডান বা গ্রামীন পরিবেশের -- সুলভে চাইনীজ সেটের কল্যাণে এন্ড্রয়েড মোবাইলে নানা ধরণের পর্ন রাখে এবং বাচ্চাদের মোবাইলে গেমস খেতে দেয়ার সুবাদে মোবাইল হাতে দিয়ে দেয়। কিছু কিছু বাবা-মা তো গর্ব করেই বলেন আমার বাচ্চা তো ট্যাব দিয়ে না খেললে ভাত খেতে চায় না বা ঘুমায় না কিন্তু সেই মোবাইলে ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও থাকলে সার্ফিং করে করে যে বাচ্চাটা সেসব বের করে ফেলতে পারে, বাবা- মা সেটা ভুলে যান।

নিজের একটা ঘটনা বলি। আমি মোবাইলে ভিডিও গান রাখি না আর আমার মুভি ,গান খুব বেশিই মাত্রায় দেখার আসক্তিও নেই। যে সময়ের কথা বলছি সে সময় প্রিয়াংকা চোপড়ার একটা ভিডিও সং বের হয়েছিলো পিট বুলের সাথে ' অ্যাম ফিলিং সো এক্সোয়টিক ' সে গানে কিছু সিন ছিল যা একটু এক্সোয়টিক টাইপ। প্রিয়াংকা গান কেমন গাইতে পারে সে হিসেবেই মোবাইলে নিয়েছিলাম। আমার ছেলে কোনোভাবে শুনেছে আমি গান শুনছি। কয়েকদিন পর দেখি আমার ছেলে আমার মোবাইল চায় এয়ার ফোন সহ। এমনিতে গেমস খেলা আমার পছন্দ না তাই মোবাইলে যা ছিল সব ডিলিট করে দিছি। ছেলে কারণ হিসেবে বলেছে সে রেডিও শুনবে তাই এয়ার ফোন চাচ্ছে। আমি তো সরল মনে দিয়েছি। প্রিয়াংকার গানের কথা ভুলেই গেছি। দুই একদিন পর টের পেয়াম সে প্রিয়াংকার গানটা শোনে এয়ার ফোনে। নরমালি শুনলে আমি বুঝে ফেলবো তাই। তারপর আমি সে গান ডিলিট করে দিছি।

আরো টুকটাক অনেক ঘটনা ঘটেছে এই রিলেটেড। ভেবেছিলাম সেসব কোনো গল্পের ছলেই লিখবো। আলসেমিতে আর হয়ে ওঠে নাই লেখা।

আমার যতই অবাক লাগুক এটা শুনতে ৬-৭ বছরের ছেলে শিশুরা কৌতূহলে বা খেলার ছলে ৪-৬ বছর বয়সী মেয়েদের এবিউস বা নির্যাতন করছে। আমাদের বয়ঃসন্ধিকালের যে সময়টা সে সময়ে শরীরে যত না চেঞ্জ আসে মানসিক চেঞ্জ মনে হয় বেশি আসে। একটা মেয়ে বা ছেলে শিশুর শরীরে যৌন বিষয়ক ফিলিংস আসে কিনা নিজেকে দিয়ে ভাব্লে বুঝি আসে না কিন্তু আজকাল এর বাচ্চাদের ১২-১৪/১৫ বছরের ছেলে মেয়েদের এই যৌন ফিলিংসগুলো হয়। প্রযুক্তির ছোঁয়া বা শারীরিক গঠন একটা বড় রিজন মনে হয় আমার কাছে।

বাবা-মায়ের সচেতনতা বাচ্চার বড় হবার বা বিকাশের জন্য বড় একটা ভূমিকা রাখে। এজন্য অনেক ব্যাপারে সচেতনতা জরুরী। আবার এটাও ঠিক অন্তরঙ্গ ফিলিংস গুলো সবসময় টাইম মেন্টেইন করে শরীরে বা মনে আসে না। আমার প্রচিত দুই একটা ফ্যামিলি আছে যারা বাচ্চাদের বড় হবার সাথে সাথে যৌন বিষয়ে স্বামীর কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। স্ত্রী কারণ হিসেবে বলেছে সারাদিন সংসারের কাজ বা অফিসের কাজ, রান্না, বাচ্চার জন্য চিন্তা বা তেক কেঊয়ার করতে গিয়ে বিছানায় শুলে ক্লান্তি বা এতো সাবধানতা অবলম্বন করে সেক্সচুয়াল ফিলিংসা আসে না। স্বামীরাও সিচিউয়েশন বুঝে মেনে নেন। এতে তাদের সাহ্রীরিক বা মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। আবার কোনো কোনো স্বামী বাইরের নারীদের দিকে ঝুঁকে গেছে। আবার কিছু ফ্যামিলিতে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব এতো স্বামী- স্ত্রী ভাবেন বাচ্চারা বড় হইছে, একদিন মরতে হবে, সেক্সচুয়াল ভ্যালু তাদের কাছে নাই, ফিলিংস আসে না। কিন্তু এটা তো অস্বীকার করার ওয়ে নাই এই যৌন চাহিদা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। সুতরাং নিজেদের আলোচনা বা নিজের ফ্যামিলির সদস্যদের ন্যাচার অনুযায়ী বাবা-মা হেলদি ওয়েতে এই চাহিদা মেটাতে পারেন। সচেতন থাকাটা জরুরী।

আরো অনেক কিছু বলার ছিল। আপনার পোস্টের চেয়ে আমার মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে আর যা যা ভেবেছিলাম লিখবো এই মুহূর্তে সব মনে পড়ছে না।

আপনার পোস্ট এর বিষয়বস্তুটা খুব ভালো এবং সচেতনতামূলক। বাকি যা এই পোস্টে বলতে পারলাম না কোনোদিন চেষ্টা করবো অন্য কোনো লেখায় সেসব তুলে আনতে।

ভালো থাকুন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনার গত কমেন্টেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, বিশাল কোন এক বিশ্লেষন হয়তোবা পেতে যাচ্ছি। আপনার মন্তব্যের কোন বিষয়ের সাথেই দ্বিমত পোষন করার স্পর্ধা আমি দেখাব না তবে সর্বাগ্রে দরকার সচেতনতা। ঘটনা এবং তথ্য যুক্তির উপস্থাপনায় স্যালুট জানালাম আর একই সাথে আমার ক্ষুদ্র পোস্টটি আপনাকে চরম ভাবে নাড়িয়ে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা তো অবশ্যই। আশা করি জনস্বার্থে এমন একটা পোস্ট আপনার নিকট হতে আমরা শিঘ্রই পাব।
আন্তরিক ভাললাগা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.