নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ইয়াসমিন কিংবা বিচারহীনতা আর নিশ্চুপতা উপদ্রুত আমার স্বদেশ

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৪



২৪ আগস্ট, ১৯৯৫। খুব ভোর হতেই মা খুব ব্যস্ততার সাথে একের পর এক এই রান্না, সেই রান্না করেই চলেছেন। উপলক্ষ্য হল খালাবাড়ি যাওয়া। আর কারো বাড়ি বেড়াতে গেলে তো খালি হাতে যাওয়া যায় না। সেই সুবাদে মা শুধু রেঁধেই চলেছেন। পোলাও, মাংস, পায়েস আরো কত্ত কি। ৮ বছর আর ১০ বছর পীঠাপিঠি বয়সী আমাদের দু-ভাইয়ের মনে আনন্দ যেন ধরে না। শুধু ছুটাছুটি করেই চলেছি, অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি। খালারা শহরে থাকেন আর আমরা থাকি গ্রামে। খালাত ভাইটার কত্ত কত্ত খেলনা। আমাদের দু-ভাইয়েরও খেলনা রয়েছে তবে সেগুলো খানপুরানী হাটি থেকে কেনা ট্যাং ট্যাং গাড়ি কিংবা বন্দুকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমাদের বাবা আমাদেরকে রিক্সা কিনে দিতে পারেননি, হয়তো বা রিক্সা সেসময় খুব দামী একটা দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত হত। আমাদের কাছে বিশেষ আকর্ষনীয় ছিল খালাত ভাইয়ের রিক্সাটি। খালাবাড়ি গেলে আমরা দু-ভাই তার রিক্সাটি নিয়ে মেতে উঠতাম, দিন গড়িয়ে কখন ফেরার দিন এসে হাজির হত ঠিক বুঝে উঠতে পারতাম না। দুটো বড় টিফিন ক্যারিয়ারে মা সবগুলো খাবার ঢুকিয়ে আমাদেরকে নতুন কাপড় পড়িয়ে বাসে উঠে রওনা দিলেন দিনাজপুর শহরের উদ্দেশ্যে। বাসের মধ্যে পুরোটা সময় আমরা দু-ভাই ঝগড়া করতে করতে গেলাম কে আগে খালাত ভাইয়ের রিক্সাটি দখল করব। কিন্তু আমাদের আশায় গুড়ে বালি। দিনাজপুর শহর থেকে মাত্র ৫/৭ কিলোমিটার আগে গাড়িটি থেমে গেল। গাড়ি আর যাবে না। শহরে খুব গন্ডগোল হচ্ছে। একদিকে সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে, অন্যদিকে কোন গাড়ি কোন দিকে যাচ্ছে না, আমার চরম সাহসী মাকে সেদিন প্রথম আমি এত চিন্তিত হতে দেখলাম এই ভেবে যে এত রাতে কোথায় যাব। মা-র ভয়ার্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা দু-ভাই ও বেশ ভীত হয়ে পড়ি। আমরা শুধু একটা নাম-ই শুনছিলাম চারদিকে আর সেটা হল ইয়াসমিন, ইয়াসমিন। অবশেষে সেই গাড়িতে করে আমরা আবার বাড়িতে অনেক রাতে ফেরত আসতে সক্ষম হই কিন্তু আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে যায় সেই নাম ইয়াসমিন, ইয়াসমিন।


ইয়াসমিন ছিল দিনাজপুর শহরের রামনগর মহল্লার রিক্সা চালক এমাজউদ্দিন এবং শরিফা বেগম নামক দরিদ্র, হতভাগিনী মায়ের কিশোরী কন্যা। অভাবের তাড়নায় যার পরিবার বাধ্য হয়েছিলেন তাকে ঢাকার এক বাসায় কাজে পাঠাতে। ছোট্ট ইয়াসমিনের ঢাকায় মন টেকে না, শুধু মা-কে দেখতে মন চায়। বাড়ি ফিরতে চাইলে নিয়োগকর্তা এওই পূজা সেই পূজা বলে নানান টালবাহানা করতে থাকেন। এভাবে কেটে যায় প্রায় তিন বছর। তারপর একদিন, অর্থ্যাত ২৩ আগস্ট, ১৯৯৫ ওই পরিবারের ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে একাই দিনাজপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে যায় ইয়াসমিন কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সে ভূল গাড়িতে অর্থ্যাত ঠাকুরগাঁয়ের গাড়িতে উঠে পড়ে। গাড়ির লোকেরা তাকে এই বলে বোঝাতে সমর্থ্য হয় যে সে যদি দশ মাইল মোড়ে নেমে যায় তবে সেখান থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটারের পথ দিনাজপুর শহর। ছোট্ট ইয়াসমিন জানতেও পারেনা যে দশ মাইল মোড়ে তার জন্য ওত পেতে রয়েছে একটা শূকরের পাল। ইয়াসমিনকে বহনকারী বাসটি ২৪ আগস্ট ভোররাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে দিনাজপুর শহরে যাওয়ার জন্য দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁ-রংপুরের সংযোগ মোড় দশমাইল এলাকায় এসে পৌঁছায়। কোচের সুপারভাইজার ইয়াসমিনকে দশ মেইল মোড়ে জোবেদ আলীর চায়ের দোকানে নামিয়ে দেয়। তারা দোকান মালিককে অনুরোধ করেন যেন ইয়াসমিনকে দিনাজপুরগামী কোনো গাড়িতে উঠিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পরই সেখানে পৌঁছে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান। পুলিশ সদস্যরা চায়ের দোকানে বেঞ্চে বসে থাকা ইয়াসমিনকে নানা প্রশ্ন করে এক পর্যায়ে দিনাজপুর শহরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোরপূর্বক পুলিশ ভ্যানে তুলে নেয়। এরপর তারা দশমাইল সংলগ্ন সাধনা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইয়াসমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।


এ ঘটনায় দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুলিশ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাকে ভাসমান পতিতা বানানোর প্রচেষ্টা চালায়। তড়িঘড়ি করে বেওয়ারিশ লাশ বলে দাফন দিয়ে ফেলে। ২৬ আগস্ট রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জনতা কোতয়ালী থানা ঘেরাও করে। ২৭ আগস্ট সকাল থেকে প্রতিবাদী মানুষেরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দুপুর ১২টার দিকে কয়েক হাজার জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিতে যায়। এ সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করে। আহত হয় প্রায় তিন শতাধিক। শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শহরে বিডিআর মোতায়েন করা হয়। দিনাজপুর থেকে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মতিন মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আসামি পুলিশের এএসআই মঈনুল, কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান চালক অমৃত লাল বর্মণের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ বিধান ‘৯৫-এর ৬ (৪) ধারায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন। আলামত নষ্ট, সত্য গোপন ও অসহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এএসআই মঈনুলকে আরও ৫ বছরের সশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়। অপরদিকে, দণ্ডবিধির ২০১/৩৪ ধারায় আলামত নষ্ট, সত্য গোপন, অসহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামি দিনাজপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবদুল মোতালেব, ডা. মহসীন, এসআই মাহতাব, এসআই স্বপন চক্রবর্তী, এএসআই মতিয়ার, এসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।

ইয়াসমিন স্মরনে দশ মাইল মোড়ে একটা স্মৃতি ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। স্মৃতি ফলকটি যতবারই দেখি ততবার ই সাহসী একটা জাতি হিসেবে, দিনাজপুরের সন্তান হিসেবে গর্বে আমার বুক ফুলে উঠে। এটা শুধু নিছক একটা স্মৃতি ফলকই নয় বরং এটি একটা চেতনা, একটা গণজাগরণ। এটা আমাদের জাতি হিসেবে রক্ষক নামক ভক্ষকদের বিরুদ্ধে আরেকবার গর্জে ওঠবার একটা প্রয়াস। যেখানে দিনাজপুরবাসী তাদের অধিকার, ইয়াসমিনের জন্য ন্যায় বিচার আদায় করেই তবে ঘরে ফিরেছে। তারা এমন একটা সময়ে ইয়াসমিনের জন্য ন্যায় বিচার আদায় করে ছেড়েছে যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনই অপ্রতুল ছিল যে একজন মা-কে প্রথম সন্ধায় তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য হতে হয় চরম উদ্বিগ্ন। মোবাইল কিংবা ফেসবুকের মত যোগাযোগের ছিল না কোন মাধ্যম। তবু তারা একত্রিত হয়েছিল। একত্রিত হয়েছিল একটা ‘কাজের মেয়ে’ ইয়াসমিনের জন্য। তাদের সন্তানের জন্য, তাদের বোনের জন্য।
গত এক দশকে সারা বাংলাদেশে কয়েক হাজার ধর্ষন এবং ধর্ষন পরবর্তী খুনের ঘটনা ঘটেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র তাদের ২০১৩–২০১৪ সালের পরিসংখ্যানে বলছে, এ সময়কালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০২১ জন নারী। এর মধ্যে মাত্র ৬ মাসে ৩০৯ জন এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৮ জন। ২১ জন নারীকে ধর্ষনের পর খুন করা হয়েছে, ৭ জন আত্মহত্যা করেছেন আর ৪৪ জন নারীর ক্ষেত্রে ধর্ষণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

ঘরে বাইরে নারীরা আজ কোথাও নিরাপদ নন। বিচারহীনতা আর নিশ্চুপতায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশ যেন হয়ে উঠেছে ধর্ষন এবং যৌন নির্যাতনের এক উপদ্রুত অভয়ারণ্য। আমরা সকলেই একেকজন যেন আজ ধর্ষক কিংবা হন্তারক। ইয়াসমিন হত্যা পরবর্তী ঘটনায় আলোকপাত করলে আমরা দেখতে পাব সামান্য একজন ‘কাজের মেয়ে’ ইয়াসমিনকে ধর্ষন এবং হত্যা পরবর্তী ঘটনায় কিভাবে ফুঁসে উঠেছিল পুরো দিনাজপুর। তারা এটা দেখতে যায়নি যে ইয়াসমিন কাজের মেয়ে ছিল নাকি ‘পতিতা’ ছিল। ইয়াসমিনের জন্য ন্যায় বিচার দাবী করে প্রান দিয়েছিল একে একে সাতজন অকুতোভয় বীর সেনানী।

সাম্প্রতিক সময়ে খুব তাজ্জ্বব হয়ে যেতে হয় যেখানে আন্দোলনগুলো ধীরে ধীরে কি-বোর্ড সর্বস্ব হয়ে উঠেছে। কোন একজন মনিষী যেন বলেছিলেন, বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। সত্যিই আমরা আজ একটা আবেগহীন জাতীতে পরিণত হতে চলেছি, যেখানে একটা খুন কিংবা ধর্ষনে আমাদের তেমন ভাবান্তর দেখা যায় না। ফেসবুকে আমরা একটা স্ট্যাটাস দেই, আমরা ফেসবুকে ঝড় তুলি। ধর্মের আদলে আমরা বিশ্লেষন করি- ধর্ষিতার কাপড় কিংবা চাল-চলন নিয়ে। মাঝে মাঝে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে ঘুমাতে যাওয়া আমাদের কাছে আজ হাতি ঘোড়া মেরে একাকার করে দেয়ার সমতুল্য। অধিকার আদায়ের দাবি নিয়ে কেউ আর রাজপথে দাড়াই না। আর গুটি কয়েক যারা দাঁড়ায় তাদের সমর্থন না দিয়ে মূর্খ হিসেবে গন্য করি।
আমি কখনোই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেবার বিরোধী নই বরং এই মাধ্যমটাকে আমি বিপ্লবী একটা মাধ্যম হিসেবে গন্য করি তবে আমি বিরোধী সেই জায়গায় যা আমাদের মনে ভীতি আর আলস্য তৈরি করে আমাদের আর কখনোই এক কাতারে, রাজপথে দাঁড়াবার প্রয়াস করে দিচ্ছেনা। একধরনের দায়সারা গোছের নাগরিত্বকে আমাদের সামনে উন্মোচন করে চলেছে প্রতিনিয়ত যা আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আর একত্রিত হতে দিচ্ছেনা। আমি স্বপ্ন দেখি, এমন একটা দিনের স্বপ্ন দেখি যেখানে প্রতিটা নাগরিক তাদের একজন আরেকজনের অধিকার আদায়ে আবারো হয়ে উঠবে সোচ্চার। আমাদের মা, বোন, স্ত্রী কিংবা কন্যা-রা খুঁজে পাবে সত্যিকারের একটা অভরায়ন্য।

বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।

তথ্যসূত্রঃ ইয়াসমিন হত্যাকান্ডের ঘটনাটির বিভিন্ন অনুষঙ্গ গ্রহন করা হয়েছে পত্র, পত্রিকা, ব্লগ ইত্যাদি থেকে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: ইয়াসমিনকে সামনে এনে কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন। এসময়ের ইয়াসমিনদের নিয়ে কথা বলা লোক খুঁজছেন। বিষয়টি অনেকেই ভাবছে। ধন্যবাদ

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কিন্তু আমার বলবার জায়গাটা হল ভাবনা চিন্তাগুলোকে এবার একটা প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসা দরকার। সেগুলো যেন আর শুধুই ফেসবুক সর্বস্ব না হয়ে থাকে।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি সেসময় দিনাজপুরে ছিলাম। অবাক লাগে ভাবতে, এমন একটা আন্দোলন কীভাবে হলো! সুবিধাবাদী চতুর নেতাদের উশকানি বা আশকারাতে নয়, নিজেদের বিবেক সম্বল করে মানুষ পথে নেমে এসেছিলো, রক্ত দিয়েছিলো। এমন কি কখনও ঘটবে আবারও?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: জেনে খুব ভাল লাগল হাসান মাহবুব ভাই যে এমন একটা মহেন্দ্রখনের সাক্ষী হিসেবে আপনি ছিলেন তাও আবার আমার এলাকাতে। আমিও অবাক হয়ে যাই যে এমন একটা আন্দোলন তখনকার দিনে কিভাবে সম্ভবপর হয়ে উঠেছিল। আমার মনে হয় না ভাই এমনটা আর কখনো ঘটবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

সুমন কর বলেছেন: বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সময়ের হিসেবে ২১ বছর ১ মাস পেরিয়ে গেছে সেই ঘটনার।
সেই সময়টা ছিল সত্যিকারের নির্ভীক বাঘেদের। তারা প্রতিবাদ করতে দ্বিধা করতো না। দল, রাজনীতি করতো মানতো না - ন্যায়ের জন্য জীবন দিতেও সদা প্রস্তুত ছিল। এই জন্যই ইয়াসমিন বিচার পেয়েছিল।

এখনকার কথা ভাবুন।
এখন এরকম নির্ভীক বাঘ কয়জন আছে? শিকার হওয়া নামও তো কম না। এক তালিকায় লিখতে গেলে নামও মনে আসবে না তাদের। তাদের সাথে ঘটা ঘটনাগুলোর প্রত্যেকটিই হয়েছে আলোচিত। কিন্তু এখন সব ভুলে যাওয়ার খাতায়।
এখন প্রতিবাদ গুলো কেমন যেন। এই প্রতিবাদকেও অনেকে হাতিয়ার বানায় নিজেদের নাম কামানোর। স্বার্থপরতা জরিয়ে গেছে সবার মাঝে।

সত্যিকারের প্রতিবাদী মানুষের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে মানুষের উন্নতি করার জন্য। সময়ক্ষেপণ কম হওয়ার জন্য। এটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য।
কিন্তু এসবের কিছুই হচ্ছে না। বরং, নিজেদের উপকারেই ব্যবহৃত হচ্ছে।

২১ বছর আগে জীবন দিতে দ্বিধা করে নাই মানুষগুলো। সেই দেশের মানুষ হয়েই ২১ বছর পর সাধারণ সাক্ষ্যটা দেওয়ার সাহস নাই কারো।

সমাধান কী এটার?
সবচেয়ে বড় কথা, সমাধানটা কোনটা সমস্যার জন্য আগে বিবেচনা করবো?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনার প্রতিটা পয়েন্টের সাথে সহমত পোষন করছি। গুরুত্বপূর্ন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

মেঘ ছাউনী বলেছেন: বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক। খুব ভাল লিখেছেন ভাইয়া।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা শতত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.