নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিয়েলিটি

কি-বোর্ড

এ পৃথিবী বিবেকবান মানুষের শ্রেষ্ঠ পাঠশালা

কি-বোর্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটি আইডি কার্ডে থাকুক রক্তের গ্রুপ

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫০


ফজলে আজিম
ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, সার্জারি, প্রেগনেন্সি, কিডনি ডায়ালিসিসসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। এসব মানুষের জন্য আগে থেকেই কেউ রক্ত নিয়ে বসে থাকেন না। যখন রক্তের প্রয়োজন হয় তখন রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। যারা গ্রাম থেকে শহরে আসেন তাদেরকে সবচেয়ে বেশি ভোগন্তিতে পড়তে হয়। তারা সহজে রক্তদাতা খুঁজে পান না। রোগীর সঙ্গে থাকা অনেক স্বজনও নিজের রক্তের গ্রুপ জানেন না। এমন চিত্র বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরলেই দেখা যায়।
দেশজুড়ে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এত বেশি হারে বাড়ছে তা আমাদের চারপাশে তাকালেই বোঝা যায়। একটা সময় পর থেকে এসব রোগীদের নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশূরা তো আছেই, প্রতি মাসেই তাদেরকে রক্ত দিতে হয়।
যাদের নিয়মিত রক্ত দিতে হয় তাদের পড়তে হয় নানারকম ভোগান্তিতে। রোগীর স্বজনদের চিন্তা করতে হয় কোথায় রক্ত পাওয়া যাবে তা নিয়ে। এমন অনেক পরিবার আছেন যারা প্রয়োজনের সময় রক্ত সরবরাহ করতে পারেন না। আর তখন বাধ্য হয়ে ছুটতে হয় পেশাদার রক্তবিক্রেতার কাছে। আমরা সবাই জানি এ রক্ত অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ। তবু বাধ্য হয়ে যেতে হয় তাদের কাছে।
এটা এখন রাজধানীর নিয়মিত চিত্র। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী তাদের রক্তের গ্রুপ জানে না। দু:খজনক হলেও সত্যি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী নিজের রক্তের গ্রুপ জানে না। না জানার কারণে অনেকেই রক্তদিতে আগ্রহী হয় না। এ বিষয়ে সচেতনতারও বড় অভাব রয়েছে। সরকারের একটি পদক্ষেপ এ চিত্র বদলে দিতে পারে।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এখন আইডি কার্ড থাকে। আইডি কার্ডে যদি রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরী হবে। ১৮ বছর বয়স হলেই তারা রক্ত দিতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রক্ত দানের যোগ্য। তাদের ক্ষেত্রে বয়সজনিত বাধা থাকে না। তারা যদি নিজেদের রক্তের গ্রুপ না জানেন তবে তারা কীভাবে জরুরি মুহূর্তে মানবসেবায় এগিয়ে আসবেন!
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ সংযোজন বাধ্যতামূলক করা হোক। এ বিষয়ে প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কার্যকর পদক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করছি। মানবতার জয় হোক।
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

বিপরীত বাক বলেছেন: রক্ত চাই। আরো রক্ত।
রক্তের বন্যায়
ভেসে যাবে অন্যায়।

শোনেননি।
বাংলার রাজপথে এমনিতেই তো রক্তের ছড়াছড়ি।

তাহলে রক্তের এত অভাব পড়বে কেন?

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

বিজন রয় বলেছেন: থাকলে ভাল হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.