নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নবালক আমি

আমি অতি সাধারণ

স্বপ্নবালক আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হতাশার বছর শেষ শঙ্কার বছর শুরু

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০

আরিফুজ্জামান মামুন

শীতের কুয়াশা ভেঙ্গে একটি ঝলমলে ভোর। এলো নতুন বছর। স্বাগত ২০১৩। কিন্তু গেল বছর বাংলাদেশের মানুষ আশা ভঙ্গের হতাশায় ভূগেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবন তো বটেই, সামাজিক জীবনেও বছরটি ছিল বেশ হতাশার। নানাস্থানে সরকারিদলের অভ্যন্তরীণ হানাহানি চরম রূপ লাভ করে। পুরান ঢাকায় ছাত্রলীগের দ্বারা বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড কাঁপিয়ে তোলে গোটা রাষ্ট্রের ভিত। চাঁদাবাজি, টেন্ডার, পেশিবাজি প্রভৃতি কাজে সরকারি দলের সমর্থকদের মহড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় সিরিজ আকারে প্রকাশে জনমানুষের দৃষ্টি কাড়ে। গেল বছর বিরোধী মত দমনে সরকারের আগ্রাসী ভূমিকা নিন্দিত হয়েছে দেশেতো বটেই, সারা বিশ্বেই। বর্তমান সরকারের দিনবদলের হাওয়ায় কাহিল এদেশের মানুষ। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় নিদর্লীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবীতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন করছে ১৮ দলীয় জোট। তাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে দেশের সুশীল সমাজ ও বিদেশীরাও। কিন্তু সরকার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য বদ্ধ পরিকর। এজন্য তারা সংবিধান সংশোধন করেছে। জনগণের বিপক্ষে সরকারের অবস্থান তাই নতুন বছরে এক নতুন শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি চাপে গেল বছর পিষ্ট হয়েছে বাংলাদেশে মানুষ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকার তুঘলকি মানসিকতা দেখিয়েছে। কুইক রেন্টালের ভুর্তকির নামে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়িয়েছে সরকার। নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে, কমবে না কখনো এই নিয়তি নিয়েই মানুষ আরেকটি বছর পার করেছে। ২০১২ সালে একটি নিত্যপণ্যেরও দাম কমেনি। বরং সবজি, আটা, ময়দা, ডাল, মসলা, মাছ, মাংস, মুরগি, ডিম, গুঁড়োদুধসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। এছাড়া উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল ছিল চাল ও ভোজ্যতেলের বাজার। বছরজুড়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ‘চাকুরী জীবীদের সংসারে নিত্য টানপোড়ন’ এমন শিরোনাম ছিলো পত্রিকাগুলোতে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিল অত্যন্ত সঙ্গিন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমন বুলি আওড়ালেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। গুম, গুপ্তহত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ছিল সংবাদ মাধ্যমে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আলোচিত বিষয়। এ বছরই বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুম হন। গুম হন পোশাক শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম। এসব গুমের ঘটনা সারাবিশ্বে ঝড় তোলে। এর ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ করতে গেলে এবছরই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিরোধী দলের উপর সরকার আগ্রাসী ভূমিকা নেয়। গ্রেফতার করা হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে। সিলেটের দুই ছাত্রদল নেতা রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহৃত হওয়রার পর তাদের যেমন আর কোনো খোঁজ মিলেনি, তেমনি গত সেপ্টেম্বরে সাভারের আমিন বাজারে ছয় কলেজ ছাত্র হত্যার চার সাক্ষীর উধাও হওয়ার সেই রহস্যের জট খোলেনি। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জে শিশু পরাগ মণ্ডলের অপহরণের ঘটনায় সারা দেশে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এ ছাড়া রাজধানীর গুলশানে কূটনৈতিক পল্লীতে সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলীকে গুলি করে হত্যা, মহাখালীতে চিকিৎসক নেতা নিতাই চন্দ্র, গুলশানে ব্যবসায়ী, ধানমন্ডিতে আইনজীবী, হাতিরপুলের একটি জনশক্তি অফিসে এক তরুণীকে কয়েক টুকরা করে হত্যার মতো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা আলোচিত হয়। এসব ঘটনায় রাজধানীসহ সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া দক্ষিণখানে সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মুক্তা হত্যার আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগে স্ত্রী-সন্তানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় পুঁজিবাজারের ব্যবসায়ী জিয়া হায়দারকে। বছরের শেষ ভাগে এসে বিরোধী দলের কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে চাপাতি-রামদা হাতে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হত্যা করে নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎকে। ঘটনাটি সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। সর্বমহল থেকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হলেও পুলিশ তাদের পরিচয় ও গ্রেফতার নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে। বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের গ্রেফতার সংখ্যা নিয়েও শুরু হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মধ্যে তথ্য বিভ্রাট। এ ঘটনায় সরকারকে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

হলমার্ক ও ডেসটিনির কেলেংকারি গেল বছর ছিলো আরো একটি আলোচিত বিষয়। হলমার্কে সরাসরি মন্ত্রী-উপদেষ্টারা জড়িত হলেও সরকার নিশ্চুপ থেকেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। তেমনিভাবে ডেসটিনি থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। গেল বছর বাংলাদেশে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বলছে, এসব টাকা পাচারের তথ্য আছে যথাসময়ে সেটি প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের দুর্নীতিও ছিলো গেল বছরের অন্যতম আলোচনার বিষয়। শেয়ার বাজার কেলেংকারিতে সরকারি লোকের সরাসরি সম্পৃকতা দেশের মানুষকে হতবাক করেছে। এতে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত দেড়কোটি মানুষকে পথে বসিয়েছে। কিন্তু সরকার কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেইনি। রেল কেলেংকারি ছিলো গেল বছর সরকারের কপালে আরেকটি কলংক তিলক। প্রকাশ্যে টাকার বস্তাসহ রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ফারুকের গাড়িতে রেলমন্ত্রীর উপঢৌকন হিসেবে টাকা ধরা খেলেও রেলমন্ত্রীর কিছুই হয়নি। তাকে সরকারের তরফ থেকে রক্ষা করা হয়েছে। সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ‘কালো বিড়াল’ খ্যাত নগদ টাকার বস্তা কেলেঙ্কারি এবং তার পদত্যাগ ও পরবর্তীতে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ছিল দেশজুড়ে আলোচিত ইস্যু।

পদ্মাসেতু নিয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ও উপদেষ্টা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিলেও সরকার তাদের বাঁচাতে চেয়েছে। একাজে সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক উপাধি পর্যন্ত দিয়েছেন। অথচ বিশ্বব্যাংক এদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সুপারিশ করে। কিন্তু দুদক সরকারের চাপে পড়ে তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেয়। পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে হতাশায় ডুবিয়েছে। স্বপ্নের পদ্মাসেতু বর্তমান সরকারের সময় আর হচ্ছেনা এটা এক প্রকার সুষ্পষ্ট। অথচ সরকারের বর্তমান যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মাসেতুতে বসে রাতের জোৎ¯œা দেখার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন গেল বছর।

গেল বছর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধপল্লী ও মন্দির আগুন দিয়ে পোড়ানো, সিলেটে এমসি কলেজের চারটি ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের অগ্নিসংযোগের ঘটনা সরকারের চরম ব্যর্থতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। আশুলিয়ায় তাজরীন গার্মেন্টে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১২৪ জন পোশাক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা দেশবাসীকে ব্যথিত করেছে।

বিরোধী দলের সংবিধান সম্মত যেকোন আন্দোলনে ব্যাপক দমন-নিপীড়ন করেছে সরকার। বাম দলের ডাকা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সফল করে আর হরতাল শেষে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সেই বাম দলের ডাকা তেলের মূল্য কমানোর দাবীতে জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের দাবীতে কর্মসূচীতে সরকারের সেই পুলিশ বাহিনীর নগ্ন হামলায় যখন বাম দলের নেতারা রক্তাক্ত হয় তখন বোঝা যায় না সরকার মূলতঃ কখন কোন চরিত্রে অবতীর্ণ হচ্ছেন। গত বছর সাংবাদিক সাগর-রুনীসহ অসংখ্য সাংবাদিকদের হত্যার বিচার এখনও সরকার করতে পারেনি। তবে আমার দেশ পত্রিকার সাহসী সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানকে সত্য প্রকাশ করার জন্য অবরুদ্ধ করতে পেরেছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করতে পেরেছে। সাগর-রুনীর খুনীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না চিনলেও শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ-প্রকাশকে মুক্ত করতে কোন বেগ পেতে হয়নি। বেগ পেতে হয়নি বিরোধীদলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে রাখতে। ২৫ হাজারের উর্ধ্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে। সরকারের সমালোচনা করে যেই কথা বলেছে সে যেই হোক না কেন তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে লাঞ্চিত হতে হয়েছে। লাঞ্চিত হয়েছেন নোবেল জয়ী ড. ইউনুস, সকলের শ্রদ্ধার পাত্র ব্যারিস্টার রফিকুল হক, সর্বশেষ হলেন একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সাবেক উপদেষ্টা এম. আকবর আলী। এভাবে লাঞ্চিত, বঞ্চিত আর নির্যাতিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে বন্দুক যুদ্ধে দৃশ্যায়নের মধ্য দিয়ে একটি বছর পার করল গোটা জাতি।

শহীদদের আত্মত্যাগে উজ্জল এদেশের প্রতিটি মানুষ বিজয়ের মাসে এসেও কেমন যেন দিশেহারা ছিলো। ফারাক্কার শোষনে পদ্মা শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হলেও এদেশের ভারতীয়করণ থামেনি। টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের উন্মত্ততার সাথে সেই চার দশক আগের বন্ধুত্বের বলি হয়ে তিতাস আজ একটি খুন হয়ে যাওয়া নদীর নাম। মুখে নারীর অধিকার নিয়ে শত সেমিনার সিম্পোজিয়াম হলেও তা এই অধিকার কিছু জীপগাড়ি আর কারে চাকার নিচে চাপা পড়েছে। গত বছর নারী নীতি প্রকাশিত হলেও ভিকারুননিসার মতো বিদ্যায়তনে শিক্ষক নামক দানবের কারনে দেশের মান ইজ্জত ভূলুন্ঠিত হয়েছে।

মাত্র চারটি দশকের ব্যবধান। এই সকল শহীদের পূণ্য স্মৃতির প্রতি কাঁচকলা দেখিয়েই গেল বছর দেশের বুক চিরে দেয়া হলো প্রশস্ত করিডোর। নিদারুণ উন্মত্ত্বতায় খানা খন্দকে পরিণত করা হলো দেশের প্রতিটি রাস্তাঘাট। বন্ধুত্বের বহিপ্রকাশ স্বশব্দে বার বার জেগে উঠেছে। কাটাতারে ঝুলেছে ফেলানীর লাশ আর ফেলানীর বাংলাদেশ। আমরা পেয়েছি এক একটা ফেলানি, মিরাজ হোসেন, নাজমুল হাসান, কবির, সোলেমন, তরিকুলদের নিথর দেহ। চারদিক ঘিরে বন্ধুত্বের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়া কাঁটাতারের বেড়া আমাদের বাধ্য করেছে একটি বিস্তৃত মানব খাঁচার বাসিন্দা হতে।

বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্ষায় বছরটি ছিল স্থবিরতায় ঘেরা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে সরকারও ইউনূসের সম্পর্কের চরম অবনতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত গড়ায়। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে হিম শীতলতা নেমে আসে। তাই বারাক ওবামা কিংবা হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর বিষয়ে কোন সুরাহাই করতে পারেনি বর্তমান সরকার। ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের দরকারি ইস্যুগুলোর সমাধান হয়নি। মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করে গেলেও তিস্তার পানি চুক্তি বিষয়ক বহুল প্রতীক্ষিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি। বরং শেষ দিকে ভারত টিপাইমুখ বাঁধ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে মূলত বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বৈরীসুলভ আচরণ করতে চাইছে। বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না, এমন কাগজি কথার উপর কোন ভরসাই করতে পারছেন না বাংলাদেশের মানুষ। অথচ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষ সহযোগিতাকারী রাষ্ট্র ভারত, বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় সৌহার্দপূর্ণ, পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় সহযোগী থাকবে এমনটিই কাম্য ছিল সবসময়। বিভিন্ন দরকারি ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে একটি সুষ্ঠু বোঝাপড়া করতে না পারার ব্যর্থতা থেকেই গেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর।

ধানের ফসলে বাম্পার ফলন হয়েছে, সরকারি পক্ষ থেকে এমন দাবি করলেও ধানচালের মূল্য কমেনি গেল বছরে। গ্রামীণ জনপদের মানুষ তাদের উৎপাদিত কাঁচামালের বিক্রয়মূল্য পাননি। ফড়িয়া মুনাফাখোররা তাতে ভাগ বসিয়েছে নানাভাবে।

গেল বছরের শেষভাগে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের বিচার নিজামুল হকের স্কাইপি সংলাপ ছিলো আলোচিত বিষয়। এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর পুরো বিচার ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্কাইপি কেলেংকারিতে জড়িয়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বিচারপতি নিজামুল হক।

সংবাদকর্মী ও গবেষক

[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.