নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াজিদের সেনাবাহিনীর হাতে ‘হাররা’ যুদ্ধে মদীনায় গণহত্যা, লুটতরাজ ও গণ-ধর্ষণ

১৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩



প্রায় ১৩৭০ বছর আগে কারবালার মহা-ট্র্যাজেডির দুই বছরেরও কম সময় পর ৬৩ হিজরির এই দিনে(২৮ জ্বিলহজ্ব) খোদাদ্রোহী ইয়াজিদের বাহিনী মদীনায় মসজিদে নববী ও রাসূল (সা.)’র রওজার অবমাননাসহ গণহত্যা এবং গণ-ধর্ষণের মত নানা মহাঅপরাধযজ্ঞে লিপ্ত হয়। ইয়াজিদের নর-পশু সেনারা পরে মক্কায়ও হামলা চালিয়ে পবিত্র কাবা ঘর ধ্বংস করেছিল।

নরপশু ইয়াজিদের নির্দেশে কুফায় নিযুক্ত তার গভর্নরের অনুগত সেনাদের হাতে বিশ্বনবী (সা.)’র প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবার-পরিজনসহ প্রায় ১০০ জন সঙ্গীর বেশিরভাগেরই কারবালায় শাহাদত বরণ করার হৃদয়বিদারক এবং মহাবিয়োগান্তক ঘটনার খবর শুনে মদীনাবাসী ইয়াজিদের চরিত্র ও প্রকৃতি সম্পর্কে তদন্ত চালায়। তারা এ লক্ষ্যে দামেস্কে একটি তদন্ত-টিম পাঠায়। তদন্ত-টিম তাকে ইসলামী মূল্যবোধ-শূন্য ও একজন নৈতিক চরিত্রহীন ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখতে পায়। ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর মহান বিপ্লব ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের সহযোগিতা করতে না পারার জন্য মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে গণ-অনুশোচনা ক্রমেই জোরদার হতে থাকে।





এ অবস্থায় মদীনাবাসী তাদের শহর থেকে ইয়াজিদের নিযুক্ত গভর্নরকে বের করে দেয় এবং ইয়াজিদের অনৈসলামী শাসনকে বৈধ শাসন হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে। ফলে মহাপাপিষ্ঠ ইয়াজিদ সিরিয়া থেকে কুখ্যাত মুসলিম বিন উকবার নেতৃত্বে ১০ হাজার সেনা পাঠায়। হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফও ছিল এই সেনাবাহিনীর এক সাধারণ সেনা। উকবা মদীনার উত্তর-পূর্ব দিকে হাররা অঞ্চলে মদীনার প্রতিরোধকামীদের ওপর হামলা চালায়। অস্ত্রে সুসজ্জিত উমাইয়ারা বিপুল সংখ্যক মুজাহিদকে হত্যার পর শহরের ভেতরেও প্রতিরোধকামীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে তাদের শহীদ করে। এমনকি যারা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.)’র পবিত্র মসজিদে ও তাঁর পবিত্র মাজার বা রওজায় আশ্রয় নিয়েছিল তাদেরকেও নির্মমভাবে শহীদ করেছিল ইয়াজিদের পাষণ্ড সেনারা। বিশ্বনবী (সা.)’র বহু সাহাবীসহ ৭০০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব শহীদ হয় তাদের হামলায়। ইয়াজিদের সেনারা মদীনায় অন্তত ১০ হাজার মানুষকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে। এরপর উকবার নির্দেশে তার নেতৃত্বাধীন ইয়াজিদের সেনারা তিন দিন ধরে মদীনা লুট-তরাজ করে এবং নারীদের সম্ভ্রমহানি করে। তারা মদিনার মসজিদে নববীকে ঘোড়ার আস্তাবল বানায় এবং ঘোড়ার মলমূত্রে অবমাননা করা হয় মুসলিম বিশ্বের পবিত্রতম এই স্থানের।এরপর এই অভিশপ্ত সেনাদল মক্কার দিকে যায় এবং এমনকি পবিত্র কাবা ঘরেও হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করেছিল।

মদীনায় নারীদের ওপর ইয়াজিদ-সেনাদের গণ-ধর্ষণ বা পালাক্রমিক ধর্ষণের পরিণতিতে এক হাজারেরও বেশি অবৈধ সন্তান জন্ম নিয়েছিল এবং তাদের বাবা কে ছিল তা সনাক্ত করার কোনো উপায় ছিল না। ইতিহাসে এদেরকে ‘হাররা বিদ্রোহের সন্তান’ বলে উল্লেখ করা হত। হাররার যুদ্ধ বা হাররার গণহত্যা নামে পরিচিত এই ঘটনা বহু বছর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে স্মরণ করা হয়েছে।

অনেকেই বলেন এইসব অবৈধ সন্তান ও তাদের পিতামাতাদের অজুহাত দেখিয়েই বিতর্কিত ওয়াহাবী মতবাদের নানা ধারণার পক্ষে, বিশেষ করে কবর-জিয়ারত এবং মৃতের জন্য দোয়া ও কুরআনের সুরা পড়া নিষিদ্ধের যুক্তি দেখানো হয় ।

উল্লেখ্য, ইয়াজিদ মক্কা ও কাবা ঘরে হামলার ঘটনার পর পরই মারা যায়।

অনেকের মনেই এ প্রশ্ন জাগে যে ৬৩ হিজরির মধ্যেই মুসলমানদের এত দুর্দশা কেন ঘটেছিল? মুসলমানদের মধ্যে কি মুনাফিকদের প্রাধান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল?

বলা হয়ে থাকে, কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার মহান সঙ্গীরা যখন শাহাদত বরণ করেন তখন ইয়াজিদ খুশি হয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেছিল যেখানে সে স্পষ্টভাবে এটা উল্লেখ করে যে " হুসাইনকে হত্যার মাধ্যমে আমরা উমাইয়ারা মুহাম্মাদকেই হত্যা করেছি এবং বদর, উহদ ও খন্দকের প্রতিশোধ নিয়েছি।" আসলে বনি উমাইয়াদের অনেকেই কেবল মুখে মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। বিভিন্ন জিহাদে, বিশেষ করে বদর, উহুদ ও খন্দকে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)'র হাতে ততকালীন কাফিরদের বড় বড় ব্যক্তিত্বরা নিহত হওয়ায় এবং তাদের অনেকেই বনি উমাইয়া গোত্রের লোক ছিল বলে সেই বংশীয় বা গোত্রীয় ক্ষোভ তাদের মধ্যে সুপ্ত ছিল। উমাইয়াদের অনেকেই বা বেশিভাগই মক্কা বিজয়ের পর বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। আবু সুফিয়ানসহ অনেক উমাইয়া ব্যক্তিত্ব ইসলামের সঙ্গে শত্রুতায় সবচেয়ে অগ্রণী ছিল। তাই তারা ভেতর থেকেই ইসলামের ওপর আঘাত হানার দীর্ঘ মেয়াদী ষড়যন্ত্র করে যাতে এক সময় মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব তাদের হাতেই চলে আসে।

ইসলামী বর্ণনায় এসেছে, কোনো এক সময় মহানবী (সা.) স্বপ্নে দেখেন যে, বনী উমাইয়্যা তাঁর মিম্বরে বানরের মত নাচানাচি করছে। এ স্বপ্ন দেখে তিনি এমনই শোকাহত হলেন যে, এরপর যতদিন বেঁচে ছিলেন তিনি আর হাসেননি। তাঁর এই স্বপ্ন দেখার পর পবিত্র কুরআনের সুরা বনি ইসরাইলের ৬০ নম্বর আয়াত নাজেল হয়েছিল। ওই আয়াতে বলা হয়েছে:

“এবং (স্মরণ কর) যখন আমরা তোমাকে বলেছিলাম যে, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক মানুষকে পরিবেষ্টন করে আছেন এবং আমরা তোমাকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম তা কেবল মানুষের জন্য পরীক্ষার মাধ্যম ছিল এবং কুরআনে বর্ণিত অভিশপ্ত বৃক্ষটিও। আমরা মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করতে থাকি, কিন্তু তা তাদের চরম ঔদ্ধত্যকেই কেবল বৃদ্ধি করে।” তাফসিরে তাবারিসহ কয়েকটি সুন্নি সূত্রমতে, কুরআনে উল্লিখিত ওই “অভিশপ্ত বৃক্ষ” বলতে আবু সুফিয়ানের বংশধর তথা উমাইয়াদের বোঝানো হয়েছে এবং রাসূল (সা.) স্বপ্নে তাঁর মিম্বরে বানরদের নাচানাচির যে ঘটনাটি দেখেছিলেন তার অর্থ উমাইয়াদের মাধ্যমে খেলাফত দখল করা হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আল-মুনতাজার বলেছেন: ইয়াজিদ হচ্ছে তথাকথিত কাতেবে অহি মুয়াবিয়ার কুসন্তান।মুয়াবিয়ার বাপ আবু সুফিয়ান রাসুলের(সাঃ) সাথে ২২ বছর যুদ্ব করেছিলেন,মুয়াবিয়ার মা রাসুলের(সাঃ) চাচা হামজার(রাঃ) কলিজাভক্ষনকারিনী,মুয়াবিয়ার কুসন্ত্রান ইয়াজিদ বেহেস্তের নেতা ইমাম হুসাইনের(আঃ) হত্যার নির্দেশ দাতা।মুয়াবিয়া নিজে বিবি আয়েশার হত্যাকারী।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: দাঁড়ান! একটু বুঝে নেই X(( X(

এর মানে হচ্ছে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ইসলাম দূর করতে পারে নাই। যত মহান শিক্ষাই হোক না কেন, ইসলামের ব্যর্থতা এখানেই। এরপরে ধীরে ধীরে বিভাজন হয়েছে। না হলে হানাফি, মালেকি, শাফিঈ এইসব আসবে কেন?? ক্ষমতা আর গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বতে জয় লাভের জন্য ইসলামকে হাতিয়ার করা হয়। সেখানে থেকেই পথভ্রষ্ট্ আলেমরা আজ আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে!

আয়েশার ক্ষমতার লোভ ছিল বলেই সে মুহাম্মদের প্রিয়তমা কন্যার স্বামীর বিরুদ্ধে তার ভাইদের নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীকালে নিজের ক্ষমতা অটুট ধরে রাখতে হয় তো মুয়াবিয়া আয়েশাকে হত্যা করেছিল।

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দূঃখজনক, কলংকজনক অধ্যায়।

ইসলামের মৌলিকতা না মেনে যারা মুখু মুখে ইসলাম গ্রহন করেছিল- অন্তরে ছিল মোনাফেকি তাদের এবং তাদের বংশধররাই এই সব অপকর্মের নায়ক- অতীত থেকে বর্তমান- একই ধারা।

সত্য, সুন্দর আর পবিত্রতা যেমন সার্বজনীন তার বানীও তেমনি সার্বজনীন।
@নিষ্কর্মা.. ব্যর্থতা কখনোই ইসলামের নয়, সম-সাময়িক নেতৃত্বের বলতে পারেন, তারা মোনাফেকদের চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি...

ইসলাম সত্য, সুন্দর, চিরদিনের ।

২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

আল-মুনতাজার বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য-জাজাকাল্লাহু খইরান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.