| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে আজকে তিনদিন ধরে তোবার শ্রমিকরা বেতন বোনাসের দাবীতে অনশন করছে, এ বিষয়ে আমার কিছু কথা:
যেখানে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক পথের ফকিরের মতো জীবন-যাপন করছে, সেখানে দুই-একটা গর্মেন্টস মালিকে ধরে পথের ফকির বানিয়ে দিলে সমস্যাটা কোথায়?
কত মানুষ রাস্তাঘাটে না খায়ে মরতেছে আর আমরা দুই-একটা পাষান্ড মালিককে বাচাঁনোর জন্য মানবিক হয়ে যাই। জালেম মালিকদের পথের ফকির বানিয়ে বুঝানো উচিত জীবন সংগ্রামটা কেমন।
কিন্তু না আমাদের কাছে, মালিকের পরিবারিই পরিবার, আর গার্মেন্টস কর্মীর পরিবার সমাজের বোঝা.. বাহ.!!
আমার যদি সুযোগ হইতো তাহলে গার্মেন্টস কর্মীদের উপদেশ দিতাম, তোমার এইসব অনষন-টনষন বাদ দিয়া যার যা সম্বল আছে, দা বঠি সাবাল, তাই নিয়ে মালিকের বাসা অভিমুখে নিরবে অগ্রসর হওয়। তার পর সবাই কিছু বুঝে উঠার আগেই সেই মালিক ল্যাং** করে তার ফ্যালিলি সহ ঘর থেকে বের করে দাও এবং বাসায় যা কিছু পাও সব লুট করো, পারলে বাংলা ছবির মতো জোর করে মালিকে দিয়ে তার সম্পত্তি তোমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এমন উইল করিয়ে নাও আর তা না পারলে বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দাও।
হে মজলুম মনে রেখো তোমরা এমনেও মরবা-ওমনেও মরবা, তাই হামাসের মতো জুলুমবাজ মালিকদের মরেই মরো।
আরও মনে রাখবা এ জগতে যারাই সাহস দেখিয়েছে তারাই সফল হয়েছে। আলেকজেন্ডার থেকে বাবর যুদ্ধ করেই তারা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে, তারা যদি যুদ্ধবাজ আর সাহসী না হতো তাহলে ইতিহাসের পাতায় কখনও তাদের ঠায় হতো না।
অতএব তোমরাও বিদ্রহ করো, তোমাদের সন্তানদের দিকে তাকিয়ে জীবনের মায়া কিছুটা পরিত্যাগ করো।
এটাতো স্পষ্ঠ যে তোমারাই সংখ্যায় বেশী তাই গুটিকয় মালিক শ্রেনীর কাছে তোমাদের পরাজয় কখনওই শোভা পায় না।
ইতিহাস বলে, জালিমের বিপক্ষে মজলুম যখন অস্ত্র তুলে নিয়ে, জালিম যতই শক্তিশালি হোক না কেনো তার পরজায় তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু তা না করে জালিমের অন্যায় মেনে নিয়ে শাষিত আর শুষিত হতে থাকলে জীবনেও জয়ী হওয়া যায় না।
মনেরেখো তোমাদের আজকের এই র্দুদশাগ্রস্থ অবস্থানের জন্য তোমরা মেধা বা শ্রমে কোনো দিক দিয়েই দায়ী নয়, তোমাদের এই অবস্থান কৃতিম এবং এটা কতিপয় পুজিবাদি গুষ্ঠির পরিকল্পিত সৃষ্টি কারণ তোমরা যদি র্দুদশাগ্রস্থ না থাকো তাহলে তোমাদের সস্তায় খাটিয়ে বিশাল পুজি সৃষ্টি করা যাবে না। এতএব তোমরা কোনো ভাবেই ভেবো না যে তোমাদের এই বিদ্রহ অনৈতিক, বরং এটাই হবে তোমাদের জন্য উত্তম পন্থা। তোমাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য তোমাদেরই লড়তে হবে, অন্যকেও তা করে দেবে না আর এই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে জালিমের বিপক্ষে লড়াটাই সবচাইতে শ্রেষ্ট।
এগিয়ে যাও হে মজলুম , ধ্বংস করে দাও সব জুলুম।
যারা এতক্ষন ধরে আমার পোষ্ট পড়েও অবাক হয়ে ভাবছেন গার্মেন্টস মালিকের অপরাধটা কোথায় তাদের জন্য নিচের লিংক: Click This Link
পূর্বে প্রকাশ: http://marufahmad.com/blog/archives/78
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৫
আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: একদম ঠিক বলছেন..
২|
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: আদমজী, ইস্পাহানী এদের তুলনায় ফেরেশতা ছিল; আমরা ভালো থাকার জন্য ওদের তাড়ায়ে ষখন হায়েনার হাতে পড়েছি।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে লোভী নীচুমনা অসৎ হৃদয়হীন খচ্চর টাইপ পাষন্ড ব্যাবসায়ী হল বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা। আর এদের সহায়তায় আছে এদেশের সরকার!