নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ: দুর্নীতির দুষ্ট চক্র থেকে কেন বের হতে পারছে না?

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১২


ছবি: অন্তর্জাল থেকে

দুর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে একটি বড় বাধা। দেশের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির ব্যাপক উপস্থিতি ও তার দুষ্ট চক্র থেকে বের হতে না পারা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এই নিবন্ধে আমরা বিশ্লেষণ করব কেন বাংলাদেশ দুর্নীতির দুষ্ট চক্র থেকে বের হতে পারছে না।

১. প্রশাসনিক দুর্বলতা:
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল এবং অদক্ষ। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি বিরোধী নীতি ও আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় না। ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং অনিয়ম নিয়মিত ঘটছে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে সুশাসনের অভাব দুর্নীতির বিস্তারকে ত্বরান্বিত করছে।

২. রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রভাব: রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দুর্নীতির অন্যতম প্রধান কারণ। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রায়ই নিজেদের স্বার্থে প্রশাসনিক ও বিচারিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সুরক্ষা পায়, যার ফলে দুর্নীতি দমন কঠিন হয়ে পড়ে।

৩. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণ:
বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে প্রথিত। সামাজিক স্তরে দুর্নীতিকে অনেক সময় গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়। শিক্ষার অভাব, সচেতনতার অভাব, এবং সমাজের নৈতিক মানের অবক্ষয়ের কারণে দুর্নীতি সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে।

৪. দুর্বল আইন ও বিচার ব্যবস্থা: বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে বিদ্যমান আইন প্রায়ই অপর্যাপ্ত এবং দুর্বল। এছাড়া, বিচার ব্যবস্থার ধীরগতি ও অসদাচরণও দুর্নীতি দমনে বড় বাধা। অপরাধীদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে শাস্তি দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় দুর্নীতির পরিমাণ বাড়ছে।

৫. অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত সমস্যা:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে অসাম্য ও দারিদ্র্যের কারণে দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা প্রায়ই অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে দুর্নীতির পথে পা বাড়ায়। এছাড়া, অবকাঠামোগত দুর্বলতাও দুর্নীতির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৬. শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব : শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব দুর্নীতি রোধের পথে একটি বড় বাধা। জনসাধারণের মধ্যে দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা কম থাকায় এবং শিক্ষার মান নিম্ন হওয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে।

দুর্নীতি দমনে করণীয়:


দুর্নীতি দমনের জন্য কিছু সুপারিশ করা যেতে পারে, যেমন:

কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: দুর্নীতি বিরোধী শক্তিশালী আইন প্রণয়ন এবং তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি: প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তরে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যকর ভূমিকা।
প্রযুক্তির ব্যবহার: ই-গভর্নেন্স ও ডিজিটাল সেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন করে দুর্নীতি কমানো।
শিক্ষার মানোন্নয়ন: শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বৃদ্ধি করা।

উপসংহার: বাংলাদেশের দুর্নীতির দুষ্ট চক্র থেকে বের হতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা, শক্তিশালী আইন ও নীতি প্রণয়ন, এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রতিটি নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হলে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: 'টপ' দুর্নীতি মুক্ত নাহলে 'বটম'রা দুর্নীতি করবেই।
সর্বাগ্রে প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত শাসক।

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনি বলেছেন সর্বাগ্রে প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত শাসক, কিন্তু দুর্নীতিমুক্ত শাসক পাওয়ার উপায়টা কি তা যদি একটু বিস্তারিত বলতেন ...

২| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩১

লেখার খাতা বলেছেন: প্রিয় গেঁয়ো ভুত আপনি নি:সিন্দেহে চমৎকার রূপে ১১ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। আমি আপনার সাথে আরও একটি পয়েন্ট যুক্ত করতে চাই:

১২) ক্ষমাসীনরা প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে সবখানে সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষ দের উপর জুলুম অত্যাচার টগবাজী করা বিশেষ করে বাজারে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের অমানবিক ঊর্ধ্বগতি। এই ব্লগে বলুন আর দেশে বলুন কিংবা বাজার বলুন। যেটাতে দুষ্ট সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে সেটা ধ্বংসের ধারে প্রান্তে চলে গিয়েছে।

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির আরেকটি রূপ হচ্ছে বাজারমূল্যে সিন্ডিকেটবাজির মাধ্যমে মুনাফা লুন্ঠন। দুর্নীতি যদি না থাকতো তাহলে কিন্তু খুব সহজেই সিন্ডিকেটের টুটি চেপে ধরা যেত।

আপনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৩| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকেই দুর্নীতির যাত্রা শুরু। বড় রকমের পরিবর্তন ছাড়া এর শেষ নাই।

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বড় রকমের পরিবর্তন ছাড়া এর শেষ নাই।

কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব? কে করবে??

৪| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:





দুর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে একটি বড় বাধা।

একটি বড় বাধা শুনতে মনে হয়, অনেক সমস্যার মধ্যে একটি বড় সমস্যা।
আসলেতো আমাদের দেশে যা কিছু প্রবলেম, সবকিছুর মূল হচ্ছে দুর্নীতি।
গোটা সিস্টেমটাই করাপ্টেড।
এর কোন প্রতিকার নেই।


২৯ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: একমত। লোম বাছতে গেলে কম্বল নাই হয়ে যাবার অবস্থা আর কি!

শুভকামনা।

৫| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুর্নীতিমুক্ত শাসক পেতে হলে অনেক গুলো অনুষংগ দরকার যার অন্যতম হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত ভোট।
অবশ্য আপনার বয়স ২৫/৩০ এর কম হলে 'ভোট' কি তা আপনার জানার কথা নয়।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অবশ্য আপনার বয়স ২৫/৩০ এর কম হলে 'ভোট' কি তা আপনার জানার কথা নয়।
=p~ ৭০ সালে দুনিয়ায় আইছি!

৬| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:





কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন:

কিন্তু কারা করবে? যাদের দায়িত্ব তারা নিজেরাই দুর্নীতি করে, নিজের স্বার্থেই কখনও এ সমস্যার সমাধান করবে না।
যতদিন সম্ভব এভাবেই চলবে।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি:

জবাবদিহিতা কার কাছে? জনগণের কাছে?
এ পর্যন্ত যত ক্ষমতাসীন দল ছিলো বা আছে, সবাই দুর্নীতি করেছে।
দুর্নীতি দমনের জন্য সত্যিকার অর্থে কোন দলই কাজ করেনি।
আর জবাবদিহিতা!!!!
এই শব্দের সাথে আমাদের রাজনীতিবিদ, নীতি নির্ধারকদের কোন পরিচয় নেই।


২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সবাই বলে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধতে হবে! কিন্তু ঘন্টা বাঁধবে কে? যে যায় লংকায় সেই হয় রাবন। যার যত ক্ষমতা সে ততোবড়ো দুর্নীতিবাজ!

৭| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: মনে হচ্ছে রক্তের মধ্যে এইসব মিশে গিয়েছে। ভাল কিছু করে অভ্যস্ত হতে প্রজন্ম সময় লাগবে। অনেকেই চেষ্টা করছে।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সঠিক বিশ্লেষণ। ব্রিটিশ-পাকিস্তান আমলে যে দুর্নীতির বীজ বপন হয়েছিল তা দেশ স্বাধীন হবার পরে কমবে এমন আশাবাদ সকলেরই ছিল, সে আশাবাদ পূর্ণ তো হয়ই নাই বরং দুর্নীতির চারাগাছ এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে।

৮| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

এস.এম.সাগর বলেছেন: আমি একজন মুসলিম হিসেবে বলবো- কিভাবে শান্তি ও সত্য প্রতিষ্টা করতে হবে সেটা আল্লাহ সুবঃ হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। কিন্তু ভাই চোরা কি কখনো ধর্মের কাহিনী শোনে??

৯| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: সর্বদলীয় উচ্চ পর্যায়ের নেতা ও আমলাদের দুর্নীতিতে আমরা ' রিপলিস বিলিভ ইট নট' টাইপের ছাড় দিচ্ছি!
দলের কতিপয় নেতা ও আমলারা বাঁচলে দেশ বাঁচবে, বাকি জনগণের ক্ষ্যাতাপুরি।

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা!!

১০| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ২:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: জনগন করবে।তবে,জনগনকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জনগনের একটা দল লাগবে।যেটা বাংলাদেশে নাই।সেই জন্য অপেক্ষা করতে হবে।সেটা দশ বছরেও হতে পারে আবার একশ বছরেও হতে পারে।

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সাথে একমত। ৫৪ বছর অপেক্ষা করলাম! সময়টা কি যথেষ্ট বেশি নয়?

১১| ২৭ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আহলান বলেছেন: দূর্ণীতি সব সময় ছিলো ... কম আর বেশী। এখন যেটা আছে সেটা হলো বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ... এক চেটিয়া ... কারণ আঙুল তোলার কেউ নাই। এর একমাত্র কারণ অটো পাশ গনতন্ত্র ...

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: একমত। তবে এর চাইতে ভাল গণতন্ত্র এই ভূখণ্ডে কবে ছিল জানতে পারি?

১২| ২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো সাজেশানস!!! ;)

কিন্তু কেতাবী কথা বলে খুব কি লাভ আছে? বাংলাদেশে দুর্নীতি হয় টপ-ডাউন এ্যপ্রোচে। কাজেই বিশাল একটা পরিবর্তন ছাড়া এর কোন সমাধান নাই। B:-)

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সবই ঠিক আছে। কিন্তু সেই বিশাল পরিবর্তনটা কে, কবে, কিভাবে আনবে?

১৩| ২৯ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বহুদিন আগে, যখন বাংলাদেশ দুর্নীতিতে টানা চ্যাম্পিয়ন হচ্ছিলো, তখন একটা আন্তর্জাতিক রিপোর্ট এর এক্সিকিউটিভ সামারিতে লেখা ছিলো, "এই দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে একেবারে নিম্নস্তরেরে প্রতিটি মানুষ নিজের ক্ষমতাকে টাকায় রূপান্তর করতে চায়। আর যাদের টাকা এবং সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে তারা ক্ষমতা লাভ করতে চায়"।

তাই দুর্নীতি আমার আপনার সবার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে, এ থেকে মুক্তি বুঝি নাই... B:-)

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "এই দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে একেবারে নিম্নস্তরেরে প্রতিটি মানুষ নিজের ক্ষমতাকে টাকায় রূপান্তর করতে চায়। আর যাদের টাকা এবং সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে তারা ক্ষমতা লাভ করতে চায়"।

পরিত্রানের উপায় কি? দুঃসময় কি ফুরাবে না?

১৪| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। আসলে আমাদের দেশের মানুষের আক্কেল কম। এই দেশে যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি হয় এটা অনেকেই বুঝতে চায় না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা যতদিন থাকবে ততদিন দুর্নীতি থাকবে। রাষ্ট্র যারা চালায় তারা সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ এবং পেশীশক্তিওয়ালা লোকদের উপর নির্ভর করে রাজনীতি করে। এটাই আমাদের দেশের রাজনীতির মূল চালিকা শক্তি। শুশাসন কোন রাষ্ট্র নায়ক এই দেশে চায় না। কারণ সুশাসন আসলে যোগ্য লোককে গদি ছেড়ে দিতে হবে। এই দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হোক এটাও নেতারা চায় না। ঘোলা জলে মাছ শিকার করা সহজ। অর্ধ শিক্ষিত লোক আর জ্ঞান পাপীরা এই দেশের রাজনীতির কাঁচামাল। জনগণ ভালো মন্দের পার্থক্য করার ক্ষমতা হারিয়েছে। হীরক রাজের দেশের সাথে এই দেশের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:০১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর বিশ্লেষণপূর্বক মন্তব্যটির জন্য।

আমরা সবসময় সরকার ও ক্ষমতাসীনদের দোষারোপ করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ করি, আমার মত হচ্ছে এজন্য আমাদের মতো আমজনতার দোষ কিন্তু নেহায়েত কম নয়, নিজের সুবিধার জন্য আমরা কি ঘুষ দিতে-নিতে কম যাই? দেখুন একজন রিকশাওয়ালা থেকে সর্বোচ্চ্য পদধারী পর্যন্ত করোও চেয়ে কেউ কি কম যাই? দুর্নীতি আমাদের শিরা-উপশিরায় আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে।

মন্তব্যের জবাব দিতে ব্যাক্তিগত সীমাবদ্ধতাহেতু বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: দুর্নীতির দুষ্ট চক্র থেকে কেন বের হতে পারছে না, মোটা দাগে সে আলোচনাটি ভালোই করেছেন। তবে ৫ ও ৬ নং পয়েন্ট এর সাথে আমার দ্বিমত রয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে কিংবা শিক্ষার অভাবে কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত হয় না। পেটের তাগিদে ওরা যদি সামান্য কিছু অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের প্রলোভনে পা দিয়েও থাকে, তথাকথিত শিক্ষিত এবং বিত্তশালীদের কোটি, শতকোটি ও হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির নিকট তাদের সেই অনৈতিকতা নস্যিতূল্য মাত্র।

সর্বগ্রাসী দুর্নীতি রোধকল্পে নতুন করে কোন 'কঠোর আইন' প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। দেশের বিদ্যমান আইন সমূহের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগই এ সমস্যা অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে। তবে সর্বাগ্রে প্রয়োজন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুর্নীতি নিরসন ও নির্মূল করা এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান 'দুর্নীতি দমন কমিশন' কে যোগ্য লোকের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া।

মিরোরডডল এর মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কমেন্টের জবাব দিতে যথেষ্ট দেরি হয়ে গিয়েছে বলে।

সর্বগ্রাসী দুর্নীতি রোধকল্পে নতুন করে কোন 'কঠোর আইন' প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। দেশের বিদ্যমান আইন সমূহের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগই এ সমস্যা অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে। তবে সর্বাগ্রে প্রয়োজন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুর্নীতি নিরসন ও নির্মূল করা এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান 'দুর্নীতি দমন কমিশন' কে যোগ্য লোকের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।

বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতে দুর্নীতি কমবে বলে কি মনে করেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.