নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মব জাস্টিস নয়, মব সন্ত্রাস

২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮



'মব জাস্টিস' — নামটা যতটা ন্যায়বিচার মনে হয়, বাস্তবে তা এক নির্মম ও আইনবহির্ভূত সন্ত্রাসের রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে জনরোষের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা, নির্যাতন, গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, যা গভীর উদ্বেগজনক। এটি আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার সংকটকেই স্পষ্ট করে তোলে।

ন্যায়বিচারের নামে নৈরাজ্য

মব জাস্টিস মূলত তখনই দেখা দেয়, যখন জনগণ মনে করে—ন্যায়বিচার সময়মতো হয় না, বা হয় না একেবারেই। দুর্বল তদন্ত, দীর্ঘসূত্রতা, প্রভাবশালী অপরাধীদের দণ্ড না পাওয়া, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ—এসব কারণে মানুষ আইনকে বাইপাস করে নিজেরাই 'বিচারক' হয়ে ওঠে। কিন্তু একবার এই প্রবণতা গেঁড়ে বসলে, সমাজে কে অপরাধী আর কে নির্দোষ, সেটি নির্ধারণ করতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা—যা একটি গোষ্ঠীবদ্ধ সন্ত্রাসে রূপ নেয়।

সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। 'ছেলেধরা' গুজব, ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ, চুরির সন্দেহ, রাজনৈতিক উত্তেজনা—এসব নানা অজুহাতে জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। অনেক সময় নির্দোষ মানুষও প্রাণ হারাচ্ছেন। এতে সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

মব জাস্টিসের এই বাড়বাড়ন্ত রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের ব্যর্থতা নির্দেশ করে।

পুলিশ, আদালত ও প্রশাসনের দুর্বলতা

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচার ব্যবস্থার অভাব

সঠিক তথ্যের অভাবে জনমনে বিভ্রান্তি

সামাজিক শিক্ষার অভাব
এই সংকটগুলো আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর দুর্বলতা তুলে ধরে।

এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে করণীয়

১. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা: প্রতিটি অপরাধ দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. সচেতনতা বৃদ্ধি: মব জাস্টিস যে অপরাধ, তা স্কুল-কলেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরা জরুরি।
৩. ডিজিটাল গুজব নিয়ন্ত্রণ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
৪. আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি: স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম ফোর্স গঠন করা যেতে পারে।

উপসংহার

‘মব জাস্টিস’ আসলে ‘মব সন্ত্রাস’। এটি ন্যায়বিচারের বিপরীত একটি অন্ধ ও হিংস্র প্রতিক্রিয়া, যা সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। যদি আমরা ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সভ্যতার পথে এগোতে চাই, তবে এই সন্ত্রাস বন্ধে সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

কাঁউটাল বলেছেন: যাহারা রাস্তা ঘাটে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিচার করে, উহারা মব। যেইসমস্ত অসৎ লোক অফিসের চেয়ারে বসে দুর্নীতি করে উহারা মব না। উহারা কাহারা? উহাদের কবল হইতে জাতি কবে মুক্তি পাইবে?

২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:

সকল প্রকার দূর্নীতি ও অবৈধ কর্মযজ্ঞ থেকে দেশ মুক্তি পাক।

পঠন এবং মন্তব্যেের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।
মানুষ অন্যায় করলে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে। মব নাম দিয়ে নিজের হাতে আইন কেন তুলে নিবে? ইউনুস সাহেবের আমলে এরকম ঘটনা একের পর এক ঘটছে। ইহা দুঃখজনক।

২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যে আমলেই এমন ঘটনা ঘটুক এগুলো চরম বর্বরতার চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। কোন সভ্য দেশে এমন ঘটনা কল্পনা করা যায়?

৩| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি এই ছবি কই পাইলেন ? :-B

২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: নেট থেকে নিয়েছিলাম বেশকিছুদিন আগে।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মব বাংলাদেশে আগেও ছিলো । পকেটমার আটক করলে পাবলিক নিজ হাতে আইন তুলে নেয়। ইহাই মব ।

২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এবার মনে হয় একেবারে জাতীয়করণ করা হয়ে গিয়েছে।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ইহা খুবই খারাপ কাজ।
মব ভায়োলেন্সকে না বলুন।

২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণরূপে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.