![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।
আমরা এমন এক যুগে বাস করছি, যেখানে ক্ষমতা আর নৈতিকতার মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার বড় অংশ এখন সেইসব মানুষের হাতে, যারা সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে হত্যাযজ্ঞ, শোষণ ও ধ্বংসের সাথে যুক্ত। প্রশ্ন জাগে—খুনিরাই কি সত্যি গোটা বিশ্ব শাসন করছেন?
যুদ্ধের ব্যবসা, মৃত্যুর বাজার
গত কয়েক দশকে দেখা গেছে, বড় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেছে বা অন্যদের যুদ্ধকে উস্কে দিয়েছে—নিজেদের অস্ত্রশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং প্রভাব বিস্তার করতে। একটি দেশের যুদ্ধ অন্য দেশের অর্থনীতির চাকাকে ঘুরিয়ে দেয়, আর মানুষের মৃত্যু পরিণত হয় কেবল সংখ্যা ও পরিসংখ্যানে। “Collateral damage”—এই সুন্দর শব্দটি দিয়ে তারা লাশের স্তূপ ঢেকে দেয়, যেন মানুষের মৃত্যু স্বাভাবিক, গ্রহণযোগ্য।
অর্থনীতির রক্তচোষা খেলা
বৈশ্বিক অর্থনীতি আজ অনেকটাই বড় কর্পোরেট আর আর্থিক কারসাজিকারীদের হাতে বন্দি। তারা এক হাতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, আর অন্য হাতে গোপনে এমন নীতি চাপিয়ে দেয়, যা গরিব দেশগুলোকে চিরকাল ঋণ ও দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে রাখে। কৃষক হারায় জমি, শ্রমিক হারায় ন্যায্য মজুরি, অথচ ধনী দেশ ও কোম্পানিগুলো আরও ধনী হয়।
রাজনীতি: ক্ষমতার আড়ালে অপরাধ
ক্ষমতাসীন অনেক শাসক বা প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজেদের সিংহাসন রক্ষার জন্য বিরোধীদের হত্যা, দমন বা গুম করতে দ্বিধা করেন না। জনগণের কণ্ঠরোধ, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, এবং ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলে তারা নিজেদের অপরাধকে আইনসম্মত করে তোলে।
বিশ্বব্যবস্থা: ন্যায় নাকি প্রহসন?
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় অসহায় বা পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয়। বড় শক্তিধর রাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা বা প্রভাব থাকলে অন্যায়ের বিচার থেমে যায়। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা শাস্তি পায় না, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মানিত অতিথি হিসেবে স্বাগত হয়।
মানুষের করণীয়
সব মানুষ খুনি নয়, সব নেতা শোষক নয়—এ কথা সত্য। কিন্তু যতদিন সাধারণ মানুষ অন্যায় ও হত্যার বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়াবে না, ততদিন খুনিদের রাজত্ব চলবে। পরিবর্তন আসে মানুষের সচেতনতা, ঐক্য ও সাহসিকতা থেকে। প্রশ্ন হলো—আমরা কি সেই পথে হাঁটতে প্রস্তুত? নাকি নিঃশব্দ দর্শক হয়ে যাব, যতক্ষণ না অন্যায়ের আগুন আমাদের দরজায় এসে পৌঁছায়?
উপসংহার: ইতিহাস সাক্ষী—যেখানে ন্যায়হীনতা চুপচাপ মেনে নেওয়া হয়, সেখানে খুনিরা শুধু টিকে থাকে না, তারা সম্রাট হয়। পৃথিবীকে বদলাতে চাইলে প্রথমে বদলাতে হবে আমাদের নীরবতা।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। প্রথম মন্তব্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে এনেছেন।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২৬
লোকমানুষ বলেছেন: ক্ষমতার মসনদে বসলে আপনার হাতে রক্ত মাখবেই, তার বিপরীতে আপনি যত চেষ্টাই করুন। কিন্তু দেখবার বিষয়, যে রক্তের কণায় আপনার হাত রাঙ্গা হলো, সেই রক্তের কতটুকু আপনার খামখেয়ালিপনায় হয়েছে। রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও বিনির্মাণের কারণেই কেবল যদি তা হয়, সেটা হয়ত ক্ষেত্রবিশেষে গ্রহণযোগ্য, কিন্তু যদি তা হয় প্রতিপক্ষ বা প্রতিবেশী দেশের ক্ষমতা হননের লালসায় তবে অবশ্যই ইতিহাস তাকে খুনি হিসেবেই চিহ্নিত করবে। তবে বাস্তবতায় বর্তমান অবলোকন করলে 'খুনিরাই' বিশ্বটাকে শাসন করছে, –এ কথায় সহমত জানাতে পারি।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের পৃথিবীকে হাতে গুনা যায় এমন গুটিকয়েক মানুষ নিয়ন্ত্রণ করছেন! ভাবা যায় এটা।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: খুনীরা বেশিরভাগ স্বৈরশাসক, একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যারা স্বৈরশাসক তারা তো স্বৈরশাসকই, বাকিরা কি করছে দেখুন!
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: পুঁজিবাদী সমাজের এটাই নিয়ম।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শুধু পুঁজিবাদের দোষ দিয়ে কি হবে? সেই আদিম কাল থেকে অদ্যাবদি একই নিয়ম বলবদ আছে, খুনিরাই রাজা হবে।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: আদিম সমাজ এমন ছিল না।সামন্তবাদী সমাজ থেকে যুদ্ধ শুরু।আদিম সমাজ সাম্যবাদীই ছিলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিশ্বের সবখানে আমানতের খেয়ানত চলছেে
......................................................................................
তেমনি বেঈমানি করে অর্জিত সম্পদকে বাহবা পাচ্ছে
আর সৎ-সত্যবাদী নির্যাতন অবহেলা ভোগ করছে,
তাহলে খুনীরা কি বিশ্বকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিচ্ছেনা ???