নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখের হাটে সুখ বেচি, শান্তি খুঁজি অশান্তির বাজারে। দাম দিয়ে কিনি যন্ত্রণা।

গেঁয়ো ভূত

ব্লগে নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যা সঠিক মনে করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লিখতে চেষ্টা করি।

গেঁয়ো ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের রাজনীতির দুষ্ট চক্র: পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি

১০ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৮



বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি স্থায়ী ও গভীর সমস্যার নাম পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ দেখতে পাইনি, বরং রাজনীতি ক্রমে একটি পরিবার-কেন্দ্রিক ক্ষমতার খেলায় রূপ নিয়েছে। যেখানে দল, মত, কর্মী, এমনকি জনগণের স্বার্থের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিবারের স্বার্থ।

পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির শিকড়
পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি মূলত তখন জন্ম নেয় যখন রাজনীতিকে পেশাদারিত্ব বা যোগ্যতার বদলে বংশগত অধিকার হিসেবে দেখা হয়। স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় থাকা দলগুলোতে নেতৃত্বের ধারা স্বজনদের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রার্থী মনোনয়ন, পদ বণ্টন—সব কিছুতেই ‘আমার লোক’ বা ‘আমার পরিবার’ অগ্রাধিকার পায়।

জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা হারানো
যে রাজনীতি জনগণের ভোট ও আস্থার উপর দাঁড়ানোর কথা, তা পরিণত হয় উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সিংহাসনে। এতে জনগণ ক্রমে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরে যায়। ভোট হয়ে ওঠে আনুষ্ঠানিকতা, আর ক্ষমতা চলে যায় কিছু অভিজাত পরিবারের হাতে।

এর ফলে যা ঘটে
1. দলের মধ্যে মেধা ও যোগ্যতার অবমূল্যায়ন – কর্মীরা যতই যোগ্য হোক, যদি পরিবারের বাইরে হয় তবে পদ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

2. দুর্নীতি ও লুটপাট বৃদ্ধি – ক্ষমতা যখন বংশানুক্রমে ঘোরে, তখন দায়বদ্ধতার অভাব থাকে; ফলাফল হিসেবে দুর্নীতি বাড়ে।

3. গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ধ্বংস
– মুক্ত মত, সমালোচনা, ও জবাবদিহিতা ধীরে ধীরে বিলীন হয়।

4. প্রজন্মের রাজনীতি থেকে বিমুখতা – তরুণরা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে নিরুৎসাহিত হয়।

উদাহরণ
বাংলাদেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলই দীর্ঘদিন ধরে প্রায় একই পরিবারের হাতে নিয়ন্ত্রিত। দলের সভাপতি, মহাসচিব, শীর্ষ নেতারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই বংশ থেকে আসায় রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা কমে গেছে, আর দলীয় গণতন্ত্র প্রায় অনুপস্থিত।

সমাধান কী হতে পারে?
দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: প্রত্যেক দলে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা।

যোগ্যতা ও অবদানের ভিত্তিতে পদায়ন: রাজনীতিতে অবদানের রেকর্ড ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে প্রাধান্য দেওয়া।

যুব নেতৃত্ব গড়ে তোলা: তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ দেওয়া।

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সমালোচনা গ্রহণ করা, মতের ভিন্নতাকে সম্মান করা, এবং জনগণের স্বার্থকে প্রথমে রাখা।

শেষ কথা
বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি একটি দুষ্ট চক্র—যেখানে একবার প্রবেশ করলে জনগণ, গণতন্ত্র, এবং মেধাবী নেতৃত্ব ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। এই চক্র ভাঙতে হলে প্রথমে দলগুলোকে নিজেদের সংস্কার করতে হবে, এরপর জনগণকে ভোট ও মত প্রকাশে আরও সচেতন ও দৃঢ় হতে হবে।
গণতন্ত্র তখনই টিকে থাকবে, যখন নেতৃত্ব জন্ম নেবে জনগণের আস্থা থেকে, বংশগত অধিকারের মাধ্যমে নয়।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

রাজীব নুর বলেছেন:



গণতন্ত্র নিয়ে আপনার যতটুকু জ্ঞান ( পৌরনীতিতে ১০০'এর মাঝে ১০০ নম্বর, সামুতে আপনার লেখা পোষ্ট ), ইহা জাতিকে কোনভাবে সাহায্য করবে?

১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্যে একজন বয়স্ক ব্লগারের গন্ধ পাচ্ছি। =p~

২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি এই দেশে মাফিয়া রাজনীতিতে পরিনত হয়েছে। মাফিয়া সংগঠন অপরাধ্মুলক কার্যক্রমে লিপ্ত হয় মাফিয়া ডনের নেতৃত্বে এবং সেই ডনের কোন জবাবদিহিতা থাকে না। একপ্রকার ভয়ের রাজ্য তৈরী করে এরা জবাবদিহিতার উর্ধে উঠে যায়। ক্ষমতাসীন মাফিয়াদের ছত্র ছায়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোও মাফিয়ায় পরিনত হয়। আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, প্রসাষন, আইন শৃংখলা বাহিনী , মিডিয়া , বিচার বিভাগ ইত্যাদি সবাই মাফিয়াদের মত নিজ নিজ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রন করে জনগনের সকল প্রকার মৌলিক অধিকার হরন করে। বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা পরিবারতান্ত্রিক দল না হয়েও কাংখিত সফলতা অর্জন করতে পারছে না মাফিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কারনে। সিস্টেমের এই ভয়ঙ্কর মাফিয়া নেটওয়ার্ক ভাঙ্গতে হলে সবচেয়ে আগে ভাঙ্গতে হবে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাস দিয়ে প্রাণিত করলেন! অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ করে বড় দুই দলে পরিবারতন্ত্র টিকে আছে ভোটারদের জন্য। এই দুই দলে যদি পরিবারত্ন্ত্র টীকে না থাকে তাহলে প্রচন্ড রকমের দলীয় বিশৃঙ্খলা তৈরী হবে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যদি পরিবারত্ন্ত্র টীকে না থাকে তাহলে প্রচন্ড রকমের দলীয় বিশৃঙ্খলা তৈরী হবে।

কিভাবে? একটু ব্যাখ্যা করা যাবে?

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০১

কামাল১৮ বলেছেন: এই উপ মহাদেশে এই চর্চা দীর্ঘ দিনের।এখান থেকে সহজে বের হওয়া যাবে না।তাছাড়া খারাপ কিছু না।যোগ্য হলে টিকে থাকবে অযোগ্য হলে ঝড়ে পরবে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:০৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপ্রীতির কারণে তো যোগ্য ও মেধাবীদের মূল্যায়ন হচ্ছে না। আপনি যতই যোগ্য হন না কেন বিশেষ পরিবারে যদি আপনার জন্ম না হয়ে থাকে তাহলে শীর্ষ পদটি আপনার জন্য নয়। এব্যাপারে আপনি কি বলবেন??

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪২

লোকমানুষ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ অত্যন্ত বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক। সত্যিই, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি শুধু দলীয় গণতন্ত্রকেই ধ্বংস করেনি, বরং রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকে এক অদৃশ্য মাফিয়া নেটওয়ার্কের অংশে পরিণত করেছে। যখন ক্ষমতার মূল লক্ষ্য হয় নিজের বংশ ও গোষ্ঠীর আধিপত্য বজায় রাখা, তখন জনগণের স্বার্থ, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা স্বাভাবিকভাবেই হারিয়ে যায়। যদিও পরিবর্তনের শক্তি জনগণের হাতেই থাকে, তবুও কোন অদৃশ্য শেকলের কারণে সেই শক্তির বহিঃপ্রকাশ জনগণের দ্বারা হয়ে উঠছে না।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যখন ক্ষমতার মূল লক্ষ্য হয় নিজের বংশ ও গোষ্ঠীর আধিপত্য বজায় রাখা, তখন জনগণের স্বার্থ, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা স্বাভাবিকভাবেই হারিয়ে যায়।


মন্তব্যে সুক্ষ বিশ্লেষণের মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে এনে লিখাটিকে পূর্ণতা দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৮

ক্লোন রাফা বলেছেন: আপনি সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট মিস করে যাচ্ছেন । সুস্থ ছাত্র রাজনীতির পরিবেশ অপরিহার্য ।লেজুরভিত্তিক লাঠিয়াল বাহিনীর চরিত্রে নয় । সৎ ন‍্যায়পরায়ন নেতৃত্ব তৈরি হয় এমন রাজনীতি চাই।
পরিবারের কেউ যদি যোগ্য হয় তাহলে সমস‍্যা নেই। কিন্তু ছেলে,মেয়ে স্ত্রী কিংবা ভাই, বোন হওয়ার সুবাদে হোক সেটা কাম্য নয়। দশজনের সাথে প্রতিযোগিতা করে নেতৃত্বে আসলে পরিবারে সমস্যা নেই।

আমাদের দেশে জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হোলেও সেই মানসিকতা থেকে বের হতে পারেনি। সেই জন্য পরিবারের সবচাইতে নিকৃষ্ট ব্যক্তিও নেতা হয়ে যায়।

পরিশেষে চাই আমাদের নেতা হোক সবচেয়ে ভালো মানুষ। এই ভালোর ব‍্যাখ‍্যা শুধু সৎ মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকুক।
ধন্যবাদ॥

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পরিবারের কেউ যদি যোগ্য হয় তাহলে সমস‍্যা নেই। কিন্তু ছেলে,মেয়ে স্ত্রী কিংবা ভাই, বোন হওয়ার সুবাদে হোক সেটা কাম্য নয়। দশজনের সাথে প্রতিযোগিতা করে নেতৃত্বে আসলে পরিবারে সমস্যা নেই।

আমাদের দেশে জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হোলেও সেই মানসিকতা থেকে বের হতে পারেনি। সেই জন্য পরিবারের সবচাইতে নিকৃষ্ট ব্যক্তিও নেতা হয়ে যায়।


বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবেই সমস্যাটির ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেছেন।

ভালোর ব‍্যাখ‍্যা শুধু সৎ মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকুক।

এই কথাটি একটু বুঝিয়ে বলতেন যদি?

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:১৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: যখন নেতৃত্ব জন্ম নেবে জনগণের আস্থা থেকে,
.............................................................................
বাস্তবে তখনই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে,
কিন্ত আমাদের দুর্ভাগ্য সেই সময় আসবে কবে ???
আর্ন্তজাতিক চালে আমরা দাবার গুটি... ... ....
এবারও হারালাম সেই সোনার পাথর বাটি !!!

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আর্ন্তজাতিক চালে আমরা দাবার গুটি... ... ....
এবারও হারালাম সেই সোনার পাথর বাটি !!!


কি দারুন সুন্দর ও ছন্দময় বাক্যে আমাদের বারবার আশা ও আশাভঙ্গের বিষয়টি তুলে ধরলেন!!

মন্তব্য এবং প্লাস দিয়ে প্রাণিত করলেন! অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ডারইউন এর থিওরী অনুসারে,
যোগতমরাই টিকে থাকে।
বাকিরা টিকে থাকতে পারে না।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কিন্তু এই ভূখণ্ডে তো পরিবার স্বজনপ্রীতির কারণে যোগতমরাই অবদমিত হয়!

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৯| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:২০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পরিবারতান্ত্রিকে সমস্যা। তাই জামাত কে ভোট দিবো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পরিবারতন্ত্রে সমস্যা হলে পরিবারতন্ত্র দূর করেন, এর বিকল্প জামাত কেন? তারা তো এদেশের স্বাধীনতায় চায়নি।

১০| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি বড় সমস্যা, আবার এছাড়া উপায়ও নেই। অন্য ধারায় কেউ কাউকে মানবে না।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আসলে দেশের বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতি সচেতন নয়, এটাই বড় সমস্যা।

১১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

প্রামানিক বলেছেন: যখন সুস্থ্য রাজনীতির পরিবেশ ফিরে আসবে সেইদিন দেশে শান্তি আসবে

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সহমত।

১২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: আপাতত আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিবার তন্ত্র থেকে বেরুনো সম্ভব নয়।

২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আসলে কাল কি হবে কেউ জানিনা। বাস্তবতা মানুষের কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয় কখনো কখনো। সুতরাং অন্ধ আশাবাদী হওয়া ছাড়া আর কিই বা করার আছে।

শুভকামনা।

১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ভাবনাগুলো, বিশেষ করে সমাধানের জন্য শেষের দিকের সাজেশনগুলো ঠিক আছে, তবে sketchy। দেশ বিদেশের উদাহরণসহ আরেকটু ডেসক্রিপটিভ হলে পোস্টটা আরেকটু ভালো হতো।

রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অভ্যন্তরীণ সংস্কার এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাধানের লক্ষ্যে আপনি প্রথম যে পয়েন্টটির কথা উল্লেখ করেছেন, সেটাই সর্বাগ্রে করণীয়; অর্থাৎ "প্রত্যেক দলে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা"। এটা করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে, এবং এটা নিয়মিতভাবে, 'উইদাউট ফেইল' করতে হবে। তবে এ বিষয়ে দলগুলো ছাড়াও আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন এর অনেক কিছু করার আছে। প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ করণীয়টুকু পালন করতে হবে। আপনি যেমন ব্লগে এই ছোট্ট পোস্টটি লিখে একটি চমৎকার আলোচনার সূত্রপাত করলেন, জাতীয় পর্যায়েও তেমনি নাগরিকদের ডিসকোর্স সমান তালে চালাতে হবে। এভাবে গণসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা একটা উন্নত, ইনফর্মড সমাজ লাভ করবো। রাজনৈ্তিক দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংস্কার শুরু হয়ে গেলে নাগরিকদের চিন্তা চেতনার মাঝেও গুণগত সংস্কার স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে বলে মনে করি।

ক্লোন রাফা বলেছেন: .... "সুস্থ ছাত্র রাজনীতির পরিবেশ অপরিহার্য। লেজুরভিত্তিক লাঠিয়াল বাহিনীর চরিত্রে নয়। সৎ, ন‍্যায়পরায়ন নেতৃত্ব তৈরি হয় এমন রাজনীতি চাই।

পরিবারের কেউ যদি যোগ্য হয় তাহলে সমস‍্যা নেই। কিন্তু ছেলে,মেয়ে স্ত্রী কিংবা ভাই, বোন হওয়ার সুবাদে হোক সেটা কাম্য নয়। দশজনের সাথে প্রতিযোগিতা করে নেতৃত্বে আসলে পরিবারে সমস্যা নেই।"
.......
এখানে উল্লেখ করা আমি তার সব কথার সাথেই একমত পোষণ করছি। বিশেষ করে বোল্ড করা লাইনদুটোর সাথে তো বটেই।

১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:





গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পুতুলের ছবি গুলো দেখে আয়নাপুতুল আপার কথা মনে পড়ছিলো, যাক অবশেষে তিনি হাজিরা দিয়ে গেলেন। আয়নাপুতুল আপামনি আপনি এতটা পাথর কিভাবে হয়ে গেলেন? একটু তো আমাদের কথা ভাবেন, এই যে এতো কথা বলার পরও একটা পোস্ট ও দিলেন না, এই দুনিয়া কয়দিনের? একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে জানবেন হয়তো আপনি কিংবা হয়তোবা আমরা কেউ এক এক করে দুনিয়া ছেড়ে পালাতে থাকবো, নশ্বর পৃথিবীতে সবই নশ্বর, এমনকি আমাদের আবেগ অভিমান এসবও এর বাইরে না।

শুভকামনা। আয়নাপুতুল আপা ভাল থাকবেন।


কেমন আছে প্রিয় গেঁয়ো ভূত?
আমাকে ভুল বুঝবে না প্লীজ।
লেখালেখি আমি সেভাবে কখনোই করিনি।
আগে ব্লগে আসতাম কিছু সময় কাটাতে, কিছু প্রিয় নিকের আড়ালে প্রিয় গুড সোল মানুষদের সাথে আড্ডা দিতে।
এখন আর সেরকমটা নেই, তাই আসাও হয়না।
সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো আর অস্থির।
হয়তো কখনও সময়ের সাথে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে, কে জানে!!!!

এর মাঝে আবার আমি এক্সিডেন্ট করেছি, গাড়িটাও ভেঙ্গেছি, এগুলো নিয়েও একটু ঝামেলায় ছিলাম।
এনিওয়ে, গেঁয়ো ভূত অনেক অনেক ভালো থাকবে। আবারও কথা হবে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.