নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার শাক দিয়ে মাছ ঢাকলেন, অর্থাৎ শেয়ার বাজারের কলঙ্ক মুছলেন বেসরকারী প্রাইমারি স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

সরকার পূর্বে যা করছে না কেন সবই আজ ধুলিস্যাৎ সুতরাং এ থেকে প্রতিয়মান হয় যে আগামীতে এ সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য এসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কঠিন ভুমিকা থাকবে বলে সবাই আশা করে। কারণ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এসব শিক্ষকদের অবদান খুব-খুবই বেশি।

২৬ হাজার ১৯৩ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

শিক্ষকদের দুই দশকের আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে সারাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে লক্ষাধিক প্রাথমিক শিক্ষকের মহাসমাবেশে ঐতিহাসিক এ ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, এসব বেসরকারী বিদ্যালয়ের এক লাখ চার হাজার শিক্ষক সরকারী শিক্ষক হয়ে গেলেন। একই সঙ্গে আগামী ২০১৪ সালের জানুয়ারি নাগাদ দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে সম্পূর্ণ জাতীয়করণেরও ঘোষণা দেন তিনি। দুই দশকের দাবি পূরণ করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করে শিক্ষকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমার পিতার একটি স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হলাম। আপনাদের দীর্ঘদিনের তপস্যা আজ স্বার্থক হলো। আগামীতে সরকারী তহবিল পাবার আশায় এখন যত্রতত্র স্কুল গড়ে তুললে হবে না। প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে সরকারিভাবে। কোথায় প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে তা আমরা দেখব।

ঐতিহাসিক এ ঘোষণায় এ সময় প্যারেড স্কয়ারে নির্মিত বিশাল শামিয়ানা ছাড়িয়ে লক্ষাধিক শিক্ষক দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণার ৪০ বছর পর তারই কন্যার এ ঘোষণায় আনন্দে অসংখ্য শিক্ষকের চোখে পানি এসে যায়। শিক্ষকদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ু সেøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্যারেড স্কয়ার। শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জাতির জনকের ঘোষণার এত বছর পর আজ আপনি দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভাবলেন। এ ঋণ আমরা কোন দিন ভুলব না। অনেক কষ্ট করেছি। এখন সংসার চলবে। সম্মান নিয়ে বাচঁতেও পারব। শেখের বেটিকে (প্রধানমন্ত্রী) ধন্যবাদ। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে প্রথমেই সংগঠনের মহাসচিব এম মুনছুর আলী স্বাগত বক্তৃব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দীন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিন ধাপে ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ে কর্মরত এক লাখ তিন হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষক সরকারী শিক্ষক হবেন। তবে ঘোষণা আজই। এর মধ্যে চলতি ১ জানুয়ারি থেকেই ২২ হাজার ৯৮১টি নিবন্ধিত (এমপিওভুক্ত) বিদ্যালয়েরে ৯১ হাজার ২৪ জন শিক্ষক এ সুবিধা পাবেন। স্থায়ী-অস্থায়ী পাঠদানের অনুমতি পাওয়া, কমিউনিটি এবং সরকারী অর্থায়নে এনজিও পরিচালিত দুই হাজার ২৫২টি বিদ্যালয়ের নয় হাজার ২৫ জন শিক্ষক আগামী ১ জুলাই থেকে এ সুবিধা পাবেন। সর্বশেষ তৃতীয় স্তর আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পাঠদানের অনুমতির সুপারিশপ্রাপ্ত ও পাঠদানের অনুমতির অপেক্ষমাণ ৮৬০টি বিদ্যালয়ের তিন হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষক এ সুবিধা পাবেন। শেখ হাসিনা শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা চেয়েছিলেন শুধু রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ। আমরা যে শুধু এমপিওভুক্ত রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ করছি তা নয়। আমরা স্থায়ী নিবন্ধনপ্রাপ্ত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, অস্থায়ী নিবন্ধনপ্রাপ্ত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমপিও বহির্ভূত কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারী অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এনজিও বিদ্যালয়, পাঠদানের অনুমতির সুপারিশপ্রাপ্ত বিদ্যালয় এবং স্থাপিত কিন্তু চালুর অনুমতির অপেক্ষাধীন বিদ্যালয়সমূহ সরকারী করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। প্রথম ধাপের জন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে এক শ’ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ধাপের জাতীয়করণের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সরকারের বাড়তি ৩৭১ কোটি টাকা এবং তৃতীয় ধাপে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬৫১ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে।

শিক্ষকদের জাতি গড়ার মূল কারিগর অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরাই একটি জাতিকে গড়ে তুলতে পারেন। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখ ৫৫ হাজার ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীসহ ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতির পিতা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে, আমরা কেন পারব না। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে শিক্ষকরা এই দাবিতে অনশন করেন। আন্দোলনে একজন শিক্ষক যখন মারা গেলেন তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যিনি এখনকার বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর সুগন্ধা কার্যালয়ে একটি উৎসব করছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়ে গেলেও পরে বিএনপি আমলে তা কমে যায়। এখন ভর্তির পর ঝরে পড়া রোধ করতে শিশুদের উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে, বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এই সরকারকে শিক্ষাবান্ধব সরকার আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক। তাই আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। নিজ উদ্যোগে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম আরও জোরদার করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা হাত পাততে চাই না, আত্মনির্ভরশীল হতে চাই।’ তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শুধু পড়ালেই হবে না। শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। এবার ২৭ কোটি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে- জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে অনেক মা-বাবা বই কিনতে পারত না। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। এটা কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষেই সম্ভব। এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭২০টি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শাখা খোলা হয়েছে। চলতি বছর থেকে শতভাগ বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে। তিনি বলেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে মূল বেতনের ১০০ শতাংশ প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চাকরি জাতীয়করণ রেজিস্টার্ড বেসরকারী স্কুলের শিক্ষকদের বহুদিনের দাবি। আমরা জানি, এর একটা যৌক্তিকতা রয়েছে। তা আমি উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু আপনারা জানেন, এজন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন সরকারী হয়ে গেছে বলে স্কুলে না গিয়ে বাসায় বসে থাকবেন- তা হবে না। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা যে টাকা পাচ্ছেন তা জনগণের টাকা। আমি আশা করছি, আপনাদের প্রতি সরকারের এ আন্তরিকতার প্রতিদান দিতে আপনারা আপনাদের সর্বোচ্চ শ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয়করণের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই সমিতি বিলুপ্ত হলো। এই সমিতির সকল সদস্য এখন থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সদস্য। তিনি শিক্ষকদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কাজ করার অনুরোধ জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন বলেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় ঐতিহাসিক ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। ওই সময় এসব বিদ্যালয়ের এক লাখ ৫৫ হাজার ২৩ জন শিক্ষককের চাকরি সরকারী হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও এক হাজার ৫০৭টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দিলেন। প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, শিক্ষকদের প্রায় দুই দশকের আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহাসিক পরিসমাপ্তি ঘটল আজ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এতবড় কাজ কেবল বঙ্গবন্ধুর কন্যার পক্ষেই সম্ভব। এদিকে ঐতিহাসিক এ ঘোষণায় এ সময় প্যারেড স্কয়ারে নির্মিত বিশাল শামিয়ানা ছাড়িয়ে লক্ষাধিক শিক্ষক দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। শিক্ষকদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ু সেøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্যারেড স্কয়ার। সাতক্ষীরার আশাশুনী উপজেলার হরিয়াটি উত্তরপাড়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঞ্চানন কুমার ম-ল। আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না। বলছিলেন, অনেক কষ্ট করেছি। এখন সংসার চলবে। সম্মান নিয়ে বাঁচতেও পারব। শেখের বেটিকে (প্রধানমন্ত্রী) ধন্যবাদ। ঝিনাইদহ থেকে এসেছিলেন শেখ মামুন। তিনি বলছিলেন, ২০ বছর শিক্ষকতা করেছি। অনেক কষ্ট, দুঃখ দেখেছি। ধার-কর্য করেছি। এখন বাকি জীবনটুকু ভালভাবে বাঁচতে পারব। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার খানপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, অনেক আশা নিয়া ঢাকায় আইলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্ন পূরণ করলেন। মরণের আগ পর্যন্ত আমরা তাঁর কাছে ঋণী থাকব।

জানা গেল, শিক্ষক নেতারা জানান, প্রায় ২ হাজার এক শ’ বাসে করে শিক্ষকরা ঢাকায় আসেন। বাসগুলো মিরপুর, আগারগাঁও ও এর আশপাশ এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নেয়। এতে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু লাখো শিক্ষকের আনন্দের খবরে যানজটের দুর্ভোগের কথা কেউ আমলেই নেয়নি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে অনেক শিক্ষক সপরিবারে সন্তান নিয়ে প্যারেড স্কয়ারে জড়ো হয়। প্রচ- শীতে ১৫/২০ জন শিক্ষক অসুস্থও হয়ে পড়েন। এরপরও পরম-প্রাপ্তি শিক্ষকদের সবকিছুকেই যেন ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মঞ্চে উঠেন তখন পুরো প্যারেড স্কয়ারেই বিরাজ করে নিস্তব্ধ নীরবতা। বেলা পৌনে একটায় তিনি যখন শিক্ষকদের স্বপ্নের সেই ‘জাতীয়করণ’ ঘোষণা দিলেন তখন মহানন্দে অসংখ্য শিক্ষকের চোখে পানি এসে যায়। কেউ কেউ কেঁদেও ফেলেন। বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মুনছুর আলী বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে শিক্ষক সমাজ প্রধানমন্ত্রীর ঋণ শোধ করতে চায়। আমরা আগামীতে আবারও এই সরকারকে দেখতে চাই।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

ভিটামিন সি বলেছেন: ভোট বাড়ানোর ইলেকশন ইন্জিনিয়ারিং। খোজ খবর করলে হয়ত দেখা যাবে ৮৫ ভাগই লীগের নেতা-কর্মী, বউ, মেয়ে, ছেলে, ভাই, ভায়রা ইত্যাদি। তারপরেও এমন একটি কাজের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষকদের বহুদিনের দাবী পুরণ হলো। কিন্তু কথা হলো, তাদের বেতন ভাতা দিতে গিয়ে না সরকার আবার তেলের দাম বাড়ায়, মোবাইল ফোনে ট্যাক্স বসায়।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি হয় না এই কারনে। কেননা কেউ কিছু ভাল কাজ করলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। খালেদা জিয়া করে নাই, কারন সে নিজে অশিক্ষিত একজন মহিলা। শিক্ষকের মর্যাদা বুঝে না। এই কারনে তার আমলে শিক্ষকের গন অনশনে লাঠি পেটা পর্যন্ত হয়েছে। হাসিনা করেছে, সেই কারনে তাকে ধন্যবাদ। কিন্তু আরো আগে করা উচিত ছিল। ২০ বছর ধরে তারা আন্দোলন করেছে। তারপরো যেহেতু করেছে তাই তাকে অশেষ ধন্যবাদ। উপরে একজন কমেন্ট করেছেন ভোট বাড়ানোর ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং। সরকার ভাল কাজ করলেই তার ভোট বাড়বে। হাসিনা ভাল কাজ করেছে তাই তার ভোট বাড়লে তাতে দোষের কি আছে? এইখানে ইঞ্জিনিয়ারিং এর কি দেখলেন বুঝলাম না। আর পোস্ট দাতা আসছে শেয়ার বাজার নিয়ে। শেয়ার বাজারে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারকে ভোট দিবে না। এখন কি এটাকে খালেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বলবেন? অদ্ভুত এক দেশের মধ্যে বাস করি আমরা। যেই দেশের মানুষ যেমন, তাদের সরকারো তেমন। আমরা মানুষ হিশাবে দুই নম্বর, অন্যের ভাল দেখতে পারি না, আমাদের সরকার আর কত ভাল হবে!!!!!

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০

চলতি নিয়ম বলেছেন: সরকার শাক দিয়ে মাছ ঢাকলেন, অর্থাৎ শেয়ার বাজারের কলঙ্ক মুছলেন বেসরকারী প্রাইমারি স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যম

আপনি খুশি হন নাই?

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

শয়ন কুমার বলেছেন: শিক্ষকদের প্রায় দুই দশকের আন্দোলন সংগ্রামের পর লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরী জাতীয়করণ হল । জাতির প্রথম সোপান কিন্তু এই শিক্ষকরাই। এদের মনে খুশী আসলে আমাদের ভাল লাগে, জাতির উপকার হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যার্থতার নজিরের মাঝে এই সরকারের পঞ্চম বর্ষের এমনকি পুরো মেয়াদকালের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ যুগান্তকারী কাজ এটি । প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাদের দাবির চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হলো।১৯৭২ এর পর এত বড় জাতীয়করণ আর এই দেশে হয়নি। ১৯৯১ সন থেকে শিক্ষকের প্রানের দাবি এই সরকারের আমলেই পূর্ণতা পেল। সরকারকে ধন্যবাদ।প্রধানমন্ত্রীর গতকালের ঘোষণার মধ্য দিয়ে মূলত প্রাথমিক স্তরে 'বেসরকারি' বলে আর কিছু রইলো না। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত, আবেদনকৃত, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব ধরনের বিদ্যালয়ের
দায়দায়িত্ব সরকার নিয়ে নিল। কেবল ব্যক্তি মালিকানাধীন গুটিকয়েক কিন্ডারগার্টেন, ইংলিশ মিডিয়াম ও প্রি-ক্যাডেট স্কুল এর আওতায় থাকছে না। শিক্ষকদের টানা দুই দশকের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হিসেবে জাতীয়করণের এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের লাখো শিক্ষক পরিবারে এখন বইছে আনন্দ আর উল্লাসের ফল্গুধারা।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

শয়ন কুমার বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি হয় না এই কারনে। কেননা কেউ কিছু ভাল কাজ করলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। ক্যান এটা কি নতুন কোন দাবি !!! খালেদা জিয়া ১ম মেয়াদ থেকেই তো তারা আন্দোলন করছে ,কই তখন ক্যান শিক্ষকের জন্য পদক্ষেপ নিলেন না ।যারা লক্ষাধিক বেসরকারি শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণকে 'ভোট পাওয়ার রাজনীতি' বলে অভিহিত করছেন তাদেরকে বলতে চাই- সরকারের সেরকম ইচ্ছা থাকলে ঘোষণাটি হত: "আগামীতে আমরা আবার ক্ষমতায় গেলে লক্ষাধিক বেসরকারি শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করব"। এখন যেহেতু চাকরি জাতীয়করণ হয়ে গেছে,এর মধ্যে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ হাজার ৯৮১টি নিবন্ধিত (এমপিওভুক্ত) বিদ্যালয়ের ৯১ হাজার ২৪ জন শিক্ষক সরকারি শিক্ষক হিসেবে সরকারি চাকরিজীবির ন্যায় সুবিধা পাবেন, এখন এই শিক্ষকরা আওয়ামী লীগকে পছন্দ না হলে ভোট দেবে না, তাতে তাদের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।হাসিনা করেছে, সেই কারনে তাকে ধন্যবাদ। কিন্তু আরো আগে করা উচিত ছিল। ২০ বছর ধরে তারা আন্দোলন করেছে। তারপরো যেহেতু করেছে তাই তাকে অশেষ ধন্যবাদ। উপরে একজন কমেন্ট করেছেন ভোট বাড়ানোর ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং। সরকার ভাল কাজ করলেই তার ভোট বাড়বে। হাসিনা এই কামডায় ভাল করেছে তাই তার ভোট বাড়লে তাতে দোষের কি আছে?

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

াহো বলেছেন: সরকার ভাল কাজ করলেই তার ভোট বাড়বে। হাসিনা এই কামডায় ভাল করেছে তাই তার ভোট বাড়লে তাতে দোষের কি আছে?

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

শয়ন কুমার বলেছেন: শিক্ষকদের প্রায় দুই দশকের আন্দোলন সংগ্রামের পর লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরী জাতীয়করণ হল ।

এতে আপনি কি খুশি হন নাই?

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ সবখানে সবাই আছে বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি হয় না এই কারনে। কেননা কেউ কিছু ভাল কাজ করলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। খালেদা জিয়া করে নাই, কারন সে নিজে অশিক্ষিত একজন মহিলা। শিক্ষকের মর্যাদা বুঝে না। এই কারনে তার আমলে শিক্ষকের গন অনশনে লাঠি পেটা পর্যন্ত হয়েছে। হাসিনা করেছে, সেই কারনে তাকে ধন্যবাদ। কিন্তু আরো আগে করা উচিত ছিল।......

ভাই কি স্বপ্নের দেশে থাকেন নাকি.. আওয়ামী চশমায় নেত্রীর মিথ্যা বলার মতো সবই উল্টা দেখা যায়!!!!

এই গেল ক,মাস আগেই যখন শহীদ মিনারের সামনে এই শিক্ষকরাই আমরন অনশনে বসেছিলেন... সেখানে একজন মারাও যান!
তাদের সমাবেশে প্রচন্ড তাপদাহের সময় গরম পানির আঘাত করলে একজন শিক্ষক হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যান!!

এইগুলা ভুইলা গেলেন?

আর বেগম খালেদা জিয়া দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বেতন মওকুফ এবং মেয়েদের শিক্ষা ফ্রি করেছেন এটাতো বহু পুরানো সত্য।

কেমন করে জাতীয় একটা অনুষ্ঠানে তিনি এইরকম মিথ্যাচার করলেন-
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়ে গেলেও পরে বিএনপি আমলে তা কমে যায়। এখন ভর্তির পর ঝরে পড়া রোধ করতে শিশুদের উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে, বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ....

মিথ্যা দিয়ে আর যাই হোক সত্য প্রতিষ্ঠা হয় না, বা সত্যকে ঢাকাও যায় না।

অবশ্যই সাধুবাদ এই সিদ্ধান্তে।

কিন্তু যারা বলেন কমপিরিটিভ আলোচনাও করা যাবে না- তাদের অবস্থা জলে ভাসা খড়কুটে আকড়ে ধরা মানুসের মতো।

আওয়ামী মহা ব্যর্থতায় এক দুইটা খড়কুটো সাফল্য আকড়ে তাই তারা সমালোচনা শুনতেও নারাজ ;)

আর এতো শুধু ঘোষনা মাত্র। তাও এমন সময় যখন বাস্তবায়নে আর আছে ৮-৯ মাস। সাপও মরবে না লাঠিও ভাংবেনা টাইপ এই ঘোষনায় হাততালি পেলেও বাস্তবায়নের ইচ্ছা থাকলে শহীদ মিনারে ঐ শিক্ষকের মৃত্যুর পরই কিংবা আরো আগেই তা দিতে পারত।
কিন্তু ঐ যে রাজনীতির খেলা। শুধু বলেই বাহবা নেবার আকাংখা.....

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: হা হা, যেমন রিভার্স টাইটেল দিছেন আপনার নিজ দলের লোকেরাই ল্যাদিয়ে সর্বনাশ করে ফেলছে। সবখানে, চলতি নিয়মকে একটু পোস্ট পড়ার ফজিলত বর্ণনা করুন।

শেয়ার বাজার, সোনালী ব্যাংকের টাকা যা মারছে ওইটা তো আর ফেরত আসবে না। তবে কালকের উদ্যোগটা ভালো হইছে। দেখা যাক শিক্ষক সেবা করে পরের পাঁচ বছর আবার চুরির লাইসেন্স বাগাতে পারে কি না!

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: একট সস্তা , আত্ত্বঘাতী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এর মুল্য দেয়ার জন্য এখন দেশের রিজার্ভ ফাকা করে দেয়া হবে। যেমন করা হয়েছিলো ১৯৯৬-২০০১ এ। এম্নেতেই দেশের বৈদেশিক শ্রমবাজার এখন মারাত্বক হুমকির মুখে। গার্মেন্টস খাত কাঁপছে। অর্থনীতির কোন স্থিতিশীলতাই নাই। এই অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতির এরকম নতুন একটা ভার বহনের কোন ধরনের সামর্থ্য নেই। সেটা হাসিনা জানে, ভালো জানে আবুল মাল। কিন্তু এদের চিন্তা হচ্ছে ভোট কেনার জন্য এক বছরে কোনক্রমে অর্থনিতির বাঁশ দিয়ে এটার ব্যবস্থা করলেই হবে। পরে ক্ষমতায় এসে গেলে যা হবার হবে। এরকম অগ্রহনযোগ্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মূল্য দিতে হবে দেশকে। নন এম্পিও ভুক্তদের কিছু অংশকে এম্পিও ভুক্ত করার মত বেশি প্রয়োজনীয় কাজ সমাধা না করে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেশের জন্য বোঝা হবে, এর বেশি কিছু না।


সবখানে হাম্বা আছে@ , খালেদা জিয়ার সময় যে উপবত্তি , দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত মেয়েদের ফ্রি পড়াশোনা চালু অইছিলো তা মনে নাই? থাকবে ক্যামতে। দেশের টাকায় পি এইচ ডি কেনা বি এ পাশ মূর্খের চামচা হলে এরকম মাইলফলক উন্নতির কথা মনে থাকার কথা না। দুইন দিন আগেই রাস্তায় শিক্ষক পিটনো, পুলিশ দিয়ে শিক্ষক খুন, আজকে শিক্ষদের উপর তরল গ্যাস মারা-এগুলা বি এ পাশ পি এইচ ডি কেনা শিক্ষিত আফায় করে নাই /:)

লেখক@ তোমার স্বজাতিরাই তো পোস্টে কান্নাকাটি লাগায় দিছে। তাড়াতাড়ি নাম চ্যাঞ্জ কইরা তেল ভরা একটা শিরোনাম দাও =p~ =p~

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

শয়ন কুমার বলেছেন: বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যার্থতার নজিরের মাঝে এই সরকারের পঞ্চম বর্ষের এমনকি পুরো মেয়াদকালের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ যুগান্তকারী কাজ এটি ।কেননা এটি শিক্ষকদের প্রায় দুই দশকের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল এটি। সরকারের এই ভালো কাজর প্রশংসা করা উচিত তেমনি সরকারের ব্যার্থতাগুলোরও সমালোচনা করা উচিৎ । কিন্তু একপক্ষের দলকানা পা চাটা কুত্তাগুলো যেমন সরকারের এধরনের ভালো কাজর প্রশংসা করবে না উল্টো সরকারের ভাল কাজ করলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়,আবার অপরপক্ষের দলকানা পা চাটা কুত্তাগুলো সরকারের ব্যার্থতাগুলোর সমালোচনা কখনোই করে না , এই কুত্তাগুলোর জন্যই দেশের এই অবস্হা ।

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

শয়ন কুমার বলেছেন: আর যারা ভাবছেন এতো শুধু ঘোষনা মাত্র। তাও এমন সময় যখন বাস্তবায়নে আর আছে ৮-৯ মাস। সাপও মরবে না লাঠিও ভাংবেনা টাইপ এই ঘোষনায় হাততালি পেলেও বাস্তবায়ন নিয়ে যারা সন্দিহান তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি ঃচলতি জানুয়ারি মাস থেকেই থেকে ২২ হাজার ৯৮১টি নিবন্ধিত (এমপিওভুক্ত) বিদ্যালয়ের ৯১ হাজার ২৪ জন শিক্ষক সরকারি শিক্ষক হিসেবে সরকারি চাকরিজীবির ন্যায় সুবিধা পাবেন,

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

শয়ন কুমার বলেছেন: @নিঃসঙ্গ ঢেউ , আন্দোলনরত এই শিক্ষকদের উপর পুলিশ দিয়ে নির্যাতন আওয়ামী লীগ এবং বিএন পি দুই দলেই করেছে । পুলিশ দিয়ে শিক্ষক পিটনো, আহত শিক্ষককের মৃত্যু আওয়ামী লীগের আমলেও যেমন ঘটেছে তেমনি বিএন পি আমলে “১৯৯১ সালে শিক্ষকরা যখন এই দাবিতে অনশন করেন। আন্দোলনে একজন শিক্ষক যখন মারা গেলেন তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী যিনি এখনকার বিরোধীদলীয় নেতা তার সুগন্ধা কার্যালয়ে একটি উৎসব করছিলেন।”

সুতরাং আন্দোলনরত এই শিক্ষকদের উপর পুলিশ দিয়ে নির্যাতন আওয়ামী লীগ এবং বিএন পি দুই দলেই করেছে । কেউ সাধু নয় ।

তবে দেরিতে হলেও শিক্ষকদের প্রায় দুই দশকের আন্দোলন সংগ্রামের পর লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরী জাতীয়করণের এই কাজটি করে অবশেষে সরকার এ ব্যাপারে একটি ভালো কাজ করেছে ।

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫১

শয়ন কুমার বলেছেন: @নিঃসঙ্গ ঢেউ ,এদেশের নীতি নির্ধারক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করতে পারে, হাজার হাজার টাকা লুটপাট করতে পারে, আর গরিব শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে গেলেই সরকারের কোষাগার খালি বলে অপপ্রচার চালাতে পারেন , এসব unethical কাজ করার পর আবার আন্দোলন দমানোর জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে দামি স্প্রেও ক্রয় করতে পারেন, সত্যি সেলুকাস ! বাংলাদেশ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.