| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোকুইহাল্লা হাইওয়ে
ঢাকা ফিরবো কিন্ত আমার ছেলে যেই শহরে থাকে সেখানে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট নেই। চার ঘন্টা ড্রাইভ করে যেতে হবে ভ্যাংকুভার। সকালে উঠে রেডি হয়ে বের হবো তার আগেই আমার ছেলের বেড়ালটা পায়ের ফাক দিয়ে ফুরুত করে বাইরে বেরিয়ে গেল। ইনডোর ক্যাট ঘরেই সারাদিন থাকে সে কি না বাইরে সিড়ি দিয়ে উঠে সোজা রাস্তায়। আমার ছেলে গাড়ির ভেতর আমার স্যুটকেস রাখছিল সেগুলো ফেলে দিয়ে সে হানু হানু করে চিৎকার। তাড়াতাড়ি তার স্ন্যাক্স এর কৌটা ঝাকাতেই সে দৌড়ে আসলো ঘরে। সাথে সাথে তাকে বেডরুমে রেখে দরজা বন্ধ করে হাপাতে হাপাতে মা ছেলে গাড়িতে উঠলাম।
ছেলের বিড়াল হানু
যাই হোক আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা দিলাম, আমি একা আসবো পরদিন রাতে ফ্লাইট। ছেলে বল্লো "চলো একদিন আগে যাই তোমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে, পথে অনেক সুন্দর দেখার যায়গা আছে ওগুলোও দেখা যাবে"। বিশাল চওড়া চার লেনের হাইওয়ে আর তার দু পাশে পাইন আর ফারের ঘন বন আর পাহাড় যার সৌন্দর্য আমি লিখে বোঝাতে পারবো না। আমি এর আগের বার টরোন্টো গিয়েছি, আমার ভালো লাগেনি। কিন্ত বৃটিশ কলম্বিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি বিস্মিত। চওড়া এই পথের নাম কোকুইহাল্লা হাইওয়ে ৫। হোপ নামে এক শহরে খাবার জন্য এক জাপানি রেস্তোরাঁয় গেলাম, ছেলে বল্লো এখানে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের র্যাম্বো সিরিজের ফাস্ট ব্লাডের স্যুটিং হয়েছে। এছাড়াও এখানে প্রচুর দর্শনীয় স্থান রয়েছে কিন্ত অচেনা পথ আর কতক্ষণ সময় লাগবে সেই ভাবনায় আর বেশি কিছু দেখা হলো না। কিন্ত এখানকার বিখ্যাত ন্যাশনাল পার্ক নাম কোকুইহাল্লা ক্যানিয়ন ন্যাশনাল পার্কটা অবশ্যই দেখতে হবে, কারন এখানেই আছে সেই বিখ্যাত ওথেলো টানেল ।
কোকুইহাল্লা ক্যানিয়ন ন্যাশনাল পার্ক
অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা পার্কের কাছে চলে আসলাম, পার্কিং এ গাড়ি রেখে আমরা গাছের ছায়া ঘেরা এক রাস্তা ধরে এগুতে লাগলাম। হাটতে হাটতে একটা টানেলের সামনে আসলাম। এটাই হোলো বিখ্যাত ওথেলো টানেল যা এক সময় কেটেল ড্রাইভ রেলওয়ের রেলপথ ছিল। এখন আর এই পথে রেল চলাচল করে না, আসে পর্যটকরা। এর কয়েকদিন আগে আমি পায়ে ব্যাথা পেয়েছিলাম। সেই পা নিয়ে খোড়াতে খোড়াতে আমি যখন একটু পর পর মোট সাড়ে তিন কিমি অন্ধকার পাচটা টানেল অতিক্রম করছি তখন দেখলাম সদ্য কৈশোর পেরোনো এক যুবক তার হাটু থেকে পুরো পা টাই ভানংগা, লোহা দিয়ে আটকে রেখেছে, ক্রাচ হাতে সেও তার আত্নীয় স্বজন এর সাথে সেই বিখ্যাত টানেল দেখতে এসেছে।
ওথেলো টানেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর দুপাশে পাহাড় আর মাঝখানে খারা গিরিখাতের মধ্যে তিরতির করে বয়ে যাচ্ছে এক শীর্নকায়া ঝর্না, সেগুলোই শীতের শেষে বরফ গলে হয়ে পরে দুরন্ত নদী নাম তার কোকুইহাল্লা।
পাহাড় আর সবুজ পাইনের বন
কোকুইহাল্লার টানেলগুলো ওথেলো টানেল নামে পরিচিত, শেক্সপীয়ার প্রেমিক ইঞ্জিনিয়ার এই নামকরণ করেছিলেন
আরেকটা ঘন অন্ধকার টানেলের মুখের দিকে আমরা মা ছেলে এগিয়ে যাচ্ছি
পুরনো রেলপথের কাঠের স্লিপার দেখা যাচ্ছে
ভ্যানকুভারের পথে
ভ্যাংকুভার এয়ারপোর্ট ঢুকতেই নজর কারলো এই অদ্ভুত ভাস্কর্যটি
এয়ারপোর্টে বিদায় নেয়ার সময় আমার ছেলে শুধু বল্লো "তুমি আর কখনো রাতের ফ্লাইটে কোথাও যেওনা"। আসলেও প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে তিন রাত না ঘুমিয়ে।
বার বার কোকুইহাল্লা শব্দটি ব্যবহার করছি এটি একটি স্থানীয় আদিবাসী শব্দ।
পাসওয়ার্ডটা মনে আছে কিনা তার জন্য এই রচনা। এর ভেতর কোন গভীর অন্তর্নিহিত কিছু খুজতে যাবেন না।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০
জুন বলেছেন: আদিবাসী আমি দেখেছি তাদের নিজস্ব নকশায় তৈরি ব্যাগ আর কানের দুল কিনেছি। ওদের বিষয়ে মোটামুটি পড়াশোনা করেছি অনেক আগেই। তাই এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে দেখার আকাঙ্ক্ষা আমার ছিল চাদগাজী।
সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আমি কতবার উঠেছি তা আমার নিজেরো মনে নেই।
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিড়াল এর মনস্তাত্বিক বিষয়টি নিয়ে আমি বিস্মিত ।
.............................................................................
আমাদের দেশের নোংড়া বিড়াল কেউ পসন্দ করেনা,
যত্রতত্র ময়লা করে, রান্নাঘরে ঢুকে মাছ নিয়ে যায়
আর তার পশম থেকে বাচ্চাদের ডিপথেরিয়া হয় ।
কিন্ত মক্কায় দেখলাম ভিন্ন চিত্র ।
তারা কোন গৃহে প্রবেশ করেনা,
খুবই শান্ত স্বভাবের , লোকজন বাসার বাইরে খাবার দেয়,
কিন্ত ইদুঁর ধরে খায়না ।
..................................................................................
জার্মানে দেখলাম সদ্য বাচ্চার কাছে শুয়ে আছে
কোন উৎপাত বা অনিষ্ট করেনা ?
প্রকৃতি ও পরিবেশ কি এভাবেই নিয়ন্ত্রন করে ???
প্রকৃতির ছবি গুলো ভালো লাগলো!
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
জুন বলেছেন: এই বিড়ালের পেছনে তার যেই খরচ, তার খাবার দাবার থেকে সব কিছু এ ক্যাটাগরির শংখচিল। আমি শুধু এই কয়েক দিন চেয়ে চেয়ে দেখলাম। যতবার দোকানে যাচ্ছে ততবার তার জন্য একটা খেলনা কিনে আনছে। অদ্ভুত।
তবে আমাদের দেশে বিড়াল কুকুরের সাথে মানুষের যা আচরণ তা খুবই দু:খজনক। খাবার পায়না বলেই চুরি করে খায়। আমার ছেলে তো বাইরের একটা বিড়ালকেও খাবার দেয়। ওদের জন্য শেল্টার আছে। আর আমরা বিড়াল কুকুর দেখলেই আমাদের একটা পা উঠে যায় লাথি মারার জন্য।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৩|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনি সীতাকুন্ডে থাকার সময়, বাড়বকুন্ডের ইপিআইডিসির কারখানাগুলো হয়েছিলো? সেখানকার ১ চোর অফিসার এখন ব্লগে কবিতা লেখে!
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জুন বলেছেন: এত বিশাল তথ্য আমার জানার বাইরে ![]()
৪|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বিজন রয় বলেছেন: বাহ! বাহ! বাহ!
বহুদিন পর!
আপনার পোস্ট!!
আবার সেই আগের মতো টেস্ট পেলাম।
জুনাপা!
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুন বলেছেন: আপনাকেও ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগলো বিজন রয়। এটা কোন স্বাদযুক্ত লেখানা শুধু মাত্র পসোয়ার্ডটা মনে আছে কি না তার পরীক্ষা। নইলে তো আবার কাভারে মেইল করো হ্যানোত্যানো ![]()
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: অনেকদিন পর এলেন ব্লগে। কো কুই হা ল্লা র শব্দটা বারবারবার পড়তে গিয়ে দাত ভেঙ্গে যাবার দশা।
পোস্টে+
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১০
জুন বলেছেন: এটা একটা আদিবাসী শব্দ যার সহজ অর্থ আমি একশবার পড়েও উদ্ধার করতে পারি নি
আপনি যদি গুগল সার্চ দিয়ে পারেন তবে একটু জানাবেন প্লিজ।
তবে এই বৃটিশ কলম্বিয়ার ভূপ্রকৃতি এত সুন্দর যে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ মেঠোপথ।
৬|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৪৭
হুমায়রা হারুন বলেছেন: কি সুন্দর বর্ণনা ! তিন কিমি কিভাবে লিখলেন?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১৩
জুন বলেছেন: বর্ননা ভালো লাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে হুমায়রা হারুন। তিন কি: মি: কিভাবে লিখেছি কথাটার অর্থ বুঝতে পারছি না। অল্প একটু দুরত্বে পর পর পাচটা টানেল, এই পাচটা টানেলের শেষ মাথায় গিয়ে ফিরে আসা মোট সাড়ে তিন কিলোমিটার। আমি তো তবুও আধা কিমি কম লিখেছি। সেখানে সাইনবোর্ডে দূরত্ব লেখা আছে এছাড়া আমার পা ও বুঝিয়েছে কত কিমি :'(
৭|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৬
হুমায়রা হারুন বলেছেন: বলতে চাইছিলাম, তিন কিমি কিভাবে হাঁটলেন?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১৬
জুন বলেছেন: ওহ আমি আপনার এই মন্তব্য পড়িনি, আমি অত্যন্ত দু:খিত। হাটলাম ছেলে খালি বলে "পারবা পারবা তুমি এত দূর আমাকে দেখতে আসছো এটুকুও পারবে, ওই যে দেখোনা ভাংগা পা নিয়ে ছেলেটা স্ক্রাচে ভর দিয়ে কি ভাবে হাটছে "। এরপর আর না বলিনি। রেস্ট নিয়ে নিয়ে হেটেছি।
আবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৮|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এতদিন কোথায় ছিলেন?
কেমন আছেন
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:২৫
জুন বলেছেন: গত বছর মনে হয় এপ্রিলে আমি ইউএসে যাই আমাদের গ্রীনকার্ড আনতে। দেড় মাস অপেক্ষা করার পর আমি কার্ড না নিয়েই চলে আসি পোড়ার দেশের জন্য আমার পেট পুরতেছিল। আগে গ্রামের মানুষরা ঢাকায় আসলে দুদিন পরেই বলতো "দ্যাশের জন্য আমার পেট পুরে খালাম্মা "। তো আমার সেই অবস্থা ডার্ক ম্যান। এরপর এই বছর আবার নিউইয়র্ক যাই প্ল্যান ছিল সেখান থেকে আমি টরোন্টো যাবো, আমার ছেলে বিসি থেকে এসে দেখা করবে। সেটা সাকসেসফুল হয় নি, ছেলে আসতে পারেনি। আমেরিকা আর কানাডা মিলে টোটাল ১৫ দিন থেকে ফিরে আসি আমার সোনার বাংলায়। সেপ্টেম্বর মাসে আমি আবার প্ল্যান করি যে এবার আমি নিউইয়র্ক থেকে ডায়রেক্ট আমার ছেলের কাছে যাবো এবং আমি সফল হই। আমেরিকা হয়ে যাবার কারন গ্রীন কার্ড ব্যবহার।
আপনার ছোট্ট একটা প্রশ্নের বিশায়াল উত্তর যা অনেকের জানা হবে
ভালো থাকুন সব সময়। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৯|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৭:৫৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগল। জেনে খুশি হলাম যে আপনার ছেলে কানাডায় পুরোদমে থিতু হয়েছে এবং মাকে কানাডার বন-প্রকৃতি ঘুরে দেখাচ্ছে। আপনার কোকুইহাল্লার বরফগলা নদী আর টানেলের ছবিগুলো চমৎকার।
ছেলের বর্তমান অবস্থান মনে হচ্ছে ব্যানফ ন্যাশনাল পার্ক থেকে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যেই বোধহয় সে থাকে। এবার কি সেখানেও গিয়েছিলেন নাকি সেটা পরের বারের জন্য তোলা আছে?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৩০
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো শ্রাবনধারা। আপনি ঠিকই ধরেছেন, বানফ থেকে ৭/৮ঘন্টা দুরত্বে ছিলাম কিন্ত সেই স্বপ্নের জায়গায় যাওয়া হয় নি। ছেলে বলেছে পরের বার আমি বলেছি এত দূর আর আসা হয় কি না কে জানে।
হ্যা ছেলে আমাকে নিয়ে অনেক লেক, পাহাড়, ভিউ পয়েন্ট ঘুরিয়েছে ১৫ দিনে যতটা পারে। তবে আমার যাবার যে উদ্দেশ্য এক হলো ৩ বছরের উপর ওকে আমি দেখি না, আর কেমন আছে তা দেখা। ভালো আছে আলহামদুলিল্লাহ। দোয়া করবেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
কোকুইহাল্লা নামটা সম্ভবতঃ আপনার এই পোস্ট থেকেই প্রথম জানলাম। আজিব এই নামের রহস্য কি, কে জানে! ভ্রমন বৃত্তান্ত ভালো লাগলো।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
জুন বলেছেন: আমিও গিয়ে প্রথম জেনেছিলাম নতুন নকিব। আমি বিস্তারিত কিছু লিখিনি এই পোস্টে জাস্ট আমার পাসোয়ার্ড মনে আছে কিনা সেটাই দেখার বিষয় ছিল
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন সব সময়।
১১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:২১
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: প্রথমত: আপনার ভ্রমণের গল্প সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
দ্বিতীয়ত:
কোকুইহাল্লা হলো কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি হাইওয়ে এবং একটি বিনোদনমূলক এলাকা। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যা পাহাড়, হ্রদ এবং গিরিখাত দ্বারা বেষ্টিত। কোকুইহাল্লা হাইওয়ে ভ্যাঙ্কুভার এবং অভ্যন্তরীণ কানাডার মধ্যে যাতায়াতের একটি প্রধান পথ। এটি কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে যা ভ্যাঙ্কুভার এবং কুইনসডেলকে সংযুক্ত করে।
বিনোদন এলাকা: কোকুইহাল্লা সামিট রিক্রিয়েশন এরিয়া (Coquihalla Summit Recreation Area) একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এলাকাটি পাহাড়, গিরিখাত এবং হ্রদের জন্য পরিচিত।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
জুন বলেছেন: কোকুইহাল্লা বৃটিশ কলম্বিয়ার শুধু হাইওয়ের নামই নয় কাজী রিফাত, এটা একটা সাব ডিভিশন। আচ্ছা ছবি দেখেন পরে আপনার মন্তব্যের জবাব দিবো
ন্যাশনাল পার্কের ভেতর যখন ঢুকে ওথেলো টানেলের সামনে আসি তখন এটা সহ আরও কয়েকটি ছবি কাচের ফ্রেমে বাধাই করা ছিল। সেখানে লেখা কোকুইহাল্লা সাবডিভিশন আর এই টানেলগুলোর নাম ওথেলো ( নির্মাতা একজন শেক্সপীয়ার প্রেমিক ছিলেন) ।
গিরিখাতের যে ছবি দিয়েছি একটা ঝর্নার মতো ওটাই নদিটা।
বিনোদন কেন্দ্র তো বটেই। শত শত মানুষ এমনকি পা ভেংগে দুই টুকরা তাও আসছে।
যাই মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। এবং আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিলেন তার জন্য তো বটেই ![]()
১২|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: হানু তো মহা সুখে আছে।
তার শরীরে তেল জমে গেছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:০২
জুন বলেছেন: মহা সুখ মানে মহা রাজীব নুর, তার খানাপিনা, তার খেলনা, তার ঘুমানোর বিছানা, তাবু, থাকে থাকে সিড়ি দিয়ে ওঠার মত ঘর, নখ দিয়ে আচড় কাটার জন্য একটা স্ক্রাচার, ফ্রেশ পানির জন্য ঝর্না বিড়াল আবার বাসি পানি খায় না
এক মহাসমারোহ। পুরো একটা ঘর শুধু তারই। আমি বললাম "তুমি তো ওকে স্পয়েল্ড করে ফেলবা", উত্তর দিলো 'সেটাই তো চাইতেছি'
যাক আপনিই একমাত্র আমাদের বিড়াল নিয়ে কিছু বললেন রাজীব নুর
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোকুইহাল্লা বৃটিশ কলম্বিয়ার শুধু হাইওয়ের নামই নয় কাজী রিফাত, এটা একটা সাব ডিভিশন। আচ্ছা ছবি দেখেন পরে আপনার মন্তব্যের জবাব দিবো ![]()
ধন্যবাদ আপনাকে -
আমি তো ভার্চুয়াল ট্যুর করি তাই আমার জানায় কমতি থাকে। আর আপনি লাইভ ট্যুর করেন প্রচুর। আপনার রিয়েল ট্যুর বেশি প্রানবন্ত ও লিখনী বান্ধব।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫
জুন বলেছেন: আমি তো ভার্চুয়াল ট্যুর করি তাই আমার জানায় কমতি থাকে হা হা হা ভালোই বলেছেন কাজী রিফাত। আসলে হয়তো আমাদের ব্লগের অনেকেই এই পথে গেছেন কিন্ত তাদের হয়তো নামটা মনে দাগ কাটেনি
আমিও তো দুনিয়ার কত জায়গায় যাইনি, তবে আফসোস নাই, আল্লাহ আমাকে অনেক দেখার সুযোগ দিয়েছেন। ভালো থাকবেন, আরেকবার আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫০
রানার ব্লগ বলেছেন: কোকুইহাল্লা - নামটা বেশ রহস্যজনক ! ভ্রমণ বৃত্তান্ত চমৎকার লেগেছে ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪
জুন বলেছেন: নামটি কানাডার এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের দেয়া অর্থটা বেশ খটোমটো
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রানার ব্লগ।
১৫|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশ দীর্ঘ বিরতির পর আজ ব্লগে এসে প্রথম পাতায় চোখ বোলাতে বোলাতে নীচে নেমে আপনার উপস্থিতি
দেখতে পেলাম । আপনার অনিয়মিততার ছোট্ট এ্টি ফিরিস্তিও দেখতে পেলাম ।
আপনার এই সচিত্র ভ্রমণকাহিনী “কোকুইহাল্লার পথে পথে” আমার মত ভনেককেই এক অনাবিল বাস্তবতার
ভেতর নিয়ে গেছে । ছোট্ট এই সচিত্র লেখায় আপনি মমতা, প্রকৃতি ও পথের সৌন্দর্য একসাথে মিশিয়ে দিয়ে
নীরব অথচ স্পষ্ট মানবিক আবেগে প্রাণান্ত করে তুলেছেন এই ব্লগ আবানকে ।
দেখলাম লেখাটি শুরু হয়েছে এক ছোট্ট অথচ বেদনামিশ্র হাস্যকর ঘটনা দিয়ে। ছেলের প্রিয় ইনডোর বেড়াল হানুর
পালানো ও তাকে ধরার ছোট্ট অস্থিরতায়। এই সূচনাটি আমাদেরকে অবলীলায় টেনে আনে এক পারিবারিক
পরিমণ্ডলে, যেখানে মায়ের স্নেহ, ছেলের তাড়াহুড়া আর বিড়ালের দুষ্টুমি মিলেমিশে এক উষ্ণ বাস্তব আবহ তৈরি করেছে।
এরপর লেখাটিতে দিগন্ত খুলে যায় কোকুইহাল্লা হাইওয়ের বিস্ময়কর প্রকৃতির দিকে। আপনি স্বতঃস্ফূর্ত বর্ণনায়
এমন এক চিত্র এঁকেছেন, যা আমাদের চোখের সামনে সিনেমার দৃশ্যের মতো ভেসে ওঠে চার লেনের হাইওয়ে,
দু’পাশে পাইন ও ফারের ঘন বন, আর দূরে পাহাড়ের সারি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো আপনার
স্বীকারোক্তিমূলক বাক্য“আমি এর আগের বার টরোন্টো গিয়েছি, আমার ভালো লাগেনি। কিন্ত বৃটিশ কলম্বিয়ার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি বিস্মিত।” এই সরল স্বীকারোক্তি আপনাকে আমার নীজের অনুভূতির সাথে একাত্ম
করে ফেলে।
ভ্রমণের মাঝখানে ওথেলো টানেল এর অংশটি যেন এই লেখাটির একটি আবেগঘন কেন্দ্রবিন্দু। এখানে প্রকৃতির
সৌন্দর্যের পাশাপাশি এক মানবিক দৃশ্য গভীর ছোঁয়া দেয়; এক যুবক, যার পা লোহার ফ্রেমে বাঁধা, তবু সে পরিবারের
সাথে সেই বিখ্যাত টানেল দেখতে এসেছে। এই দৃশ্য আপনার মত আমাদেরকেও থামিয়ে দেয়, শেখায় স্থিতধী সাহস
ও জীবনের প্রতি অনুরাগ। যেন আপনি নিঃশব্দে বলেন, ভ্রমণ শুধু বাহ্যিক নয়, এটি আত্মারও এক যাত্রা।
পুরো লেখাটিই যেন সহজ ভাষায় সংলাপধর্মী ও আন্তরিক। আপনি বারবার ছোট ছোট মন্তব্যে আপনার ব্যক্তিত্ব
প্রকাশ করেছেন যেমন “এর ভেতর কোন গভীর অন্তর্নিহিত কিছু খুজতে যাবেন না।” এই সরল বাক্যের আড়ালেই
লুকিয়ে আছে এক আত্মবিশ্বাসী হাসি, এক যাত্রাপথে পাওয়া জীবনের মৃদু দর্শন; যে সৌন্দর্যকে শব্দে নয়, শুধু
অনুভবে ধরা যায়।
শেষে ছেলের বিদায়ের সংলাপ “তুমি আর কখনো রাতের ফ্লাইটে কোথাও যেওনা” যেন পুরো ভ্রমণকাহিনীর
পরিসমাপ্তিকে এক মমতাময় মানবিক সুরে বেঁধে দেয়। এতে মা-ছেলের সম্পর্কের উষ্ণতা যেমন প্রকাশ পায়,
তেমনি ভ্রমণশেষের বিষণ্ণতা ও ক্লান্তিরও ইঙ্গিত মেলে।
সত্যিই “কোকুইহাল্লার পথে পথে” একটি অনাড়ম্বর অথচ হৃদয়স্পর্শী ভ্রমণকাহিনী, যেখানে আপনার মত এই ব্লগের
ভ্রমন রাণীর চোখ দিয়ে প্রকৃতি দেখা মানেই জীবনের আরেক দিক দেখা,ভালোবাসা, সহানুভূতি ও সময়ের
নীরব সৌন্দর্য। যাবার বেলায় সুন্দর ও মনোজ্ঞ এই সচিত্র ভ্রমন কাহিনীটিকে প্রিয়তে তুলে নিলাম ।
শুভ কামনা রইল ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুন বলেছেন: আলী ভাই প্রথমেই আমার শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। যেমন চোখ দিয়ে আপনি আমার দুই লাইনের পোস্টটি দেখলেন যা আমি স্বচক্ষে দেখেও তার বর্ননা করতে পারি নি। আমি কি উত্তর দিবো আপনার মন্তব্যের তাই ভাবছি।
বৃটিশ কলম্বিয়ার এক কোনা দেখেই আমি মুগ্ধ আর পুরোটা দেখলে না জানি কি দেখতাম। বানফে যাবার খুব ইচ্ছে ছিল। যাবার আগে ছেলে বার বার বলছিল "তুমি আসো তারপর আমরা বানফে যাবো", কিন্ত ভাগ্যে ছিল না তাই দেখা হয় নি। তবে যা দেখেছি তার জন্য হাজার শুকরিয়া।
এই ২০২৫ এর এপ্রিলে আমি নিউইয়র্ক হয়ে টরোন্টো গিয়েছিলাম, আশা ছিল ছেলের সাথে দেখা হয় নি। অনেক কষ্ট নিয়ে ভাইয়ের বাসা থেকে ফিরে আসি। ২০২৪ এর মে মাসেও একবার দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্ত হয়নি। এবার আমি ডেসপারেট ছিলাম যে যেমন করে হোক আমি যাবোই।
আপনি কোন প্রভিন্সে থাকেন আলী ভাই? আশাকরি ব্যাথা বেদনার হাত থেকে এখন মুক্তি পেয়েছেন। ভালো থাকবেন সব সময়। আমার জন্যও দোয়া করবেন আর আমার লেখার সাথেই থাকবেন যেমন আপনি সব সময় থাকেন ![]()
১৬|
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন, সেটা জানতে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৯
জুন বলেছেন: আশাকরি ভালো কিছুই জানতে পেরেছেন রাজীব নুর ![]()
১৭|
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:৩৬
হুমায়রা হারুন বলেছেন: বিড়ালটি আমার ও খুব পছন্দ হয়েছে। আদিবাসীদের দেখা পেলে খুশী হতাম বিশেষ করে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আদিবাসী চোখে পড়েছিলো?
সীতাকুন্ড পাহাড়ের উপরের মন্দির অবধি উঠেছিলেন কখনো?