নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোকুইহাল্লার পথে পথে

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭


কোকুইহাল্লা হাইওয়ে
ঢাকা ফিরবো কিন্ত আমার ছেলে যেই শহরে থাকে সেখানে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট নেই। চার ঘন্টা ড্রাইভ করে যেতে হবে ভ্যাংকুভার। সকালে উঠে রেডি হয়ে বের হবো তার আগেই আমার ছেলের বেড়ালটা পায়ের ফাক দিয়ে ফুরুত করে বাইরে বেরিয়ে গেল। ইনডোর ক্যাট ঘরেই সারাদিন থাকে সে কি না বাইরে সিড়ি দিয়ে উঠে সোজা রাস্তায়। আমার ছেলে গাড়ির ভেতর আমার স্যুটকেস রাখছিল সেগুলো ফেলে দিয়ে সে হানু হানু করে চিৎকার। তাড়াতাড়ি তার স্ন্যাক্স এর কৌটা ঝাকাতেই সে দৌড়ে আসলো ঘরে। সাথে সাথে তাকে বেডরুমে রেখে দরজা বন্ধ করে হাপাতে হাপাতে মা ছেলে গাড়িতে উঠলাম।
আমার ছেলের বিড়াল হানু
যাই হোক আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা দিলাম, আমি একা আসবো পরদিন রাতে ফ্লাইট। ছেলে বল্লো "চলো একদিন আগে যাই তোমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে, পথে অনেক সুন্দর দেখার যায়গা আছে ওগুলোও দেখা যাবে"। বিশাল চওড়া চার লেনের হাইওয়ে আর তার দু পাশে পাইন আর ফারের ঘন বন আর পাহাড় যার সৌন্দর্য আমি লিখে বোঝাতে পারবো না। আমি এর আগের বার টরোন্টো গিয়েছি, আমার ভালো লাগেনি। কিন্ত বৃটিশ কলম্বিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি বিস্মিত। চওড়া এই পথের নাম কোকুইহাল্লা হাইওয়ে। হোপ নামে এক জায়গায় খাবার জন্য এক জাপানি রেস্তোরাঁয় গেলাম, ছেলে বল্লো এখানে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের র‍্যাম্বো সিরিজের ফাস্ট ব্লাডের স্যুটিং হয়েছে।

কোকুইহাল্লা ন্যাশনাল পার্ক
এই পার্কের ভেতর দিয়ে হাটতে হাটতে একটা টানেলের সামনে আসলাম। এটা ছিল এক সময় রেললাইন কেটেল ড্রাইভ রেলওয়ে। এখন পর্যটন এর জন্য খুলে দিয়েছে। এর কয়েকদিন আগে আমি পায়ে ব্যাথা পেয়েছিলাম। সেই পা নিয়ে খোড়াতে খোড়াতে আমি যখন একটু পর পর মোট সাড়ে তিন কিমি অন্ধকার পাচটা টানেল অতিক্রম করছি তখন দেখলাম সদ্য কৈশোর পেরোনো এক যুবক তার হাটু থেকে পুরো পা টাই ভানংগা, লোহা দিয়ে আটকে রেখেছে, ক্রাচ হাতে সেও তার আত্নীয় স্বজন এর সাথে সেই বিখ্যাত টানেল দেখতে এসেছে।

টানেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর দুপাশে পাহাড় আর ঝর্না যেগুলো শীতের শেষে বরফ গলে হয়ে পরে দুরন্ত নদী নাম কোকুইহাল্লা।
পাহাড় আর সবুজ পাইনের বন

কোকুইহাল্লা টানেল
আরেকটা ঘন অন্ধকার টানেলের মুখ আমরা মা ছেলে এগিয়ে যাচ্ছি
পুরনো রেলপথ দেখা যাচ্ছে

ভ্যানকুভারের পথে
ভ্যাংকুউভার এয়ারপোর্ট ঢুকতেই নজর কারলো এই অদ্ভুত ভাস্কর্যটি
এয়ারপোর্টে বিদায় নেয়ার সময় আমার ছেলে শুধু বল্লো "তুমি আর কখনো রাতের ফ্লাইটে কোথাও যেওনা"। আসলেও প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে তিন রাত না ঘুমিয়ে।

বার বার কোকুইহাল্লা শব্দটি ব্যবহার করছি এটি একটি আদিবাসী শব্দ।

পাসওয়ার্ডটা মনে আছে কিনা তার জন্য এই রচনা। এর ভেতর কোন গভীর অন্তর্নিহিত কিছু খুজতে যাবেন না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আদিবাসী চোখে পড়েছিলো?

সীতাকুন্ড পাহাড়ের উপরের মন্দির অবধি উঠেছিলেন কখনো?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০

জুন বলেছেন: আদিবাসী আমি দেখেছি তাদের নিজস্ব নকশায় তৈরি ব্যাগ আর কানের দুল কিনেছি। ওদের বিষয়ে মোটামুটি পড়াশোনা করেছি অনেক আগেই। তাই এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে দেখার আকাঙ্ক্ষা আমার ছিল চাদগাজী।
সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আমি কতবার উঠেছি তা আমার নিজেরো মনে নেই।
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিড়াল এর মনস্তাত্বিক বিষয়টি নিয়ে আমি বিস্মিত ।
.............................................................................
আমাদের দেশের নোংড়া বিড়াল কেউ পসন্দ করেনা,
যত্রতত্র ময়লা করে, রান্নাঘরে ঢুকে মাছ নিয়ে যায়
আর তার পশম থেকে বাচ্চাদের ডিপথেরিয়া হয় ।
কিন্ত মক্কায় দেখলাম ভিন্ন চিত্র ।
তারা কোন গৃহে প্রবেশ করেনা,
খুবই শান্ত স্বভাবের , লোকজন বাসার বাইরে খাবার দেয়,
কিন্ত ইদুঁর ধরে খায়না ।
..................................................................................
জার্মানে দেখলাম সদ্য বাচ্চার কাছে শুয়ে আছে
কোন উৎপাত বা অনিষ্ট করেনা ?
প্রকৃতি ও পরিবেশ কি এভাবেই নিয়ন্ত্রন করে ???

প্রকৃতির ছবি গুলো ভালো লাগলো!

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জুন বলেছেন: এই বিড়ালের পেছনে তার যেই খরচ, তার খাবার দাবার থেকে সব কিছু এ ক্যাটাগরির শংখচিল। আমি শুধু এই কয়েক দিন চেয়ে চেয়ে দেখলাম। যতবার দোকানে যাচ্ছে ততবার তার জন্য একটা খেলনা কিনে আনছে। অদ্ভুত।
তবে আমাদের দেশে বিড়াল কুকুরের সাথে মানুষের যা আচরণ তা খুবই দু:খজনক। খাবার পায়না বলেই চুরি করে খায়। আমার ছেলে তো বাইরের একটা বিড়ালকেও খাবার দেয়। ওদের জন্য শেল্টার আছে। আর আমরা বিড়াল কুকুর দেখলেই আমাদের একটা পা উঠে যায় লাথি মারার জন্য।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনি সীতাকুন্ডে থাকার সময়, বাড়বকুন্ডের ইপিআইডিসির কারখানাগুলো হয়েছিলো? সেখানকার ১ চোর অফিসার এখন ব্লগে কবিতা লেখে!

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: এত বিশাল তথ্য আমার জানার বাইরে :(

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: বাহ! বাহ! বাহ!

বহুদিন পর!
আপনার পোস্ট!!

আবার সেই আগের মতো টেস্ট পেলাম।

জুনাপা!

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

জুন বলেছেন: আপনাকেও ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগলো বিজন রয়। এটা কোন স্বাদযুক্ত লেখানা শুধু মাত্র পসোয়ার্ডটা মনে আছে কি না তার পরীক্ষা। নইলে তো আবার কাভারে মেইল করো হ্যানোত্যানো ;)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: অনেকদিন পর এলেন ব্লগে। কো কুই হা ল্লা র শব্দটা বারবারবার পড়তে গিয়ে দাত ভেঙ্গে যাবার দশা। !:#P
পোস্টে+

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.