![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারপর আখতারুজ্জামান নামের কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি - খালেদা জিয়া জেলে থাকাকালীন যে সকল নেতা সক্রিয় ছিলেন উনি তাদের মধ্যে অন্যতম - পরিষ্কার ভাষায় তারেক বিএনপির জন্যে একটা বোঝা হিসাবে বর্ননা করছিলেন।
অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হয়ে জেলে আটকে থাকা বিএনপির আরেক নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে প্রকাশ্যে তারেককে নেতৃত্বে নিয়ে আসার বিরোধীতা করতে দেখা গেছে।
কিন্তু তারেকের এই নেতিবাচক ইমেজের পরও বিএনপির কাউন্সিল ( অবশ্যই খালেদা জিয়ার নির্দেশে) তারেকের জন্যে অতিগুরুত্বপূর্ন পদ তৈরী করে ( সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান) এবং গঠনতন্ত্র অনুসারে খালেদা জিয়ার তিরোধানের পর তারেক রহমান বিএনপির চেয়ারম্যান এবং যদি নির্বাচনে বিজয়ী হয় তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অপেক্ষমান।
তারেকের হাওয়া ভবন, মানিলন্ডারিং এবং ২১ এ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সন্ত্রান্ত বিষয়গুলো মানুষের কাছে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। যদিও বিএনপি "সব কিছু ভুল", "সব কিছু ষড়যন্ত্র" ইত্যাদি প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে মনে হয় না - সাধারন মানুষের মন থেকে নেতিবাচক ইমেজ মুছে ফেলা যাবে।
তাই একজন জননেতা হিসাবে সুসময়ে নাজিল হয়ে আবারো একদল চাটুকার দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ার চাইতে - বুক ফুলিয়ে দেশে ফিরে এসে মামলাগুলি মোকাবেলা করা জরুরী। আমার বড় বড় নেতাদের জীবনী দেখি - এরা মামলা হামলাকে ভয় পেতেন না। শেখ মুজিবুর রহমান ২৪ বছর পাকিস্তানী শাসনামলের ১২ বছর জেলে কাটিয়েছেন। বর্তমা স্পিকার এডভোকেট আব্দুল হামিদ ৭৫ এর পর বিনাবিচরের সাড়ে তিন বছর জেলে ছিলেন। রাজনীতিবিদ হিসাবে সফল হয়েছেন আর জেলে যাননি - এইটা অসম্ভব - অবশ্য তারেকের বাবা জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় বসেই রাজনীতি করেছেন এবং অন্যদের জেলে পাঠিয়েছেন - সেইটা সামরিক শাসক হিসাবে ভিন্ন প্রসংগ। কিন্তু তারেক নিজেকে ভয়ে দুরে রেখে দেশের বিচারালয়ের বিচারগুলোকে অবজ্ঞা করে হয়তো ক্ষমতায় গিয়ে এক আদেশে সকল মামলা খতম করে দিতে পারেন - কিন্তু তার যে নেতিবাচক ইমেজ জনমনে গেঁথে আছে তাকে কি মুছতে পারবেন।
তারেক যদি জানেন নিজে কোন অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলেন না - তাহলে ওপেন কোর্টের বিচারে ভয় কি? বাংলাদেশের বাঘা বাঘা ব্যারিষ্টারগন তো উনার সেবায় নিয়োজিত। সুতরাং একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসাবে হেঁটে জনগনের মাথে মিশে যাওয়ার সুযোগ উনি ছাড়ছেন কেন?
আর যদি ভুলত্রুটি কিছু হয়েই থাকে তাহলে দুই চার বছরের জেল খেঁটে জনগনের কাছে ক্ষমা চেয়ে উনি সহজেই জনমনে ফিরে আসতে পারেন।
নাজিল হয়ে নেতা হওয়ার চাইতে জনগনের পাশে দাড়িয়ে নেতা হওয়ার সুযোগ নেবার জন্যেই তারেকের দেশে ফিরে আসা উচিত
দ্বিতীয় যে কারনে তারেকের দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া দরকার তা হলো - এখন নানান সূত্র থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছেলের নামে নানান অভিযোগ শুনা যাচ্ছে। এই অব্স্থায় তারেক যদি পাহাড় পরিমান অভিযোগের বোঝা মাথায় নিয়ে ক্ষমতায় যায় - তখন জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিতে নৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকবে। তারমানে আগামী একযুগের মধ্যেও বাংলাদেশ কার্যকরী ভাবে দূর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হবে।
দেশের ভবিষ্যত এবং নিজের ক্লীন ইমেজ তৈরীর স্বার্থেই তারেকের দেশে ফিরে বিচারের সন্মুখিন হওয়ার দরকার। কারন পলাতক আসামীর পক্ষে উকিলও দেওয়া যাওয়া - ফলে হয়তো যে কোন শাস্তিকে একপেশে বলি বিএনপি ক্ষমতাসীন হয়ে বাতিল করে দেবে - কিন্তু জনতার আদালতের বিচার কিন্তু শেষ হবে না - ইতিহাস তাই বলে!
দেশে তেমন বুঝা না গেলেও বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারেক রহমানের মুক্তিতে নিউইয়র্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বর্ণমালা নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে জানা যায়
তারেক রহমানের মুক্তিতে নিউইয়র্কে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের মুক্তির খবরে নিউইয়র্কে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। গতকাল বুধবার নিউইয়র্কের বিভিন্ন বরোতে তারেকের মুক্তিতে বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপ ইফতার পার্টি ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র সভাপতি সোলেমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু। বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী এতে অংশ নেন। একই সময়ে ব্রুকলীনে আয়োজিত ইফতার ও মোনজাতের আয়োজন করে সভাপতি লতিফ সম্রাটের গ্রুপ। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে তারেক রহমানের মুক্তিতে আনন্দ উৎসবের খবর পাওয়া গেছে।
জ্যাকসন হাইটসের ঢাকা কাবাব ও বিরিয়ানী হাউসে আয়োজিত ইফতার পার্টির শুরুতে তারেক রহমানের মুক্তিতে শুকরিয়া আদায় করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সহ সভাপতি সোলেমান ভূঁইয়া। ইফতার শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, গত বছর যেদিন তারেক জিয়া গ্রেফতার হন তার পরের দিন এই জ্যাকসন হাইটসেই আমরা যে প্রতিবাদ সভা করেছিলাম তা নিয়ে একটি মহল কুৎসা রটনা করেছিলো, আজ তারেকের মুক্তির মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের সেই প্রতিবাদ সভা ছিলো সঠিক। জিল্লু বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করতে একটি মহল সব সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে বিভক্তি বজায় রাখতে সচেষ্ঠ রয়েছে। আর এদেরই তারা প্রভাবিত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির রাজনীতিকে ধংস করার পাঁয়তারায় যোগ দিয়েছেন। আশা করি তারেক রহামনের মুক্তির পর দায়িত্বপ্রাপ্তদের বোধদয় হবে। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে যোগদানকারী নেতৃবৃন্দদের ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিল্টন ভূইয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ উদ্দিন ঠাকুর, মহিলা দল সভানেত্রী শাহানা বেগম, সিনিয়র বিএনপির নেতা হেলাল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি সভাপতি শরিফ লস্কর, বিএনপি নেতা আরিফুল হক আরিফ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল হক, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানত হোসেন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম, যুবদল নেতা মোবারক হোসেন অঞ্জন, মনসুর আলী, কয়েস চৌধুরী, বুরহান উদ্দিন, বেলাল চৌধুরী, ইমানুল খান শাহীন, সানাউল্ল্যা বাবলু, ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান মিজনি, তাজুল ইসলাম খান, আহবাব হোসেন খোকন, আবুল বাশার, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী প্রমূখ।
আবার,
এটা সরকারের ও বিএনপি-জামাত জোটের আতাঁতের নীল নকশার বাস্তবায়ন
বর্ণমালা নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে: ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের মুক্তির খবরে নিউইয়র্কে একদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উৎসব বয়ে যাচ্ছে যেমন, বিপরীতে আওয়ামী, জাসদ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তারেকের মুক্তিকে দেখছেন তত্বাবধায় সরকারের সাথে বিএনপি-জামাত জোটের আতাঁতের নীল নকশার বাস্তবায়ন হিসাবে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফরাসত আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন দেওয়ান, শ্রমিক লীগের সমন্বয়কারী আব্দুর রহিম বাদশা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী এনাম, যুবলীগ নেতা আব্দুর রহিম এবং যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সভাপতি আব্দুল মোসাব্বির তারেক রহমানের মুক্তিতে ১/১১’র উদ্দেশ্য ও এর ধারকদের জাতির সাথে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। তারা বলেন, সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ঠ তত্বাবধায়ক সরকার চরম দূর্নীতিবাজ বিএনপি-জামাত জোট সরকারকে জনরোষের হাত থেকে রক্ষা করার যে গোপন পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষমতায় এসোছিলো বলে বিভিন্ন মহল থেকে যে সন্দেহ করা হয়েছিলো দূর্নীতির বরপুত্র তারেককে মুক্তি দিয়ে তারা তা প্রমাণ করেছে। নেতৃবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে গুরুত্ব না দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের নামে টালবাহানার মাধ্যমে বিএনপি-জামাত জোটকে ক্ষমতায় ফিরে আসার পটভূমি তৈরী করছে তত্বাবধায়ক সরকার ও এর তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন। তারা আরও বলেন মহা দূর্নীতিবাজদের সাথে আঁতাত করে ভবিষতে ক্ষমতার ভাগাভাগি করতে সরকারের নেপথ্যের মহল যে ষড়যন্ত্র করছে তা বাংলার জনগন কখনও বাস্তবায়িত হতে দিবে না। প্রয়োজনে এই আমেরিকায় এর বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পরে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে লন্ডন পারি জমান।
©somewhere in net ltd.