নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র কি তাহলে স্বীকার করল যে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে?

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮



বিশ্বের সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও বর্তমান বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেছে, বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে এশিয়ান টাইগার। এ কথা বলেছিলেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করে। বাংলাদেশের মতো সমস্যাবহুল একটি দেশকে বেহুদা প্রশংসা করে রং ফলানোর প্রয়োজনবোধ করবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি শক্তিমান দেশ, এমন মনে হয় না। ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রম বাংলাদেশকে অবশ্যই সামনের দিকে কিছু না কিছু এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।



এবার বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের মাটিতে কাজ চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে। (ভোরের কাগজ ১/৬/১৩ইং) বৈশ্বিক সন্ত্রাস নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পরাষ্ট্রদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। ২০১২ সালের পরিস্থিতি নিয়ে ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম’ শীর্ষক ঐ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে, চার দলীয় জোট সরকারের আমলে সন্ত্রাসের হুমকি বিরাজ করছিল কিন্তু তা থেকে উত্তরণে বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ করতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিমত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র।



মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর থেকে প্রকাশিত উল্লিখিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় বাংলাদেশের একটি সংগঠনের নাম রয়েছে, তা হলো হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী- হুজি। এ সংগঠনটি বর্তমানে নিষিদ্ধ এবং এর প্রধান নেতা মুফতি আবদুল হান্নান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। হুজির সন্ত্রাসী ক্যাডাররাই বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানকে হত্যা করতে তার বাসভবনে ঢুকেছিল। ড. হুমায়ুন আজাদকেও কুপিয়ে জখম করেছিল, হুজিরাই তার ছেলেকে কিডন্যাপ করেছিল। মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হুজিরা বসে নেই। কারাগারে বসেও তারা তাদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। সদস্য সংগ্রহ করছে। নারী ক্যাডার কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। আরো বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বলে আসছেন, বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। অভ্যন্তরীণ আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস মোকাবেলায় অঙ্গীকার অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার এবং তাদের পদক্ষেপ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে। এছাড়া উগ্রপন্থার বিস্তার রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাজের ও প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র। তারা লক্ষ্য করেছেন, শেখ হাসিনা সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন। মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কারের ব্যাপারে ইমামদের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। ধর্মীয় শিক্ষার পরিম-লে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স¤পৃক্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। দুঃসাহসী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ সরকার বাংলাদেশের নারী শক্তিকে অর্থায়নে কাজে লাগিয়ে ধর্মান্ধ জঙ্গি সংগঠনের উপর প্রচ- আঘাত এনেছেন।



এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান সরকার একটা শক্তিশালী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র¿ জঙ্গি প্রতিপক্ষ মোকাবেলা করে যাচ্ছে। বিএনপির মতো একটি বড় দল ধর্মান্ধতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করেছে। জামায়াত-হেফাজত-হুজি, রাজাকার-আলবদর-এমনকি চীনপন্থী ক্যাডাররা এবং কলাম লেখকরা, টিভি টকশোওয়ালারা বিএনপির ছত্রছায়া পাচ্ছে। বিএনপি এসব জঙ্গিদের সরকারের বিরুদ্ধে উস্কিয়ে দিচ্ছে। ২০০১ সনে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বাংলা ভাই, শায়খ রহমানসহ যাবতীয় জঙ্গি সশস্ত্র ক্যাডারদের এমনভাবে আস্কারা দিয়েছিল যে, বাংলাদেশে বাংলাভাইদের রাজত্ব গড়ে উঠেছিল। বেগম জিয়াকে বাংলাদেশের মিডিয়া বাংলাভাইদের বেআইনী খুন করা থেকে বিরত করতে অনুরোধ করা হলে বলা হলোÑ ‘বাংলাভাই বলে কেউ নেই, এসব মিডিয়ার সৃষ্টি।’



ইসলাম নামধারী সন্ত্রাসী জঙ্গিদের প্রতি বিএনপির প্রকাশ্য সমর্থন সেদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব গ্রাস করেছিল। তারা আজো বিএনপির ছত্রছায়ায় বর্তমান সরকারকে নাজেহাল ও ব্যর্থতায় উপনীত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের মতো ধর্মান্ধ মধ্যযুগীয় সংগঠনকেও সেদিনের বাংলাভাইয়ের মতো সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। জামায়াতের সশস্ত্র তা-বতো বিএনপির ছত্রছায়ায় চলছে।



এতোবড় বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অসম্প্রদায়িক, রাজাকারমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এতে তাদেরও স্বার্থ নিহিত আছে। একেবারে মাগনা তারা প্রশংসা করেনি। বর্তমান বিশ্বে ইসলাম নামধারী জঙ্গিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের যে কোনো জায়গার ইসলামী জঙ্গিরা তালেবানদের দোসর। আর তালেবানরা এখন মার্কিনিদের ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। আফগানিস্তান থেকে লাদেনদের উৎখাত করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনের তাগিদেই পাকিস্তানে চাপ সৃষ্টি করে তালেবান দমন করেছে।



বাংলাদেশের জঙ্গিরা, ডানপন্থিরা, স্বাধীনতাবিরোধীরা, বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতীরা তালেবান সমর্থক। বিএনপির আস্কারায় জামায়াতিরা প্রকাশে সেøাগান দিয়েছে, ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান।’ বাংলাদেশের ইসলামী জঙ্গিদেরও নেটওয়ার্ক বিশাল। সেক্ষেত্রে ব্যক্তিজীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ হাসিনা যেমন যুদ্ধাপরাধের বিচারের দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন, তেমনি জঙ্গি দমনে নির্ভীক পদক্ষেপ নিয়ে সাফল্য অর্জন করেছেন। জানিনা, বাংলাদেশের মানুষ সামনের নির্বচনে এর প্রতিদান কীভাবে দেয়? আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

সত্য কথা বলি বলেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী যেভাবে নির্মম গণহত্যা চালাচ্ছে , এই সরকারও তেমনি সফলভাবে গণহত্যা চালাতে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছে। তাই গডফাদার তার চামচাকে উৎসাহ প্রদান করে প্রশংসা করেছে মাত্র ! যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে কী অবস্থায় আছে একটু পড়ে দেখেন.... Click This Link

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৬

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
আমেরিকা বাধ্য হয়েছে, একথা বলতে
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.