নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন তা সবার কাছে সমাদৃত, তাই নয় কি???

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২০





সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের লুটপাটের অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধী দলের অভিযোগের জবাবে গতকাল শনিবার তিনি সংসদে বলেন, হলমার্কের তানভির তো হাওয়া ভবনের লোক। জিয়া পরিষদের লোক। আমাদের অবস্থা হলো আমরা যেন চোর ধরে চোর হয়ে গেলাম।



পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে জটিলতার ক্ষেত্রে একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের থাকা না থাকা প্রশ্ন হয়ে উঠেছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটা ভদ্রলোক একটা ব্যাংকের এমডি থাকবেন কি, থাকবেন নাÑ এটা নিয়ে পদ্মা সেতু হবে কি হবে নাÑ এই ধরনের থ্রেট আসলো। এই ধরনের থ্রেটের কাছে আমরা মাথা নত করবো না। একটা লোক ব্যাংকের এমডি থাকবেন কি থাকবেন নাÑ দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি লোকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমি বঙ্গবন্ধুর কন্য শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে তা হতে দেবো না।



এই বিষয়ে আর কিছু না বলে শেখ হাসিনা বলেন, সময় আসলে আরো বলবো। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শক্তিশালী দেশ বিরোধিতা করেছিল। সেভেন্থ ফ্লিট পাঠাতে চেয়েছিল, আমাদের মুক্তি আটকাতে পারেনি। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’ নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমার পরিবারকে অনেক হেয় করেছেন। কমিশনের কথা বলেছেন। কমিশন কে খেয়েছে? দেশবাসীর মাথা উঁচু করে রাখার জন্য, সব বরাদ্দ ঠিক রেখেই পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দ দিয়েছি।



পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনেও সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাংকের টাকা যে লুট করেছেন। তা শেয়ারবাজারে চলে গেছে। আমি বিরোধীদলীয় নেতাকে বলবো, ওনার প্রিয় ফালু আর বাদলকে ধরুন। তাহলে শেয়ারবাজারের টাকা কোথায় গেছে, তা পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তৃতায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দুর্নীতি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তুলে ধরেন।



শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে বলেন, অর্থ আর প্রেম লুকিয়ে রাখা যায় না। অর্থের জৌলুশ ফেটে বের হয়। এক ছেলের টাকা এনেছি, আরেক ছেলের টাকাও আনবো। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এক মেগাওয়াটও বাড়েনি। জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, শুধু খাম্বা পেয়েছিল। বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের জবাবে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর রাজনৈতিক নিপীড়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা পেয়েছিলাম গ্রেনেড হামলা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতোই ভালো ছিল যে, আমাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়।



প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংসদে ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধী দলকে দেয়া হয়নি বলে খালেদা জিয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, উনারা কোনো নাম দেননি। আমরা সরকার গঠন করেই উনাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম।



ইসলামের নামে মিথ্যাচার



শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামের নামে মিথ্যাচারের মাধ্যমে সরকাবিরোধী প্রচার চলছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ ও আমার দেশের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী অধিকারের কথা বলেন। এই অধিকার আর ‘আমার দেশের’ সম্পাদক বসে বসে অনেক কিছু বলে। কাবা শরিফে গিলাফ পরানোর ছবি, হাইতির ভূমিকম্পের ছবি, আমেরিকার জোন্স টাউনে ১৯৭৮ সালের ছবিকে হেফাজতে ইসলামের ওপর অভিযানের ‘নজির’ হিসেবে তুলে ধরে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।



শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নাস্তিক বলা হয়। আমরা নাস্তিক হলে আস্তিক কে? আমাদের এই বাংলার মাটিতেই আমাদের জন্ম। আমার পূর্বপুরুষ কী করতেন, তা বাংলার মানুষই জানে।



হেফাজতে ইসলামের মতিঝিলে অবস্থানকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তারা সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন। তারা এপ্রিলে সমাবেশ করে চলে গিয়েছিলেন। ৫ তারিখে বিরোধীদলীয় নেত্রী তাদের থেকে যেতে বললেন। আগুন দিয়ে কুরআন শরিফ পোড়ালো। তারা হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে চলতে চেয়েছিল। সেখানে সফল হয়নি। তিনি বলেন, হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীকে বিমানে করে চট্টগ্রামে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছোট ছোট ছেলেদের ট্রেনে, বাসে লঞ্চে তুলে দিয়েছে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.