![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে দুটি ধারা সমান্তরালভাবে চলমান। একটি উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির ধারা। অন্যটি নৈরাজ্য, ধ্বংস ও পিছনে ফিরে যাওয়ার ধারা। বিশ্বব্যাংক, আইএসএফ’সহ তাবৎ দুনিয়ার অর্থনৈতিক সংস্থা ও বিশ্লেষকদের মতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় সমৃদ্ধশালী বাঘ বাঘা দেশ কাবু হলেও বিগত ৩/৪ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রায় অধিকাংশ খাতেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এজন্য দেশটির বর্তমান নেতৃত্ব ও সরকার কৃতিত্বের দাবীদার। অর্থাৎ বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রধান তথা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব ও অবদান এক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। সরকারের শাসনামলের শেষ দিকেও এমন কোন দিন পাওয়া যাবেনা, যেদিন আওয়ামী লীগ নেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সরকারের আমলে গৃহীত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন না করছেন।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশের অন্য আর একটি রাজনৈতিক গতিধারা কি ? হরতাল, ভাংচুর, বোমাবাজি, ধ্বংস আর হত্যার রাজনীতি। দেশকে ধ্বংস করা, দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া, আর দেশকে পিছিয়ে দেয়ার রাজনীতি। কেন এই হরতাল, ভাংচুর, বোমাবাজি আর হত্যার রাজনীতি ? কারণ তত্ত্বাবধায়ক তথা অনির্বাচিত সরকার তথা অরাজনৈতিক সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। বিশ্বের কয়টি গণতান্ত্রিক দেশে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় ? ব্রিটেন, ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স, শ্রীলংকা, মালয়শিয়াসহ অন্যান্য দেশে হয় না, কোন দেশে আদৌও হয় কিনা, আমার জানা নেই। সরকারী দলের পক্ষ হতে প্রস্তাব দেওয়া হলো সর্বদলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের। বিরোধীদলীয় প্রতিনিধির নাম চাওয়া হলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং টেলিফোন করে সংকট উত্তরনের লক্ষ্যে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সংলাপের দাওয়াত দিলেন। পরবর্তীতে বিরোধীদল কোন মন্ত্রণালয় চান তাও জানতে চাইলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। কিন্তু কোন কিছুতেই সাড়া নেই বিরোধীদলীয় নেত্রীর। তিনি হরতালের পর হরতাল দিয়েই চলেছেন। দেশ গোল্লায় যাক, তাতে কি !
যে কথা বলছিলাম। দেশের রাজনীতি একদিকে উন্নয়নের অন্যদিকে হরতাল ও ধবংসের। বিরোধীদল হরতাল দিয়েই চলেছেন। দেশে হরতাল দিয়ে ঘরে বসে থাকলেই চলে। হরতালের অপর নাম ভয়তাল। হরতালের সবকিছুই ঠিক থাকে। শুধু ভয়ে সড়ক পথে আন্তঃজেলা যানবাহন চলাচল বিঘিœত হয়। আর সেজন্যই হরতাল দিয়ে ঘরে বসে থাকেন বিএনপি নেতারা। তাদের তো চিন্তা নেই। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও চিন্তা নেই। আরপিও সংশোধন হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও সুযোগ-সুবিধা বুঝে অন্য দলে গিয়ে নির্বাচন করে এমপি মন্ত্রী হওয়া যাবে। বিএনপির নামকরা অনেক নেতাই এরুপ সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে নিন্দুকেরা বলাবলি করছেন। তারা আরও বলছেন অপেক্ষা করেন, নির্বাচনী তফসীল ঘোষিত হোক। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে দেখতে পাবেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি কত ভাগ হয় ? বিএনপিতে কত নেতা দল ছুটের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে ? এসব নেতাদের চিন্তা নেই। কিন্তু চিন্তায় পড়েছেন জামায়াতের নেতা/কর্মীরা। তাদের দলীয় নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, শীর্ষ নেতারা ফাঁসিতে ঝুলবে, মাঠ পর্যায়ের নেতারা কারাগারে ও পলাতক। এরপরও সমাবেশ হরতালে তারাই মাঠ গরম করে রাখছেন। বিএনপি নেতাদের মাঠে দেখা যায় না। জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আফসোস করে বলেন, ভাই আপনারা সাংবাদিক, আপনারা সবই দেখছেন। ২৫শে অক্টোবর ২০১৩ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে আমরা জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা জুম্মার নামাজ কামাই করেও মাঠ দখলে রেখেছিলাম। হরতালে আমরাই মাঠে থাকি। পুলিশের মার খাই। আর বিএনপি নেতারা হরতাল দিয়ে ঘরে বসে থাকে। ঘরে বসে ভূনা খিঁচুরি ও মাংস খায়, আর ক্রিকেট খেলা দেখে। তাদের মাঠে নামানোর জন্য দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কয়েক জনের বাসায় ককটেল ফাঁটানো হলো। তার পরেও তাদের মাঠে নামানো যায় না। ভাই, বলেনতো এখন আমরা কি করব ? আমি নিরব থাকলাম, কি বলবো, ভাবছি। হায়রে আন্দোলন, এ কি অবস্থা জামায়াত-বিএনপির ! তাদের দিয়ে ভবিষ্যতেই বা কি হবে ? তাদের ভবিষ্যতই বা কি ?
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
রাজীব দে সরকার বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তত্বাবধায়ক ব্যাবস্থা থাকা সত্ত্বেও ২০০৭ এর জানুয়ারিতে আজিজের দেড় কোটি ভুয়া ভোটার নিয়ে বিম্পি-জামাত জোট একক নির্বাচন সুরু করে দিয়েছিল।
নিজামি -মোজাহিদ সহ ৬০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েও গিয়েছিল।
এবারও তারা আসবে।
এতিমের টাকা চোর তারেক হিরোইঞ্চি কোকোরাই দেশের কর্নধার হবে
যুদ্ধাপরাধী ফ্যাসিস্ট জামাত নেতারা আবার পতাকাওয়ালা গাড়ী হাঁকানো সুরু করুক।
হিজবুতি ফ্যানাটিকরা আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের হয়ে ... আবার ...
হরকত-হেকমত বোমামাবাজরা পাকিস্তানের মত মসজিদে, ঈদের জামাতে বোমাফুটিয়ে উল্লাশ করবে!
মাদ্রাসা ভিত্তিক হেফাজতি ধর্মউম্মাদরা সব ক্ষেত্রে খবরদারি করে দাপিয়ে বেড়াবে
সহমত
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: রাজীব দে সরকার বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তত্বাবধায়ক ব্যাবস্থা থাকা সত্ত্বেও ২০০৭ এর জানুয়ারিতে আজিজের দেড় কোটি ভুয়া ভোটার নিয়ে বিম্পি-জামাত জোট একক নির্বাচন সুরু করে দিয়েছিল।
নিজামি -মোজাহিদ সহ ৬০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েও গিয়েছিল।
এবারও তারা আসবে।
এতিমের টাকা চোর তারেক হিরোইঞ্চি কোকোরাই দেশের কর্নধার হবে
যুদ্ধাপরাধী ফ্যাসিস্ট জামাত নেতারা আবার পতাকাওয়ালা গাড়ী হাঁকানো সুরু করুক।
হিজবুতি ফ্যানাটিকরা আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের হয়ে ... আবার ...
হরকত-হেকমত বোমামাবাজরা পাকিস্তানের মত মসজিদে, ঈদের জামাতে বোমাফুটিয়ে উল্লাশ করবে!
মাদ্রাসা ভিত্তিক হেফাজতি ধর্মউম্মাদরা সব ক্ষেত্রে খবরদারি করে দাপিয়ে বেড়াবে
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তত্বাবধায়ক ব্যাবস্থা থাকা সত্ত্বেও ২০০৭ এর জানুয়ারিতে আজিজের দেড় কোটি ভুয়া ভোটার নিয়ে বিম্পি-জামাত জোট একক নির্বাচন সুরু করে দিয়েছিল।
নিজামি -মোজাহিদ সহ ৬০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েও গিয়েছিল।
এবারও তারা আসবে।
এতিমের টাকা চোর তারেক হিরোইঞ্চি কোকোরাই দেশের কর্নধার হবে
যুদ্ধাপরাধী ফ্যাসিস্ট জামাত নেতারা আবার পতাকাওয়ালা গাড়ী হাঁকানো সুরু করুক।
হিজবুতি ফ্যানাটিকরা আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের হয়ে ... আবার ...
হরকত-হেকমত বোমামাবাজরা পাকিস্তানের মত মসজিদে, ঈদের জামাতে বোমাফুটিয়ে উল্লাশ করবে!
মাদ্রাসা ভিত্তিক হেফাজতি ধর্মউম্মাদরা সব ক্ষেত্রে খবরদারি করে দাপিয়ে বেড়াবে!