![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কাল সন্ধ্যার পর থেকেই একটা কথা বার বার মনে পড়ছিলো আর পুরোণো দিনের সুখ স্মৃতির রোমন্থণ করছিলাম। বয়সটা একটু বেড়ে গেছে তা ছাড়া সময় ও সুযোগ কোনটাই অনুকূলে নয় তাই মামা বাড়ি আর তেমন যাওয়া হয়না। তবে নানি বর্তমানে বেঁচে নেই বলেই হয়তো মামা বাড়ি যাবার তেমন তাগিদ অনুভব করি না। নানি ছিলেন আমার সব ন্যায্য অন্যায্য আবদার পূরণ করার অন্যতম কান্ডারী। যেহেতু যা আবদার করা যায় প্রায় তার সবটুকু আদায় করা যায় তার কাছ থেকে তাই মা বাবার আদর স্নেহের থেকে নানীর কদর ছিলো আমার কাছে সবচাইতে বেশী। অবশ্য মামা-মামীদেরকেও কম জ্বালাতন করতাম না কারণ তাদের কাছ থেকেও যৌক্তিক বা অযৌক্তিক অনেক সুযোগ সুবিধা আদায় করে ছাড়তাম। মামা বাড়িতে আমার কদর একটু বেশী থাকার কারণ আমার মা নানীর ২য় কন্যা হলেও তিনিই প্রথম পুত্র সন্তানের গর্বিত জননী। তাই অনেক কন্যাদের মাঝে সবেধন নীলমনি আমি প্রথম। সুতরাং নানীর কাছে কাছে এমন কী মামা-খালাদের কাছেও আমি ছিলাম নীলকান্ত মনি। সুতরাং মামা বাড়ির সেই স্বর্ণালী দিন কোন কারণে মনে পড়লে সহজে আর তাকে ভুলতে চাইনা।
প্রায়ই কোন ঘটনা বা দূর্ঘটনা নিদেন পক্ষ্যে কোন স্মরণীয় কথা বা কারে উক্তি আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় নষ্টালজিয়ায়। তেমনি একটি মুহুর্ত ছিলো গতকাল সন্ধ্যার পরে। ঘটনাটি আপনাদের কাছে শেয়ার করার বাসনায় গত রাতে ঘুমের যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটেছে। আশা করি আপনাদের কারো কারো খারাপ লাগলেও ঘটনাটি শেয়ার করাযে যুক্তিপূর্ণ তা স্বীকার করবেন।
আমার পূর্ববতী পোস্ট "অবশেষে বিরোধী দল আজ সংসদে যোগ দিচ্ছেঃ দুর্মুখেরা বলেন পদ ও পেট বাঁচাতে" আপনাদের স্মরণ থাকার কথা। যাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হেয়েছে তারা ইচ্ছে করলে দেখতে পারেনঃ
যাহোক, গতকাল আমাকে পুরাণো দিনের মামা বাড়ির স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী তাহাদের ভাষায়(!) দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এতদিন পরে মামা বাড়ির সেই স্বর্ণালী দিনের সুখ স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী গত দুই বছরের নবম জাতীয় সংসদের ২০০ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ৬ দিন উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া। প্রায় ১০ মাস পর বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সোমবার পর্যন্ত সংসদে টানা ৭৬ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সংসদে যোগ দিয়ে বর্তমান সরকারের সব কিছু ব্যার্থ আখ্যায়িত করে অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবী তুলেছেন। আহা কী সুন্দর মামা বাড়ির আবদার। সম্ভবত বেগম খালেদা জিয়ার মতিভ্রম হয়েছে। তাই এখনো মামা বাড়ির কথা ভুলতে পারছেন না। তাই এই আবদার।বেগম মতিয়া চৌধুরীর ভাষায়" মতিভ্রম প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হবেন বেগম খালেদা জিয়া।
তবে দুঃখ এই পদ্মায় পানি অনেক গড়েয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে সমাজ-সংস্কৃতি। কালের আবর্তে হারিয়েছে অনেক কিছু। সেই মামা ও নাই, নাই আব্দার রক্ষা করার নানা, নানী ও মামারা। তাই বেগম খালেদা জিয়ার কাছে মিনতি আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও। যা আপনি করবেন না বা করেণ নাই তা অপরের কাছ থেকে আশা করেন কী করে? বুঝতে হবে মহান সংসদ কারো মামার বাড়ি নয় যে যাহা আবদার করিবেন তাহাই পাইবেন।
তবে মহান আল্লাহর দরবারে আপনার দলবল নিয়ে প্রার্থনা করুন আপনার মনোবাসনা পূরণের জন্য। আল্লাহ মাহান ও করুণায় তিনি চাইরলে আপনার মনো্বাসনা পূরণ হলেও হতে পারে।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
নবীউল করিম বলেছেন: আপনারা সময় দেবার কে? আর কেই বা আপনাদেরকে এই সময় দেবার অধিকার দিয়েছে? ভুলে গেছেন এই রকম অন্যায়, অগণতান্ত্রিক ও অসংবিধানিক আস্ফালনের পরিনতি কি হয়েছিলো?
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫১
মিতক্ষরা বলেছেন: হয়তবা খালেদা জিয়া নিজে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়েছিলেন বলে আজকে তিনিও একই আশা করছেন। কথা সেখানে নয়, কথা হল মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা শুধু খালেদা জিয়াই বলেন নি, বলেছেন গাফফার চৌধুরীও। নীচে গাফফার চৌধুরীর কথাগুলো দিলাম:
"ঢাকার কাগজেই দেখলাম, তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে।’ ক্ষমতায় বসেই বা বসার সুযোগ পেয়েই এ ধরনের দম্ভোক্তি করা একজন শীর্ষ ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতার পক্ষে সাজে কি? সবাই জানেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও বর্তমান সরকারকে নিয়ে দেশে এক ধরনের বিতর্ক আছে। এই বিতর্ক কাটিয়ে ওঠা নির্ভর করে সরকারের গুড পারফরমেন্স ও গুড গভর্নেন্সের ওপর। অতীতের সব ভুলভ্রান্তি কাটিয়ে উঠে বর্তমান সরকার যদি দ্রুত জনজীবনের ছোট-বড় কিছু জরুরি সমস্যা মিটিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে পারে, তাহলেও তাদের জন্য উচিত হবে দুই কী আড়াই বছর পর মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচন দিয়ে গণম্যান্ডেট নতুন করে যাচাই করে নেয়া। সেই মধ্যবর্তী নির্বাচনে গণম্যান্ডেটের নবায়ন হলে সরকার পাঁচ বছর কেন তার বেশিও ক্ষমতায় থাকতে পারবে। এটাই হবে সরকারের জন্য গণতন্ত্রসম্মত পথ।
তোফায়েল আহমেদের মতো একজন প্রবীণ গণতান্ত্রিক নেতা এ সত্যটি অনুধাবন না করে কীভাবে বলতে পারলেন এই সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে? এই ম্যান্ডেট কারা তাকে দিয়েছে? সাম্প্রতিক নির্বাচন দিয়েছে কি? এটা দেশের অস্বাভাবিক সময়ের একটি অস্বাভাবিক নির্বাচন, তা কি তিনি জানেন না?
এ ধরনের বাক-সংযমহীনতার পরিচয় তিনি আরেকবারও দিয়েছেন "