নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়া বিতর্কে বিব্রত বিএনপি

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭



জিয়াউর রহমানকে দেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ দাবি করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য ঘিরে এখন বিব্রত দলটি। তেতাল্লিশ বছর পর কীভাবে এবং কোথায় জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার তথ্য তিনি পেলেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হওয়ার খবর পেয়ে গেলেন তা নিয়ে বিতর্ক সর্বত্র। এ তথ্য সমর্থন করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এমন তথ্য অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।



জানা গেছে, জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে এই উদ্ভট তথ্য তাদের মুখে শোনা যায়নি। অথচ লাখো কণ্ঠে যখন সোনার বাংলা সারা দেশে প্রচারিত হচ্ছে, খালেদা জিয়া তখন ঘরে বসে জাতীয় সংগীতে শরীক না হয়ে উদ্ভট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন। সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এমনকী বিএনপির কট্টর সমর্থকরা এমন বিতর্কে এতই বিব্রত যেÑ চুপ থাকা ছাড়া তাদের কোনো শব্দ করার উপায় নেই।



বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করলেও দলটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছেÑ ‘জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি।’ গত মঙ্গলবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে তারেক রহমান দাবি করেন, তার পিতা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে তারেকের মা খালেদা জিয়া বলেন, তার স্বামীই ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি। তবে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দলটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান জুন মাস পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন। পরে তিনি জেড ফোর্স গঠন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পালাবদলের পরিণতিতে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়া। সামরিক আইন প্রশাসক থেকে পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও হন তিনি।



স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন গত মঙ্গলবার লন্ডনে একটি হোটেলে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারেক আলোচনার শুরুতেই সভার ব্যাকড্রপ দেখিয়ে তারেক রহমান বলেন, এইখানে লাল অক্ষরে লেখা আছে- ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এবারই প্রথম নয়, তারেক রহমান বিভিন্ন সময় বিদঘুটে ও অসত্য উক্তি করে দেশে বিতর্কের জš§ দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের প্রায় সবাই তার মুখে উচ্চারিত এ ধরনের উক্তিতে বিব্রত। তারা তারেক রহমানের নানা উক্তি ও তথ্যে সব সময়ই বিরক্ত হয়েছেন। এমনকী দল থেকে বেরিয়ে গেছেন অনেকে, অনেকে নিষ্কিয় থেকেছেন।



খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি’ থেকে বিরত না হলে দেশের জনগণ ‘দেশদ্রোহী হিসাবে’ তাদের বিচার করবে।



গতকাল শুক্রবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘দেশি-বিদেশি কায়েমি স্বার্থবাদীদের প্রতিনিধি’ বলেও আখ্যায়িত করেন সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতারা।



সম্প্রতি দেশে স্বাধীনতাবিরোধী মহলের চক্রান্ত নানা মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৭ মার্চ ঢাকার একটি জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া ও ২৪ মার্চ লন্ডনের একটি হলে দলীয় কর্মিসভায় তারেক রহমান মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের এই হীন, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করছে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।



বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ এনে অনেকে বলেন, ইতিহাস বিকৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে তাদের। অন্যথায় দেশের জনগণ দেশদ্রোহী হিসাবে বিচার করবে।



মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে মেজর রফিকুল ইসলামের লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এবং কবি বেলাল মোহাম্মদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গ্রন্থ থেকেও তথ্য পাওয়া যায় একাত্তরে মেজর জিয়াউর রহমানের ভূমিকা।



১৯৭৭ সালের পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকার সময় ১৬ খণ্ডে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কোথাও স্বাধীনতার ঘোষক বা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে জিয়া নিজেকে দাবি করেননি।



এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বাংলাদেশের সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের গডফাদার তারেক রহমান দেশের সম্পদ লুট করে দেশ থেকে পালিয়ে লন্ডনে গুপ্ত অবস্থায় আছেন। আর ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।



বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ‘বিকৃতির অপচেষ্টা ও মিথ্যাচার’ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রদ্রোহী, ষড়যন্ত্রকারী’ হিসাবে নিজেদের চিহ্নিত হয়েছেন তিনি।



খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে গতকাল হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্রপতি কিভাবে মেজর হলেন, এই উদ্ভট তথ্য পরিহার করুন ও মিথ্যাচার বন্ধ করুন।



জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতির দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের সময় প্রথম রাষ্ট্রপতি দুদিনের মাথায় বাংলাদেশ সরকারের অধীনে মেজরের চাকরিতে বহাল থেকে যুদ্ধ করেছেন। পরবর্তীতে উনি কর্নেল হয়েছেন, সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান হয়েছেন, প্রধান হয়েছেন এবং পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নিজে নিজেই সামরিক শাসক হয়েছেন। সুতরাং জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলাটা একটা মিথ্যাচার।



জাসদ সভাপতি বলেন, জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের দল। এ দেশে এই দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি এখন আদালতের এক্তিয়ারে। এজন্য এ ব্যাপারে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।





জিয়াউর রহমানকে দেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ দাবি করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য ঘিরে এখন বিব্রত দলটি। তেতাল্লিশ বছর পর কীভাবে এবং কোথায় জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার তথ্য তিনি পেলেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হওয়ার খবর পেয়ে গেলেন তা নিয়ে বিতর্ক সর্বত্র। এ তথ্য সমর্থন করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এমন তথ্য অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।



জানা গেছে, জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে এই উদ্ভট তথ্য তাদের মুখে শোনা যায়নি। অথচ লাখো কণ্ঠে যখন সোনার বাংলা সারা দেশে প্রচারিত হচ্ছে, খালেদা জিয়া তখন ঘরে বসে জাতীয় সংগীতে শরীক না হয়ে উদ্ভট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন। সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এমনকী বিএনপির কট্টর সমর্থকরা এমন বিতর্কে এতই বিব্রত যেÑ চুপ থাকা ছাড়া তাদের কোনো শব্দ করার উপায় নেই।



বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করলেও দলটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছেÑ ‘জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি।’ গত মঙ্গলবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে তারেক রহমান দাবি করেন, তার পিতা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে তারেকের মা খালেদা জিয়া বলেন, তার স্বামীই ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি। তবে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দলটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান জুন মাস পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন। পরে তিনি জেড ফোর্স গঠন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পালাবদলের পরিণতিতে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়া। সামরিক আইন প্রশাসক থেকে পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও হন তিনি।



স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন গত মঙ্গলবার লন্ডনে একটি হোটেলে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারেক আলোচনার শুরুতেই সভার ব্যাকড্রপ দেখিয়ে তারেক রহমান বলেন, এইখানে লাল অক্ষরে লেখা আছে- ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এবারই প্রথম নয়, তারেক রহমান বিভিন্ন সময় বিদঘুটে ও অসত্য উক্তি করে দেশে বিতর্কের জš§ দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের প্রায় সবাই তার মুখে উচ্চারিত এ ধরনের উক্তিতে বিব্রত। তারা তারেক রহমানের নানা উক্তি ও তথ্যে সব সময়ই বিরক্ত হয়েছেন। এমনকী দল থেকে বেরিয়ে গেছেন অনেকে, অনেকে নিষ্কিয় থেকেছেন।



খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি’ থেকে বিরত না হলে দেশের জনগণ ‘দেশদ্রোহী হিসাবে’ তাদের বিচার করবে।



গতকাল শুক্রবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘দেশি-বিদেশি কায়েমি স্বার্থবাদীদের প্রতিনিধি’ বলেও আখ্যায়িত করেন সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতারা।



সম্প্রতি দেশে স্বাধীনতাবিরোধী মহলের চক্রান্ত নানা মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৭ মার্চ ঢাকার একটি জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া ও ২৪ মার্চ লন্ডনের একটি হলে দলীয় কর্মিসভায় তারেক রহমান মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের এই হীন, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করছে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।



বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ এনে অনেকে বলেন, ইতিহাস বিকৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে তাদের। অন্যথায় দেশের জনগণ দেশদ্রোহী হিসাবে বিচার করবে।



মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে মেজর রফিকুল ইসলামের লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এবং কবি বেলাল মোহাম্মদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গ্রন্থ থেকেও তথ্য পাওয়া যায় একাত্তরে মেজর জিয়াউর রহমানের ভূমিকা।



১৯৭৭ সালের পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকার সময় ১৬ খণ্ডে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কোথাও স্বাধীনতার ঘোষক বা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে জিয়া নিজেকে দাবি করেননি।



এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বাংলাদেশের সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের গডফাদার তারেক রহমান দেশের সম্পদ লুট করে দেশ থেকে পালিয়ে লন্ডনে গুপ্ত অবস্থায় আছেন। আর ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।



বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ‘বিকৃতির অপচেষ্টা ও মিথ্যাচার’ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রদ্রোহী, ষড়যন্ত্রকারী’ হিসাবে নিজেদের চিহ্নিত হয়েছেন তিনি।



খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে গতকাল হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্রপতি কিভাবে মেজর হলেন, এই উদ্ভট তথ্য পরিহার করুন ও মিথ্যাচার বন্ধ করুন।



জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতির দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের সময় প্রথম রাষ্ট্রপতি দুদিনের মাথায় বাংলাদেশ সরকারের অধীনে মেজরের চাকরিতে বহাল থেকে যুদ্ধ করেছেন। পরবর্তীতে উনি কর্নেল হয়েছেন, সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান হয়েছেন, প্রধান হয়েছেন এবং পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নিজে নিজেই সামরিক শাসক হয়েছেন। সুতরাং জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলাটা একটা মিথ্যাচার।



জাসদ সভাপতি বলেন, জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের দল। এ দেশে এই দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি এখন আদালতের এক্তিয়ারে। এজন্য এ ব্যাপারে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

ফিলিংস বলেছেন: নিজের বাপ কে সবার বাপ বানানো এদেশের বড় সমস্যা..।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.