নিজামীর যে কথা রাখল না জামায়াত-শিবির

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীর কথা রাখল না জামায়াত-শিবির কর্মীরা। রায়ের আগে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নিজামী বলেন, তারা যেন কোনো ধরনের নাশকতা না করেন। তারা যেন শান্ত থাকেন।নিজামী নিজেই তার আইনজীবীদের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের রায় যাই হোক না কেন তার প্রতিক্রিয়া দেখাতে বারণ করেছিলেন। তবে তার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করেছে জামায়াত-শিবির।

কারাগারে যাওয়ার আগে আইনজীবী তাজুল ইসলামকে এ কথা বলে যান নিজামী। তাজুল ইসলাম দলের দায়িত্বশীল সুত্রকে এ কথা জানান।

বুধবার মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় ঘোষণার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তিন দিনের হরতাল ডাক দেয় জামায়াত-শিবির। তবে বিকেল ৫টার মধ্যে দলের পক্ষ থেকে নিজামীর বার্তা মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

জামায়াতের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলেন, ‘হরতালের আগের দিন আগের মতো জনগণকে কোনো ধরনের কষ্ট দেওয়া হবে না। তবে হরতাল শুরুর মুহূর্তে বিক্ষোভ মিছিল হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রেও নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। গাড়ি ভাঙ্‌চুরের মতো কোনো কর্মসূচি এবারের হরতালে নেই।’

তবে জামায়াতের এ বক্তব্যের সঙ্গে নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বুধবার দুপুরে রায়ের পর রাজধানীর মিরপুর, পল্টন, রামপুরা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের করার চেষ্টা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গাড়ি ভাঙচুর করে।

বাড্ডা থানার এসআই শাহীনুর ইসলাম জানান, বাড্ডা এলাকায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা জড়ো হতে থাকলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার বিআরটিএর সামনে নিজামীর ফাঁসির রায়ের পর ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির।

এ ছাড়া নিজামীর অনুরোধকে উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও নাশকতা চালায় জামায়াত-শিবির।

গতকালও বিকেলে যেখানে যানজটে নাকাল ছিল রাজধানীবাসী, সেখানে আজ বুধবার তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। জামায়াতের নাশকতার আতঙ্কে রাস্তাঘাট মোটামুটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। লোকজন আতঙ্কে বাসার দিকে ছোটাছুটি করেন। তবে কিছু পাবলিক যানবাহন রাস্তায় চলাচল করেছে।

২ টি +০/-০