![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় এদেশে বিদ্যুৎ ছিল আলাউদ্দিনের চেরাগ। কিন্তু এ বিদ্যুৎকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করার জন্য বহু যুগ ধরে বহু বছর পরে সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় এ বিদ্যুৎ এখন আর আলাউদ্দিনের চেরাগ নয়। এখন এটা মানুষের অতি নিকটে। এখন সকলের প্রশ্ন, গতকাল এ কী ঘটল?
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের জানা গেছে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এর কি কোন বিকল্প ব্যবস্থা ছিলনা সরকারের? তাহলে প্রযুক্তির কোথায় উন্নতি হলো আমাদের।
সারা দেশ ছিলো অন্ধকারে হাবুডুবু, পানি শূন্য ছিল ঢাকা শহর। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা আবার লাভবান হয়েছে। বিশেষ করে মোমবাতি ব্যবসায়ীরা আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। কিছু চায়না ইলেকট্রনিক্স অসংখ্য চার্জার লাইট বিক্রি হতে দেখা গেছে। সুতরাং, এসব ব্যবসায়ীরা হয়েছে চরম খুশি।
তবে হ্যাঁ, সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছিল যে, বিএনপি নেত্রীর আজ জনসভা থাকার কারণে সরকার সারাদেশ অচল করে দিছে। কিংবা ওই জনসভায় যারা আসবে তাদেরকে অন্ধকারে ফেলে হত্যা করা হবে। এদিকে আবার জামাত শিবির ঘোষণা দিছে তাদের যেসব নেতা মানাবাধিকারের দোষে অভিযুক্ত তাদের কে হত্যা করা হবে। কিংবা কাল হরতাল ও জামাতের অর্থদাতা মীর জাফর না মীর কাসেম আলীর চুড়ান্ত রায়। এসব মিলে সবকিছু একটা ছিল হযবরল ও আতঙ্কের পরিস্থিতি। সবচেয়ে হাসির বিষয় হলো যে ওই সময় আরো জানাগেছে দেশ ভারত হয়ে যাচ্ছে। আবার এ অবস্থা একটানা তিনদিন থাকবে বলে এরকম আরো আজগুবি কথা শোনা গেছে যেটা খুব আতঙ্কের মতো।
কিন্তু আসলে আমরা গণমাধ্যমের দ্বারা জানতে পেরেছি যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন, বঙ্গভবন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালতে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছিল।
তাছাড়া এসব পরিস্থিতির মধ্যে দেশে একটা ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে সবকিছু পণ্ড হয়ে গেছে। কারণ বিরোধী দলের নেত্রী আগেই বলেছিলেন যে সরকারের দুর্বল পয়েন্টে আমি আঘাত করব সেই প্রতিক্ষায় আমি আছি। কিন্তু দুর্বল তো দেখছি না সরকারের। উনার কথার মধ্যে স্পষ্ট বোঝা যায় কবে বৃষ্টি হবে আর কৃষক কবে তার ফসল ফলাবে। সেই আমলের সেই কৃষকের কাণ্ড কলাপের মধ্যে তিনি জেগে আছেন। কিন্তু সবাই জানে তার আন্দোলনে ছুরি অতি ভোঁতা যেটা দিয়ে কোন কাজ সফল করা সম্ভব হবে না।
©somewhere in net ltd.