নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনী নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে কারা?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০

একটি চক্র সেনাবাহিনীকে সবসময় বিতর্কিত করা চেষ্টা লিপ্ত। এর আগে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীন সুশৃঙ্খলাকে নষ্ট করার জন্য নানারকম প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। সেনাবাহিনীর সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে দিনকে দিন। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেসী মহল বরাবরই এই সুরক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনীর সুনাম নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের রয়েছে নিজস্ব সেনাবাহিনী । যার কাজ হল আভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রু থেকে নিজ সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। একই স্লোগান নিয়ে “শান্তিতে সংগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী”। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হলো- বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী বর্তমানে শান্তি-সংগ্রামের পাশাপাশি অর্থনীতিতে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী অনন্য অবদান রাখছে।
শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত আয় বাংলাদেশের তৃতীয় আয়ের খাত। বাংলাদেশের গর্ব এই বাহিনী মহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বুকে শান্তির কাজে স্থান করে নিয়েছে। শান্তির কাজে বিশ্বের সর্বচ্চ সংখ্যাক সেনা দিয়ে বিশেষ কৃতিত্ব দেখাচ্ছে।
শন্তি রক্ষায় একের পর এক সাফল্য নিয়ে আসছে দেশের কল্যাণে। ১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্তে আমরা মায়ের মুখের ভাষার স্বীকৃতি পায়, আর সিয়েরা লিয়নে শান্তির দূতের স্বীকৃতি হিসাবে বাংলা দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে সিয়েরা লিয়ন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ১০টি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার ৫০০ সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সাফল্যের মধ্য দিয়ে।
এ পর্যন্ত ৬৩টি শান্তি মিশনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৮২ হাজার ৯৬৫ শান্তি কর্মী বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন মিশনে। নিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন মিশনে কাজ অসমাপ্ত রেখে জাতিসংঘ বাহিনী ফিরে এসেছে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশিরাই হচ্ছে এর ব্যতিক্রম।
সিয়েরা লিয়নে আজ বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাটের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশের নামে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাস, সংঘাত ও দাঙ্গা দমন করে শান্তি স্থাপন, তথা সে সব দেশ পুনর্গঠনে এ দেশের শান্তিসেনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এসব কারণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ বাহিনী সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আকর্ষণীয় শান্তিরক্ষার দায়িত্ব ব্যাপক জনপ্রিয়। কারন এতে অংশগ্রহণকারীদের মিশনের পর বাড়ি কেনার ও অবসরের জন্য সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেয়।
সম্প্রতি এক খবরে জানা যায়, বাংলাদেশের শান্তি রক্ষীরা গত তিন বছরে দেশে তাদের পরিবারবর্গের কাছে ৭৫ বিলিয়ন টাকা (৯১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রেরণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা (ইউএনপিএসও)-এর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে বিশ্বে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সর্বোচ্চমানের পেশাদারি মনোভাব, সাহসিকতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উপসাগরীয় এলাকা, বেনিন, নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা/রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি, তাজিকিস্তান, পশ্চিম সাহারা, সিয়েরা লিওন, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর, কঙ্গো, আইভরি কোস্ট ও ইথিওপিয়ায় শান্তি রক্ষা কাজে অংশগ্রহণ করে।
শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ একের পর এক সাফল্য আর্জন করছে। তারা দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসাবে কাজ করছে। আমাদের মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনতা পরবর্তী পূর্নগঠনে তারা দেশকে নতুন করে সাজিয়েছেন। দেশের সংকট মুহুর্তে হাল ধরেছেন। নিশ্চিত বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
আমরা দেখেছি ১৯৮৮ ঘুর্ণিঝড়, ২০০০ সালের বন্যা, সিডর, আইলা, চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোর্গে তারা বিপন্ন মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার করেছেন। তাদের মুখে দ্রুত সময়ে খাদ্য নিয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে বস্তুহারা মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তাদের পাশে থেকে তাদের সাহয্যে জীবন জীবিকার কাজ করেছেন।
নির্মাণ করে দিয়েছেন তাদের বসত ভিটা। সর্বোপরি মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়েছেন এই বাহিনীর লক্ষ লক্ষ সদস্য। সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হিসাবে কাজ করছে তারা। সেখানে আজ অসঙ্গতি মানুষ সেখানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে। এর চেয়ে বড় পাওয়া এই বাহিনীর আর কিছু হতে পারে না।
সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অবদান রাখার তাগিদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ চালু করেছে। যেখানে সাধারণ মানুষজনের ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনা করতে পারে। এরকম একটি বাহিনীর শান্তিরক্ষায় সময়ের দাবী এসেছে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার। বর্তমানে এই বাহিনী নিয়ে নামামূখি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে আমরা বিভিন্ন সময় জানতে পারি। ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠি তাদের স্বার্থ হাসিল করার সর্বশেষ কৌশল হিসাবে এই বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় একটি দুটি পত্রিকা ক্রমাগত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। গত দুদিন দেশের প্রধান দুটি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার তারই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য দুটি সংবাদ পরিবেশন করেছে।

এ ছাড়া এই বাহিনীকে ব্যবহার করে অনেকে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চাচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে সুশৃঙ্খল বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায়। এদের প্রতিহত করতে হবে। সকল দল-মতের উর্দ্ধে অতীতের মত তাদের থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রের নাগজাল ছিন্ন করে দেশের কল্যানে সেনবাহিনী কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা বাংলার ১৬ কোটি মানুষের।

Blog 2
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে দুটি রিপোর্ট করেছে গত দুদিন। সংবাদ দুটি পড়ে আমি থ। স্বাধীন রাষ্ট্র্যে একটি সেনাবাহিনীর দেখভালের দায়িত্ব রাষ্ট্র্যের, প্রথম আলোর নয়। “কৃষিজমি ও বনভূমিতে সেনানিবাস বা অন্য কোনো স্থাপনা না করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে আটটি সংগঠন।” সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ জমি বা জায়গা কী কাজে ব্যবহৃত হবে সেটা দেখাশোনার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। খুব সাধারণ একটি প্রশ্ন করেছেন সেমিনারে। সেটা হলো- দেশের অন্যান্য খাতে বরাদ্দ চাইলে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয় না। অথচ প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ চাইলে সেটা সরকার তৎক্ষনাৎ দিয়ে দেয়! আজব আলোচনা। আজব তথ্য!
মনে রাখতে হবে-বাংলাদেশ খুব ছোট্ট একটি দেশ। কিন্তু জনসংখ্যায় অনেক বেশি। আর দেশটির চারদিক দিয়ে অন্যান্য রাষ্ট্রের সীমানা রয়েছে। বাংলাদেশকে সুরক্ষার জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। সেটা অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী। আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দেশের বাইরেও সুনাম অর্জন করছে, করেছে সেটা আমরা সবাই জানি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ২৮ মাসের মধ্যে ২০ মাসই বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। তবে এ বছর এপ্রিলের শেষ দিনে এই প্রথমবারের মতো মাত্র ৯৮ জন বেশি শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
শুধু সংখ্যাতেই নয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অনেকে শান্তিরক্ষা মিশনে ফোর্স কমান্ডার, ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার, চিফ মিলিটারি অবজারভার- এসব নেতৃত্বস্থানীয় পদেও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন।
এ ছাড়া ২০০০-২০০১ থেকে ২০১২-২০১৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১৩ বছরে শুধু সেনাবাহিনীই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বছরে আয় করেছে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ২১ লাখ এক হাজার ৭৭২ টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা আয় হয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে আয় এক হাজার ৬১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা।
এই অর্জনের পেছনে অনেক ত্যাগও আছে। জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত অবস্থায় ১৯৮৯ সালের ৪ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ২ এপ্রিল পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৯৬ জন সেনা সদস্য। আহত হয়েছেন ১৪৭ জন। এ ছাড়া জীবন দিতে হয়েছে নৌবাহিনীর দুই, বিমানবাহিনীর চার এবং পুলিশ বাহিনীর ১৬ সদস্যকে।
১৯৮৯ সালের ইরাক-ইরানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া শুরু হয়। জাতিসংঘের 'ডিপার্টমেন্ট অব পিসকিপিং অপারেশনস'-এর ওয়েবসাইটে শান্তিরক্ষা মিশনে কোন দেশ কত সামরিক ও পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছে, এর বছর ও মাসভিত্তিক প্রতিবেদন থাকে। এতে সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য রয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সামরিক ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ। এ সময় বাংলাদেশের সাত হাজার ৮২৪ জন পুরুষ ও ২১০ জন নারী মিলিয়ে মোট আট হাজার ৩৪ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। এক বছর আগে এ সংখ্যা ছিল আট হাজার ৬১৯ জন পুরুষ ও ২২৪ জন নারী মিলিয়ে আট হাজার ৮৪৩ জন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে বর্তমানে ১২২টি দেশের মোট ৯৭ হাজার ৭২৯ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে পুলিশের সংখ্যা ১১ হাজার ৯২৯ এবং সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৮৩ হাজার ৯৩৬। বাকি এক হাজার ৮৬৪ জন জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বর্তমানে আটটি দেশে সরাসরি শান্তিরক্ষী বাহিনী (কনটিনজেন্ট) হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ছয় হাজার ৫২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের স্টাফ অফিসার ও সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে ১১ দেশ এবং মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন ৫৫ জন।
সম্প্রতি সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক মিশনে ৮২০ এবং সুদানের দারফুরে ১৭৫ জন সেনা সদস্য নিয়োজিত হয়েছেন।
১৯৮৮ সালে প্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন কর্মকর্তা জাতিসংঘের ইরাক-ইরান মিশনে অংশ নেন। এরপর গত ২৬ বছরে ৪০টি মিশনে মোট এক লাখ ছয় হাজার ৩২৬ জন সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক যুগোস্লাভিয়া, সোমালিয়া, কঙ্গো, আইভরি কোস্ট, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিয়ন- এসব দেশের শান্তিরক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদান স্মরণ করে বলেছিলেন, 'জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ হলো একটি আদর্শ মডেল।' জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুন সুদানের দক্ষিণাংশে পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, 'বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা সুদানের শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে মহৎ কাজ করেছে, এর প্রতি রইল আমার গভীরতর শ্রদ্ধা।'
যেখানে বান কি মুন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন, সেখানে দেশের অভ্যন্তরে মানবাধিকারের নামে ভূইফোড় সংগঠনের নাক গলানোর কি আদৌ প্রয়োজন আছে? মনে রাখতে হবে- সেনাবাহিনী কিন্তু আমাদেরই জন্যে। আমাদের দেশকে বহির্শক্তির আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.