![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খুনি মোশতাক ছিল মোনাফেক, আর জিয়া তার দোসর। দোসর না হলে কেন সে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করবে?’ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে বাংলাদেশের বিষফোড়া অভিহিত করে তিনি বলেন, এখন এই জোটে যাঁরা আছেন তাঁদের কেউ খুনি, কেউ যুদ্ধাপরাধী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেভেন মার্ডারের আসামিও এখন ২০ দলের নেতা। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক পুনর্মিলনী সমাবেশে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে গতকাল দুপুরের আগেই সমাবেশস্থলে লক্ষাধিক যুবলীগ নেতা-কর্মী উপস্থিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ৩টার দিকে সভামঞ্চে পৌঁছেন। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। এতে তিনি সাম্প্রতিক ও একাত্তর-পরবর্তী রাজনীতি, যুবলীগের ইতিহাস, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুবলীগের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না। এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে বদনাম হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, যুবসমাজ নিজের পায়ে দাঁড়াবে।’ প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ, প্রত্যেকটি মানুষের ঘর পাওয়ার অধিকার পূরণে তাঁর সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতই হুমকি-ধমকি দেওয়া হোক না কেন, তাতে কাজ হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবেই। ইনশা আল্লাহ ২০২১ লাগবে না, তার আগেই হবে। গণতান্ত্রিক ধারা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সক্রিয় ছিল। তাই কোনো ষড়যন্ত্রই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বন্ধ করতে পারেনি। ইনশা আল্লাহ পারবেও না।
খালেদা কি স্বাধীনতার পক্ষে?
‘বিএনপি রাজাকারের দল’ ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুক্রবার এমন বক্তব্যের পরদিন প্রধানমন্ত্রীও তাঁর বক্তব্যে বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াও স্বামীর পথ অনুসরণ করছেন। এখন সারা দেশে তাঁর (খালেদা) সমাবেশে সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারদের মুক্তির দাবি করা হয়। এ থেকে বুঝে নিতে হবে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে, নাকি রাজাকারদের পক্ষে।
মোশতাক মোনাফেক, জিয়া তার দোসর
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনি মোশতাক ছিল মোনাফেক, আর জিয়া তার দোসর। তারা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যাই করেনি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানকে ওই খুনি মোশতাক সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। মোশতাকের দোসর না হলে কেন সে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করবে। এ দুজনে মিলে ষড়যন্ত্র করে ১৯৭৫ সালের ২ নভেম্বর দিবাগত রাতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ এ হত্যার কথা জানতে পারে। সে রাতেই জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর থেকেই হত্যা ও ক্যুর রাজনীতি শুরু হয়।’
মানুষ মেরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা যাবে না
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে ২০ দল আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করি, তারা আন্দোলনে নামে। বাস, সিএনজি, রিকশায় আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। কিন্তু এভাবে মানুষ হত্যা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা যাবে না। এ জন্য বিএনপি নেত্রীকে একদিন জবাব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রী সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছিলেন। উনি বোঝেন না, এসব করলেই বিচার বন্ধ হয়ে যাবে না। তিনি বলেন, এ বিচার চলছে, চলবে। একে একে সব রায় কার্যকর হবে। এ দেশের মাটি লাখো শহীদের রক্তে ভেজা। যারা একাত্তরে হত্যা-গুম-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। যাঁরা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে চলছেন তাঁদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯
খেলাঘর বলেছেন:
"গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক পুনর্মিলনী সমাবেশে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। "
-যুবলীগের চোর ডাকাতদের সামনে খুনীদের গল্প; এটা কি রাজনীতি?