|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবসের জনসভায় যোগ দেওয়ার দু’দিন আগে থেকেই ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার বাসভনের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার রাত-এই একদিনে প্রথমবারের মতো কার্যালয়ে রাত্রিযাপন করার অভিজ্ঞতা হলো খালেদা জিয়ার। এই একদিনের প্রায় পুরোটা সময় তার কেটেছে বিশ্রামহীন।
বরাবরের মতো শনিবার রাতে অফিস করার জন্য গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এ দিন রাতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। অফিস শেষ করে রিজভীকে দেখতে নয়াপল্টন যেতে চাইলে খালেদা জিয়া আটকে দেয় কার্যালয় ঘিরে রাখা বিপুল সংখ্যক পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় শুধু বাসভবন ছাড়া আর কোথাও যেতে পারবেননা তিনি। কারন ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস পালন করতে নয়াপল্টনে জনসভা করার প্রত্যয়ী ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে এরপর থেকেই ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে কার্যালয়ে অবস্থান করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি প্রধান শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাপী রংয়ের একটি শিপন শাড়ি পড়ে কার্যালয়ে আসেন। তবে রোববার রাত পর্যন্ত ওই এক শাড়িতেই আছেন তিনি। রাতে বাসভবন থেকে আসা খাবার খান তিনি। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে কার্যালয়ে অবস্থান করা মহিলা নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সকালে বেলা ১২টার দিকে ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। সকালের নাস্তার করেন কলা, পাউরুটি, ডিম ও ফলের রস দিয়ে।
খালেদা জিয়া দুপুরে কিছু খাননি। কারন তিনি সাধারণত দুপুরে খাননা। রাতে তার খাবার আসে মোহাম্মদপুরে তারেক রহমানের শশুর বাসা থেকে। সেই খাবারই খেয়েছেন তিনি।
৮৬ নম্বর রাডের ৬ নম্বর এই বাসাটি তিনতলা বিশিষ্ট। দ্বিতীয় তলায় এক পাশে খালেদা জিয়ার অফিস কক্ষ, অন্যদিকে স্থায়ী কমিটির সভা কক্ষ। সেখানে খাটে ঘুমানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই খুব বেশি বিশ্রাম নেননি বিএনপি প্রধান। মহিলা দলের কয়েকজন নেত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই শনিবার দিবাগত রাত পার করে দেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনকে সঙ্গে কার্যালয়ে অবস্থান করেন মহিলা দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি নুরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রাক্তন এমপি আশিফা আশরাফি পাপিয়া প্রমুখ। রাতে টেলিফোনে কয়েক দফা কথাও বলেন তিনি। শেষে ফজরের নামাজ পড়ে দোতলায় নিজের চেম্বারে সোফায় হেলান দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নেন। 
কার্যালয়ে ঘুমানোর কোনো বন্দোবস্ত না থাকায় রাতেই লেপ, কম্বল, তোষক ও খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রী আনানো হয়। তবে বিএনপি প্রধানের জন্য গভীর রাতে একটি খাট আনা হলেও শনিবার রাতে রুমে ঢোকানো সম্ভব হয়নি। যদিও রোববার দিনে স্থায়ী কমিটির সভাকক্ষে সেটি নেওয়া হয়। বিকেলে কিছুক্ষনের জন্য বিশ্রাম নিয়েছেন খালেদা জিয়া। রাতে ফোনে কথা বলেছেন ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে। 
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল জানান, একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তা নজিরবিহীন ঘটনা। কোনো কারন ছাড়াই এই ধরনের আচরণ করা হচ্ছে। 
ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে খালেদা জিয়া প্রায় সারাদিনই টেলিফোনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। বোরবার তার সঙ্গে কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপিপন্থী সাংবাদিক প্রতিনিধি দল, আইনজীবি প্রতিনিধি দল, সাবেক সচিবরা, চিকিৎসক প্রতিনিধি দল। এছাড়া সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবরও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +০/-০
    	+০/-০২|  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৯:১৮
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৯:১৮
আহমেদ রশীদ বলেছেন: অবরদ্ধ নয়রে ভাই শুধু নাটক
৩|  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৯:২০
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৯:২০
আহমেদ রশীদ বলেছেন: খালেদা জিয়াকে 'ভালো অভিনেত্রী' বললেন প্রধানমন্ত্রী
৪|  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৯:২৪
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৯:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: 
বিএনপি নেত্রী তার জান মালের নিরাপত্তা চেয়েছেন, সরকারের দায়িত্ব তাকে নিরাপত্তা দেওয়া। তাই দেওয়া হয়েছে, এটাকে কেউ যদি তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তা হলে সরকারের কিইবা করার আছে।
৫|  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১০:৩১
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১০:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৭২- ৭৫ এর পদধ্বনি!!!
পাকি আমলৈ ছিল ইয়াহিয়ার স্বৈরাচার!!!
গণমানুষৈর রায়ের প্রতি ভ্রুক্ষেপহীন ইয়াহিয়া ভূট্টো বাংলার মানুষকে ক্ষমতা আর পুলিশ আর্মি দিয়ে দমন করতে চেয়েছিল
স্বাধীন বাংলঅদেশেও আজ কি তাদের প্রতাত্মা ভর করে নি???
কিন্তু ৭১্ এ পাকি স্বৈরাচার যেমন পারেনি...
আজও তারা পারবে না!!!! 
৬|  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১০:৩৩
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১০:৩৩
বিডি আইডল বলেছেন: ছাগলের বাচ্চা
৭|  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৪:২০
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৪:২০
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: 
২০১৩ সালের তান্ডবের পর, ৩০০ মানুষকে পোড়ানোর পর, খালেদা জিয়ার কোন গণতান্ত্রিক অধিকার থাকার কথা নয়; সে ক্রিমিনাল । 
সহমত!!!!
৮|  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৪:২১
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৪:২১
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: 
ছাগলের বাচ্চা (!) বিডি আইডল
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৮:৫০
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৮:৫০
খেলাঘর বলেছেন:
তাকে অবরোধ করা শেখ হাসিনার ভুল; খালেদা জিয়াকে অডিটোরিয়ামে মিটিং করার অনুমতি দেয়া যেতো।
২০১৩ সালের তান্ডবের পর, ৩০০ মানুষকে পোড়ানোর পর, খালেদা জিয়ার কোন গণতান্ত্রিক অধিকার থাকার কথা নয়; সে ক্রিমিনাল।