![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এবং দেশে হরতাল-অবরোধকেও ‘রক্তক্ষয়ী সহিংসতায়’ পরিণত করার কাজে অর্থায়নকারী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে অর্থ জোগানদাতাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। এরই মধ্যে চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের দেশে-বিদেশে অর্থসম্পদের খোঁজখবর নেওয়াসহ তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্যও সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। তালিকাভুক্ত অর্থায়নকারীদের অনেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অর্থবাহকদের নাম, ঠিকানাও সংযুক্ত করা আছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের কিছু ব্যবসায়ী হুন্ডির মাধ্যমে লন্ডনে টাকা পাঠাচ্ছেন বলেও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।
সরকারের নির্দেশে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা ‘নাশকতায় অর্থ জোগানদাতাদের’ ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে। এতে অনেক রাঘব-বোয়ালের নাম এসেছে। এর মধ্যে দেশের প্রায় দুই ডজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, সাবেক মন্ত্রী ও অর্ধশতাধিক প্রবাসী বিত্তশালীকে অস্বাভাবিক পর্যায়ের ‘শীর্ষ অর্থ জোগানদাতা’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে জমা দেওয়া তিনটি পৃথক গোয়েন্দা প্রতিবেদনেই অর্থ জোগানদাতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংস্থার একাধিক ইউনিটও প্রতিবেদনসহ অর্থ জোগানদাতা ব্যবসায়ীদের দুটি পৃথক তালিকা যাচাই-বাছাই করছে।সরকারের নীতিনির্ধারক মহল থেকেও জানানো হয়, যে কোনো মূল্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার দায়বদ্ধ। সে ক্ষেত্রে সরকার পতনের আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী চলমান লাগাতার অরাজকতা, জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা-নাশকতার দায়দায়িত্ব সরকার এড়াতে পারে না। সঙ্গত কারণেই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নীতিনির্ধারক মহলের ওই সূত্রটি আরও জানায়, দেশে সংঘটিত বিভিন্ন নাশকতায় অর্থদাতা হিসেবে যেসব ব্যবসায়ীর নাম প্রাথমিক তদন্তেই বেরিয়ে আসে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সরকার আরও আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে টাকার জোগানদাতা হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ একজন সাবেক মন্ত্রীকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়। নজরদারিতে রাখা হয়েছে এফবিসিসিআইর এক সাবেক সভাপতিকে। তবে বিএনপি ঘরানার অনেকে ঘন ঘন বিদেশে অবস্থানের মাধ্যমে নিজেদের দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তা থাকাসহ কোনোরকম নাশকতায় সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টি প্রমাণের চেষ্টা চালান। কিন্তু সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিএনপির মধ্যম সারির ও তৃণমূল পর্যায়ের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করেই বিতর্কিত ব্যবসায়ীদের অর্থ জোগানের প্রমাণাদি সংগ্রহে সক্ষম হন। শুধু দেশের ব্যবসায়ীরাই নন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত দলের প্রবাসী সমর্থকদের কেউ কেউ নানা অজুহাতে বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান দিয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এসব অর্থের সিংহভাগই লন্ডনে পালিয়ে থাকা তারেক জিয়ার আশপাশে অবস্থানকারীদের হাতে পৌঁছে। সেখান থেকে বিভিন্ন খাতওয়ারি নানা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশে টাকা পাঠানো হয় বলেও জানতে পারেন গোয়েন্দা সদস্যরা। এদিকে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, বোমাবাজি ও যানবাহন পোড়ানোর একাধিক ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা ‘নাশকতায় অর্থের জোগানদাতাদের’ নাম প্রকাশ করছেন। এতে যেসব ব্যবসায়ীর নাম বেরিয়ে আসছে তাতে অবাক হতে হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা জানান, অভিযান চালানোর স্বার্থে কোনো অর্থদাতার নাম এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে সাবেক মন্ত্রী, শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী এমনকি দলীয় কার্যক্রম থেকে অনেক দূরে থাকা কারও কারও নামও ‘নাশকতায় মদদদাতার’ তালিকায় রয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও তাদের ব্যাপারে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’র মনোভাব প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৩
যোগী বলেছেন:
নাশকতায় অর্থ জোগানদাতাদের কিছুই করতে পারবেনা সরকার। এক জামাতি ব্যাবসায়িরাই কোটি কোটি টাকা দিতে পারে নাশকতার জন্য।
বেটার সরকার নাশকতাকারীদের দেখা মাত্র গুলি করার অডার দিক। দুই একটা পেট্রলবোমা হামলাকারী কে গুলি করে ফেলতে পারলে সব বন্ধ হয়ে যাবে।