![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির প্রায় সব নেতাই ফেরারি আসামি হয়ে ঘুরছেন। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল- এসব নেতার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলার খড়গ। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও আইনি পরিভাষায় কার্যত ফেরারি আসামি। হুলিয়া মাথায় নিয়ে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। লন্ডনে থাকা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও একই অবস্থা। এ ছাড়া বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা থেকে শুরু করে নির্বাহী কমিটিসহ সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতাই মামলার হুলিয়া নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। ঢাকা মহানগরে ৫২ সদস্যের কমিটিতে জেলের বাইরে থাকা প্রায় সবাই পলাতক। কেউ কেউ সুযোগ বুঝে আবার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বয়সের ভারে ন্যুব্জ কিছু সিনিয়র নেতা আর আইন পেশায় থাকা কয়েকজন বর্তমানে দৃশ্যমান। বিএনপির দুই আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও এ জে মোহাম্মদ আলী গতকাল বিকালে গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রথম দফায় তারা বাধাগ্রস্ত হলেও পরে কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়। গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকেই গুলশান কার্যালয়মুখী হচ্ছেন না। অবশ্য বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা বলছেন, গোপনে থেকে অনেক নেতাই চেয়ারপারসনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন। যোগাযোগ রাখছেন তারেক রহমানের সঙ্গে। গ্রেফতারের ঝুঁকি নিয়েও অনেকে নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনে ভূমিকা রাখছেন। তবে বড় একটি অংশই দল ও নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মগোপনে আছেন। তা ছাড়া খালেদা জিয়াও গ্রেফতার এড়িয়ে নেতা-কর্মীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যেভাবে একের পর এক মামলা হচ্ছে তাতে ঘরে থাকার সুযোগ নেই। তা ছাড়া বাড়ি বাড়ি হানা দিয়েও নেতা-কর্মীদের না পেয়ে তাদের পরিবারের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। হামলা-মামলা আর গ্রেফতার আতঙ্কে স্বাভাবিকভাবেই নেতা-কর্মীরা নিজেদের সাময়িকভাবে আত্মগোপনে রেখেছেন। তার পরও দলের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন তারা।’জানা যায়, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে ফেরারি হিসেবে রয়েছেন তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা অব্বাস; ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ, সাদেক হোসেন খোকা; যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, বরকতউল্লা বুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ; সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খোন্দকার, মশিউর রহমান, হারুন-অর রশিদ, মজিবর রহমান সরোয়ার, আসাদুল হাবিব দুলু, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরী, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, লুৎফর রহমান খান আজাদ, আ ন ম এহছানুল হক মিলন, জাকারিয়া তাহের সুমন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মমিন তালুকদার খোকা, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নজরুল ইসলাম খান রাজন ও ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন। ৩৮ সদস্যবিশিষ্ট চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ফজলুর রহমান পটল, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ অনেকেই বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। ফেরারি রয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বরিশাল সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল ও খুলনার সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি। সিলেটের মেয়র আরিফুল হক ও গাজীপুরের মেয়র এম এ মান্নান কারাগারে।দলের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সমবায়বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুন অর রশিদ, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহ শরীফ কামাল তাজ, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কবির মুরাদ ও কাজী আসাদুজ্জামান, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহীন আত্মগোপনে। সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হাজি আমিন-উর রশিদ ইয়াসিন, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শাহজাদা মিয়া, সহ-পল্লী বিষয়ক সম্পাদক মোযাহার আলী প্রধান, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জয়ন্তকুমার কুণ্ডু ও অমলেন্দু বিশ্বাস অপু, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, এ কে এম হাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ও শরীফুল আলমও আড়ালে। বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ ‘সুপার ফাইভ’, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাসিম, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুল আউয়াল খান, তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ূন ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ ওলফাত ও সাধারণ সম্পাদক শফিউজ্জামান খোকন আত্মগোপনে। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৫২ সদস্যের মধ্যে জেলের বাইরে থাকা নেতাদের প্রায় সবাই ফেরারি আসামি। আব্বাস-সোহেল বাদে কমিটিতে থাকা সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল কাইয়ুম, কাজী আবুল বাশার, হারুন অর রশিদ, এস এ খালেক, আবু সাঈদ খান খোকন, আবদুল লতিফ, আবদুল মজিদ, আনোয়ারুজ্জামান, শামছুল হুদা, একরামুল হোসেন, ইউনূস মৃধা, শেখ রবিউল আলম, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, সাদেক আহমেদ, আলী আজগর মাতাব্বর, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, আহসানুল্লাহ হাসান, বুরহানুজ্জামান ওমর, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোলাম হোসেন, তানভীর আদেল বাবু, আবুল হাসান তালুকদার ননী, আবু মোতালিব, আলী ইমাম আসাদ, আবদুল মতিন, আবদুস সামাদ, হাজি আলতাফ হোসেন, ফরিদ আহমেদ ফরিদ, হাজি আনোয়ার পারভেজ বাদল, আখতার হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, হাজি মীর হোসেন মীরু, ফখরুল ইসলাম ফরু, ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি, তানভীর আহমেদ রবীন, মো. কফিল, আরিফুর রহমান নাদিম, মো. জাফরুল মিয়া ও এস এম জিলানী একাধিক মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। অবশ্য আড়ালে থেকেই অনেকে বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, রুহুল কবির রিজভী ও যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। কারাগারে আরও আছেন কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, বেলাল আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা মনির আহমেদ, আবদুল মতিন প্রমুখ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
একমাত্র ড: মইন খান ব্যতিত বাকী সবাই ডাকাত; ডাকাতদের যা হবার তাই হচ্ছে