![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময়ের দুর্গ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলা সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড এবং মীরসরাইয়ে কৌশলী ভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির। এখানে আওয়ামী লীগের অবস্থান সুসংগঠিত হওয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত এ দলের নেতাকর্মীরা। তারা প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করার পরিবর্তে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মাদ্রাসা, মসজিদ এবং ঘরোয়া বৈঠক করে দলের নেতাকর্মীদের উজ্জ্বীবিত করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের দুনেতা বলেন, 'গ্রেফতার এড়াতে নেতাকর্মীদের এলাকার বাইরে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে। প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ না হলেও ঘরোয়াভাবে সংগঠনের কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ফের প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাবে জামায়াত-শিবির।' অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে নাশকতার স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠা পাঁচ উপজেলায় বিশেষ অভিযান শুরুর পর কোণঠাসা হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির। গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছাড়া হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও নাশকতা সৃষ্টিকারীরা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তারা নতুন কৌশলে ফের এলাকায় সংগঠিত হতে শুরু করছে। কৌশলের অংশ হিসেবে শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে না এসে সাথী ও সমর্থকদের দিয়ে সংগঠন গোছানোর কাছ করছেন। চট্টগ্রাম জামায়াত-শিবিরের বড় দুর্গ সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার জামায়াত-শিবিরের উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা ও রুকন, কর্মীদের প্রায় সবাই এলাকা ছাড়া। এ দুই উপজেলায় দৃশ্যমান কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকলেও গোপনে মসজিদ ও মাদ্রাসা কেন্দ্রিক কাজ চলছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ- স্থানীয় এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় জামায়াত-শিবিরের কিছু কিছু নেতাকর্মী এলাকায় অবস্থান করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ ও আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়মিত মাসোহারা দিতে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.